শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

রৌদ্র ছায়ার নিচে

সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

মাকিদ হায়দার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সুরমা কুশিয়ারা বোরাক কাহিনী

রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলীর সবগুলো চিঠি একাধিকবার পাঠ করার পরও কেন যে বারবার পড়তে ইচ্ছে করে এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারিনে, হয়তোবা হতে পারে সেকালের পূর্ববঙ্গের সবুজাভ বৃক্ষরাজি পালন করা প্রকৃতি শীত-গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া নদী, সেই নদীর জল যখন এঁকেবেঁকে যাওয়ার পরও হাঁটুজলে গরুগাড়ি পার হয়ে ওপারের ঢালু পাড় পেরিয়ে অন্য গ্রামগঞ্জে মিলিয়ে যায় তখন সেই হাঁটুজলের নদীর ভিতরে যারা স্নান সমাপন করেন, গামছায় জল ভরে মাথায় ঢালেন, তখনই ফিরে তাকাই ফেলে আসা বর্ষাস্নাত আষাঢ়, শ্রাবণের একটানা ছয়দিনের টিপটিপ রূপ বৃষ্টির ছলে। রাতভর সোনাব্যাঙ, কোনাব্যাঙের আনন্দগীত, কিংবা বাঁশঝাড়ের ভিতর শেয়ালের হাঁক, সেই বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে উড়ে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকির দল, কিংবা সেই বাঁশবাগানের মাথার ওপর ভাদ্রের, আশ্বিনের ঘুম ঘুম চাঁদের আলোয় যখন দিগন্ত উদ্ভাসিত তখন আমার ইচ্ছে হতো, আমাদের ছোট নদী ইছামতি পেরিয়ে কিছুটা এগুলেই কুষ্টিয়ার গড়াই কিংবা পদ্মা পাড়ি দিলেই লালন ফকিরের দেউরিয়া কিংবা রবিঠাকুরের শিলাইদহ। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে ভয় করে, আর তখনই ভাবি শীত এলে একদিন যাব, মোহিনী মিলের কাপড় বানানো দেখতে। যাব দেউরিয়া লালন উৎসবে, কিংবা শিলাইদহের মোহিনী মোহন ভবনটিকে দেখতে, বিশাল চর পাড়ি দিয়ে। আমার আর যাওয়া হয় না। তারপরও মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে লালন, শিলাইদহ, শাহজাদপুর দেখলেও দেখা হয়নি নওগাঁর পতিসর, সেই পতিসর শাহজাদপুর, পদ্মা, যমুনার দুইধার দেখতে দেখতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলি ছিন্নপত্রাবলীর পত্রের গভীরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যে দৃশ্যাবলী রবিঠাকুর তার ছিন্নপত্রাবলী থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে এনেছেন— সেটি স্বচক্ষে তিনি দেখেছিলেন। যেমন ‘পোস্টমাস্টার’ কিংবা ‘ছুটি’ গল্পে নদীর যে বর্ণনা সেই বর্ণনার সঙ্গে আজকের জীবিত কোনো নদীর বর্ণনা কিছুতেই মিলবে না। সমগ্র বাংলাদেশের ছোট বড় কয়েক হাজার নদী ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে, নদীর দুই ধারে শিল্পায়নের নামে বর্জ্যসহ কেমিক্যাল ফেলে নদীর জল দূষিত করেছেন নব্য শিল্পপতিরা। শুধু তাই নয়, নদীর দুইধারে এমনকি নদীর ভিতরের জায়গা-জমিও দখল করেই নব্য ধনীরা ক্ষান্ত হননি, বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়িঘর। ঢাকা থেকে নদীপথে বরিশাল খুলনা যেতে কিংবা ঢাকা থেকে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গে যেতে দেখা যেতে পারে বিলাসী বাড়িঘর। কলকারখানা, চিমনির ধোঁয়া, ইটের ভাটা, কেউ দেখার নেই। দেশটি যেন ওইসব দস্যুর। ওদের জন্যই যেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই ’৭১ সালে, আমাদের পাবনা শহরের ইছামতি নদীটি প্রবাহিত হতো শহরের মাঝখান দিয়ে, সেই ইছামতির বুকের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাড়িঘর। নেই তার জৌলুস, কেউ দেখার নেই।

শুধু পাবনার ওই ইছামতি নদীই নয়, কপোতাক্ষ, রূপসা, পুনর্ভবা কিংবা ব্রহ্মপুত্র এমনকি টঙ্গীর তুরাগ হারিয়ে গিয়েছে অধিবাসীদের পায়ের নিচে। এদিক থেকে সিলেটের সুরমা নদী কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। সিলেট শহরের কিন ব্রিজের উপর প্রথম দাঁড়িয়েছিলাম, প্রায় ৩৬ বছর আগে, জোছনা রাতে সুরমার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ভরা বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে সুরমা যেন তার দুই চোখে সুরমা মেখে, সেই জোছনা ভেসে যাওয়া গ্রামগঞ্জের দিকে নাচতে নাচতে যেতে যেতে হয়তো আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে গেলে, কবি তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসব, কুশিয়ারা আর ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বোরাক নদী।

সরকারি চাকরি সূত্রে একাধিকবার সিলেট গিয়ে কিন ব্রিজসংলগ্ন লাল করোগেটেড টিনের যে সার্কিট হাউসটা ছিল সেখানেই গিয়ে থাকতে হতো, গত শতকের আশির দশকের শুরুতেই তিনজন ডাকসাইটে সিএসপি অফিসার হয়েছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান ১. মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ২. মুশফিকুর রহমান, ৩. মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক। আমি সেই সময় বিসিকের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান নির্বাহী। সেহেতু মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের সফরসঙ্গী হওয়ার একাধিকবার সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন ওই তিনজন মহাপ্রাণ ব্যক্তি। আর যতবারই সিলেট গিয়েছি গিয়ে উঠেছি ওই লাল করোগেটেড টিনের সার্কিট হাউসে, যেটি সুরমা নদীর পাড়ে, ব্রিটিশদের তৈরি সার্কিট হাউসটি এখন আর নেই। রবীন্দ্র সার্ধশতবার্ষিকীতে বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদারসহ [নূর হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব] গিয়ে উঠেছিলেন, সুরম্য নতুন সার্কিট হাউসের তিনতলার ভিআইপি রুমে। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেটবাসীর জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করলেও জাতীয়তাবাদী দলের সিলেটের আরেক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় উন্নয়নের গতিটা শ্লথ হয়ে গেলেও সিলেটবাসী অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা অস্বীকার এখনো করেন না। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষের-বিপক্ষের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন দাউদকান্দি, মেঘনা, তিতাস নদীর ওপর আগের একটি নির্মিত ব্রিজটির পুনঃউদ্বোধন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালের কিংবা ’৭৫ সালের মধ্যভাগে ওই সেতুটির ফিতা ইতিপূর্বে কেটেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং শ্বেতপাথর খোদাই নামসহ উদ্বোধনের তারিখসহ দিন।

 

সৈয়দ নজরুলের নাম ফলকের দিকে তাকিয়েই

 জাতীয়তাবাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব সাইফুর রহমান একটি অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। যেটি (২০০১-২০০৬), বিএনপির শাসনামলের অনেক উপরের নেতা-কর্মীও সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। জনাব রহমান বলেছিলেন, ‘কোথাকার কোন সৈয়দ নজরুল ইসলাম’  বলেছিলেন আরও অনেক অবান্তর কথা, যেটি তার জন্য ছিল অশোভন। দম্ভ যে মানুষকে অধঃপতনের দিকে ধাবিত করে আমরা সেটি মুহূর্তেই বিস্মৃত হয়ে যাই। তবে এখানে একটি আরবি শব্দের উদ্ধৃতি হতে পারে স্মরণযোগ্য। ‘অল অজলু মিনা শয়তান’। অর্থাৎ ‘হস্তদন্ত হওয়া মানে শয়তানের পন্থায় চলা’ সামান্য একটি সেতুর ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলকে কটাক্ষ করা আল্লাহ হয়তো নিজেও অপছন্দ করেছিলেন এবং ওই বক্তব্যের পর বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। শতসহস্র সমালোচনার ভিতরে আরও একটি সূত্র যোগ হয়েছিল, অর্থমন্ত্রী মহোদয় নিজের আয়কর দেননি। বিভিন্ন বার্তাকথনের শ্রোতা হয়েছিলেন, সিলেট সার্কিট হাউসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আমি আর ছড়াকার আলম তালুকদার। এক সময় কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঝরাতে, সেই সুরমা নদীর গোপন হাতছানি কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম কূল কূল নদীর নৃত্যরত জলের আহ্বানে। সেবার আমার এবং ছড়াকারের কুশিয়ারা বোরাক দেখা হয়নি। সেই দেখাই হলো বেশ কয়েক বছর পরের গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার। ঢাকা থেকে গিয়েছিলাম প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান, বাংলা একাডেমির সহপরিচালক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক  ইমরুল ইউসুফ, ছড়াকার আলম তালুকদার এবং আমি। ১৪২৩ সালের বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কবি অনিন্দ আনিস আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, ‘স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’র পক্ষ থেকে। আমি কর্মসূত্রে একাধিকবার সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ গেলেও যাওয়া হয়নি জকিগঞ্জে। চোখ মেলে দেখা হয়নি জকিগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। জকিগঞ্জের সড়ক ও জনপথের বিশ্রামাগারে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শুরু হলো প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টির স্রোতে মুহূর্তের ভিতরেই ডুবে গেল জকিগঞ্জের বিদ্যুিবহীন রাত এবং আমাদের সেই বিশ্রামাগারের রাস্তাঘাট। সেদিন ঢাকায় ছিল প্রচণ্ড গরম। অথচ আমরা ওই রাতে ঘুমিয়েছিলেম কম্বল মুড়ি দিয়ে। তবে তার আগে স্থানীয় কবিদের নেতা অনিন্দ আনিস, স্থানীয় তরুণ কবিদের পরিচয় শেষে জানিয়ে দিলেন আগামীকাল শনিবার (১৬/৪/১৬) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সন্ধ্যায়, সিলেট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, পৌরসভা চেয়ারম্যান সাহিত্য অনুরাগী খলিল উদ্দিন, ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক কবি বাছিদ হাবিব ও কবির আহমদ এরা সবারই অদম্য উৎসাহে জকিগঞ্জের স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে এসেছিলেন স্থানীয় কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের দল, প্রাণের জোয়ারে। যার যাত্রা সেই ২০০৮ সাল থেকে। সেই সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। তারপরও প্রচুর জ্ঞানীগুণী, শ্রোতা এবং নতুন কবি, কিশোর-কিশোরীর উপস্থিতিতে সেদিনের সেই কবিতা, ছড়া পাঠের আসর স্মরণ হয়ে থাকবে বলে জানালেন কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ। সেই সন্ধ্যাতেই শিশু চিত্রকর কুসুম, সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হলেও তার আঁকা পেনসিল স্কেচ আমাদের সবাইকেই মুগ্ধ করেছিল বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়।

কবি কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে জানালেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে পাস করেছিলেন গত শতকের ষাটের দশকে এবং আরও জালালেন এই জকিগঞ্জ দিয়েই যাওয়া যায় ভারতের আসামের করিমগঞ্জ। রাস্তাঘাট বানিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং এই জকিগঞ্জেরই কৃতী সন্তান সিএসপি মুহম্মদ ফয়জুর রাজ্জাক এবং এই জকিগঞ্জেই ঘুমিয়ে আছেন বিখ্যাত সাধক এক ব্যক্তি, যার নাম শাহ শীতালং। যিনি শীতালং শাহ্ নামেই সর্বাধিক পরিচিত, জন্ম ইংরেজি ১৭০০ সালে, মৃত্যু ১৭৮৯-এ। জকিগঞ্জে যখন আপনি, ছড়াকার আলম তালুকদার, অধ্যাপক গাজী আজিজ এবং ইমরুল ইউসুফ এসেছেন শীতালং শাহের মাজার অবশ্যই দেখে যাবেন। দেখার মতো তেমন কিছু না থাকলেও আছে আমলশীদ গ্রামের প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র, ওই কেন্দ্রে গেলেই দেখতে পারেন তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল। সুরমা, কুশিয়ারা আর বোরাক নদী, বোরাকের ওপারেই ভারতের আসাম রাজ্য।

আমরা সবাই সেই আমলশীদ পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি সীমান্তসংলগ্ন বেশ দূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে কাঁটাতারের  বেড়া, আমাদের সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ডের সদস্যরা আছেন পাহারায় নিযুক্ত। আমাদের সদস্যদের অনেকক্ষণ কথাবার্তার মাঝখানে ওই গ্রামের এক কৃষক, দেখালেন তিন নদীর সঙ্গমস্থলে যে একটি বিশাল টিলার মতো দাঁড়িয়ে আছে ওই ছোট টিলাকে নিয়েই ২০০৬ সালে ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছিল জায়গাটির দখল কোন দেশ নেবে। বাংলাদেশের বিডিআরের এক সৈনিক ফেরদৌস, অসীম সাহসের সঙ্গে একাই আমাদের ভূখণ্ডের ভিতর থেকে দ্রুততার সঙ্গে কয়েকটি জায়গা থেকে অস্ত্র চালিয়ে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আর যাই হোক জাগ্রত ভূখণ্ড এবং নদীর পশ্চিমের যাবতীয় বরবটি, কলা, বেগুনের খেত বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমি। স্থানীয় কৃষক লেখাপড়া না জানলেও তিনি জানালেন আমি আর আমার মামা মহান মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিলাম। ওই আসামের মেঘালয়ে সেদিন ভারত সরকার যে উপকারটুকু আমাদের করেছিল সেটি কখনোই ভুলে যাওয়ার বিষয় নয়, কিন্তু বিগত কয়েক বছর বিএসএফ যে হারে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সেটি কল্পনাতীত। দিনাজপুর নাকি পঞ্চগড়ে কিশোরী ফেলানীকে কাঁটাতারের ওপর গুলি করে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তবে আমাদের পৈতৃক সহায় সম্পদ, এই ভুট্টার খেত, বরবটি, লাউ, বেগুনের খেত আমাদেরই থাকবে, যতদিন থাকবে বর্ডারগার্ড এবং মুক্তিযোদ্ধারা। সেই কৃষকের কথাগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম, এমন সময় ছড়াকার আলম তালুকদার জানালেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আসামের কোথায় কীভাবে ট্রেনিং নিয়েছিলেন এবং সেই কৃষকের কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে হাস্যপ্রিয় ছড়াকার বললেন, ভালো লাগল এই নির্জন আমলশীদ গ্রামের ত্রিমোহনীতে এসে পেলাম একজন সহযোদ্ধা, কৃষক ভদ্রলোক খুশি হয়ে আমাদের তারই বরবটি খেতের অনেকগুলো নবীন বরবটি খেতে দিয়ে বললেন, আমাদের এই এলাকার চেয়ারম্যান মোহসিন মুর্তজা চৌধুরী ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে এই আমলশীদে জোহলা গ্রামের শেষপ্রান্তে সুরমা, কুশিয়ারা, বোরাককে দেখতে আসা লোকদের জন্য এই সুন্দর রাস্তা তৈরি করেছেন। তবে সিলেট ফেরার পথে কিছুটা গেলেই দেখতে পাবেন শীতালং শাহের মাজার। সেই মাজারের সঙ্গেই আছে বিশাল একটি মাদ্রাসা এবং শীতালং শাহের আমলের একটি ‘নাগরী’ ভাষার কিতাব যার বয়স প্রায় ৩০০-৪০০ বছর। আমরা সবাই যখন শীতালং শাহের মাজারে এসে পৌঁছলাম তখনই জানলাম কবি মুহম্মদ সাদিক [সাবেক সচিব, বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান, বাড়ি সুনামগঞ্জে] তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রাচীন নাগরী ভাষার ওপর। কথাটি জানালেন আলম তালুকদার এবং ওই মাদ্রাসা এবং মাজারের আধিকারিক, শীতালং শাহের চতুর্থ বংশধর উত্তরাধিকার মোহাম্মদ সলিমউদ্দিন। আমাদের উৎসাহে প্রাচীনকালের একটি নাগরী ভাষার বই দেখালেন, তবে পাতা উল্টানো অসম্ভব। দীর্ঘসময় কাটিয়ে জনাব সালামের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে তিনি জানালেন শীতালং শাহের দীর্ঘজীবনের ইতিহাস। সেই দিনের মাঝরাতে আবার ফিরে এলাম সিলেটের সার্কিট হাউসে। এসে দেখি কবি মঞ্জু রহমান (যুগ্মসচিব) ও উপন্যাসিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এসেছেন সিলেটের বইমেলার উদ্বোধন করতে।

ইতিপূর্বে এই সিলেটের মাটিতে শায়িত হজরত শাহজালাল, শাহ পরানের মাজারে যেমন এসেছি তেমনি গিয়েছি দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে এবং দুপুর-রাতের আহার সম্পন্ন করেছি দিল্লির জামে মসজিদের পাশের এক হোটেলে, সপরিবারে। অপরদিকে আগ্রায় শাজাহানের মাজার এমনকী দিল্লি থেকে ফেরত পথে গিয়েছিলাম বৃন্দাবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানে, দেউরিয়ার লালনের মাজার কিংবা ঢাকার মিরপুরের মাজারে যেতে ভালোই লাগত এক সময়। অপরদিকে মক্কা এবং মদিনায় গিয়ে দেখে এসেছি, মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিধন্য স্থান এবং পবিত্র মাজার শরিফ। মক্কা এবং মদিনায় হজব্রত পালনের সময় আমার মনে হয়েছিল প্রভুর ইচ্ছা না হলে নাকি কেউ হজব্রতে যেতে পারেন না এবং পাক পবিত্র হওয়ার উত্কৃষ্টতম জায়গা মক্কা এবং মদিনা।

বাংলাদেশের মফস্বল শহরের উপজেলাতে শিল্পকলা একাডেমির শাখা খোলা যেতে পারে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে, ওই সব উপজেলার তরুণ তরুণীরা শিখতে পারবে শুদ্ধ উচ্চারণ এবং এ দেশের শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাস। পুনরায় বলতে হলো রবিঠাকুরের একটি অমিয় বাণী— ‘পৃথিবীর নবীনতা’।

এই প্রাচীন পৃথিবীতে কেবল সৌন্দর্য এবং মানুষের হৃদয়ের জিনিসগুলো কালে কালেই কিছুতেই পুরনো হয় না, তাই এই পৃথিবীটি তাজা রয়েছে এবং কবির কবিতা কোনোকালেই একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় না।

     লেখক : কবি।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

৪৬ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

২ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

১১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক
এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা
সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা

২৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন
গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি
বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

৩৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৩৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী
সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

৩৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ করলেন মান্নান

৩৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী
দেড়শ বছরের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথমবার দুই আদিবাসী

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লামায় ইটভাটায় অভিযানে হামলা, গ্রেপ্তার ৫
লামায় ইটভাটায় অভিযানে হামলা, গ্রেপ্তার ৫

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রতিটি ম্যাচেই আমার চেষ্টা থাকে সেরাটা দেওয়া: মুশফিক
প্রতিটি ম্যাচেই আমার চেষ্টা থাকে সেরাটা দেওয়া: মুশফিক

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল: দুলু
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছিল: দুলু

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেটকার ছিটকে পথচারীর মৃত্যু
এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রাইভেটকার ছিটকে পথচারীর মৃত্যু

৫৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা