রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নকল ও নিম্নমানের ওষুধ

অপরাধীদের দমনে কঠোর হোন

দেশের ওষুধের দোকানগুলোতে নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের সংখ্যাই বেশি। মুনাফা বেশি হওয়ায় অসৎ ব্যবসায়ীরা মানহীন ওষুধ বিপণনেই বেশি আগ্রহী। অভিযোগ রয়েছে নকল, মানহীন ও অনিবন্ধিত ওষুধ বিপণন সঙ্গে জড়িত রয়েছে মিটফোর্ডের অনেক ব্যবসায়ী। তাদের খুঁটির জোর এতই বেশি যে, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাও কঠিন হয়ে পড়ে। নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি কিংবা বিক্রির দায়ে যাদের গ্রেফতার করা হয়, তারা আইনের ফাঁক গলিয়ে ছাড়া পেয়েই আবারও জড়িয়ে পড়ে এ ঘৃণ্য ব্যবসায়। দেশে ওষুধ তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ২৭০টিরও বেশি কোম্পানি। এর মধ্যে মানসম্মত ওষুধ তৈরি করে বড় জোর ৪০টি প্রতিষ্ঠান। রাজধানী ও নগর এলাকার চিকিৎসকরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে মানসম্মত কোম্পানির ওষুধ দিলেও মানহীন ওষুধ কোম্পানিগুলোর ভরসা হাতুড়ে চিকিৎসকরা। তাদের কারণে মফস্বল এলাকার বাজারগুলো মানহীন ওষুধ কোম্পানিগুলোর দখলে। বাংলাদেশের ওষুধ ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানি হলেও এখন মানসম্মত ওষুধ কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। এসব কোম্পানির ওষুধও অবাধে নকল করছে সুসংবদ্ধ একাধিক চক্র। এ নকল প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের পেছনে অসৎ রাজনীতিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ওষুধ প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ থাকায় তাদের আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। নকল ওষুধ তৈরির জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভায় ক্ষতিকর ৪৫ ধরনের ওষুধ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’র বিবেচনায় এসব ওষুধ উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নকল ভেজালের পাশাপাশি ওষুধের বাজারে ছড়ি ঘোরাচ্ছে অধিক মূল্যের খড়গ। ওষুধের জন্য উদার বিজ্ঞাপন নীতি না থাকায় গুটি কয়েক কোম্পানি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না থাকায় ওষুধের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে নকল ভেজাল অন্যদিকে উচ্চমূল্যের দাপটে অসহায় হয়ে পড়ছে দেশের মানুষ। এ অবস্থার অবসান হওয়া  উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর