শনিবার, ১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নকল প্রসাধনী

অপরাধীদের সামাল দিন

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নকল বিদেশি প্রসাধনের পসরা জমে উঠেছে। বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী যারা কেনেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ঠকতে হচ্ছে। তাজ্জব করার মতো তথ্য হলো, দেশেই তৈরি হচ্ছে এসব নকল প্রসাধনী; যাতে ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। এমনকি বিদেশ থেকেও আসলের বদলে নকল প্রসাধনী আমদানি ঘটছে। শুল্ক গোয়েন্দাদের আটক বিদেশি নকল প্রসাধনীতে বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব মিলেছে। রাজধানীতে বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী আটকের পর র‌্যাবের ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষায়ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। বাজারে যেসব বিদেশি প্রসাধনী পাওয়া যায়, বাইরে থেকে মনে হয় আমদানি করা বিদেশি পণ্য। পণ্যের মোড়ুক দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা আসলে স্থানীয়ভাবে তৈরি নকল পণ্য। এসব পণ্যের কৌটা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এমনকি প্যাকেজিংটাও বাইরে থেকে আনা হয়। এখানে শুধু ছোট্ট একটা মেশিন দিয়ে রিফিল করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে মানুষের শরীর ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এমন বেশ কিছু পণ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পণ্য নকল ও ভেজাল এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সোজা কথায় দেশের মানুষ যেসব নকল প্রসাধনী বিদেশি পণ্য হিসেবে কিনছে তাতে রয়েছে অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকের লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে চামড়া লাল হয়ে যায় এবং পরে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন তৈরি হয়। ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারেরও আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি ত্বকে দানা, হাঁপানি, মাথাব্যথা ও চোখ জ্বালাপোড়াসহ অন্যান্য রোগেরও উদ্ভব হয়। মানুষ প্রসাধন ব্যবহার করে সুন্দর থাকার জন্য। কিন্তু নকল-ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রুস্ত হচ্ছে না, স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। জনস্বার্থেই প্রসাধনী নকল-ভেজালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সব সংস্থাকে সক্রিয় হতে হবে। নকল-ভেজালের মতো জঘন্য অপরাধ দমনে অপরাধীদের

কঠিন সাজা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর