শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

ব্যক্তি নয়, ন্যায্যতার পাশে দাঁড়ান

প্রভাষ আমিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ব্যক্তি নয়, ন্যায্যতার পাশে দাঁড়ান

বাংলাদেশ একটি বিভক্ত রাষ্ট্র। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবাই বিভক্ত। চারদিকে বিভক্তি আর অসহিষ্ণুতা। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সহ্য করতে পারে না, বিএনপি জাসদকে সহ্য করতে পারে না। কথায় কথায় ডাক্তারদের সঙ্গে সাংবাদিকদের লেগে যায়। র‌্যাবের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয় পুলিশ। পুলিশ সুযোগ পেলে সাংবাদিকদের পিটিয়ে দেয়। ধর্মীয় সংখ্যাগুরুরা সুযোগ পেলেই সংখ্যালঘুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ক্ষমতাশালীরা দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করে। ধনীরা দরিদ্রদের শোষণ করে। এরকম নানামুখী বিভক্তি, বৈষম্য আমাদের বারবার দুর্বল করে, আরও দুর্বল করে। আমাদের চারপাশে নিরাপত্তাহীনতার মিহিন চাদর বিছানো। এই নিরাপত্তাহীনতা বোধ থেকেই আমরা সংগঠিত হই; কখনো দলের ব্যানারে, কখনো ধর্মের আবরণে, কখনো পেশার দোহাই দিয়ে। বহুমুখী বিভক্তির মধ্যে এই সংগঠিত হওয়ার, একত্রিত হওয়ার প্রবণতা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু সমস্যাটা হয় তখন; যখন আমরা দলে-ধর্মে-পেশায় সংগঠিত হতে গিয়ে একমুখী হয়ে যাই, যুক্তি মানতে চাই না, প্রশ্ন করতে ভুলে যাই, আইন মানতে চাই না, নিজেকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করি, বিবেক বন্ধক দিই সংগঠনের কাছে।

বাংলাদেশে দুর্ঘটনা ঘটালেও কোনো ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা যায় না। গ্রেফতার করলেই ট্রাক ড্রাইভাররা ধর্মঘট করে সব অচল করে দিতে চান, অন্তত চেষ্টা করেন, হুমকি দেন। দোষ শুধু ট্রাক ড্রাইভারদের নয়, আমরা সব পেশার মানুষই মননে-আচরণে সংগঠিত ট্রাক ড্রাইভার। যৌক্তিক কারণে কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করলেও আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে ক্ষেপে উঠি, রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করি। যেন সাংবাদিকরা আইনের ঊর্ধ্বে, তারা যেন কোনো বেআইনি কাজ করতেই পারেন না। তাই সাংবাদিকরা সব সময় বুক ফুলিয়ে চলেন, কাউকে পরোয়া করেন না, আইন মানেন না। জানেন কেউ কিছু বললে, সাংবাদিকরা তার পাশে দাঁড়িয়ে যাবে, তোলপাড় হয়ে যাবে দেশজুড়ে। আবার উল্টো ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয় ভুল সংবাদ প্রচার করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টির অভিযোগে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে না পেরে তার বিরুদ্ধে এখন প্যান্ট চুরির মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা অবশ্যই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। শাহবাগে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ পিটিয়ে শুইয়ে দিয়েছে এটিএন নিউজের দুই সাংবাদিককে।

নিজে সাংবাদিক বলেই প্রথম সাংবাদিকদের কথা বললাম। কিন্তু নিজের পেশার মানুষকে আইনের ঊর্ধ্বে থাকা ধোয়া তুলসী পাতা মনে করার এই প্রবণতা সব পেশার মানুষের মধ্যেই আছে। কোনো ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করলে অভিযোগও করা যায় না, মামলা করা তো অনেক পরের কথা। ডাক্তাররা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান, যেন তারা কখনই ভুল চিকিৎসা করেন না, আর করলেও তার কোনো বিচার করা যাবে না। ডাক্তাররাও ট্রাক ড্রাইভারদের মতো ধর্মঘট করে অচল করে দেন হাসপাতাল। পুলিশের অন্যায় চাপা দিতে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে পুলিশরাই। শাহবাগে পুলিশ দুই সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা চালালেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাই গেয়ে বলছেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। গত সপ্তাহে মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক আইনজীবী দম্পতিকে জামিন না দেওয়ায় চট্টগ্রামের আদালতে আইন হাতে তুলে নেন আইনজীবীরাই। বিক্ষোভ-ভাঙচুর করে আইনজীবীরা আদালতের কাছ থেকে জামিন আদায় করে নেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আইনজীবীদের কাজ অপরাধীদের রক্ষা করা নয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।’

এই যে আমরা সমপেশার মানুষকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আইন হাতে তুলে নিই, এটা কি পেশাদারিত্বের মধ্যে পড়ে? অথচ হওয়ার কথা উল্টো। মানুষ ফেরেশতা নয়, সব মানুষই ভুল করতে পারে, অপরাধ করতে পারে। পেশাজীবীরাও মানুষ। তারাও ভুল করতে পারেন, ভুল করেন। ব্যক্তি মানুষের তো বটেই, সব পেশার মানুষদেরই কিছু নীতি-নৈতিকতা, এথিক্স মেনে চলতে হয়। কেউ যদি ভুল কিছু করে, অপরাধ করে, এথিক্সের বাইরে কিছু করে; সবার আগে সেই পেশার মানুষদের তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া উচিত। নিজেদের পেশার ডিগনিটি বজায় রাখার স্বার্থেই সেই পেশার খারাপ মানুষটির শাস্তি চাওয়া উচিত, আইনে সোপর্দ করা উচিত। কেউ যদি ভুল করে, অন্যায় করে; সংগঠিত পেশাজীবীদের কারণে পার পেয়ে যায়, ভবিষ্যতে সে আবার একই ধরনের অপরাধ করবে, পেশার নাম ডোবাবে। তাই সাংবাদিকদের উচিত খারাপ সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, ডাক্তারদের উচিত অদক্ষ ডাক্তারদের খুঁজে বের করে দূর করা, পুলিশের উচিত অসৎ পুলিশ নিবৃত করা, আইনজীবীদের উচিত অপরাধী আইনজীবীকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া। কিন্তু আমরা সব সময় উল্টোটা করি। ভালো হোক, মন্দ হোক; নিজের পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যেন সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী তথা পেশাজীবীরা সব আইনের ঊর্ধ্বে।

সম্প্রতি মধ্যরাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির সামনে বেপরোয়া গতির প্রাইভেট কারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলে থাকা প্রথম আলোর প্রধান আলোকচিত্রী জিয়া ইসলাম। তাত্ক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে যমে-মানুষের টানাটানির পর তাকে নেওয়া হয় এ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে অপারেশনের পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। আপাতত তার প্রাণ সংশয় না থাকলেও তাকে সেরে উঠতে লম্বা ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তারপরও আগের সেই প্রাণচঞ্চল, সদা হাস্যোজ্জ্বল জিয়াকে ফিরে পাব কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। তার আরও অনেক বন্ধু-স্বজনের মতো আমিও রাতভর দাঁড়িয়ে ছিলাম ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউর সামনে। যারা গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই সাংবাদিক। শুরুতেই যেটা বলছিলাম, পেশাজীবীরা একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ান। আমরাও সবাই জিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছি। এটা অন্যায় নয়। সবাই পাশে দাঁড়িয়েছে বলেই জিয়া বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে পারছে। কিন্তু আমরা যখন ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা ছাড়াই সম পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাই, তখন বিচ্যুতিটা ঘটে। এ ঘটনায়ও তা ঘটেছে।

মধ্যরাতে কোনো গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে, তা বোঝার উপায় ছিল না। চালক সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির হেডলাইট নিভিয়ে দিয়েছিল বলে গাড়ির নম্বর প্লেটও দেখা যায়নি। কিন্তু বাসায় ফিরেই বোধহয় গাড়ির চালকের বিবেক জাগ্রত হয়। পত্রিকা-টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান ঢাকা মেডিকেলে। আইসিইউতে গিয়ে তিনি জিয়াকে দেখে এসে নাকি বলেছেন, কিছু হবে না। সেখানে তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্ঘটনাটি তিনিই ঘটিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই ভদ্রলোক তখন মাতাল ছিলেন। মাতালদের বিবেক একটু বেশিই টনটনে থাকে। তাই হয়তো তিনি বোকার মতো হাসপাতালে গিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে এসেছেন। আমরা জানতে পারি সেই চালকের নাম কল্যাণ কোড়াইয়া। তিনি একজন মডেল ও অভিনেতা। কিন্তু সকালেই মরে যায় তার রাতের বিবেক। সকালেই তিনি তার অপরাধ অস্বীকার করেন। সকালে তার দাবি, তিনি সে রাতে দুর্ঘটনা একটি ঘটিয়েছিলেন বটে, তবে সেটা বসুন্ধরা সিটির সামনে নয়, তেজগাঁও থানার সামনে। তার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের নয়, ট্রাকের ধাক্কা লেগেছিল। আর সেদিন রাতে তিনি জিয়াকে দেখতে নয়, তার অন্য দুর্ঘটনার রোগী নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কল্যাণ কোড়াইয়া রাতে সত্য বলেছেন না সকালে বলেছেন, আমি জানি না। তিনি আদৌ দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন কিনা, তাও জানি না। তিনি গাড়ি চালানোর সময় মাতাল ছিলেন কিনা, আমি জানি না। প্রথম আলো মামলা করেছে। পুলিশ কল্যাণ কোড়াইয়াকে গ্রেফতার করেছে। আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কল্যাণ কোড়াইয়া জামিনও পেয়েছেন। আমার কোনো আপত্তি নেই। আর এটি একটি খুব সহজ মামলা। কল্যাণ কোড়াইয়া গাড়িটিও আছে, জিয়ার মোটরসাইকেলটিও আছে। একটা ছোট্ট পরীক্ষায়ই এটা প্রমাণ করা সম্ভব, যে সে রাতে এ দুটি গাড়ির মধ্যেই ধাক্কা লেগেছিল কিনা। আইন চলুক স্বাভাবিক গতিতে, তদন্তে প্রমাণিত হোক সত্য-মিথ্যা।

কিন্তু আমি অবাক হয়েছি, শিল্পী সমাজের ভূমিকায়। আমরা যেমন জিয়ার দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেছি, কল্যাণ কোড়াইয়াকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে তার বন্ধু শিল্পীরা থানায় ছুটে গেছেন। খুব ভালো কথা। সম পেশার মানুষের প্রতি এই টান আমার দারুণ লাগে। বিপদে তো বন্ধুর পাশে দাঁড়াতেই হবে। কিন্তু বন্ধুর পাশে দাঁড়ানো আর অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গাওয়া এক কথা নয়। বন্ধু বা স্বজনের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমরা ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, ভুল আর অপরাধের পার্থক্য ভুলে যাই। কল্যাণের বন্ধুদের থানায় যাওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তার মুক্তির জন্য তদ্বির, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাওয়া আসলে আইনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা। আপনারা কল্যাণের জন্য সবচেয়ে ভালো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু আইনকে তো উল্টো পথে চালানোর চেষ্টা করতে পারেন না। দুর্ঘটনার গল্প বানাতে পারেন না। থানা বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েই ক্ষান্ত হননি কল্যাণের বন্ধুরা, তারা সামাজিক মাধ্যমে কল্যাণকে নির্দোষ দাবি করে, তার পক্ষে ব্যাপক ক্যাম্পেইন শুরু করেন। ক্যাম্পেইনের প্রথম দাবি ছিল, কল্যাণ নির্দোষ। তিনি সেদিন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বটে, তবে জিয়াকে নয়। তারপর তারা বলার চেষ্টা করলেন, কল্যাণ মাতাল ছিলেন না। তারপর তারা বলার চেষ্টা করলেন, সবাই মদ খেয়ে গাড়ি চালান। মদ খেয়ে গাড়ি না চালালে নাকি রাতে ১০ ভাগের বেশি গাড়ি চলবে না। কল্যাণকে বাঁচাতে গিয়ে তার বন্ধু শিল্পীদের এই হাস্যকর চেষ্টা দেখে আমি চমকে যাই। শিল্পীরা দেশের সবচেয়ে সচেতন ও সম্মানিত পেশাজীবী। দেশের কোটি কোটি মানুষ তাদের অনুসরণ করে, ভালোবাসে। কিন্তু এই ভালোবাসা তো তাদের যা খুশি তাই করার লাইসেন্স দেয় না। শিল্পীদের এমন আচরণ করতে হবে, যা দেখে সাধারণ মানুষ শিখবে। মানুষ শুধু শিল্পীদের নয়, তাদের আচরণও অনুসরণ করবে। কিন্তু কল্যাণের ঘটনা থেকে মানুষ কী শিখবে? কল্যাণের বন্ধু শিল্পীদের কাছ থেকে কী শিখবে? তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে মদ খেয়ে গাড়ি চালানো এবং অ্যাক্সিডেন্ট করা কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু আমরা সবাই ভারতের সঞ্জয় দত্ত ও সালমান খানের কথা জানি। বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অন্যায় করে তারা পার পাননি।

শিল্পীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, বাংলাদেশে লাইসেন্স ছাড়া মদ খাওয়া ও গাড়ি চালানো, দুটিই বেআইনি। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স মানেই কিন্তু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে কাউকে আঘাত করার লাইসেন্স নয়, তেমনি মদ খাওয়ার লাইসেন্স থাকা মানেই মাতলামি করা বা মাতাল হয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর অধিকার নয়। প্রতিদিন বাংলাদেশে দুর্ঘটনা হয়, মানুষ মারা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর। এটা নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি। কিন্তু সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরাই ঘাতক ড্রাইভারদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যান। বিষয়টা এতই হাস্যকর। আপনি যদি কাউকে গুলি করে মারেন, আপনার ফাঁসি হবে। আর সেই লোককেই যদি আপনি গাড়ি চাপা দিয়ে মারেন, আপনার সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হবে। তাও যদি ধরা পড়েন। কল্যাণকে ধন্যবাদ। তিনি বিবেকের তাড়নায় স্বেচ্ছায় হাসপাতালে গিয়ে দায় স্বীকার করেছেন বলেই তাকে ধরা গেছে। হুট করে, অবহেলায়, খামখেয়ালিপনায় দুর্ঘটনা বা অপরাধ ঘটে যেতে পারে। মহত্ত্ব হলো অনুশোচনা করে সেই অপরাধের দায় কাঁধে তুলে নেওয়ায়। কাউকে গাড়ি চাপায় হত্যা করলে তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আমাদের সবার ভালোবাসায় জিয়া বেঁচে আছে। তাই ন্যায়বিচার হলেও কল্যাণের খুব বড় কোনো সাজা হবে না। জিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় আমাদের খুব খারাপ লেগেছে, কিন্তু আইনের স্বাভাবিক ধারায় কল্যাণ জামিন পেয়েছেন। আমার আপত্তি নেই। জিয়ার জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে। কিন্তু আমিও কল্যাণের ন্যায়বিচার চাই।

কল্যাণের বন্ধুরা যেভাবে তার পাশে দাঁড়ানোর নামে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর চেষ্টা করছিলেন, যেভাবে ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য ঘুচিয়ে দিতে চেয়েছিলেন; তা খুবই দৃষ্টিকটু, অশোভন। আমি কথা দিচ্ছি, এ ঘটনায় যদি জিয়া অপরাধী হতেন, আর কল্যাণ ভিকটিম হতেন; আমি কিন্তু জিয়াকে অন্যায়ভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করতাম না। হয়তো থানায় গিয়ে বসে থাকতাম। তার জন্য আইনজীবী নিয়োগের চেষ্টা করতাম। কিন্তু আদালতের বাইরে তাকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করতাম না। শাহবাগে দুই সাংবাদিককে পুলিশ পিটিয়েছে। যদি সেই দুই সাংবাদিক অন্যায় বা বেআইনি কিছু করতেন, আমি অবশ্যই তাদের সে অন্যায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতাম না।

পেশার সহকর্মী, দলের সহকর্মী, সমধর্ম বা সমগোত্র— এভাবে বিবেচনা না করে মানুষকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ হিসেবে। তার ন্যায়-অন্যায়, ভুল-অপরাধের দায় তার একার। একজন ব্যক্তির অপরাধের দায় আড়াল করার চেষ্টা করা মানে আপনার পেশাকে, আপনার ধর্মকে, আপনার গোত্রকে হেয় করা। বরং আপনারই উচিত খুঁজে খুঁজে আপনার পাশের অপরাধীকে সংশোধন করা বা আইনের কাছে পাঠানো। নইলে এই অপরাধী বারবার আপনার পেশাকে কলঙ্কিত করবে। এই যে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার বিভিন্ন বাহিনীর ২৫ জন দণ্ড পেল, তাতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সবাই দেখেছে বাহিনীগুলো তাদের সহকর্মীর অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়নি, তারা অন্যায়ের পাশে দাঁড়ায়নি। অন্যায় ধামাচাপা দিলে বাহিনী বা পেশা কারও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় না।

ধর্মস্বার্থ, পেশাস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ দেখতে দেখতে আমরা মানুষ হিসেবে বারবার ছোট হয়ে যাই। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে যখন শুধু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ প্রতিবাদ করে, মানববন্ধন করে; আমি মানুষ হিসেবে খাটো হয়ে যাই। সাংবাদিকদের ওপর অন্যায় হলে যখন খালি সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেন, আমি লজ্জা পাই। আমি যেমন শাহবাগে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা করেছি, তেমনি প্রতিবাদকারী মানুষের ওপর পুলিশি নির্যাতনেরও প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের সবারই উচিত ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের দাঁড়াতে হবে আইনের পাশে, কোনো ব্যক্তি অপরাধীর পাশে নয়; তিনি যেই হোন। সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানবতা।

লেখক : সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
মূল্যস্ফীতি কমেছে
মূল্যস্ফীতি কমেছে
তারুণ্যের ভাবনা
তারুণ্যের ভাবনা
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
সর্বশেষ খবর
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’
১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি
তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না
জেলখানা থেকে বের হতে পারতেন না

নগর জীবন

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন