শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

রৌদ্র ছায়ার নিচে

সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

মাকিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলীর সবগুলো চিঠি একাধিকবার পাঠ করার পরও কেন যে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনে, হয়তোবা হতে পারে সেকালের পূর্ববঙ্গের সবুজাভ বৃক্ষরাজি পালন করা প্রকৃতি শীত-গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া নদী, সেই নদীর জল যখন এঁকেবেঁকে যাওয়ার পরও হাঁটুজলে গরুগাড়ি পার হয়ে ওপারের ঢালু পাড় পেরিয়ে অন্য গ্রামগঞ্জে মিলিয়ে যায় তখন সেই হাঁটুজলের নদীর ভিতরে যারা স্নান সমাপন করেন, গামছায় জল ভরে মাথায় ঢালেন, তখনই ফিরে তাকাই ফেলে আসা বর্ষাস্নাত আষাঢ়, শ্রাবণের একটানা ছয়দিনের টিপটিপ রূপ বৃষ্টির ছলে। রাতভর সোনাব্যাঙ, কোনাব্যাঙের আনন্দগীত, কিংবা বাঁশঝাড়ের ভিতর শেয়ালের হাঁক, সেই বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে উড়ে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকির দল, কিংবা সেই বাঁশবাগানের মাথার ওপর ভাদ্রের, আশ্বিনের ঘুম ঘুম চাঁদের আলোয় যখন দিগন্ত উদ্ভাসিত তখন আমার ইচ্ছে হতো, আমাদের ছোট নদী ইছামতি পেরিয়ে কিছুটা এগুলেই কুষ্টিয়ার গড়াই কিংবা পদ্মা পাড়ি দিলেই লালন ফকিরের দেউরিয়া কিংবা রবিঠাকুরের শিলাইদহ। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে ভয় করে, আর তখনই ভাবি শীত এলে একদিন যাব, মোহিনী মিলের কাপড় বানানো দেখতে। যাব দেউরিয়া লালন উৎসবে, কিংবা শিলাইদহের মোহিনী মোহন ভবনটিকে দেখতে, বিশাল চর পাড়ি দিয়ে। আমার আর যাওয়া হয় না। তারপরও মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে লালন, শিলাইদহ, শাহজাদপুর দেখলেও দেখা হয়নি নওগাঁর পতিসর, সেই পতিসর শাহজাদপুর, পদ্মা, যমুনার দুইধার দেখতে দেখতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলি ছিন্নপত্রাবলীর পত্রের গভীরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে দৃশ্যাবলী রবিঠাকুর তার ছিন্নপত্রাবলী থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে এনেছেন— সেটি স্বচক্ষে তিনি দেখেছিলেন। যেমন ‘পোস্টমাস্টার’ কিংবা ‘ছুটি’ গল্পে নদীর যে বর্ণনা সেই বর্ণনার সঙ্গে আজকের জীবিত কোনো নদীর বর্ণনা কিছুতেই মিলবে না। সমগ্র বাংলাদেশের ছোট বড় কয়েক হাজার নদী ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে, নদীর দুই ধারে শিল্পায়নের নামে বর্জ্যসহ কেমিক্যাল ফেলে নদীর জল দূষিত করেছেন নব্য শিল্পপতিরা। শুধু তাই নয়, নদীর দুইধারে এমনকি নদীর ভিতরের জায়গা-জমিও দখল করেই নব্য ধনীরা ক্ষান্ত হননি, বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়িঘর। ঢাকা থেকে নদীপথে বরিশাল খুলনা যেতে কিংবা ঢাকা থেকে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গে যেতে দেখা যেতে পারে বিলাসী বাড়িঘর। কলকারখানা, চিমনির ধোঁয়া, ইটের ভাটা, কেউ দেখার নেই। দেশটি যেন ওইসব দস্যুর। ওদের জন্যই যেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই ’৭১ সালে, আমাদের পাবনা শহরের ইছামতি নদীটি প্রবাহিত হতো শহরের মাঝখান দিয়ে, সেই ইছামতির বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাড়িঘর। নেই তার জৌলুস, কেউ দেখার নেই।

শুধু পাবনার ওই ইছামতি নদীই নয়, কপোতাক্ষ, রূপসা, পুনর্ভবা কিংবা ব্রহ্মপুত্র এমনকি টঙ্গীর তুরাগ হারিয়ে গিয়েছে অধিবাসীদের পায়ের নিচে। এদিক থেকে সিলেটের সুরমা নদী কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। সিলেট শহরের কিন ব্রিজের উপর প্রথম দাঁড়িয়েছিলাম, প্রায় ৩৬ বছর আগে, জোছনা রাতে সুরমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ভরা বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সুরমা যেন তার দুই চোখে সুরমা মেখে, সেই জোছনা ভেসে যাওয়া গ্রামগঞ্জের দিকে নাচতে নাচতে যেতে যেতে হয়তো আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে গেলে, কবি তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসব, কুশিয়ারা আর ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বোরাক নদী।

সরকারি চাকরি সূত্রে একাধিকবার সিলেট গিয়ে কিন ব্রিজসংলগ্ন লাল করোগেটেড টিনের যে সার্কিট হাউসটা ছিল সেখানেই গিয়ে থাকতে হতো, গত শতকের আশির দশকের শুরুতেই তিনজন ডাকসাইটে সিএসপি অফিসার হয়েছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান ১. মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ২. মুশফিকুর রহমান, ৩. মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক। আমি সেই সময় বিসিকের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। সেহেতু মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের সফরসঙ্গী হওয়ার একাধিকবার সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন ওই তিনজন মহাপ্রাণ ব্যক্তি। আর যতবারই সিলেট গিয়েছি গিয়ে উঠেছি ওই লাল করোগেটেড টিনের সার্কিট হাউসে, যেটি সুরমা নদীর পাড়ে, ব্রিটিশদের তৈরি সার্কিট হাউসটি এখন আর নেই। রবীন্দ্র সার্ধশতবার্ষিকীতে বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদারসহ [নূর হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব] গিয়ে উঠেছিলেন, সুরম্য নতুন সার্কিট হাউসের তিনতলার ভিআইপি রুমে। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেটবাসীর জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও জাতীয়তাবাদী দলের সিলেটের আরেক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় উন্নয়নের গতিটা শ্লথ হয়ে গেলেও সিলেটবাসী অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা অস্বীকার এখনো করেন না। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষের-বিপক্ষের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস নদীর ওপর আগের একটি নির্মিত ব্রিজটির পুনঃউদ্বোধন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালের কিংবা ’৭৫ সালের মধ্যভাগে ওই সেতুটির ফিতা ইতিপূর্বে কেটেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং শ্বেতপাথর খোদাই নামসহ উদ্বোধনের তারিখসহ দিন।

 

সৈয়দ নজরুলের নাম ফলকের দিকে তাকিয়েই

 জাতীয়তাবাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব সাইফুর রহমান একটি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যেটি (২০০১-২০০৬), বিএনপির শাসনামলের অনেক উপরের নেতা-কর্মীও সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। জনাব রহমান বলেছিলেন, ‘কোথাকার কোন সৈয়দ নজরুল ইসলাম’  বলেছিলেন আরও অনেক অবান্তর কথা, যেটি তার জন্য ছিল অশোভন। দম্ভ যে মানুষকে অধঃপতনের দিকে ধাবিত করে আমরা সেটি মুহূর্তেই বিস্মৃত হয়ে যাই। তবে এখানে একটি আরবি শব্দের উদ্ধৃতি হতে পারে স্মরণযোগ্য। ‘অল অজলু মিনা শয়তান’। অর্থাৎ ‘হস্তদন্ত হওয়া মানে শয়তানের পন্থায় চলা’ সামান্য একটি সেতুর ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলকে কটাক্ষ করা আল্লাহ হয়তো নিজেও অপছন্দ করেছিলেন এবং ওই বক্তব্যের পর বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। শতসহস্র সমালোচনার ভিতরে আরও একটি সূত্র যোগ হয়েছিল, অর্থমন্ত্রী মহোদয় নিজের আয়কর দেননি। বিভিন্ন বার্তাকথনের শ্রোতা হয়েছিলেন, সিলেট সার্কিট হাউসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আমি আর ছড়াকার আলম তালুকদার। এক সময় কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঝরাতে, সেই সুরমা নদীর গোপন হাতছানি কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম কূল কূল নদীর নৃত্যরত জলের আহ্বানে। সেবার আমার এবং ছড়াকারের কুশিয়ারা বোরাক দেখা হয়নি। সেই দেখাই হলো বেশ কয়েক বছর পরের গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার। ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান, বাংলা একাডেমির সহপরিচালক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক  ইমরুল ইউসুফ, ছড়াকার আলম তালুকদার এবং আমি। ১৪২৩ সালের বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কবি অনিন্দ আনিস আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, ‘স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’র পক্ষ থেকে। আমি কর্মসূত্রে একাধিকবার সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ গেলেও যাওয়া হয়নি জকিগঞ্জে। চোখ মেলে দেখা হয়নি জকিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জকিগঞ্জের সড়ক ও জনপথের বিশ্রামাগারে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টির স্রোতে মুহূর্তের ভিতরেই ডুবে গেল জকিগঞ্জের বিদ্যুিবহীন রাত এবং আমাদের সেই বিশ্রামাগারের রাস্তাঘাট। সেদিন ঢাকায় ছিল প্রচণ্ড গরম। অথচ আমরা ওই রাতে ঘুমিয়েছিলেম কম্বল মুড়ি দিয়ে। তবে তার আগে স্থানীয় কবিদের নেতা অনিন্দ আনিস, স্থানীয় তরুণ কবিদের পরিচয় শেষে জানিয়ে দিলেন আগামীকাল শনিবার (১৬/৪/১৬) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যায়, সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, পৌরসভা চেয়ারম্যান সাহিত্য অনুরাগী খলিল উদ্দিন, ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কবি বাছিদ হাবিব ও কবির আহমদ এরা সবারই অদম্য উৎসাহে জকিগঞ্জের স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে এসেছিলেন স্থানীয় কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের দল, প্রাণের জোয়ারে। যার যাত্রা সেই ২০০৮ সাল থেকে। সেই সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। তারপরও প্রচুর জ্ঞানীগুণী, শ্রোতা এবং নতুন কবি, কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতিতে সেদিনের সেই কবিতা, ছড়া পাঠের আসর স্মরণ হয়ে থাকবে বলে জানালেন কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ। সেই সন্ধ্যাতেই শিশু চিত্রকর কুসুম, সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হলেও তার আঁকা পেনসিল স্কেচ আমাদের সবাইকেই মুগ্ধ করেছিল বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়।

কবি কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে পাস করেছিলেন গত শতকের ষাটের দশকে এবং আরও জালালেন এই জকিগঞ্জ দিয়েই যাওয়া যায় ভারতের আসামের করিমগঞ্জ। রাস্তাঘাট বানিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং এই জকিগঞ্জেরই কৃতী সন্তান সিএসপি মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক এবং এই জকিগঞ্জেই ঘুমিয়ে আছেন বিখ্যাত সাধক এক ব্যক্তি, যার নাম শাহ শীতালং। যিনি শীতালং শাহ্ নামেই সর্বাধিক পরিচিত, জন্ম ইংরেজি ১৭০০ সালে, মৃত্যু ১৭৮৯-এ। জকিগঞ্জে যখন আপনি, ছড়াকার আলম তালুকদার, অধ্যাপক গাজী আজিজ এবং ইমরুল ইউসুফ এসেছেন শীতালং শাহের মাজার অবশ্যই দেখে যাবেন। দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও আছে আমলশীদ গ্রামের প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র, ওই কেন্দ্রে গেলেই দেখতে পারেন তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল। সুরমা, কুশিয়ারা আর বোরাক নদী, বোরাকের ওপারেই ভারতের আসাম রাজ্য।

আমরা সবাই সেই আমলশীদ পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি সীমান্তসংলগ্ন বেশ দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের  বেড়া, আমাদের সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ডের সদস্যরা আছেন পাহারায় নিযুক্ত। আমাদের সদস্যদের অনেকক্ষণ কথাবার্তার মাঝখানে ওই গ্রামের এক কৃষক, দেখালেন তিন নদীর সঙ্গমস্থলে যে একটি বিশাল টিলার মতো দাঁড়িয়ে আছে ওই ছোট টিলাকে নিয়েই ২০০৬ সালে ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছিল জায়গাটির দখল কোন দেশ নেবে। বাংলাদেশের বিডিআরের এক সৈনিক ফেরদৌস, অসীম সাহসের সঙ্গে একাই আমাদের ভূখণ্ডের ভিতর থেকে দ্রুততার সঙ্গে কয়েকটি জায়গা থেকে অস্ত্র চালিয়ে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আর যাই হোক জাগ্রত ভূখণ্ড এবং নদীর পশ্চিমের যাবতীয় বরবটি, কলা, বেগুনের খেত বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমি। স্থানীয় কৃষক লেখাপড়া না জানলেও তিনি জানালেন আমি আর আমার মামা মহান মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। ওই আসামের মেঘালয়ে সেদিন ভারত সরকার যে উপকারটুকু আমাদের করেছিল সেটি কখনোই ভুলে যাওয়ার বিষয় নয়, কিন্তু বিগত কয়েক বছর বিএসএফ যে হারে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সেটি কল্পনাতীত। দিনাজপুর নাকি পঞ্চগড়ে কিশোরী ফেলানীকে কাঁটাতারের ওপর গুলি করে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তবে আমাদের পৈতৃক সহায় সম্পদ, এই ভুট্টার খেত, বরবটি, লাউ, বেগুনের খেত আমাদেরই থাকবে, যতদিন থাকবে বর্ডারগার্ড এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেই কৃষকের কথাগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম, এমন সময় ছড়াকার আলম তালুকদার জানালেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আসামের কোথায় কীভাবে ট্রেনিং নিয়েছিলেন এবং সেই কৃষকের কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে হাস্যপ্রিয় ছড়াকার বললেন, ভালো লাগল এই নির্জন আমলশীদ গ্রামের ত্রিমোহনীতে এসে পেলাম একজন সহযোদ্ধা, কৃষক ভদ্রলোক খুশি হয়ে আমাদের তারই বরবটি খেতের অনেকগুলো নবীন বরবটি খেতে দিয়ে বললেন, আমাদের এই এলাকার চেয়ারম্যান মোহসিন মুর্তজা চৌধুরী ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে এই আমলশীদে জোহলা গ্রামের শেষপ্রান্তে সুরমা, কুশিয়ারা, বোরাককে দেখতে আসা লোকদের জন্য এই সুন্দর রাস্তা তৈরি করেছেন। তবে সিলেট ফেরার পথে কিছুটা গেলেই দেখতে পাবেন শীতালং শাহের মাজার। সেই মাজারের সঙ্গেই আছে বিশাল একটি মাদ্রাসা এবং শীতালং শাহের আমলের একটি ‘নাগরী’ ভাষার কিতাব যার বয়স প্রায় ৩০০-৪০০ বছর। আমরা সবাই যখন শীতালং শাহের মাজারে এসে পৌঁছলাম তখনই জানলাম কবি মুহম্মদ সাদিক [সাবেক সচিব, বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাড়ি সুনামগঞ্জে] তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রাচীন নাগরী ভাষার ওপর। কথাটি জানালেন আলম তালুকদার এবং ওই মাদ্রাসা এবং মাজারের আধিকারিক, শীতালং শাহের চতুর্থ বংশধর উত্তরাধিকার মোহাম্মদ সলিমউদ্দিন। আমাদের উৎসাহে প্রাচীনকালের একটি নাগরী ভাষার বই দেখালেন, তবে পাতা উল্টানো অসম্ভব। দীর্ঘসময় কাটিয়ে জনাব সালামের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি জানালেন শীতালং শাহের দীর্ঘজীবনের ইতিহাস। সেই দিনের মাঝরাতে আবার ফিরে এলাম সিলেটের সার্কিট হাউসে। এসে দেখি কবি মঞ্জু রহমান (যুগ্মসচিব) ও উপন্যাসিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এসেছেন সিলেটের বইমেলার উদ্বোধন করতে।

ইতিপূর্বে এই সিলেটের মাটিতে শায়িত হজরত শাহজালাল, শাহ পরানের মাজারে যেমন এসেছি তেমনি গিয়েছি দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে এবং দুপুর-রাতের আহার সম্পন্ন করেছি দিল্লির জামে মসজিদের পাশের এক হোটেলে, সপরিবারে। অপরদিকে আগ্রায় শাজাহানের মাজার এমনকী দিল্লি থেকে ফেরত পথে গিয়েছিলাম বৃন্দাবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানে, দেউরিয়ার লালনের মাজার কিংবা ঢাকার মিরপুরের মাজারে যেতে ভালোই লাগত এক সময়। অপরদিকে মক্কা এবং মদিনায় গিয়ে দেখে এসেছি, মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য স্থান এবং পবিত্র মাজার শরিফ। মক্কা এবং মদিনায় হজব্রত পালনের সময় আমার মনে হয়েছিল প্রভুর ইচ্ছা না হলে নাকি কেউ হজব্রতে যেতে পারেন না এবং পাক পবিত্র হওয়ার উত্কৃষ্টতম জায়গা মক্কা এবং মদিনা।

বাংলাদেশের মফস্বল শহরের উপজেলাতে শিল্পকলা একাডেমির শাখা খোলা যেতে পারে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে, ওই সব উপজেলার তরুণ তরুণীরা শিখতে পারবে শুদ্ধ উচ্চারণ এবং এ দেশের শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাস। পুনরায় বলতে হলো রবিঠাকুরের একটি অমিয় বাণী— ‘পৃথিবীর নবীনতা’।

এই প্রাচীন পৃথিবীতে কেবল সৌন্দর্য এবং মানুষের হৃদয়ের জিনিসগুলো কালে কালেই কিছুতেই পুরনো হয় না, তাই এই পৃথিবীটি তাজা রয়েছে এবং কবির কবিতা কোনোকালেই একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় না।

     লেখক : কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট
শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতিতে ‘প্রত্যাশার চেয়েও মারাত্মক’ প্রভাব ফেলছে: কেভিন হ্যাসেট

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান
মুরাদনগরে বিএনপির জনসভায় ঐক্যের আহ্বান

৩৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৫৮০ মামলা

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিএনপির সমাবেশ

৪১ মিনিট আগে | পরবাস

শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
শেরপুরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বান্দরবানে মদসহ আটক ২
বান্দরবানে মদসহ আটক ২

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান
নির্বাচনের আগে সংস্কার ও গণভোট ইস্যুতে ঝামেলা হতে পারে: সেলিমা রহমান

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক: ডা. পাভেল

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা
অতিরিক্ত গাছপালা নয়, সীমিত সবুজ পরিবেশেই বেশি শান্তি : গবেষণা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন
চিরকুট লিখে রেখে যাওয়া সেই নবজাতককে নিতে ২০০ আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন
এখন দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার জরুরি: মিলন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান
যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পেলেন মাসুমা খান

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বরিশালে হাঁটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির চিকিৎসা
বরিশালে হাঁটু না কেটে লিগামেন্ট ইনজুরির চিকিৎসা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভাঙ্গা থানা ভাঙচুর মামলায় একজন গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানা ভাঙচুর মামলায় একজন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকাতে জয়ের ১৩টি বাংলো রয়েছে : জামাল
আমেরিকাতে জয়ের ১৩টি বাংলো রয়েছে : জামাল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাবির এফইটি সোসাইটির সভাপতি ফাহিম, সম্পাদক অভি
শাবির এফইটি সোসাইটির সভাপতি ফাহিম, সম্পাদক অভি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কাটবেন যেভাবে
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কাটবেন যেভাবে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম