শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জে জিততে হবে

আইন-শৃঙ্খলা ও দুর্নীতি রোধে উদ্যোগী হোন

সরকারকে তিন চ্যালেঞ্জে জিততে হবে। নিজেদের সুনাম ও অস্তিত্ব রক্ষায় জঙ্গিবাদ ও টার্গেট কিলিংয়ের হোতাদের শেকড় উত্পাটন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধের কোনো বিকল্প নেই। টানা আট বছর ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সামনে দৃশ্যত বড় কোনো রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নেই। তারপরও স্বস্তিতে নেই তারা। সরকারের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ অমসৃণ করে দিয়েছে হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা জঙ্গিবাদ। একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ে অস্থিরতার বিষবাষ্প বিস্তার লাভ করছে। আন্তর্জাতিক মহলে জন্ম নিচ্ছে নানামুখী শঙ্কা ও সতর্কতা। জঙ্গিবাদ ইস্যুতে জিরো টলারেন্সে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকেই তির্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে পশ্চিমাদের কাছ থেকে। দেশে-বিদেশে বাড়ছে চাপ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেসামাল অবস্থাও সরকারকে ভোগাচ্ছে। আলোচিত মামলাগুলোর তদন্তে ত্বরিত দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে সরকারকে উভয়মুখী চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম্য সরকারকে দুর্বল করে দিচ্ছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এর ছোঁয়া লেগেছে। জঙ্গিবাদ ও টার্গেট কিলিং প্রতিরোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ সরকারের সামনে প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হলেও তার মোকাবিলায় তারা যুৎসই পথে এগোতে পারছে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। লাগামহীন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধও সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির লাগাম টানতে না পারলে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। তেমনটা হলে উন্নয়ন পরিকল্পনা দিয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। চারদিকে সাফল্য থাকা সত্ত্বেও গায়ে লাগতে পারে ব্যর্থতার তকমা। তাই এ তিন চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারকে ইস্পাতকঠিন অবস্থান নিতে হবে।  নিজেদের সুনামের স্বার্থেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হোতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজবিরোধীদের কাছে শক্ত বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।  প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সেবা জনগণের জন্য নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর