শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

প্রবাসীদের বোবাকান্না

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবাসীদের বোবাকান্না

দীর্ঘদিনের প্রবাসজীবন আর পিএইচডি লাভের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে নতুন এক থিওরি বা তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছিলাম। যার নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, আমলা, সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সফর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের কাছে পেয়ে প্রবাসীরা আবেগে আপ্লুত ও আনন্দে উদ্বেলিত হন। আপনজন ভেবে সুখ-দুঃখের অনেক কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। এরপর নামিদামি হোটেলে সংবর্ধনা ও রকমারি উপহার প্রদান। অনেকে আবার ভবিষ্যতে দেশে কিছু সুবিধালাভের আশায় ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে দেখা করেন এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে আসেন। প্রতি উত্তরে সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা বা ঘরোয়া বৈঠকে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ওই দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে তাদের আপ্যায়িত করেন। এরপর বিদায়পর্ব, নির্দিষ্ট দিনে তারা যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছেন, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে দেখা যায় যে, উপহারে ঠাসা লাগেজ নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করেছে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তখন কিছু মালামাল দূতাবাস বা অন্য কারও জিম্মায় রেখে যান পরে পাঠানোর জন্য। ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’মতে, এ সময় তারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীদের বোবাকান্নার স্মৃতি এয়ারপোর্টেই রেখে যান অতিরিক্ত মালামালের সঙ্গে। পরে অতিরিক্ত মালামাল কোনো না কোনোভাবে দেশে পৌঁছলেও পৌঁছে না শুধু প্রবাসীদের দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীর বোবাকান্না। এমনিভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তি বা ভিআইপি আসেন আর যান, কিন্তু প্রবাসীদের দুঃখ আর যায় না। এরই নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’।

প্রবাসীদের নিয়ে মুখরোচক বেশকিছু কথা চালু আছে। যেমন, ‘প্রবাসীদের ঘামের টাকা সচল রাখে দেশের চাকা’। আদর করে কেউ কেউ তাদের বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তবে প্রবাসী সিংহভাগ শ্রমিক যখন মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত মরুভূমিতে ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাস্তাঘাট-জাহাজ-সেতু বা দালান নির্মাণ করেন কিংবা গ্রামের একটি সহজ-সরল নারী যখন এক হাতে ২০-২৫ জনের একটি সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য হন, তখন ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকই শুধু উপলব্ধি করেন এই রেমিট্যান্স যুদ্ধটা কত অমানবিক।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে পাড়ি জমানো শুরু করেন। সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য, লিবিয়া ও স্বল্প আকারে অন্যান্য দেশে যাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭। ১৯৯৩ সালে এ সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। প্রতি বছর এত ব্যাপকসংখ্যক শ্রমিক দেশের বাইরে পাড়ি জমালেও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়নি। ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামের এই মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও মন্ত্রণালয়-অধীন কোনো বিভাগের সেবাপ্রত্যাশীদের দুঃখগাথা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই রচনা করতে হবে। তবে আশার কথা, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (বিএমইটি) বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবাসে গমনকারী শ্রমিকের সংখ্যা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে, যা কিছু মানুষকে অন্তত চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক প্রবাসী বিদেশে যোগ দেন, যার সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫।

আর ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার, বর্তমান বাজারমূল্যে যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এই বিচারে বলা যায়, দেশ চালাতে যে টাকা প্রয়োজন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে আয় করতে সক্ষম। শুধু মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন, যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রবাসীদের দেখভালের মূল দায়িত্ব পালন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য সারা বছরের বরাদ্দ ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। প্রবাসীদের শুধু মে মাসে বৈধপথে পাঠানো অর্থের পরিমাণ এ মন্ত্রণালয়ে সারা বছরের বাজেটের অর্ধেক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা ও সুখ-দুঃখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলতি বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এ অঙ্কের কাছাকাছি। যদি অবৈধ পথে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেরিত রেমিট্যান্সের হিসাব যোগ করা হয়, তবে এ অঙ্ক হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতিক্রম করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাপকহারে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ শুরু হলেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি সমীক্ষা ও প্রকাশনা বের করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অর্থায়নে নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে ((K4DM) প্রজেক্টের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম পরিচালিত সমীক্ষাটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বই আকারে Engagement non-resident Bangladeshis (NRBs) Pn National Development : Strategies, Challenges and Way Forward শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের মুখবন্ধে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই লিখেছেন যে, এটিই প্রবাসীদের বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা। যে প্রবাসীদের নিয়ে এত রং মাখা কথা, তাদের বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে হলো জাতিসংঘকে, অর্থ দিতে হলো ইউএনডিপিকে আর অপেক্ষা করতে হলো ২০১৮ সাল পর্যন্ত; যা প্রবাসীদের প্রতি বিভিন্ন মেয়াদের সরকারের অবহেলার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ২৪ লাখ বাংলাদেশি সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ দলিল যেমন : গ্রিনকার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (পিআর) ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ সমীক্ষার সারাংশে দেখা যায়, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশির মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ ১ কোটি মানুষের অধিকাংশই কর্মজীবী আর অল্পসংখ্যক কেবল গৃহিণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে তাদের অবস্থান যা-ই হোক ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অন্তত এই ১ কোটি মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ষোল ভাগের এক ভাগ, এ দেশের সরকারের কাছে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা বা সন্তানের শিক্ষা দাবি করে না। এই ১ কোটি প্রবাসীর ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৭৫ লাখ উপার্জনক্ষম প্রবাসী যদি নিজ বাবা, মা এবং অন্য দুজন নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মোট চারজনকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায় তবে (৭৫ লাখ গুণন ৪) অর্থাৎ ৩ কোটি মানুষের চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন প্রবাসীরা। তারা যদি একজন করে নিকটাত্মীয়কে ছোট বা মাঝারি আকারেও ব্যবসার পুঁজি দিয়ে থাকেন বা নিজ ব্যবসায় নিয়োগ দিয়ে থাকেন তবে ৭৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এই প্রবাসীরা। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী-সন্তান এমন দুজন নিকটাত্মীয়ের ভরণপোষণ করে থাকলে (৭৫ লাখ গুণন ২) দেড় কোটি মানুষের ভরণপোষণ করেন প্রবাসীরা। দেশের আবাসনশিল্প, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীদের অর্থ। প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন কুমিল্লা থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। এসব জেলার জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা তুলনা করলেই প্রবাসীদের অবদানের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী হয়েছেন ঢাকা জেলা থেকে। এরপরই রয়েছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুর। এসব জেলার অগ্রযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভার দেশের অন্য এলাকা থেকে অনেক গুণ বেশি। এতেই প্রতীয়মান হয়, প্রবাসীরা নীরবে দেশের অগ্রযাত্রায় কতটা অবদান রাখছেন। মৌলিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায়ও এসব জেলা এগিয়ে তাই দেশে শিক্ষার হার বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, প্রবাসীদের সন্তানরা মৌলিক শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান এমনকি নিকটাত্মীয়রাও শিক্ষা শেষে কেবল চাকরির আশায় সরকার বা অন্য কারও দ্বারস্থ হয় না। তারা প্রবাসী অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। একই সঙ্গে তারা অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবাসীদের অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকেও রয়েছে প্রবাসীদের টাকা। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি অংশ পরিচালনা করেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের সমস্যা ও সংকটের আকৃতিটা যে কত বড় তা একটি পত্রিকার পাতায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। বলা যায়, তা প্রবাসীদের প্রতি আরেকটি অবিচার, কারণ প্রবাসজীবনের শুরু থেকে শেষ এমনকি মৃত্যুর পরও সমস্যা আর জটিলতার অবসান হয় না। এ জটিলতার শুরুটা হয় নিজ ঘর থেকেই। একজন তরুণ যদি কোনো ব্যবসা শুরুর জন্য পুঁজির আবদার করে, তবে কেউই এমনকি বাবা-মা বা ভাইবোনও কোনো টাকা দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত কথায় বলা হয়, ‘ও টাকা নষ্ট করে ফেলবে’। অথচ এই তরুণই যখন প্রবাসী হতে চায়, তখন নিকটাত্মীয় এমনকি শ্বশুরপক্ষও প্রয়োজনে জমি ও গয়না বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে টাকার জোগান দেয়। এ টাকার জোগান প্রক্রিয়াটা পুরো পরিবারে একটা মানসিক সংকট তৈরি করে। যৌতুকজনিত যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার উল্লেখযোগ্য অংশের নেপথ্যে রয়েছে এই টাকার জোগান। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান অসাধু রপ্তানিকারক ও তাদের দোসর বা যারা আদম ব্যাপারি নামে সমাজে বেশি পরিচিত। যদি একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মরুময় দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় নামমাত্র বেতন আর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা এজন্য কেউ টাকা খরচ করতে চাইবে না। ফলে প্রতারক চক্র শুরুতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, কারখানা বা হোটেলে আকর্ষণীয় বেতন আর উন্নত জীবনযাত্রার কথা বলে প্রকৃত সত্য আড়াল করে। ফলে ঘরবাড়ি, গয়না, গবাদি পশু সব বিক্রি করে হলেও বিদেশে যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্র প্রথমে শুরু করে অল্প টাকার কথা বলে। তারপর একে একে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্টকার্ড এবং বিমান ভাড়ার কথা বলে সূক্ষ্মভাবে হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। এ ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতারক চক্র লক্ষ্য করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মা বা স্ত্রীর নাকে সোনার নাকফুল আছে কিনা। সেই নাকফুল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না। বাস্তবতা হলো, প্রবাসী হওয়ার বাসনাকে প্রতারক চক্র একটা নেশার মতো চাপিয়ে দেয় এবং প্রবাসের মাটিতে পা না ফেলা পর্যন্ত এই নেশা বা মোহ থেকে নিস্তার পেতে দেয় না। কোনো যুক্তিই তখন আর বোধগম্য হতে চায় না। আর নিজ পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে কিছু প্রবাসীর আকর্ষণীয় বাড়িঘর ও বিলাসী জীবন এই নেশা বা মোহকে আরও জোরালো করে। কিন্তু প্রবাসে যে সত্তর বা আশির দশকের মতো সুযোগ-সুবিধা বা উপার্জন নেই; তা কেউ বুঝতে চায় না আর বুঝলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বা প্রবাসী হওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। গত ৫ মে, ২০১৯ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, অভিবাসনের জন্য উচ্চমাত্রার খরচ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কেননা যখন একজন প্রবাসী তার পরিবারকে ঋণগ্রস্ত বা নিঃস্ব করে বিদেশে যায় তখন যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সে কাজ করতে বাধ্য হয়। এমনকি সে সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত শ্রম কিংবা অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করে না। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (international Organisation for Migration) সংক্ষেপে আইওএম এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা সাত লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। সংস্থাটির আরেকটি তথ্যমতে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত খরচ করে বিদেশে গেলেও তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনেই কাজে নেমে যায়। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডাটা পোর্টাল (Migration Data Portal) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আর করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপাইনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। Migration Data Portal আরেকটি তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে শ্রমিকরা ইতালিতে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং একজন আফ্রিকান শ্রমিক দুই থেকে ছয় মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করেছে। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈধ বা অবৈধ পথে ইতালি যেতে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করত এবং কত দিনে এই টাকা আয় করবে, তা ছিল অনিশ্চিত। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ ও সমুদ্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হতভাগ্য শ্রমিকের প্রত্যেকে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করেন।

 

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৪০ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২

পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি
সিটি লিভারপুলের হারের রাতে চেলসির স্বস্তি

মাঠে ময়দানে