শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

রৌদ্র ছায়ার নিচে

সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

মাকিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলীর সবগুলো চিঠি একাধিকবার পাঠ করার পরও কেন যে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনে, হয়তোবা হতে পারে সেকালের পূর্ববঙ্গের সবুজাভ বৃক্ষরাজি পালন করা প্রকৃতি শীত-গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া নদী, সেই নদীর জল যখন এঁকেবেঁকে যাওয়ার পরও হাঁটুজলে গরুগাড়ি পার হয়ে ওপারের ঢালু পাড় পেরিয়ে অন্য গ্রামগঞ্জে মিলিয়ে যায় তখন সেই হাঁটুজলের নদীর ভিতরে যারা স্নান সমাপন করেন, গামছায় জল ভরে মাথায় ঢালেন, তখনই ফিরে তাকাই ফেলে আসা বর্ষাস্নাত আষাঢ়, শ্রাবণের একটানা ছয়দিনের টিপটিপ রূপ বৃষ্টির ছলে। রাতভর সোনাব্যাঙ, কোনাব্যাঙের আনন্দগীত, কিংবা বাঁশঝাড়ের ভিতর শেয়ালের হাঁক, সেই বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে উড়ে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকির দল, কিংবা সেই বাঁশবাগানের মাথার ওপর ভাদ্রের, আশ্বিনের ঘুম ঘুম চাঁদের আলোয় যখন দিগন্ত উদ্ভাসিত তখন আমার ইচ্ছে হতো, আমাদের ছোট নদী ইছামতি পেরিয়ে কিছুটা এগুলেই কুষ্টিয়ার গড়াই কিংবা পদ্মা পাড়ি দিলেই লালন ফকিরের দেউরিয়া কিংবা রবিঠাকুরের শিলাইদহ। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে ভয় করে, আর তখনই ভাবি শীত এলে একদিন যাব, মোহিনী মিলের কাপড় বানানো দেখতে। যাব দেউরিয়া লালন উৎসবে, কিংবা শিলাইদহের মোহিনী মোহন ভবনটিকে দেখতে, বিশাল চর পাড়ি দিয়ে। আমার আর যাওয়া হয় না। তারপরও মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে লালন, শিলাইদহ, শাহজাদপুর দেখলেও দেখা হয়নি নওগাঁর পতিসর, সেই পতিসর শাহজাদপুর, পদ্মা, যমুনার দুইধার দেখতে দেখতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলি ছিন্নপত্রাবলীর পত্রের গভীরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে দৃশ্যাবলী রবিঠাকুর তার ছিন্নপত্রাবলী থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে এনেছেন— সেটি স্বচক্ষে তিনি দেখেছিলেন। যেমন ‘পোস্টমাস্টার’ কিংবা ‘ছুটি’ গল্পে নদীর যে বর্ণনা সেই বর্ণনার সঙ্গে আজকের জীবিত কোনো নদীর বর্ণনা কিছুতেই মিলবে না। সমগ্র বাংলাদেশের ছোট বড় কয়েক হাজার নদী ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে, নদীর দুই ধারে শিল্পায়নের নামে বর্জ্যসহ কেমিক্যাল ফেলে নদীর জল দূষিত করেছেন নব্য শিল্পপতিরা। শুধু তাই নয়, নদীর দুইধারে এমনকি নদীর ভিতরের জায়গা-জমিও দখল করেই নব্য ধনীরা ক্ষান্ত হননি, বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়িঘর। ঢাকা থেকে নদীপথে বরিশাল খুলনা যেতে কিংবা ঢাকা থেকে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গে যেতে দেখা যেতে পারে বিলাসী বাড়িঘর। কলকারখানা, চিমনির ধোঁয়া, ইটের ভাটা, কেউ দেখার নেই। দেশটি যেন ওইসব দস্যুর। ওদের জন্যই যেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই ’৭১ সালে, আমাদের পাবনা শহরের ইছামতি নদীটি প্রবাহিত হতো শহরের মাঝখান দিয়ে, সেই ইছামতির বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাড়িঘর। নেই তার জৌলুস, কেউ দেখার নেই।

শুধু পাবনার ওই ইছামতি নদীই নয়, কপোতাক্ষ, রূপসা, পুনর্ভবা কিংবা ব্রহ্মপুত্র এমনকি টঙ্গীর তুরাগ হারিয়ে গিয়েছে অধিবাসীদের পায়ের নিচে। এদিক থেকে সিলেটের সুরমা নদী কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। সিলেট শহরের কিন ব্রিজের উপর প্রথম দাঁড়িয়েছিলাম, প্রায় ৩৬ বছর আগে, জোছনা রাতে সুরমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ভরা বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সুরমা যেন তার দুই চোখে সুরমা মেখে, সেই জোছনা ভেসে যাওয়া গ্রামগঞ্জের দিকে নাচতে নাচতে যেতে যেতে হয়তো আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে গেলে, কবি তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসব, কুশিয়ারা আর ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বোরাক নদী।

সরকারি চাকরি সূত্রে একাধিকবার সিলেট গিয়ে কিন ব্রিজসংলগ্ন লাল করোগেটেড টিনের যে সার্কিট হাউসটা ছিল সেখানেই গিয়ে থাকতে হতো, গত শতকের আশির দশকের শুরুতেই তিনজন ডাকসাইটে সিএসপি অফিসার হয়েছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান ১. মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ২. মুশফিকুর রহমান, ৩. মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক। আমি সেই সময় বিসিকের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। সেহেতু মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের সফরসঙ্গী হওয়ার একাধিকবার সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন ওই তিনজন মহাপ্রাণ ব্যক্তি। আর যতবারই সিলেট গিয়েছি গিয়ে উঠেছি ওই লাল করোগেটেড টিনের সার্কিট হাউসে, যেটি সুরমা নদীর পাড়ে, ব্রিটিশদের তৈরি সার্কিট হাউসটি এখন আর নেই। রবীন্দ্র সার্ধশতবার্ষিকীতে বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদারসহ [নূর হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব] গিয়ে উঠেছিলেন, সুরম্য নতুন সার্কিট হাউসের তিনতলার ভিআইপি রুমে। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেটবাসীর জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও জাতীয়তাবাদী দলের সিলেটের আরেক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় উন্নয়নের গতিটা শ্লথ হয়ে গেলেও সিলেটবাসী অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা অস্বীকার এখনো করেন না। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষের-বিপক্ষের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস নদীর ওপর আগের একটি নির্মিত ব্রিজটির পুনঃউদ্বোধন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালের কিংবা ’৭৫ সালের মধ্যভাগে ওই সেতুটির ফিতা ইতিপূর্বে কেটেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং শ্বেতপাথর খোদাই নামসহ উদ্বোধনের তারিখসহ দিন।

 

সৈয়দ নজরুলের নাম ফলকের দিকে তাকিয়েই

 জাতীয়তাবাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব সাইফুর রহমান একটি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যেটি (২০০১-২০০৬), বিএনপির শাসনামলের অনেক উপরের নেতা-কর্মীও সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। জনাব রহমান বলেছিলেন, ‘কোথাকার কোন সৈয়দ নজরুল ইসলাম’  বলেছিলেন আরও অনেক অবান্তর কথা, যেটি তার জন্য ছিল অশোভন। দম্ভ যে মানুষকে অধঃপতনের দিকে ধাবিত করে আমরা সেটি মুহূর্তেই বিস্মৃত হয়ে যাই। তবে এখানে একটি আরবি শব্দের উদ্ধৃতি হতে পারে স্মরণযোগ্য। ‘অল অজলু মিনা শয়তান’। অর্থাৎ ‘হস্তদন্ত হওয়া মানে শয়তানের পন্থায় চলা’ সামান্য একটি সেতুর ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলকে কটাক্ষ করা আল্লাহ হয়তো নিজেও অপছন্দ করেছিলেন এবং ওই বক্তব্যের পর বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। শতসহস্র সমালোচনার ভিতরে আরও একটি সূত্র যোগ হয়েছিল, অর্থমন্ত্রী মহোদয় নিজের আয়কর দেননি। বিভিন্ন বার্তাকথনের শ্রোতা হয়েছিলেন, সিলেট সার্কিট হাউসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আমি আর ছড়াকার আলম তালুকদার। এক সময় কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঝরাতে, সেই সুরমা নদীর গোপন হাতছানি কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম কূল কূল নদীর নৃত্যরত জলের আহ্বানে। সেবার আমার এবং ছড়াকারের কুশিয়ারা বোরাক দেখা হয়নি। সেই দেখাই হলো বেশ কয়েক বছর পরের গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার। ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান, বাংলা একাডেমির সহপরিচালক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক  ইমরুল ইউসুফ, ছড়াকার আলম তালুকদার এবং আমি। ১৪২৩ সালের বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কবি অনিন্দ আনিস আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, ‘স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’র পক্ষ থেকে। আমি কর্মসূত্রে একাধিকবার সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ গেলেও যাওয়া হয়নি জকিগঞ্জে। চোখ মেলে দেখা হয়নি জকিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জকিগঞ্জের সড়ক ও জনপথের বিশ্রামাগারে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টির স্রোতে মুহূর্তের ভিতরেই ডুবে গেল জকিগঞ্জের বিদ্যুিবহীন রাত এবং আমাদের সেই বিশ্রামাগারের রাস্তাঘাট। সেদিন ঢাকায় ছিল প্রচণ্ড গরম। অথচ আমরা ওই রাতে ঘুমিয়েছিলেম কম্বল মুড়ি দিয়ে। তবে তার আগে স্থানীয় কবিদের নেতা অনিন্দ আনিস, স্থানীয় তরুণ কবিদের পরিচয় শেষে জানিয়ে দিলেন আগামীকাল শনিবার (১৬/৪/১৬) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যায়, সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, পৌরসভা চেয়ারম্যান সাহিত্য অনুরাগী খলিল উদ্দিন, ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কবি বাছিদ হাবিব ও কবির আহমদ এরা সবারই অদম্য উৎসাহে জকিগঞ্জের স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে এসেছিলেন স্থানীয় কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের দল, প্রাণের জোয়ারে। যার যাত্রা সেই ২০০৮ সাল থেকে। সেই সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। তারপরও প্রচুর জ্ঞানীগুণী, শ্রোতা এবং নতুন কবি, কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতিতে সেদিনের সেই কবিতা, ছড়া পাঠের আসর স্মরণ হয়ে থাকবে বলে জানালেন কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ। সেই সন্ধ্যাতেই শিশু চিত্রকর কুসুম, সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হলেও তার আঁকা পেনসিল স্কেচ আমাদের সবাইকেই মুগ্ধ করেছিল বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়।

কবি কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে পাস করেছিলেন গত শতকের ষাটের দশকে এবং আরও জালালেন এই জকিগঞ্জ দিয়েই যাওয়া যায় ভারতের আসামের করিমগঞ্জ। রাস্তাঘাট বানিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং এই জকিগঞ্জেরই কৃতী সন্তান সিএসপি মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক এবং এই জকিগঞ্জেই ঘুমিয়ে আছেন বিখ্যাত সাধক এক ব্যক্তি, যার নাম শাহ শীতালং। যিনি শীতালং শাহ্ নামেই সর্বাধিক পরিচিত, জন্ম ইংরেজি ১৭০০ সালে, মৃত্যু ১৭৮৯-এ। জকিগঞ্জে যখন আপনি, ছড়াকার আলম তালুকদার, অধ্যাপক গাজী আজিজ এবং ইমরুল ইউসুফ এসেছেন শীতালং শাহের মাজার অবশ্যই দেখে যাবেন। দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও আছে আমলশীদ গ্রামের প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র, ওই কেন্দ্রে গেলেই দেখতে পারেন তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল। সুরমা, কুশিয়ারা আর বোরাক নদী, বোরাকের ওপারেই ভারতের আসাম রাজ্য।

আমরা সবাই সেই আমলশীদ পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি সীমান্তসংলগ্ন বেশ দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের  বেড়া, আমাদের সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ডের সদস্যরা আছেন পাহারায় নিযুক্ত। আমাদের সদস্যদের অনেকক্ষণ কথাবার্তার মাঝখানে ওই গ্রামের এক কৃষক, দেখালেন তিন নদীর সঙ্গমস্থলে যে একটি বিশাল টিলার মতো দাঁড়িয়ে আছে ওই ছোট টিলাকে নিয়েই ২০০৬ সালে ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছিল জায়গাটির দখল কোন দেশ নেবে। বাংলাদেশের বিডিআরের এক সৈনিক ফেরদৌস, অসীম সাহসের সঙ্গে একাই আমাদের ভূখণ্ডের ভিতর থেকে দ্রুততার সঙ্গে কয়েকটি জায়গা থেকে অস্ত্র চালিয়ে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আর যাই হোক জাগ্রত ভূখণ্ড এবং নদীর পশ্চিমের যাবতীয় বরবটি, কলা, বেগুনের খেত বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমি। স্থানীয় কৃষক লেখাপড়া না জানলেও তিনি জানালেন আমি আর আমার মামা মহান মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। ওই আসামের মেঘালয়ে সেদিন ভারত সরকার যে উপকারটুকু আমাদের করেছিল সেটি কখনোই ভুলে যাওয়ার বিষয় নয়, কিন্তু বিগত কয়েক বছর বিএসএফ যে হারে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সেটি কল্পনাতীত। দিনাজপুর নাকি পঞ্চগড়ে কিশোরী ফেলানীকে কাঁটাতারের ওপর গুলি করে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তবে আমাদের পৈতৃক সহায় সম্পদ, এই ভুট্টার খেত, বরবটি, লাউ, বেগুনের খেত আমাদেরই থাকবে, যতদিন থাকবে বর্ডারগার্ড এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেই কৃষকের কথাগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম, এমন সময় ছড়াকার আলম তালুকদার জানালেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আসামের কোথায় কীভাবে ট্রেনিং নিয়েছিলেন এবং সেই কৃষকের কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে হাস্যপ্রিয় ছড়াকার বললেন, ভালো লাগল এই নির্জন আমলশীদ গ্রামের ত্রিমোহনীতে এসে পেলাম একজন সহযোদ্ধা, কৃষক ভদ্রলোক খুশি হয়ে আমাদের তারই বরবটি খেতের অনেকগুলো নবীন বরবটি খেতে দিয়ে বললেন, আমাদের এই এলাকার চেয়ারম্যান মোহসিন মুর্তজা চৌধুরী ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে এই আমলশীদে জোহলা গ্রামের শেষপ্রান্তে সুরমা, কুশিয়ারা, বোরাককে দেখতে আসা লোকদের জন্য এই সুন্দর রাস্তা তৈরি করেছেন। তবে সিলেট ফেরার পথে কিছুটা গেলেই দেখতে পাবেন শীতালং শাহের মাজার। সেই মাজারের সঙ্গেই আছে বিশাল একটি মাদ্রাসা এবং শীতালং শাহের আমলের একটি ‘নাগরী’ ভাষার কিতাব যার বয়স প্রায় ৩০০-৪০০ বছর। আমরা সবাই যখন শীতালং শাহের মাজারে এসে পৌঁছলাম তখনই জানলাম কবি মুহম্মদ সাদিক [সাবেক সচিব, বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাড়ি সুনামগঞ্জে] তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রাচীন নাগরী ভাষার ওপর। কথাটি জানালেন আলম তালুকদার এবং ওই মাদ্রাসা এবং মাজারের আধিকারিক, শীতালং শাহের চতুর্থ বংশধর উত্তরাধিকার মোহাম্মদ সলিমউদ্দিন। আমাদের উৎসাহে প্রাচীনকালের একটি নাগরী ভাষার বই দেখালেন, তবে পাতা উল্টানো অসম্ভব। দীর্ঘসময় কাটিয়ে জনাব সালামের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি জানালেন শীতালং শাহের দীর্ঘজীবনের ইতিহাস। সেই দিনের মাঝরাতে আবার ফিরে এলাম সিলেটের সার্কিট হাউসে। এসে দেখি কবি মঞ্জু রহমান (যুগ্মসচিব) ও উপন্যাসিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এসেছেন সিলেটের বইমেলার উদ্বোধন করতে।

ইতিপূর্বে এই সিলেটের মাটিতে শায়িত হজরত শাহজালাল, শাহ পরানের মাজারে যেমন এসেছি তেমনি গিয়েছি দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে এবং দুপুর-রাতের আহার সম্পন্ন করেছি দিল্লির জামে মসজিদের পাশের এক হোটেলে, সপরিবারে। অপরদিকে আগ্রায় শাজাহানের মাজার এমনকী দিল্লি থেকে ফেরত পথে গিয়েছিলাম বৃন্দাবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানে, দেউরিয়ার লালনের মাজার কিংবা ঢাকার মিরপুরের মাজারে যেতে ভালোই লাগত এক সময়। অপরদিকে মক্কা এবং মদিনায় গিয়ে দেখে এসেছি, মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য স্থান এবং পবিত্র মাজার শরিফ। মক্কা এবং মদিনায় হজব্রত পালনের সময় আমার মনে হয়েছিল প্রভুর ইচ্ছা না হলে নাকি কেউ হজব্রতে যেতে পারেন না এবং পাক পবিত্র হওয়ার উত্কৃষ্টতম জায়গা মক্কা এবং মদিনা।

বাংলাদেশের মফস্বল শহরের উপজেলাতে শিল্পকলা একাডেমির শাখা খোলা যেতে পারে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে, ওই সব উপজেলার তরুণ তরুণীরা শিখতে পারবে শুদ্ধ উচ্চারণ এবং এ দেশের শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাস। পুনরায় বলতে হলো রবিঠাকুরের একটি অমিয় বাণী— ‘পৃথিবীর নবীনতা’।

এই প্রাচীন পৃথিবীতে কেবল সৌন্দর্য এবং মানুষের হৃদয়ের জিনিসগুলো কালে কালেই কিছুতেই পুরনো হয় না, তাই এই পৃথিবীটি তাজা রয়েছে এবং কবির কবিতা কোনোকালেই একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় না।

     লেখক : কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

১০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২০ মিনিট আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২২ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

৩৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন
কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু
৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির
পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেখা যায়নি জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ
দেখা যায়নি জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নাটোরে উদ্ধারের পর শতাধিক পাখি অবমুক্ত
নাটোরে উদ্ধারের পর শতাধিক পাখি অবমুক্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবির শেরে বাংলা হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে স্থানান্তর
রাবির শেরে বাংলা হলে ফাটল, শিক্ষার্থীদের নবনির্মিত হলে স্থানান্তর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বগুড়ায় বিএনপির নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় বিএনপির নির্বাচনী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: বিএনপি নেতা সেলিম
তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: বিএনপি নেতা সেলিম

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা