সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ভেষজ

ভেণ্ডি উৎকৃষ্ট মানের সবজি

গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য এখনই ভেণ্ডি চাষের উপযুক্ত সময়। নানা ধরনের গ্রীষ¥কালীন সবজির মধ্যে একটি অর্থকরী ও আকর্ষণীয় ফসল হচ্ছে ভেণ্ডি।  আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই ভেণ্ডির চাষ হয়।

জাত নির্বাচন : ভেণ্ডির উন্নত জাতগুলো হলো-পুসা চাওয়ানী, পরভানী ব্রান্তি, আর্কা অনামিকা, আর্কা অভয়, লং গ্রিন, লং হোয়াইট ইত্যাদি। অন্য কিছু জাত যেমন ভেণ্ডি ১০, ছয়গুণ, গ্রিন সেলেঞ্জার ইত্যাদিও বাজারে পাওয়া যায়।

বীজের হার : প্রতি বিঘা জমির জন্য ২.৫-২.৮ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য বীজ বোনার সময় মাটিতে রস কম থাকে এবং ঘন করে লাগান হয় সেজন্য বীজের পরিমাণ একটু বেশি দরকার হয়। বর্ষাকালে জমিতে রস বেশি থাকে এবং সারির দূরত্ব বেশি হয় বলে কম বীজের দরকার হয়।

জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ : প্রায় সব রকম জমিতেই ভেণ্ডি চাষ করা যায় তবে পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত দোআঁশ জমিতে ভেণ্ডির চাষ ভালো হয়। লম্বা ও আড়াআড়িভাবে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হয়। ভেণ্ডি চাষের জন্য দরকারি সারের পরিমাণ বিঘাপ্রতি গোবর বা পচন সার ১০০ কেজি, ইউরিয়া ১২ কেজি, সিঙ্গল সুপার ফসফেট ৪০ কেজি এবং মিউরেট অব পটাশ ১০ কেজি, গোবর বা পচন সার জমি তৈরি করার সময় ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। শেষ হাল চাষের সময় ৬ কেজি ইউরিয়া এবং পুরা মাত্রায় সুপার ও পটাশ সার জমিতে প্রয়োগ করা দরকার। বীজ বোনার ৩০-৩৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া চাপান সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। বীজ বোনার পদ্ধতি : ভেণ্ডির বীজের আবরণ শক্ত থাকায় বীজে সহজে পানি প্রবেশ করতে পারে না। ফলে বীজ অঙ্কুরোদগম হতে অধিক সময় দরকার হয়। সেজন্য বোনার আগে বীজ ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে বুনলে তাড়াতাড়ি অঙ্কুরোদগম হয়। গ্রীষ্মকালে বীজ বোনার জন্য ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্বে সারি তৈরি করে প্রতি সারিতে ১ সেন্টিমিটার দূরত্বে বীজ  বোনা দরকার।

সর্বশেষ খবর