শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

প্রবাসীদের বোবাকান্না

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবাসীদের বোবাকান্না

দীর্ঘদিনের প্রবাসজীবন আর পিএইচডি লাভের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে নতুন এক থিওরি বা তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছিলাম। যার নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, আমলা, সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সফর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের কাছে পেয়ে প্রবাসীরা আবেগে আপ্লুত ও আনন্দে উদ্বেলিত হন। আপনজন ভেবে সুখ-দুঃখের অনেক কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। এরপর নামিদামি হোটেলে সংবর্ধনা ও রকমারি উপহার প্রদান। অনেকে আবার ভবিষ্যতে দেশে কিছু সুবিধালাভের আশায় ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে দেখা করেন এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে আসেন। প্রতি উত্তরে সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা বা ঘরোয়া বৈঠকে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ওই দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে তাদের আপ্যায়িত করেন। এরপর বিদায়পর্ব, নির্দিষ্ট দিনে তারা যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছেন, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে দেখা যায় যে, উপহারে ঠাসা লাগেজ নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করেছে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তখন কিছু মালামাল দূতাবাস বা অন্য কারও জিম্মায় রেখে যান পরে পাঠানোর জন্য। ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’মতে, এ সময় তারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীদের বোবাকান্নার স্মৃতি এয়ারপোর্টেই রেখে যান অতিরিক্ত মালামালের সঙ্গে। পরে অতিরিক্ত মালামাল কোনো না কোনোভাবে দেশে পৌঁছলেও পৌঁছে না শুধু প্রবাসীদের দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীর বোবাকান্না। এমনিভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তি বা ভিআইপি আসেন আর যান, কিন্তু প্রবাসীদের দুঃখ আর যায় না। এরই নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’।

প্রবাসীদের নিয়ে মুখরোচক বেশকিছু কথা চালু আছে। যেমন, ‘প্রবাসীদের ঘামের টাকা সচল রাখে দেশের চাকা’। আদর করে কেউ কেউ তাদের বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তবে প্রবাসী সিংহভাগ শ্রমিক যখন মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত মরুভূমিতে ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাস্তাঘাট-জাহাজ-সেতু বা দালান নির্মাণ করেন কিংবা গ্রামের একটি সহজ-সরল নারী যখন এক হাতে ২০-২৫ জনের একটি সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য হন, তখন ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকই শুধু উপলব্ধি করেন এই রেমিট্যান্স যুদ্ধটা কত অমানবিক।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে পাড়ি জমানো শুরু করেন। সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য, লিবিয়া ও স্বল্প আকারে অন্যান্য দেশে যাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭। ১৯৯৩ সালে এ সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। প্রতি বছর এত ব্যাপকসংখ্যক শ্রমিক দেশের বাইরে পাড়ি জমালেও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়নি। ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামের এই মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও মন্ত্রণালয়-অধীন কোনো বিভাগের সেবাপ্রত্যাশীদের দুঃখগাথা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই রচনা করতে হবে। তবে আশার কথা, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (বিএমইটি) বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবাসে গমনকারী শ্রমিকের সংখ্যা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে, যা কিছু মানুষকে অন্তত চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক প্রবাসী বিদেশে যোগ দেন, যার সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫।

আর ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার, বর্তমান বাজারমূল্যে যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এই বিচারে বলা যায়, দেশ চালাতে যে টাকা প্রয়োজন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে আয় করতে সক্ষম। শুধু মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন, যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রবাসীদের দেখভালের মূল দায়িত্ব পালন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য সারা বছরের বরাদ্দ ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। প্রবাসীদের শুধু মে মাসে বৈধপথে পাঠানো অর্থের পরিমাণ এ মন্ত্রণালয়ে সারা বছরের বাজেটের অর্ধেক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা ও সুখ-দুঃখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলতি বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এ অঙ্কের কাছাকাছি। যদি অবৈধ পথে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেরিত রেমিট্যান্সের হিসাব যোগ করা হয়, তবে এ অঙ্ক হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতিক্রম করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাপকহারে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ শুরু হলেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি সমীক্ষা ও প্রকাশনা বের করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অর্থায়নে নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে ((K4DM) প্রজেক্টের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম পরিচালিত সমীক্ষাটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বই আকারে Engagement non-resident Bangladeshis (NRBs) Pn National Development : Strategies, Challenges and Way Forward শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের মুখবন্ধে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই লিখেছেন যে, এটিই প্রবাসীদের বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা। যে প্রবাসীদের নিয়ে এত রং মাখা কথা, তাদের বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে হলো জাতিসংঘকে, অর্থ দিতে হলো ইউএনডিপিকে আর অপেক্ষা করতে হলো ২০১৮ সাল পর্যন্ত; যা প্রবাসীদের প্রতি বিভিন্ন মেয়াদের সরকারের অবহেলার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ২৪ লাখ বাংলাদেশি সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ দলিল যেমন : গ্রিনকার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (পিআর) ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ সমীক্ষার সারাংশে দেখা যায়, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশির মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ ১ কোটি মানুষের অধিকাংশই কর্মজীবী আর অল্পসংখ্যক কেবল গৃহিণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে তাদের অবস্থান যা-ই হোক ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অন্তত এই ১ কোটি মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ষোল ভাগের এক ভাগ, এ দেশের সরকারের কাছে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা বা সন্তানের শিক্ষা দাবি করে না। এই ১ কোটি প্রবাসীর ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৭৫ লাখ উপার্জনক্ষম প্রবাসী যদি নিজ বাবা, মা এবং অন্য দুজন নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মোট চারজনকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায় তবে (৭৫ লাখ গুণন ৪) অর্থাৎ ৩ কোটি মানুষের চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন প্রবাসীরা। তারা যদি একজন করে নিকটাত্মীয়কে ছোট বা মাঝারি আকারেও ব্যবসার পুঁজি দিয়ে থাকেন বা নিজ ব্যবসায় নিয়োগ দিয়ে থাকেন তবে ৭৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এই প্রবাসীরা। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী-সন্তান এমন দুজন নিকটাত্মীয়ের ভরণপোষণ করে থাকলে (৭৫ লাখ গুণন ২) দেড় কোটি মানুষের ভরণপোষণ করেন প্রবাসীরা। দেশের আবাসনশিল্প, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীদের অর্থ। প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন কুমিল্লা থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। এসব জেলার জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা তুলনা করলেই প্রবাসীদের অবদানের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী হয়েছেন ঢাকা জেলা থেকে। এরপরই রয়েছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুর। এসব জেলার অগ্রযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভার দেশের অন্য এলাকা থেকে অনেক গুণ বেশি। এতেই প্রতীয়মান হয়, প্রবাসীরা নীরবে দেশের অগ্রযাত্রায় কতটা অবদান রাখছেন। মৌলিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায়ও এসব জেলা এগিয়ে তাই দেশে শিক্ষার হার বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, প্রবাসীদের সন্তানরা মৌলিক শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান এমনকি নিকটাত্মীয়রাও শিক্ষা শেষে কেবল চাকরির আশায় সরকার বা অন্য কারও দ্বারস্থ হয় না। তারা প্রবাসী অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। একই সঙ্গে তারা অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবাসীদের অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকেও রয়েছে প্রবাসীদের টাকা। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি অংশ পরিচালনা করেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের সমস্যা ও সংকটের আকৃতিটা যে কত বড় তা একটি পত্রিকার পাতায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। বলা যায়, তা প্রবাসীদের প্রতি আরেকটি অবিচার, কারণ প্রবাসজীবনের শুরু থেকে শেষ এমনকি মৃত্যুর পরও সমস্যা আর জটিলতার অবসান হয় না। এ জটিলতার শুরুটা হয় নিজ ঘর থেকেই। একজন তরুণ যদি কোনো ব্যবসা শুরুর জন্য পুঁজির আবদার করে, তবে কেউই এমনকি বাবা-মা বা ভাইবোনও কোনো টাকা দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত কথায় বলা হয়, ‘ও টাকা নষ্ট করে ফেলবে’। অথচ এই তরুণই যখন প্রবাসী হতে চায়, তখন নিকটাত্মীয় এমনকি শ্বশুরপক্ষও প্রয়োজনে জমি ও গয়না বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে টাকার জোগান দেয়। এ টাকার জোগান প্রক্রিয়াটা পুরো পরিবারে একটা মানসিক সংকট তৈরি করে। যৌতুকজনিত যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার উল্লেখযোগ্য অংশের নেপথ্যে রয়েছে এই টাকার জোগান। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান অসাধু রপ্তানিকারক ও তাদের দোসর বা যারা আদম ব্যাপারি নামে সমাজে বেশি পরিচিত। যদি একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মরুময় দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় নামমাত্র বেতন আর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা এজন্য কেউ টাকা খরচ করতে চাইবে না। ফলে প্রতারক চক্র শুরুতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, কারখানা বা হোটেলে আকর্ষণীয় বেতন আর উন্নত জীবনযাত্রার কথা বলে প্রকৃত সত্য আড়াল করে। ফলে ঘরবাড়ি, গয়না, গবাদি পশু সব বিক্রি করে হলেও বিদেশে যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্র প্রথমে শুরু করে অল্প টাকার কথা বলে। তারপর একে একে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্টকার্ড এবং বিমান ভাড়ার কথা বলে সূক্ষ্মভাবে হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। এ ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতারক চক্র লক্ষ্য করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মা বা স্ত্রীর নাকে সোনার নাকফুল আছে কিনা। সেই নাকফুল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না। বাস্তবতা হলো, প্রবাসী হওয়ার বাসনাকে প্রতারক চক্র একটা নেশার মতো চাপিয়ে দেয় এবং প্রবাসের মাটিতে পা না ফেলা পর্যন্ত এই নেশা বা মোহ থেকে নিস্তার পেতে দেয় না। কোনো যুক্তিই তখন আর বোধগম্য হতে চায় না। আর নিজ পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে কিছু প্রবাসীর আকর্ষণীয় বাড়িঘর ও বিলাসী জীবন এই নেশা বা মোহকে আরও জোরালো করে। কিন্তু প্রবাসে যে সত্তর বা আশির দশকের মতো সুযোগ-সুবিধা বা উপার্জন নেই; তা কেউ বুঝতে চায় না আর বুঝলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বা প্রবাসী হওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। গত ৫ মে, ২০১৯ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, অভিবাসনের জন্য উচ্চমাত্রার খরচ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কেননা যখন একজন প্রবাসী তার পরিবারকে ঋণগ্রস্ত বা নিঃস্ব করে বিদেশে যায় তখন যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সে কাজ করতে বাধ্য হয়। এমনকি সে সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত শ্রম কিংবা অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করে না। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (international Organisation for Migration) সংক্ষেপে আইওএম এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা সাত লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। সংস্থাটির আরেকটি তথ্যমতে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত খরচ করে বিদেশে গেলেও তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনেই কাজে নেমে যায়। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডাটা পোর্টাল (Migration Data Portal) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আর করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপাইনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। Migration Data Portal আরেকটি তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে শ্রমিকরা ইতালিতে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং একজন আফ্রিকান শ্রমিক দুই থেকে ছয় মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করেছে। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈধ বা অবৈধ পথে ইতালি যেতে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করত এবং কত দিনে এই টাকা আয় করবে, তা ছিল অনিশ্চিত। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ ও সমুদ্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হতভাগ্য শ্রমিকের প্রত্যেকে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করেন।

 

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

৪ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য