শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

প্রবাসীদের বোবাকান্না

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবাসীদের বোবাকান্না

দীর্ঘদিনের প্রবাসজীবন আর পিএইচডি লাভের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে নতুন এক থিওরি বা তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছিলাম। যার নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, আমলা, সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সফর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের কাছে পেয়ে প্রবাসীরা আবেগে আপ্লুত ও আনন্দে উদ্বেলিত হন। আপনজন ভেবে সুখ-দুঃখের অনেক কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। এরপর নামিদামি হোটেলে সংবর্ধনা ও রকমারি উপহার প্রদান। অনেকে আবার ভবিষ্যতে দেশে কিছু সুবিধালাভের আশায় ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে দেখা করেন এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে আসেন। প্রতি উত্তরে সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা বা ঘরোয়া বৈঠকে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ওই দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে তাদের আপ্যায়িত করেন। এরপর বিদায়পর্ব, নির্দিষ্ট দিনে তারা যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছেন, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে দেখা যায় যে, উপহারে ঠাসা লাগেজ নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করেছে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তখন কিছু মালামাল দূতাবাস বা অন্য কারও জিম্মায় রেখে যান পরে পাঠানোর জন্য। ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’মতে, এ সময় তারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীদের বোবাকান্নার স্মৃতি এয়ারপোর্টেই রেখে যান অতিরিক্ত মালামালের সঙ্গে। পরে অতিরিক্ত মালামাল কোনো না কোনোভাবে দেশে পৌঁছলেও পৌঁছে না শুধু প্রবাসীদের দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীর বোবাকান্না। এমনিভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তি বা ভিআইপি আসেন আর যান, কিন্তু প্রবাসীদের দুঃখ আর যায় না। এরই নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’।

প্রবাসীদের নিয়ে মুখরোচক বেশকিছু কথা চালু আছে। যেমন, ‘প্রবাসীদের ঘামের টাকা সচল রাখে দেশের চাকা’। আদর করে কেউ কেউ তাদের বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তবে প্রবাসী সিংহভাগ শ্রমিক যখন মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত মরুভূমিতে ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাস্তাঘাট-জাহাজ-সেতু বা দালান নির্মাণ করেন কিংবা গ্রামের একটি সহজ-সরল নারী যখন এক হাতে ২০-২৫ জনের একটি সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য হন, তখন ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকই শুধু উপলব্ধি করেন এই রেমিট্যান্স যুদ্ধটা কত অমানবিক।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে পাড়ি জমানো শুরু করেন। সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য, লিবিয়া ও স্বল্প আকারে অন্যান্য দেশে যাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭। ১৯৯৩ সালে এ সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। প্রতি বছর এত ব্যাপকসংখ্যক শ্রমিক দেশের বাইরে পাড়ি জমালেও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়নি। ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামের এই মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও মন্ত্রণালয়-অধীন কোনো বিভাগের সেবাপ্রত্যাশীদের দুঃখগাথা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই রচনা করতে হবে। তবে আশার কথা, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (বিএমইটি) বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবাসে গমনকারী শ্রমিকের সংখ্যা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে, যা কিছু মানুষকে অন্তত চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক প্রবাসী বিদেশে যোগ দেন, যার সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫।

আর ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার, বর্তমান বাজারমূল্যে যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এই বিচারে বলা যায়, দেশ চালাতে যে টাকা প্রয়োজন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে আয় করতে সক্ষম। শুধু মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন, যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রবাসীদের দেখভালের মূল দায়িত্ব পালন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য সারা বছরের বরাদ্দ ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। প্রবাসীদের শুধু মে মাসে বৈধপথে পাঠানো অর্থের পরিমাণ এ মন্ত্রণালয়ে সারা বছরের বাজেটের অর্ধেক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা ও সুখ-দুঃখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলতি বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এ অঙ্কের কাছাকাছি। যদি অবৈধ পথে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেরিত রেমিট্যান্সের হিসাব যোগ করা হয়, তবে এ অঙ্ক হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতিক্রম করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাপকহারে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ শুরু হলেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি সমীক্ষা ও প্রকাশনা বের করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অর্থায়নে নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে ((K4DM) প্রজেক্টের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম পরিচালিত সমীক্ষাটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বই আকারে Engagement non-resident Bangladeshis (NRBs) Pn National Development : Strategies, Challenges and Way Forward শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের মুখবন্ধে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই লিখেছেন যে, এটিই প্রবাসীদের বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা। যে প্রবাসীদের নিয়ে এত রং মাখা কথা, তাদের বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে হলো জাতিসংঘকে, অর্থ দিতে হলো ইউএনডিপিকে আর অপেক্ষা করতে হলো ২০১৮ সাল পর্যন্ত; যা প্রবাসীদের প্রতি বিভিন্ন মেয়াদের সরকারের অবহেলার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ২৪ লাখ বাংলাদেশি সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ দলিল যেমন : গ্রিনকার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (পিআর) ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ সমীক্ষার সারাংশে দেখা যায়, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশির মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ ১ কোটি মানুষের অধিকাংশই কর্মজীবী আর অল্পসংখ্যক কেবল গৃহিণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে তাদের অবস্থান যা-ই হোক ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অন্তত এই ১ কোটি মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ষোল ভাগের এক ভাগ, এ দেশের সরকারের কাছে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা বা সন্তানের শিক্ষা দাবি করে না। এই ১ কোটি প্রবাসীর ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৭৫ লাখ উপার্জনক্ষম প্রবাসী যদি নিজ বাবা, মা এবং অন্য দুজন নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মোট চারজনকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায় তবে (৭৫ লাখ গুণন ৪) অর্থাৎ ৩ কোটি মানুষের চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন প্রবাসীরা। তারা যদি একজন করে নিকটাত্মীয়কে ছোট বা মাঝারি আকারেও ব্যবসার পুঁজি দিয়ে থাকেন বা নিজ ব্যবসায় নিয়োগ দিয়ে থাকেন তবে ৭৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এই প্রবাসীরা। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী-সন্তান এমন দুজন নিকটাত্মীয়ের ভরণপোষণ করে থাকলে (৭৫ লাখ গুণন ২) দেড় কোটি মানুষের ভরণপোষণ করেন প্রবাসীরা। দেশের আবাসনশিল্প, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীদের অর্থ। প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন কুমিল্লা থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। এসব জেলার জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা তুলনা করলেই প্রবাসীদের অবদানের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী হয়েছেন ঢাকা জেলা থেকে। এরপরই রয়েছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুর। এসব জেলার অগ্রযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভার দেশের অন্য এলাকা থেকে অনেক গুণ বেশি। এতেই প্রতীয়মান হয়, প্রবাসীরা নীরবে দেশের অগ্রযাত্রায় কতটা অবদান রাখছেন। মৌলিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায়ও এসব জেলা এগিয়ে তাই দেশে শিক্ষার হার বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, প্রবাসীদের সন্তানরা মৌলিক শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান এমনকি নিকটাত্মীয়রাও শিক্ষা শেষে কেবল চাকরির আশায় সরকার বা অন্য কারও দ্বারস্থ হয় না। তারা প্রবাসী অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। একই সঙ্গে তারা অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবাসীদের অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকেও রয়েছে প্রবাসীদের টাকা। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি অংশ পরিচালনা করেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের সমস্যা ও সংকটের আকৃতিটা যে কত বড় তা একটি পত্রিকার পাতায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। বলা যায়, তা প্রবাসীদের প্রতি আরেকটি অবিচার, কারণ প্রবাসজীবনের শুরু থেকে শেষ এমনকি মৃত্যুর পরও সমস্যা আর জটিলতার অবসান হয় না। এ জটিলতার শুরুটা হয় নিজ ঘর থেকেই। একজন তরুণ যদি কোনো ব্যবসা শুরুর জন্য পুঁজির আবদার করে, তবে কেউই এমনকি বাবা-মা বা ভাইবোনও কোনো টাকা দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত কথায় বলা হয়, ‘ও টাকা নষ্ট করে ফেলবে’। অথচ এই তরুণই যখন প্রবাসী হতে চায়, তখন নিকটাত্মীয় এমনকি শ্বশুরপক্ষও প্রয়োজনে জমি ও গয়না বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে টাকার জোগান দেয়। এ টাকার জোগান প্রক্রিয়াটা পুরো পরিবারে একটা মানসিক সংকট তৈরি করে। যৌতুকজনিত যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার উল্লেখযোগ্য অংশের নেপথ্যে রয়েছে এই টাকার জোগান। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান অসাধু রপ্তানিকারক ও তাদের দোসর বা যারা আদম ব্যাপারি নামে সমাজে বেশি পরিচিত। যদি একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মরুময় দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় নামমাত্র বেতন আর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা এজন্য কেউ টাকা খরচ করতে চাইবে না। ফলে প্রতারক চক্র শুরুতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, কারখানা বা হোটেলে আকর্ষণীয় বেতন আর উন্নত জীবনযাত্রার কথা বলে প্রকৃত সত্য আড়াল করে। ফলে ঘরবাড়ি, গয়না, গবাদি পশু সব বিক্রি করে হলেও বিদেশে যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্র প্রথমে শুরু করে অল্প টাকার কথা বলে। তারপর একে একে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্টকার্ড এবং বিমান ভাড়ার কথা বলে সূক্ষ্মভাবে হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। এ ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতারক চক্র লক্ষ্য করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মা বা স্ত্রীর নাকে সোনার নাকফুল আছে কিনা। সেই নাকফুল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না। বাস্তবতা হলো, প্রবাসী হওয়ার বাসনাকে প্রতারক চক্র একটা নেশার মতো চাপিয়ে দেয় এবং প্রবাসের মাটিতে পা না ফেলা পর্যন্ত এই নেশা বা মোহ থেকে নিস্তার পেতে দেয় না। কোনো যুক্তিই তখন আর বোধগম্য হতে চায় না। আর নিজ পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে কিছু প্রবাসীর আকর্ষণীয় বাড়িঘর ও বিলাসী জীবন এই নেশা বা মোহকে আরও জোরালো করে। কিন্তু প্রবাসে যে সত্তর বা আশির দশকের মতো সুযোগ-সুবিধা বা উপার্জন নেই; তা কেউ বুঝতে চায় না আর বুঝলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বা প্রবাসী হওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। গত ৫ মে, ২০১৯ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, অভিবাসনের জন্য উচ্চমাত্রার খরচ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কেননা যখন একজন প্রবাসী তার পরিবারকে ঋণগ্রস্ত বা নিঃস্ব করে বিদেশে যায় তখন যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সে কাজ করতে বাধ্য হয়। এমনকি সে সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত শ্রম কিংবা অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করে না। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (international Organisation for Migration) সংক্ষেপে আইওএম এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা সাত লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। সংস্থাটির আরেকটি তথ্যমতে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত খরচ করে বিদেশে গেলেও তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনেই কাজে নেমে যায়। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডাটা পোর্টাল (Migration Data Portal) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আর করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপাইনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। Migration Data Portal আরেকটি তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে শ্রমিকরা ইতালিতে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং একজন আফ্রিকান শ্রমিক দুই থেকে ছয় মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করেছে। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈধ বা অবৈধ পথে ইতালি যেতে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করত এবং কত দিনে এই টাকা আয় করবে, তা ছিল অনিশ্চিত। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ ও সমুদ্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হতভাগ্য শ্রমিকের প্রত্যেকে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করেন।

 

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
সর্বশেষ খবর
ভালুকায় বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
ভালুকায় বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প

১০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

কুড়িগ্রামে শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে অভিযান, জরিমানা
কুড়িগ্রামে শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে অভিযান, জরিমানা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহেশপুরে কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
মহেশপুরে কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোলায় নবজাতক হত্যা, নানা-নানির কারাদণ্ড
ভোলায় নবজাতক হত্যা, নানা-নানির কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ
মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ষড়যন্ত্র নয়, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: হেলাল
ষড়যন্ত্র নয়, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান
মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মক্ষেত্র দখল করছে প্রযুক্তি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে
কর্মক্ষেত্র দখল করছে প্রযুক্তি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডেনমার্ক মডেলের কঠোর অভিবাসন নীতি আনছে যুক্তরাজ্য?
ডেনমার্ক মডেলের কঠোর অভিবাসন নীতি আনছে যুক্তরাজ্য?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল, জেলাজুড়ে মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল, জেলাজুড়ে মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার
রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মায়া সভ্যতার দিনক্ষণ নির্ণয়ের রহস্য ভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা
মায়া সভ্যতার দিনক্ষণ নির্ণয়ের রহস্য ভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজবাড়ীতে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত
রাজবাড়ীতে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি, ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত ইরানি মিসাইল কারাখানা
পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি, ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত ইরানি মিসাইল কারাখানা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল
দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা মিলবে ‘টোরিডস’ উল্কাবৃষ্টি
নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা মিলবে ‘টোরিডস’ উল্কাবৃষ্টি

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব কক্ষ, নিজের রক্ত চলাচলের শব্দও শোনা যায়!
পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব কক্ষ, নিজের রক্ত চলাচলের শব্দও শোনা যায়!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এখনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল নয় বাংলাদেশ : ইতালির রাষ্ট্রদূত
এখনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল নয় বাংলাদেশ : ইতালির রাষ্ট্রদূত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা, কিন্তু কেন?
এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা, কিন্তু কেন?

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি
ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বিচ্ছিন্ন শরীর আর হাত পড়েছিল রাস্তায়
দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বিচ্ছিন্ন শরীর আর হাত পড়েছিল রাস্তায়

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ সিরিজের আগে আয়ারল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা
বাংলাদেশ সিরিজের আগে আয়ারল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি সরকার গঠন করলে কাজের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম আসতে হবে না : আমীর খসরু
বিএনপি সরকার গঠন করলে কাজের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম আসতে হবে না : আমীর খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার
কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করল নৌবাহিনী
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করল নৌবাহিনী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দিল্লি উত্তর প্রদেশ ও মুম্বাইয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি
ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দিল্লি উত্তর প্রদেশ ও মুম্বাইয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবককে কুপিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
যুবককে কুপিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে দুই বাসে আগুন
রাজধানীতে দুই বাসে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ
পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়
পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ পরিবারের অবস্থান জানালেন মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ পরিবারের অবস্থান জানালেন মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল
রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন
ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড
তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নির্দেশ
সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের
গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিলেন টুকু
খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিলেন টুকু

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে
প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব
নিষিদ্ধ দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি
হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলে ভূগর্ভস্থ গোপন কারাগার, বন্দী ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলে ভূগর্ভস্থ গোপন কারাগার, বন্দী ফিলিস্তিনিরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামল
আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামল

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জিএমপির সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত
জিএমপির সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর
স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বল এখন কার কোর্টে
বল এখন কার কোর্টে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ধুঁকছে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন
ধুঁকছে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে
আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে

নগর জীবন

ডিসি গিয়ে পেলেন পাহাড়ের ‘কঙ্কাল’
ডিসি গিয়ে পেলেন পাহাড়ের ‘কঙ্কাল’

নগর জীবন

হঠাৎ চোরাগোপ্তা হামলা
হঠাৎ চোরাগোপ্তা হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

এলেন, গুলি করলেন চলে গেলেন
এলেন, গুলি করলেন চলে গেলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার যোগদানে প্রাণ ফিরবে অনুশীলনে
হামজার যোগদানে প্রাণ ফিরবে অনুশীলনে

মাঠে ময়দানে

অফিসে ব্যাগ-আইডি রেখে নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
অফিসে ব্যাগ-আইডি রেখে নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতি
প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘প্রিন্স’ ছবিতে জ্যাকি শ্রফ?
‘প্রিন্স’ ছবিতে জ্যাকি শ্রফ?

শোবিজ

সুচন্দার দুঃখ
সুচন্দার দুঃখ

শোবিজ

সম্পর্ক নিয়ে কোয়েল
সম্পর্ক নিয়ে কোয়েল

শোবিজ

বিইউএফটি ন্যাশনাল কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সরকারি বিজ্ঞান কলেজ
বিইউএফটি ন্যাশনাল কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

নগর জীবন

২২ মিনিটেই শেষ ১৮ হাজার টিকিট
২২ মিনিটেই শেষ ১৮ হাজার টিকিট

মাঠে ময়দানে

সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি
সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ
চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ভয় শঙ্কায় নেই কনসার্ট
ভয় শঙ্কায় নেই কনসার্ট

শোবিজ

সারা দেশে চালু হচ্ছে ওপেন ব্যাংকিং
সারা দেশে চালু হচ্ছে ওপেন ব্যাংকিং

শিল্প বাণিজ্য

অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়

সম্পাদকীয়

৬১৫ আসন কমেছে মেডিকেল কলেজে
৬১৫ আসন কমেছে মেডিকেল কলেজে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহরেই শামুকখোল পানকৌড়ির বসবাস
শহরেই শামুকখোল পানকৌড়ির বসবাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা

সম্পাদকীয়

ছেলের হাতে বাবা খুন
ছেলের হাতে বাবা খুন

দেশগ্রাম

জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য

সম্পাদকীয়

২০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক
২০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক

দেশগ্রাম

ছেলের পাত্রী দেখে ফেরার পথে বাবা মাসহ নিহত ৩
ছেলের পাত্রী দেখে ফেরার পথে বাবা মাসহ নিহত ৩

দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে রাতভর আটকে নির্যাতন
চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে রাতভর আটকে নির্যাতন

দেশগ্রাম

রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি

সম্পাদকীয়

জুলাই সনদ
জুলাই সনদ

সম্পাদকীয়