সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

চলতি বছর ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

প্রশংসনীয় উদ্যোগে যেন গোষ্ঠীস্বার্থ প্রশ্রয় না পায়

কোনো কোনো দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার যখন কিছুটা বিপর্যস্ত তখন উজ্জ্বল আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। অন্য দিগন্তের একটি দেশ থেকে এসেছে এই শুভ সংবাদ। দেশটির নাম মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার এই দেশটি। খবরে প্রকাশ, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। আগামী তিন বছরে এই সংখ্যা বেড়ে হবে তিন গুণ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) ১ হাজার ২০০ সদস্য সমান সুযোগ পাবে। উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পায়নি। এই সুযোগ সততার সঙ্গে ব্যবহার করবে সংস্থাটি এটাই আমাদের প্রত্যাশা। পাশাপাশি সব নীতিমালা মেনে কেউ যদি নিজস্ব উদ্যোগে কর্মী নিতে চায় তাকেও সুযোগ দেওয়া হবে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি হবে স্বচ্ছ ও অনলাইনের মাধ্যমে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে আগে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে। তারপরই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। মালয়েশিয়া বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে। খবরে প্রকাশ, মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগে সব ধরনের সিন্ডিকেশনকে জিরো টলারেন্স দেখাবে সরকার। সরকারের অনলাইনে নিবন্ধিত ডাটাবেজ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে। তবে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে সরকার। এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। মালয়েশিয়ান সরকারও বেসরকারি পর্যায়ে লোক পাঠানোর পদ্ধতিকে সুদৃষ্টিতে দেখছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- সাধারণ শ্রমিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারণার শিকার না হয়; সেদিকে নজর রাখা। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত পদ্ধতির প্রতি তারা জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে অভিবাসন ব্যয় গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে রাখতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় স্বার্থে কোনো কুচক্রী মহলের গোষ্ঠীস্বার্থকে কেউ যেন প্রশ্রয় না দেয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর