শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

প্রবাসীদের বোবাকান্না

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবাসীদের বোবাকান্না

দীর্ঘদিনের প্রবাসজীবন আর পিএইচডি লাভের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে নতুন এক থিওরি বা তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছিলাম। যার নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, আমলা, সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সফর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের কাছে পেয়ে প্রবাসীরা আবেগে আপ্লুত ও আনন্দে উদ্বেলিত হন। আপনজন ভেবে সুখ-দুঃখের অনেক কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। এরপর নামিদামি হোটেলে সংবর্ধনা ও রকমারি উপহার প্রদান। অনেকে আবার ভবিষ্যতে দেশে কিছু সুবিধালাভের আশায় ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে দেখা করেন এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে আসেন। প্রতি উত্তরে সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা বা ঘরোয়া বৈঠকে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ওই দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে তাদের আপ্যায়িত করেন। এরপর বিদায়পর্ব, নির্দিষ্ট দিনে তারা যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছেন, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে দেখা যায় যে, উপহারে ঠাসা লাগেজ নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করেছে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তখন কিছু মালামাল দূতাবাস বা অন্য কারও জিম্মায় রেখে যান পরে পাঠানোর জন্য। ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’মতে, এ সময় তারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীদের বোবাকান্নার স্মৃতি এয়ারপোর্টেই রেখে যান অতিরিক্ত মালামালের সঙ্গে। পরে অতিরিক্ত মালামাল কোনো না কোনোভাবে দেশে পৌঁছলেও পৌঁছে না শুধু প্রবাসীদের দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীর বোবাকান্না। এমনিভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তি বা ভিআইপি আসেন আর যান, কিন্তু প্রবাসীদের দুঃখ আর যায় না। এরই নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’।

প্রবাসীদের নিয়ে মুখরোচক বেশকিছু কথা চালু আছে। যেমন, ‘প্রবাসীদের ঘামের টাকা সচল রাখে দেশের চাকা’। আদর করে কেউ কেউ তাদের বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তবে প্রবাসী সিংহভাগ শ্রমিক যখন মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত মরুভূমিতে ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাস্তাঘাট-জাহাজ-সেতু বা দালান নির্মাণ করেন কিংবা গ্রামের একটি সহজ-সরল নারী যখন এক হাতে ২০-২৫ জনের একটি সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য হন, তখন ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকই শুধু উপলব্ধি করেন এই রেমিট্যান্স যুদ্ধটা কত অমানবিক।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে পাড়ি জমানো শুরু করেন। সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য, লিবিয়া ও স্বল্প আকারে অন্যান্য দেশে যাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭। ১৯৯৩ সালে এ সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। প্রতি বছর এত ব্যাপকসংখ্যক শ্রমিক দেশের বাইরে পাড়ি জমালেও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়নি। ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামের এই মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও মন্ত্রণালয়-অধীন কোনো বিভাগের সেবাপ্রত্যাশীদের দুঃখগাথা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই রচনা করতে হবে। তবে আশার কথা, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (বিএমইটি) বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবাসে গমনকারী শ্রমিকের সংখ্যা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে, যা কিছু মানুষকে অন্তত চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক প্রবাসী বিদেশে যোগ দেন, যার সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫।

আর ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার, বর্তমান বাজারমূল্যে যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এই বিচারে বলা যায়, দেশ চালাতে যে টাকা প্রয়োজন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে আয় করতে সক্ষম। শুধু মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন, যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রবাসীদের দেখভালের মূল দায়িত্ব পালন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য সারা বছরের বরাদ্দ ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। প্রবাসীদের শুধু মে মাসে বৈধপথে পাঠানো অর্থের পরিমাণ এ মন্ত্রণালয়ে সারা বছরের বাজেটের অর্ধেক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা ও সুখ-দুঃখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলতি বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এ অঙ্কের কাছাকাছি। যদি অবৈধ পথে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেরিত রেমিট্যান্সের হিসাব যোগ করা হয়, তবে এ অঙ্ক হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতিক্রম করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাপকহারে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ শুরু হলেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি সমীক্ষা ও প্রকাশনা বের করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অর্থায়নে নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে ((K4DM) প্রজেক্টের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম পরিচালিত সমীক্ষাটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বই আকারে Engagement non-resident Bangladeshis (NRBs) Pn National Development : Strategies, Challenges and Way Forward শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের মুখবন্ধে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই লিখেছেন যে, এটিই প্রবাসীদের বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা। যে প্রবাসীদের নিয়ে এত রং মাখা কথা, তাদের বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে হলো জাতিসংঘকে, অর্থ দিতে হলো ইউএনডিপিকে আর অপেক্ষা করতে হলো ২০১৮ সাল পর্যন্ত; যা প্রবাসীদের প্রতি বিভিন্ন মেয়াদের সরকারের অবহেলার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ২৪ লাখ বাংলাদেশি সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ দলিল যেমন : গ্রিনকার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (পিআর) ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ সমীক্ষার সারাংশে দেখা যায়, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশির মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ ১ কোটি মানুষের অধিকাংশই কর্মজীবী আর অল্পসংখ্যক কেবল গৃহিণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে তাদের অবস্থান যা-ই হোক ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অন্তত এই ১ কোটি মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ষোল ভাগের এক ভাগ, এ দেশের সরকারের কাছে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা বা সন্তানের শিক্ষা দাবি করে না। এই ১ কোটি প্রবাসীর ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৭৫ লাখ উপার্জনক্ষম প্রবাসী যদি নিজ বাবা, মা এবং অন্য দুজন নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মোট চারজনকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায় তবে (৭৫ লাখ গুণন ৪) অর্থাৎ ৩ কোটি মানুষের চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন প্রবাসীরা। তারা যদি একজন করে নিকটাত্মীয়কে ছোট বা মাঝারি আকারেও ব্যবসার পুঁজি দিয়ে থাকেন বা নিজ ব্যবসায় নিয়োগ দিয়ে থাকেন তবে ৭৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এই প্রবাসীরা। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী-সন্তান এমন দুজন নিকটাত্মীয়ের ভরণপোষণ করে থাকলে (৭৫ লাখ গুণন ২) দেড় কোটি মানুষের ভরণপোষণ করেন প্রবাসীরা। দেশের আবাসনশিল্প, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীদের অর্থ। প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন কুমিল্লা থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। এসব জেলার জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা তুলনা করলেই প্রবাসীদের অবদানের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী হয়েছেন ঢাকা জেলা থেকে। এরপরই রয়েছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুর। এসব জেলার অগ্রযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভার দেশের অন্য এলাকা থেকে অনেক গুণ বেশি। এতেই প্রতীয়মান হয়, প্রবাসীরা নীরবে দেশের অগ্রযাত্রায় কতটা অবদান রাখছেন। মৌলিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায়ও এসব জেলা এগিয়ে তাই দেশে শিক্ষার হার বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, প্রবাসীদের সন্তানরা মৌলিক শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান এমনকি নিকটাত্মীয়রাও শিক্ষা শেষে কেবল চাকরির আশায় সরকার বা অন্য কারও দ্বারস্থ হয় না। তারা প্রবাসী অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। একই সঙ্গে তারা অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবাসীদের অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকেও রয়েছে প্রবাসীদের টাকা। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি অংশ পরিচালনা করেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের সমস্যা ও সংকটের আকৃতিটা যে কত বড় তা একটি পত্রিকার পাতায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। বলা যায়, তা প্রবাসীদের প্রতি আরেকটি অবিচার, কারণ প্রবাসজীবনের শুরু থেকে শেষ এমনকি মৃত্যুর পরও সমস্যা আর জটিলতার অবসান হয় না। এ জটিলতার শুরুটা হয় নিজ ঘর থেকেই। একজন তরুণ যদি কোনো ব্যবসা শুরুর জন্য পুঁজির আবদার করে, তবে কেউই এমনকি বাবা-মা বা ভাইবোনও কোনো টাকা দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত কথায় বলা হয়, ‘ও টাকা নষ্ট করে ফেলবে’। অথচ এই তরুণই যখন প্রবাসী হতে চায়, তখন নিকটাত্মীয় এমনকি শ্বশুরপক্ষও প্রয়োজনে জমি ও গয়না বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে টাকার জোগান দেয়। এ টাকার জোগান প্রক্রিয়াটা পুরো পরিবারে একটা মানসিক সংকট তৈরি করে। যৌতুকজনিত যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার উল্লেখযোগ্য অংশের নেপথ্যে রয়েছে এই টাকার জোগান। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান অসাধু রপ্তানিকারক ও তাদের দোসর বা যারা আদম ব্যাপারি নামে সমাজে বেশি পরিচিত। যদি একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মরুময় দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় নামমাত্র বেতন আর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা এজন্য কেউ টাকা খরচ করতে চাইবে না। ফলে প্রতারক চক্র শুরুতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, কারখানা বা হোটেলে আকর্ষণীয় বেতন আর উন্নত জীবনযাত্রার কথা বলে প্রকৃত সত্য আড়াল করে। ফলে ঘরবাড়ি, গয়না, গবাদি পশু সব বিক্রি করে হলেও বিদেশে যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্র প্রথমে শুরু করে অল্প টাকার কথা বলে। তারপর একে একে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্টকার্ড এবং বিমান ভাড়ার কথা বলে সূক্ষ্মভাবে হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। এ ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতারক চক্র লক্ষ্য করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মা বা স্ত্রীর নাকে সোনার নাকফুল আছে কিনা। সেই নাকফুল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না। বাস্তবতা হলো, প্রবাসী হওয়ার বাসনাকে প্রতারক চক্র একটা নেশার মতো চাপিয়ে দেয় এবং প্রবাসের মাটিতে পা না ফেলা পর্যন্ত এই নেশা বা মোহ থেকে নিস্তার পেতে দেয় না। কোনো যুক্তিই তখন আর বোধগম্য হতে চায় না। আর নিজ পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে কিছু প্রবাসীর আকর্ষণীয় বাড়িঘর ও বিলাসী জীবন এই নেশা বা মোহকে আরও জোরালো করে। কিন্তু প্রবাসে যে সত্তর বা আশির দশকের মতো সুযোগ-সুবিধা বা উপার্জন নেই; তা কেউ বুঝতে চায় না আর বুঝলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বা প্রবাসী হওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। গত ৫ মে, ২০১৯ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, অভিবাসনের জন্য উচ্চমাত্রার খরচ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কেননা যখন একজন প্রবাসী তার পরিবারকে ঋণগ্রস্ত বা নিঃস্ব করে বিদেশে যায় তখন যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সে কাজ করতে বাধ্য হয়। এমনকি সে সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত শ্রম কিংবা অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করে না। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (international Organisation for Migration) সংক্ষেপে আইওএম এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা সাত লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। সংস্থাটির আরেকটি তথ্যমতে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত খরচ করে বিদেশে গেলেও তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনেই কাজে নেমে যায়। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডাটা পোর্টাল (Migration Data Portal) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আর করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপাইনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। Migration Data Portal আরেকটি তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে শ্রমিকরা ইতালিতে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং একজন আফ্রিকান শ্রমিক দুই থেকে ছয় মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করেছে। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈধ বা অবৈধ পথে ইতালি যেতে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করত এবং কত দিনে এই টাকা আয় করবে, তা ছিল অনিশ্চিত। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ ও সমুদ্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হতভাগ্য শ্রমিকের প্রত্যেকে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করেন।

 

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান
শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেপ্তার

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির পরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যামাজনে চাকরিচ্যুত হতে পারেন ৩০ হাজার কর্মকর্তা
অ্যামাজনে চাকরিচ্যুত হতে পারেন ৩০ হাজার কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্বল সরবরাহব্যবস্থায় আটকে রপ্তানি
দুর্বল সরবরাহব্যবস্থায় আটকে রপ্তানি

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিআরডিবির হিসাবরক্ষক কারাগারে
প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিআরডিবির হিসাবরক্ষক কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্ত থেকে পাঠানো চোরাচালানের বেলুন গুলি করে নামাবে লিথুয়ানিয়া
সীমান্ত থেকে পাঠানো চোরাচালানের বেলুন গুলি করে নামাবে লিথুয়ানিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় নির্যাতনের সাত দিন পর লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
কুমিল্লায় নির্যাতনের সাত দিন পর লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা
৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

গাজায় ঢুকছে মিশরের ভারি উদ্ধার সরঞ্জাম
গাজায় ঢুকছে মিশরের ভারি উদ্ধার সরঞ্জাম

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?
ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে খুন
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে খুন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জয়পুরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘এবিসিডি অফ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ প্রশিক্ষণ নিলেন ৫০ চিকিৎসক
‘এবিসিডি অফ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ প্রশিক্ষণ নিলেন ৫০ চিকিৎসক

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সোনারগাঁয়ে দেশীয় পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে দেশীয় পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার
দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুড়িগ্রামে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
কুড়িগ্রামে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা সীমান্ত থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি ইসরায়েলের
গাজা সীমান্ত থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি ইসরায়েলের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানদের কাছে হেরে শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ
আফগানদের কাছে হেরে শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রংপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কমলাপুরে ট্রেনের ধাক্কায়  বৃদ্ধার মৃত্যু
কমলাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির সাথে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
বিএনপির সাথে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হবিগঞ্জে বাবার বটির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
হবিগঞ্জে বাবার বটির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চোখের জলে কালামের বিদায়, শোকস্তব্ধ পুরো গ্রাম
চোখের জলে কালামের বিদায়, শোকস্তব্ধ পুরো গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
বগুড়ায় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!
নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি
আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট
মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প
২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ
জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!
লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু
মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়
হঠাৎ আকাশ শক্তি বাড়াতে তুরস্কের তোড়জোড়

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার
মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা

১৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার
দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০
ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থ পাচারে সহায়তার অভিযোগে ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা
অর্থ পাচারে সহায়তার অভিযোগে ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির ট্রেন, ঘণ্টায় ছুটবে ৪৫০ কিলোমিটার
চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির ট্রেন, ঘণ্টায় ছুটবে ৪৫০ কিলোমিটার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়
অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা
নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস
‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস

শোবিজ

মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ
মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ

শোবিজ

চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে
চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে

প্রথম পৃষ্ঠা

মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা
বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা

নগর জীবন

আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত
আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত

পেছনের পৃষ্ঠা

মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা
মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা

শোবিজ

বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম
বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম

শিল্প বাণিজ্য

১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

হারে সিরিজ শুরু লিটনদের
হারে সিরিজ শুরু লিটনদের

মাঠে ময়দানে

যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’

সম্পাদকীয়

জেনে রাখা ভালো
জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য

গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী
গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী

দেশগ্রাম

ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো
ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো

শিল্প বাণিজ্য

নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের
নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের

দেশগ্রাম

আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

দেশগ্রাম

প্যারাবন ধ্বংসে মামলা, আসামি ২০
প্যারাবন ধ্বংসে মামলা, আসামি ২০

দেশগ্রাম

অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক

সম্পাদকীয়

খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত
খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত

দেশগ্রাম

নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক-স্বাস্থ্যের টিম
নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক-স্বাস্থ্যের টিম

দেশগ্রাম

যে ঘণ্টা হয়ে ওঠে মৃত্যুর ঘণ্টা
যে ঘণ্টা হয়ে ওঠে মৃত্যুর ঘণ্টা

শোবিজ

চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল
চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল

শিল্প বাণিজ্য

সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে
সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে

দেশগ্রাম

চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

দেশগ্রাম

কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য
কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য

দেশগ্রাম

র্কপোরটে র্কনার
র্কপোরটে র্কনার

অর্থ-বাজার-বাণিজ্য

নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার

সম্পাদকীয়

হাসপাতালে অনিয়মের প্রতিবাদ ছাত্র-জনতার
হাসপাতালে অনিয়মের প্রতিবাদ ছাত্র-জনতার

দেশগ্রাম