শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

জাতির প্রত্যাশা ’৭১-এর মতো অর্থবহ একটি জাতীয় ঐক্য

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির প্রত্যাশা ’৭১-এর মতো অর্থবহ একটি জাতীয় ঐক্য

সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধসংগ্রামী আমার প্রিয় শাহ আজিজুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

কোনো লেখা কারও স্বার্থে গেলে মানুষ যে কতটা সাড়া দিতে পারে অথবা বিপক্ষে গেলে বিক্ষুব্ধ হয় গত পর্বের বিদ্যুৎ নিয়ে লেখায় নতুন করে বুঝতে পারলাম। আসলেই বিদ্যুতের কারচুপিতে মানুষ দিশাহারা, বড় কষ্টে। মিটার রিডাররা বছরেই কোটিপতি, গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ রাস্তার ফকির। কতজন কত সময় ছুটে আসে ‘আমার দুইটা বাত্তি, একটা ফ্যান। প্রথম প্রথম বিল আসত ৩০০-৪০০ টাকা। সেদিন এসেছে ২০০০ টাকা।’ কোনো জবাব নেই। সখীপুরে আমার প্রিয় আবু নঈম মোহাম্মদ একজন সেরা মুক্তিযোদ্ধা। ’৭১-এ যুদ্ধে তার নিরলস ভূমিকা আছে। বঙ্গবন্ধু যেদিন কাদেরিয়া বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্র নিতে সড়কপথে টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন সেদিন টাঙ্গাইলের প্রান্তসীমা গোড়াই ক্যাডেট কলেজের পাশে তার ডিউটি ছিল। কে বা কারা ছবি তুলেছিল সে ছবি দেখে আমার বার বার মনে হতো এ যেন চে গুয়েভারা দাঁড়িয়ে আছে। সেই আবু নঈম মোহাম্মদের ছোট্ট একটা মুরগির খামার। তাতে একটা পানির পাম্প, ১০-১২টা ছোট বাল্ব, দুই বা তিনটা ফ্যান- বিল করে বসে আছে ৩ লাখ ৬০-৬৫ হাজার টাকা। শুধু বিল নয়, তার নামে ওয়ারেন্টও হয়েছে। কারণ বিদ্যুতের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করা খুবই সোজা। আমরা লাচার, এখন কীই-বা করি? অন্যের যন্ত্রণা তো আছেই, নিজের যন্ত্রণায় পেরেশান হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কী হবে জানি না তবু সান্ত্বনা যে, প্রতিকারের আশায় তার দৃষ্টিতে এনেছি। লেখাটিতে কী আছে এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। কিন্তু চিঠিপত্র-টেলিফোন, ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানানো এবং বিদ্যুতের নির্বাহীদের বিলের ধরন-ধারণ নিয়ে ইতিমধ্যে বহু মানুষ কথা বলেছেন। আমার সামান্য কথা যদি কারও একবিন্দু কাজে লাগে তাতে আনন্দে বুক ভরে যায়। ’৯০-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছি। তার আগে ভারতে ছিলাম প্রায় দেড় যুগ। ভারত সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাননীয় মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বা দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গকে যখনই চিঠি দিয়েছি সেটা শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারি বাজপেয়ি, শ্রীজ্যোতি বসু, সর্বোদয় নেতা শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণ, রাজীব গান্ধী, নরসীমা রাও, বিজু পট্টনায়েক, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, এ বি এ গণি খান চৌধুরী, সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রীপ্রণব মুখার্জি এমনকি লেখক-সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রবোধ কুমার সান্যাল, তারাশঙ্কর, অন্নদাশঙ্কর রায়, মনোজ বোস, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অভীক সেন, অমিতাব চৌধুরী ও অমিতাভ চৌধুরী, বরুণ সেন, সুখরঞ্জন দাস, হিরণ¥য় কার্লেকর কার কথা বলব, হাজার জনের নাম দিতে পারি। যাকে যখন পত্র দিয়েছি সেটা যে বিষয়েই হোক উত্তর পেয়েছি। ’৭৫-এর প্রতিরোধসংগ্রামী বিশ্বজিৎ নন্দীকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ফাঁসি দিতে গেলে পৃথিবীর এমন কোনো রাষ্ট্রনায়ক নেই যার কাছে নন্দীর জীবন রক্ষায় আবেদন জানাইনি। সেখানে রাশিয়ার ব্রেজনেভ থেকে শুরু করে মিসরের হোসনি মোবারক, ইয়াসির আরাফাত, ব্রিটেনের আয়রন লেডি থেচার আরও কতজন যে ছিলেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের চমৎকার হাতে লেখা অন্য কারও হাতে ইংরেজি করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে ইন্দিরা গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, জ্যোতি বসু কেউ উত্তর দিতে দ্বিধা করেননি। কিন্তু ’৯০-এ দেশে ফিরে যখন যাকেই চিঠি দিয়েছি দু-এক জন ছাড়া কেউ উত্তর দেননি, একদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জনাব মাহবুবুল আলমকে ফোন করেছিলাম। মনে হয় সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টা হবে। তিনি তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। কয়েকবার রিং হলেও ধরতে পারেননি। সাড়ে ৮টার দিকে তিনি নিজে ফোন করেছিলেন। ফোন ধরতেই বলেছিলেন, ‘কাদের ভাই আপনি ফোন করেছিলেন। ধরতে পারিনি। আমি খুবই লজ্জিত।’ বলেছিলাম, মাননীয় উপদেষ্টা, অবাক হলাম আপনার ফিরতি ফোন পেয়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘ভদ্রসমাজে ফিরতি ফোন করা একটা নৈতিক দায়িত্ব। ’৭২-এ বঙ্গবন্ধু যেদিন আপনার কাছ থেকে অস্ত্র আনতে গিয়েছিলেন সামান্য সাংবাদিক হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। কাদের সিদ্দিকী আমার কাছে বঙ্গবন্ধুর পর হিমালয়ের মতো।’ তার কথা খারাপ লাগেনি। তার কথায় অহংকারে ফুলে যাইনি। কিন্তু ভালো লেগেছিল। বিদ্যুতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেদিন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এমডির কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা বিষয়টি বিবেচনার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করে এ মাসের ১২ তারিখ আমায় চিঠি পাঠিয়েছেন। মনে হয় জনস্বার্থে চিঠিটাই তুলে দেওয়া দরকার। তাই দিলাম।

‘জনাব বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম, ২০/৩০, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

বিষয় : বিদ্যুৎ বিল পরীক্ষাপূর্বক মতামত/সুপারিশমালা দাখিলের জন্য কমিটি গঠন।

সূত্র : ৬১২,৩০/০৮/২০১৮ ইং, আপনার পত্র।

বিদ্যুৎ বিল সংশোধনের জন্য অত্র দপ্তরে গৃহীত আপনার আবেদনখানা পরীক্ষাপূর্বক সুনির্দিষ্ট মতামত/সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ৫ (পাঁচ) সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের আলোকে পরবর্তীতে বিল সংশোধনের জন্য যথাশীঘ্র ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আপনার সদয় সহযোগিতা কামনা করছি।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে, মো. মুজিবুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সিসিও টু এমডি, ডিপিডিসি।’

সবার ক্ষেত্রে এমন যদি হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। আমি শুধু অপেক্ষায় আছি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কম্পিউটারে রাখা ২০১৭ সালের মার্চে ১৮০৭ ইউনিট, এপ্রিলে ৩৩৯ ইউনিট, মে-তে ২৮৮৯ ইউনিট; অন্যদিকে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে ৪০০ ইউনিট, অক্টোবরে ৪১০৩ ইউনিট- এ রকম অসংখ্য অসামঞ্জস্য বিল কী করে হয় দেখার অপেক্ষায় আছি। সমাধান গ্রহণযোগ্য হলে এবং তা সবার জন্য হলে সব থেকে খুশি হব। অন্যদের আস্থা না থাকলেও দেশের আইন-আদালতের প্রতি এখনো আমার আস্থা আছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে অনেক কোর্ট-কাচারি আদালত আমাকে একজন সামান্য নাগরিকের মর্যাদাও দেয়নি। অগ্রণী ব্যাংকের সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লিমিটেডের কাছে প্রকৃত পাওনা ১৯ লাখ। আমাদের পরিশোধ করা টাকা আমাদের দিয়ে একটা মনগড়া হিসাব বানিয়ে ৮-১০ বছরে মঞ্জুরি দিয়েছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আমরা সে সময় ব্যাংককে দিয়েছিলাম ৬ কোটি ৭৭ লাখ। একসময় ব্যাংককে বলেছিলাম, আপনারা আমাদের কত টাকা দিয়েছেন আর আমরা আপনাদের কত দিয়েছি এ দুটোর একটা হিসাব হয়ে যাক। তাতেই অমন দৃশ্যপট বেরিয়ে আসে। আমরা কোনো দিন এক পয়সা সুদ মওকুফ নিইনি। তার পরও ব্যাংক মনে হয় শক্তিমানদের প্রভাবে আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। তবে এটা সত্য, কোনো শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাংক আমাদের সঙ্গে কখনো কোনো খারাপ আচরণ করেনি। ৪২৭ নম্বর অগ্রণী ব্যাংক বোর্ডের এক প্রস্তাবে আমাদের নামে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ দেখিয়ে ১০ বছরের সুবিধা দিয়েছে। সেইভাবে তারা আমাদের চিঠিও দেয়। আমরা সেভাবেই এগোতে থাকি। হঠাৎই ভূতে ধরেছিল কিনা জানি না, বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় যে মাটিতে আমার নাড়ি পোঁতা সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। সে অনেক কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ ছিল ১১ তারিখ। মনে হয় অক্টোবর মাস। যাচাই-বাছাই ছিল ১৩ তারিখ। যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১২ তারিখের এক পত্র নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক রিটার্নিং অফিসারের কাছে হাজির হয়। সেখানে লেখা, ‘সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লিমিটেডের সব সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে। তবে ঋণটি মন্দ ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। মানে সুবিধার মধ্যে সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লি. ঋণ পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত অন্য কোনো আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না।’ কোম্পানির পরিচালকরা রাজনীতিতে থাকলে তারা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। আমার মতো মানুষেরও নির্বাচনে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা বলে আমি এত বেকুব যে, এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। কালিহাতীর মনোনয়ন ইলেকশন কমিশন বাতিল করায় হাই কোর্ট বৈধ করে মার্কা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। মার্কা বরাদ্দের পর নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো জিনিস অচল। নির্বাচনী আইনে নির্বাচনের আগে আর কোনো আইনি কর্মকা- চলে না। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল খুব ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে সরকারের পক্ষ থেকে পরে নির্বাচন কমিশনের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রায় এক বছর ঘুরিয়ে মনোনয়ন বৈধ-অবৈধ ব্যাংকের কার্যক্রম ঠিক-বেঠিক সেদিকে না গিয়ে ‘রিটটি মেইনটেইনেবল নয়’ এ কথা বলে খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রিয়জনদের ৫ হাজার ৪৫৩ কোটি বিনা সুদে ২৫ বছরের জন্য ব্লকড, আরও কত কী। কতজন কত হাজার হাজার কোটি ভাগবাঁটোয়ারা করে খাচ্ছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটা নির্মাণপ্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা (প্রা.) লি. প্রকৃত ১৯ লাখ টাকা ১০ কোটি ৮৮ লাখে উন্নীত করে ঝুলিয়ে রেখেছে। এই হচ্ছে বর্তমানে আইন-কানুন বিধি-বিধান। বর্তমানে দেশে সব থেকে আলোচিত বিষয় অর্থবহ জাতীয় ঐক্য এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। মানুষ এখন আর অন্য কিছু শুনতে চায় না। সেদিন জাতীয় ঐক্যের এক ডাক এসেছে গণফোরাম বা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ে। অনেক কথা হচ্ছে এই জাতীয় ঐক্যের সূচনা নিয়ে। শহীদ মিনারে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহীদ মিনারে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের জানার যতটা সুযোগ আছে তাতে কথাটা সত্য নয় বলেই মনে হয়। তা যাই হোক, আমরাও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জন্মের ঘোষণা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে দিতে পারিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে দিয়েছিলাম। সেই দল আজ পা পা করে ১৯ বছর পার করছে। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ ২০-এ পা দেবে। সত্যিকার অর্থে জাতির তীব্র আকাক্সক্ষা, দুই বলয়ের বাইরে নির্ভরযোগ্য অর্থবহ একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠুক। ড. কামাল হোসেন প্রায় ১৫ বছর আগে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। আমাদের দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তাতে সাড়া দিয়েছিলাম। শেষ পর্যায়ে যেদিন সভাটি হয় সেদিন বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারাও অংশ নিয়েছিল। আমরা রাত-দিন পরিশ্রম করেছিলাম। গামছা নিয়ে প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী এসেছিল। অন্যদিকে প্রশিকার ২-৩ হাজার কর্মীকে প্যাকেটে খাবার ও চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়েছিল। যা ছিল রাজনৈতিক কর্মকা-ের জন্য বিসদৃশ। সেই দিনগুলো ড. কামাল হোসেন বেমালুম ভুলে গেছেন। আলাপের সময় কখনো সেগুলো উঠে আসে না। এখন ওঠে ওয়ান-ইলেভেনের পর ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসা তার চোখে সব থেকে বড় অ্যাচিভমেন্ট। কিন্তু সাধারণ মানুষ ২০০৮ সালের নির্বাচনকে খুব একটা ভালো চোখে দেখে না। তার পরও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কখনো মাহমুদুর রহমান মান্নাকে একেবারে ছায়ার মতো করে, কখনো বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে একসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা বা জাতীয় আশাবাদ সৃষ্টির চেষ্টা সব সময় ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী করে এসেছেন। সুতোর টান কতটা শক্ত বলতে পারব না। তবে এখনো তারা তা করছেন। কথা লম্বা হয়ে যায়, তাই ছোট করে বলছি।

গত বছর ৪ ডিসেম্বর আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে যুক্তফ্রন্টের নাম ঘোষণা করা হয়। ড. কামাল হোসেন দেশের বাইরে ছিলেন বলে আমি বলেছিলাম, ঘোষণাটা একত্রে হলে ভালো হতো। আমি দুই প্রবীণ নেতার একত্র চলার আন্তরিক চেষ্টা করেছি। যে কারণে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর যুক্তফ্রন্টে আছি, কি নেই এ কথা বলার কারও সুযোগ ছিল না। নিষ্ক্রিয় ছিলাম বা আছি এটাই বাস্তব। কদিন আগে স্নেহের মাহী বি. চৌধুরী কী প্রসঙ্গে যেন বলেছিল, ‘কাদের সিদ্দিকী যুক্তফ্রন্টের কেউ নন।’ মেনে নিলাম অল্প বয়সী ছোট মানুষ সে বলতেই পারে। সেদিন মাহমুদুর রহমান মান্নাও একই রকম বলেছেন। তার কথাটা ঠিক হয়েছে কিনা বিচার-বিশ্লেøষণের প্রয়োজন আছে। সত্যিই আমি একটু অন্য ধরনের মানুষ। বিদ্যা নেই, বুদ্ধি নেই শুধু আকাশ-বাতাস রাস্তাঘাট উদাম গায়ের মানুষদের দেখে যতটা শেখা যায় সেই শিক্ষা নিয়ে পথ চলি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের আগেও আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে এক বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বৈঠকখানায় পুলিশ গিয়ে বলেছিল, সভা তাড়াতাড়ি শেষ করুন। পুলিশ প্রশাসনের বেয়াদবির প্রতিবাদে চলে এসেছিলাম। আমার চলে আসা অনেক নেতারই পছন্দ বা ভালো লাগেনি। আমি একজন নগণ্য মানুষ। জীবনের জন্য ইজ্জত নয়, বরং ইজ্জতের জন্য জীবন দিতে পারি। গঙ্গা-যমুনা-পদ্মার পানি অনেক গড়িয়েছে। কদিন আগে (অব.) মেজর মান্নানের বাড়িতে তারপর ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টায় নিয়োজিত নেতাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এই সেদিন তানিয়া ভাবি ও আ স ম আবদুর রবের আহ্বানে ডালভাত খেতে ড. কামাল হোসেন তার কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে উত্তরা গিয়েছিলেন। সেখানে সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে সেদিন জাতীয় ঐক্যের শুভ সূচনা করেছেন। আমি এ ঐক্যকে অভিনন্দন জানাই। অন্তরের সমস্ত শুভ কামনা দিয়ে তাদের সফলতা কামনা করি। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলি, এই পরিসরে এ ধরনের প্রচেষ্টায় ক্যামেরা বা পত্রিকার সামনে প্রেস ক্লাবে যত উচ্চবাচ্য করা হোক তা দেশ ও জাতির মননে কোনো নাড়া লাগবে না। আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে বৈঠকের আগে ড. কামাল হোসেন আমাকে ফোন করেছিলেন। যার বাড়িতে দাওয়াত তিনি করেননি। অন্যদিকে ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী মিলিটারি একাডেমিতে পায়ে পা মিলিয়ে চলার মতো চললে বিনা শর্তে তাদের পেছনে আছি এটা আমি সবকিছু হাজির নাজির জেনে শপথ করে বলতে পারি। কিন্তু কখনো ড. কামাল হোসেনের আহ্বানে, কখনো ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর আহ্বানে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করা আমার বা আমার দলের ইচ্ছা নয়। গত বর্ধিত সভায় আমরা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি, অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কে তাতে এলো বা এলো না তা আমাদের বিবেচ্য নয়, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০-৩০ দিনের জন্য আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলনে অংশ নিতে চাই না। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন সে আন্দোলনে অংশ নিতে চাই। কিন্তু কেন যেন আমাদের প্রবীণ নেতা যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডা. বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছেন, ‘উনি তো নির্বাচনে নেমেই পড়েছেন।’ ¯েœহ করে আমার নামটাও নেননি, ‘উনি’ বলে ইঙ্গিত করেছেন। রক্তমাংসের মানুষ তো, কমবেশি আমাদেরও কষ্ট লাগে। কতজনকে বুকে আগলে রাজনীতি করেছি, কতজন ল্যাং মেরে চলে গেছে। কিন্তু এখনো যে ২-৪-১০ জন দলের জন্য আমার জন্য জীবনপাত করে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা পায়ে দলি কী করে? আমার এবং আমার দলের উদ্দেশ্য একটি অর্থবহ জাতীয় ঐক্য। তার জন্য যতক্ষণ চেষ্টা করা সম্ভব আমরা করব। নির্বাচনে সিট ভাগাভাগির জন্য নামকাওয়াস্তে জাতীয় ঐক্যে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপির কাছ থেকে সিট নিতে হলে কেন আমি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের সহযোগিতা নেব বা তাদের ভায়া হয়ে যাব? সরাসরি কানেকশন তো কম নয়। আওয়ামী লীগ থেকে সিটের ভাগ নিতে হলে আমার তো কোনো নাটক করার প্রয়োজন নেই। যারা ওসবের মালিক-মোক্তার তাদের সঙ্গে আমার সুতার নয়, রক্তের বন্ধন। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। এক অথর্বের হাতে তিন হাজার সৈন্য দিয়ে পিতাকে রক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পিতার মৃত্যুর দিন তার ফোন পেয়ে ব্যক্তিগত অস্ত্র রিভলবার ছাড়া ছুটে এসে নিহত হয়ে জাতীয় বীর সেজেছেন। কর্তব্য অবহেলার জন্য শাস্তি পাননি। পিতার হত্যার প্রতিরোধে জীবন-যৌবন, পরিবার-পরিজনকে ধ্বংস করে শুধু নিন্দাই পেয়েছি। জাতি ও দেশের কল্যাণে কোরবান হতেও রাজি। কিন্তু শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উলঙ্গভাবে আমাকে কখনো পাওয়া যাবে না। তার জানমাল, সম্মান ব্যাহত হতে দেখলে- বিরোধিতা না করে কখনো সহযোগিতা করব না। ছেলেবেলায় বাঁধনছেঁড়া ঘরহারা রিকশা চালানো মানুষ আমি আল্লাহর দয়ায় এতদূর এসেছি। ষড়যন্ত্রের কালিমা কপালে মেখে এপার থেকে ওপার যেন আল্লাহ আমাকে না নেন। আল্লাহর কাছে মুসলমানের যেমন প্রার্থনা থাকে, হে আল্লাহ, তুমি আমাকে প্রকৃত মুসলমান না বানিয়ে মৃত্যু দিও না। ঠিক তেমনি আমার প্রার্থনা, মৃত্যুর আগে আমার গায়ে যেন ষড়যন্ত্রের দাগ না লাগে। ড. কামাল হোসেন কয়েকবার ফোন করেছিলেন। পিতার মতো মানুষ, তাই গতকাল গিয়েছিলাম। পরের পর্বে লিখব।

            লেখক : রাজনীতিক

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ

২৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
তিন দফা দাবি মানল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

৩৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

৪১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

৪৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়
কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা