শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

রৌদ্র ছায়ার নিচে

সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

মাকিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলীর সবগুলো চিঠি একাধিকবার পাঠ করার পরও কেন যে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনে, হয়তোবা হতে পারে সেকালের পূর্ববঙ্গের সবুজাভ বৃক্ষরাজি পালন করা প্রকৃতি শীত-গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া নদী, সেই নদীর জল যখন এঁকেবেঁকে যাওয়ার পরও হাঁটুজলে গরুগাড়ি পার হয়ে ওপারের ঢালু পাড় পেরিয়ে অন্য গ্রামগঞ্জে মিলিয়ে যায় তখন সেই হাঁটুজলের নদীর ভিতরে যারা স্নান সমাপন করেন, গামছায় জল ভরে মাথায় ঢালেন, তখনই ফিরে তাকাই ফেলে আসা বর্ষাস্নাত আষাঢ়, শ্রাবণের একটানা ছয়দিনের টিপটিপ রূপ বৃষ্টির ছলে। রাতভর সোনাব্যাঙ, কোনাব্যাঙের আনন্দগীত, কিংবা বাঁশঝাড়ের ভিতর শেয়ালের হাঁক, সেই বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে উড়ে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকির দল, কিংবা সেই বাঁশবাগানের মাথার ওপর ভাদ্রের, আশ্বিনের ঘুম ঘুম চাঁদের আলোয় যখন দিগন্ত উদ্ভাসিত তখন আমার ইচ্ছে হতো, আমাদের ছোট নদী ইছামতি পেরিয়ে কিছুটা এগুলেই কুষ্টিয়ার গড়াই কিংবা পদ্মা পাড়ি দিলেই লালন ফকিরের দেউরিয়া কিংবা রবিঠাকুরের শিলাইদহ। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে ভয় করে, আর তখনই ভাবি শীত এলে একদিন যাব, মোহিনী মিলের কাপড় বানানো দেখতে। যাব দেউরিয়া লালন উৎসবে, কিংবা শিলাইদহের মোহিনী মোহন ভবনটিকে দেখতে, বিশাল চর পাড়ি দিয়ে। আমার আর যাওয়া হয় না। তারপরও মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে লালন, শিলাইদহ, শাহজাদপুর দেখলেও দেখা হয়নি নওগাঁর পতিসর, সেই পতিসর শাহজাদপুর, পদ্মা, যমুনার দুইধার দেখতে দেখতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলি ছিন্নপত্রাবলীর পত্রের গভীরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে দৃশ্যাবলী রবিঠাকুর তার ছিন্নপত্রাবলী থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে এনেছেন— সেটি স্বচক্ষে তিনি দেখেছিলেন। যেমন ‘পোস্টমাস্টার’ কিংবা ‘ছুটি’ গল্পে নদীর যে বর্ণনা সেই বর্ণনার সঙ্গে আজকের জীবিত কোনো নদীর বর্ণনা কিছুতেই মিলবে না। সমগ্র বাংলাদেশের ছোট বড় কয়েক হাজার নদী ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে, নদীর দুই ধারে শিল্পায়নের নামে বর্জ্যসহ কেমিক্যাল ফেলে নদীর জল দূষিত করেছেন নব্য শিল্পপতিরা। শুধু তাই নয়, নদীর দুইধারে এমনকি নদীর ভিতরের জায়গা-জমিও দখল করেই নব্য ধনীরা ক্ষান্ত হননি, বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়িঘর। ঢাকা থেকে নদীপথে বরিশাল খুলনা যেতে কিংবা ঢাকা থেকে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গে যেতে দেখা যেতে পারে বিলাসী বাড়িঘর। কলকারখানা, চিমনির ধোঁয়া, ইটের ভাটা, কেউ দেখার নেই। দেশটি যেন ওইসব দস্যুর। ওদের জন্যই যেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই ’৭১ সালে, আমাদের পাবনা শহরের ইছামতি নদীটি প্রবাহিত হতো শহরের মাঝখান দিয়ে, সেই ইছামতির বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাড়িঘর। নেই তার জৌলুস, কেউ দেখার নেই।

শুধু পাবনার ওই ইছামতি নদীই নয়, কপোতাক্ষ, রূপসা, পুনর্ভবা কিংবা ব্রহ্মপুত্র এমনকি টঙ্গীর তুরাগ হারিয়ে গিয়েছে অধিবাসীদের পায়ের নিচে। এদিক থেকে সিলেটের সুরমা নদী কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। সিলেট শহরের কিন ব্রিজের উপর প্রথম দাঁড়িয়েছিলাম, প্রায় ৩৬ বছর আগে, জোছনা রাতে সুরমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ভরা বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সুরমা যেন তার দুই চোখে সুরমা মেখে, সেই জোছনা ভেসে যাওয়া গ্রামগঞ্জের দিকে নাচতে নাচতে যেতে যেতে হয়তো আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে গেলে, কবি তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসব, কুশিয়ারা আর ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বোরাক নদী।

সরকারি চাকরি সূত্রে একাধিকবার সিলেট গিয়ে কিন ব্রিজসংলগ্ন লাল করোগেটেড টিনের যে সার্কিট হাউসটা ছিল সেখানেই গিয়ে থাকতে হতো, গত শতকের আশির দশকের শুরুতেই তিনজন ডাকসাইটে সিএসপি অফিসার হয়েছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান ১. মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ২. মুশফিকুর রহমান, ৩. মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক। আমি সেই সময় বিসিকের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। সেহেতু মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের সফরসঙ্গী হওয়ার একাধিকবার সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন ওই তিনজন মহাপ্রাণ ব্যক্তি। আর যতবারই সিলেট গিয়েছি গিয়ে উঠেছি ওই লাল করোগেটেড টিনের সার্কিট হাউসে, যেটি সুরমা নদীর পাড়ে, ব্রিটিশদের তৈরি সার্কিট হাউসটি এখন আর নেই। রবীন্দ্র সার্ধশতবার্ষিকীতে বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদারসহ [নূর হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব] গিয়ে উঠেছিলেন, সুরম্য নতুন সার্কিট হাউসের তিনতলার ভিআইপি রুমে। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেটবাসীর জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও জাতীয়তাবাদী দলের সিলেটের আরেক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় উন্নয়নের গতিটা শ্লথ হয়ে গেলেও সিলেটবাসী অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা অস্বীকার এখনো করেন না। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষের-বিপক্ষের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস নদীর ওপর আগের একটি নির্মিত ব্রিজটির পুনঃউদ্বোধন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালের কিংবা ’৭৫ সালের মধ্যভাগে ওই সেতুটির ফিতা ইতিপূর্বে কেটেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং শ্বেতপাথর খোদাই নামসহ উদ্বোধনের তারিখসহ দিন।

 

সৈয়দ নজরুলের নাম ফলকের দিকে তাকিয়েই

 জাতীয়তাবাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব সাইফুর রহমান একটি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যেটি (২০০১-২০০৬), বিএনপির শাসনামলের অনেক উপরের নেতা-কর্মীও সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। জনাব রহমান বলেছিলেন, ‘কোথাকার কোন সৈয়দ নজরুল ইসলাম’  বলেছিলেন আরও অনেক অবান্তর কথা, যেটি তার জন্য ছিল অশোভন। দম্ভ যে মানুষকে অধঃপতনের দিকে ধাবিত করে আমরা সেটি মুহূর্তেই বিস্মৃত হয়ে যাই। তবে এখানে একটি আরবি শব্দের উদ্ধৃতি হতে পারে স্মরণযোগ্য। ‘অল অজলু মিনা শয়তান’। অর্থাৎ ‘হস্তদন্ত হওয়া মানে শয়তানের পন্থায় চলা’ সামান্য একটি সেতুর ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলকে কটাক্ষ করা আল্লাহ হয়তো নিজেও অপছন্দ করেছিলেন এবং ওই বক্তব্যের পর বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। শতসহস্র সমালোচনার ভিতরে আরও একটি সূত্র যোগ হয়েছিল, অর্থমন্ত্রী মহোদয় নিজের আয়কর দেননি। বিভিন্ন বার্তাকথনের শ্রোতা হয়েছিলেন, সিলেট সার্কিট হাউসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আমি আর ছড়াকার আলম তালুকদার। এক সময় কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঝরাতে, সেই সুরমা নদীর গোপন হাতছানি কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম কূল কূল নদীর নৃত্যরত জলের আহ্বানে। সেবার আমার এবং ছড়াকারের কুশিয়ারা বোরাক দেখা হয়নি। সেই দেখাই হলো বেশ কয়েক বছর পরের গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার। ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান, বাংলা একাডেমির সহপরিচালক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক  ইমরুল ইউসুফ, ছড়াকার আলম তালুকদার এবং আমি। ১৪২৩ সালের বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কবি অনিন্দ আনিস আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, ‘স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’র পক্ষ থেকে। আমি কর্মসূত্রে একাধিকবার সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ গেলেও যাওয়া হয়নি জকিগঞ্জে। চোখ মেলে দেখা হয়নি জকিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জকিগঞ্জের সড়ক ও জনপথের বিশ্রামাগারে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টির স্রোতে মুহূর্তের ভিতরেই ডুবে গেল জকিগঞ্জের বিদ্যুিবহীন রাত এবং আমাদের সেই বিশ্রামাগারের রাস্তাঘাট। সেদিন ঢাকায় ছিল প্রচণ্ড গরম। অথচ আমরা ওই রাতে ঘুমিয়েছিলেম কম্বল মুড়ি দিয়ে। তবে তার আগে স্থানীয় কবিদের নেতা অনিন্দ আনিস, স্থানীয় তরুণ কবিদের পরিচয় শেষে জানিয়ে দিলেন আগামীকাল শনিবার (১৬/৪/১৬) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যায়, সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, পৌরসভা চেয়ারম্যান সাহিত্য অনুরাগী খলিল উদ্দিন, ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কবি বাছিদ হাবিব ও কবির আহমদ এরা সবারই অদম্য উৎসাহে জকিগঞ্জের স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে এসেছিলেন স্থানীয় কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের দল, প্রাণের জোয়ারে। যার যাত্রা সেই ২০০৮ সাল থেকে। সেই সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। তারপরও প্রচুর জ্ঞানীগুণী, শ্রোতা এবং নতুন কবি, কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতিতে সেদিনের সেই কবিতা, ছড়া পাঠের আসর স্মরণ হয়ে থাকবে বলে জানালেন কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ। সেই সন্ধ্যাতেই শিশু চিত্রকর কুসুম, সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হলেও তার আঁকা পেনসিল স্কেচ আমাদের সবাইকেই মুগ্ধ করেছিল বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়।

কবি কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে পাস করেছিলেন গত শতকের ষাটের দশকে এবং আরও জালালেন এই জকিগঞ্জ দিয়েই যাওয়া যায় ভারতের আসামের করিমগঞ্জ। রাস্তাঘাট বানিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং এই জকিগঞ্জেরই কৃতী সন্তান সিএসপি মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক এবং এই জকিগঞ্জেই ঘুমিয়ে আছেন বিখ্যাত সাধক এক ব্যক্তি, যার নাম শাহ শীতালং। যিনি শীতালং শাহ্ নামেই সর্বাধিক পরিচিত, জন্ম ইংরেজি ১৭০০ সালে, মৃত্যু ১৭৮৯-এ। জকিগঞ্জে যখন আপনি, ছড়াকার আলম তালুকদার, অধ্যাপক গাজী আজিজ এবং ইমরুল ইউসুফ এসেছেন শীতালং শাহের মাজার অবশ্যই দেখে যাবেন। দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও আছে আমলশীদ গ্রামের প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র, ওই কেন্দ্রে গেলেই দেখতে পারেন তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল। সুরমা, কুশিয়ারা আর বোরাক নদী, বোরাকের ওপারেই ভারতের আসাম রাজ্য।

আমরা সবাই সেই আমলশীদ পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি সীমান্তসংলগ্ন বেশ দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের  বেড়া, আমাদের সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ডের সদস্যরা আছেন পাহারায় নিযুক্ত। আমাদের সদস্যদের অনেকক্ষণ কথাবার্তার মাঝখানে ওই গ্রামের এক কৃষক, দেখালেন তিন নদীর সঙ্গমস্থলে যে একটি বিশাল টিলার মতো দাঁড়িয়ে আছে ওই ছোট টিলাকে নিয়েই ২০০৬ সালে ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছিল জায়গাটির দখল কোন দেশ নেবে। বাংলাদেশের বিডিআরের এক সৈনিক ফেরদৌস, অসীম সাহসের সঙ্গে একাই আমাদের ভূখণ্ডের ভিতর থেকে দ্রুততার সঙ্গে কয়েকটি জায়গা থেকে অস্ত্র চালিয়ে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আর যাই হোক জাগ্রত ভূখণ্ড এবং নদীর পশ্চিমের যাবতীয় বরবটি, কলা, বেগুনের খেত বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমি। স্থানীয় কৃষক লেখাপড়া না জানলেও তিনি জানালেন আমি আর আমার মামা মহান মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। ওই আসামের মেঘালয়ে সেদিন ভারত সরকার যে উপকারটুকু আমাদের করেছিল সেটি কখনোই ভুলে যাওয়ার বিষয় নয়, কিন্তু বিগত কয়েক বছর বিএসএফ যে হারে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সেটি কল্পনাতীত। দিনাজপুর নাকি পঞ্চগড়ে কিশোরী ফেলানীকে কাঁটাতারের ওপর গুলি করে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তবে আমাদের পৈতৃক সহায় সম্পদ, এই ভুট্টার খেত, বরবটি, লাউ, বেগুনের খেত আমাদেরই থাকবে, যতদিন থাকবে বর্ডারগার্ড এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেই কৃষকের কথাগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম, এমন সময় ছড়াকার আলম তালুকদার জানালেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আসামের কোথায় কীভাবে ট্রেনিং নিয়েছিলেন এবং সেই কৃষকের কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে হাস্যপ্রিয় ছড়াকার বললেন, ভালো লাগল এই নির্জন আমলশীদ গ্রামের ত্রিমোহনীতে এসে পেলাম একজন সহযোদ্ধা, কৃষক ভদ্রলোক খুশি হয়ে আমাদের তারই বরবটি খেতের অনেকগুলো নবীন বরবটি খেতে দিয়ে বললেন, আমাদের এই এলাকার চেয়ারম্যান মোহসিন মুর্তজা চৌধুরী ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে এই আমলশীদে জোহলা গ্রামের শেষপ্রান্তে সুরমা, কুশিয়ারা, বোরাককে দেখতে আসা লোকদের জন্য এই সুন্দর রাস্তা তৈরি করেছেন। তবে সিলেট ফেরার পথে কিছুটা গেলেই দেখতে পাবেন শীতালং শাহের মাজার। সেই মাজারের সঙ্গেই আছে বিশাল একটি মাদ্রাসা এবং শীতালং শাহের আমলের একটি ‘নাগরী’ ভাষার কিতাব যার বয়স প্রায় ৩০০-৪০০ বছর। আমরা সবাই যখন শীতালং শাহের মাজারে এসে পৌঁছলাম তখনই জানলাম কবি মুহম্মদ সাদিক [সাবেক সচিব, বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাড়ি সুনামগঞ্জে] তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রাচীন নাগরী ভাষার ওপর। কথাটি জানালেন আলম তালুকদার এবং ওই মাদ্রাসা এবং মাজারের আধিকারিক, শীতালং শাহের চতুর্থ বংশধর উত্তরাধিকার মোহাম্মদ সলিমউদ্দিন। আমাদের উৎসাহে প্রাচীনকালের একটি নাগরী ভাষার বই দেখালেন, তবে পাতা উল্টানো অসম্ভব। দীর্ঘসময় কাটিয়ে জনাব সালামের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি জানালেন শীতালং শাহের দীর্ঘজীবনের ইতিহাস। সেই দিনের মাঝরাতে আবার ফিরে এলাম সিলেটের সার্কিট হাউসে। এসে দেখি কবি মঞ্জু রহমান (যুগ্মসচিব) ও উপন্যাসিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এসেছেন সিলেটের বইমেলার উদ্বোধন করতে।

ইতিপূর্বে এই সিলেটের মাটিতে শায়িত হজরত শাহজালাল, শাহ পরানের মাজারে যেমন এসেছি তেমনি গিয়েছি দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে এবং দুপুর-রাতের আহার সম্পন্ন করেছি দিল্লির জামে মসজিদের পাশের এক হোটেলে, সপরিবারে। অপরদিকে আগ্রায় শাজাহানের মাজার এমনকী দিল্লি থেকে ফেরত পথে গিয়েছিলাম বৃন্দাবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানে, দেউরিয়ার লালনের মাজার কিংবা ঢাকার মিরপুরের মাজারে যেতে ভালোই লাগত এক সময়। অপরদিকে মক্কা এবং মদিনায় গিয়ে দেখে এসেছি, মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য স্থান এবং পবিত্র মাজার শরিফ। মক্কা এবং মদিনায় হজব্রত পালনের সময় আমার মনে হয়েছিল প্রভুর ইচ্ছা না হলে নাকি কেউ হজব্রতে যেতে পারেন না এবং পাক পবিত্র হওয়ার উত্কৃষ্টতম জায়গা মক্কা এবং মদিনা।

বাংলাদেশের মফস্বল শহরের উপজেলাতে শিল্পকলা একাডেমির শাখা খোলা যেতে পারে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে, ওই সব উপজেলার তরুণ তরুণীরা শিখতে পারবে শুদ্ধ উচ্চারণ এবং এ দেশের শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাস। পুনরায় বলতে হলো রবিঠাকুরের একটি অমিয় বাণী— ‘পৃথিবীর নবীনতা’।

এই প্রাচীন পৃথিবীতে কেবল সৌন্দর্য এবং মানুষের হৃদয়ের জিনিসগুলো কালে কালেই কিছুতেই পুরনো হয় না, তাই এই পৃথিবীটি তাজা রয়েছে এবং কবির কবিতা কোনোকালেই একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় না।

     লেখক : কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

২৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জজের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
জজের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন
ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার
টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের
প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান রিজওয়ানা হাসানের

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর
ভাড়া নিয়ে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালকের আসনে পাকিস্তানি অভিনেতা
ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালকের আসনে পাকিস্তানি অভিনেতা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুখস্থ নয়, সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়তে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মুখস্থ নয়, সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় গড়তে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেকে পুনর্মিলনী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি
চমেকে পুনর্মিলনী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনীতি আর আগের মতো চলবে না: আমীর খসরু
রাজনীতি আর আগের মতো চলবে না: আমীর খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়
সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা