শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯ আপডেট:

প্রবাসীদের বোবাকান্না

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবাসীদের বোবাকান্না

দীর্ঘদিনের প্রবাসজীবন আর পিএইচডি লাভের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে নতুন এক থিওরি বা তত্ত্বের সন্ধান পেয়েছিলাম। যার নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, আমলা, সংসদীয় কমিটির সদস্যসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সফর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের কাছে পেয়ে প্রবাসীরা আবেগে আপ্লুত ও আনন্দে উদ্বেলিত হন। আপনজন ভেবে সুখ-দুঃখের অনেক কথা তুলে ধরেন তাদের কাছে। এরপর নামিদামি হোটেলে সংবর্ধনা ও রকমারি উপহার প্রদান। অনেকে আবার ভবিষ্যতে দেশে কিছু সুবিধালাভের আশায় ব্যক্তিগতভাবে হোটেলে দেখা করেন এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে আসেন। প্রতি উত্তরে সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংবর্ধনা বা ঘরোয়া বৈঠকে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রবাসীরা হাততালি দিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ওই দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারে তাদের আপ্যায়িত করেন। এরপর বিদায়পর্ব, নির্দিষ্ট দিনে তারা যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছেন, তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে দেখা যায় যে, উপহারে ঠাসা লাগেজ নির্দিষ্ট ওজন অতিক্রম করেছে। নিতান্ত অনিচ্ছায় তখন কিছু মালামাল দূতাবাস বা অন্য কারও জিম্মায় রেখে যান পরে পাঠানোর জন্য। ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’মতে, এ সময় তারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীদের বোবাকান্নার স্মৃতি এয়ারপোর্টেই রেখে যান অতিরিক্ত মালামালের সঙ্গে। পরে অতিরিক্ত মালামাল কোনো না কোনোভাবে দেশে পৌঁছলেও পৌঁছে না শুধু প্রবাসীদের দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি আর প্রবাসীর বোবাকান্না। এমনিভাবে একের পর এক গণ্যমান্য ব্যক্তি বা ভিআইপি আসেন আর যান, কিন্তু প্রবাসীদের দুঃখ আর যায় না। এরই নাম ‘এয়ারপোর্ট থিওরি’।

প্রবাসীদের নিয়ে মুখরোচক বেশকিছু কথা চালু আছে। যেমন, ‘প্রবাসীদের ঘামের টাকা সচল রাখে দেশের চাকা’। আদর করে কেউ কেউ তাদের বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’। তবে প্রবাসী সিংহভাগ শ্রমিক যখন মধ্যপ্রাচ্যের তপ্ত মরুভূমিতে ৪৫-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাস্তাঘাট-জাহাজ-সেতু বা দালান নির্মাণ করেন কিংবা গ্রামের একটি সহজ-সরল নারী যখন এক হাতে ২০-২৫ জনের একটি সংসারের সব কাজ করতে বাধ্য হন, তখন ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকই শুধু উপলব্ধি করেন এই রেমিট্যান্স যুদ্ধটা কত অমানবিক।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে পাড়ি জমানো শুরু করেন। সরকারি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে মধ্যপ্রাচ্য, লিবিয়া ও স্বল্প আকারে অন্যান্য দেশে যাওয়া প্রবাসীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮৭। ১৯৯৩ সালে এ সংখ্যা ২ লাখ অতিক্রম করে। প্রতি বছর এত ব্যাপকসংখ্যক শ্রমিক দেশের বাইরে পাড়ি জমালেও তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়নি। ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামের এই মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও মন্ত্রণালয়-অধীন কোনো বিভাগের সেবাপ্রত্যাশীদের দুঃখগাথা লিখতে গেলে আলাদা একটি বই রচনা করতে হবে। তবে আশার কথা, এই মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (বিএমইটি) বা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রবাসে গমনকারী শ্রমিকের সংখ্যা এবং প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে, যা কিছু মানুষকে অন্তত চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। এ ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক প্রবাসী বিদেশে যোগ দেন, যার সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫।

আর ২০১৫ সালে প্রবাসীরা ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রবাসীরা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার, বর্তমান বাজারমূল্যে যা প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারের বাজেট ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এই বিচারে বলা যায়, দেশ চালাতে যে টাকা প্রয়োজন তার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে আয় করতে সক্ষম। শুধু মে মাসে প্রবাসীরা প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছেন, যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রবাসীদের দেখভালের মূল দায়িত্ব পালন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য সারা বছরের বরাদ্দ ২৯ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। প্রবাসীদের শুধু মে মাসে বৈধপথে পাঠানো অর্থের পরিমাণ এ মন্ত্রণালয়ে সারা বছরের বাজেটের অর্ধেক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের সেবা ও সুখ-দুঃখে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চলতি বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ এ অঙ্কের কাছাকাছি। যদি অবৈধ পথে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেরিত রেমিট্যান্সের হিসাব যোগ করা হয়, তবে এ অঙ্ক হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতিক্রম করবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যাপকহারে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ শুরু হলেও এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি সমীক্ষা ও প্রকাশনা বের করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অর্থায়নে নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্টে ((K4DM) প্রজেক্টের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম পরিচালিত সমীক্ষাটি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বই আকারে Engagement non-resident Bangladeshis (NRBs) Pn National Development : Strategies, Challenges and Way Forward শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের মুখবন্ধে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজেই লিখেছেন যে, এটিই প্রবাসীদের বিষয়ে বাংলাদেশে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা। যে প্রবাসীদের নিয়ে এত রং মাখা কথা, তাদের বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে হলো জাতিসংঘকে, অর্থ দিতে হলো ইউএনডিপিকে আর অপেক্ষা করতে হলো ২০১৮ সাল পর্যন্ত; যা প্রবাসীদের প্রতি বিভিন্ন মেয়াদের সরকারের অবহেলার এক নির্লজ্জ উদাহরণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বের ১৬২টি দেশে ২৪ লাখ বাংলাদেশি সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ দলিল যেমন : গ্রিনকার্ড, পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড (পিআর) ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধভাবে অবস্থান করছেন। এ সমীক্ষার সারাংশে দেখা যায়, বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশির মোট সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ ১ কোটি মানুষের অধিকাংশই কর্মজীবী আর অল্পসংখ্যক কেবল গৃহিণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে তাদের অবস্থান যা-ই হোক ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে অন্তত এই ১ কোটি মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ষোল ভাগের এক ভাগ, এ দেশের সরকারের কাছে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা বা সন্তানের শিক্ষা দাবি করে না। এই ১ কোটি প্রবাসীর ৭৫ ভাগ অর্থাৎ ৭৫ লাখ উপার্জনক্ষম প্রবাসী যদি নিজ বাবা, মা এবং অন্য দুজন নিকটাত্মীয় অর্থাৎ মোট চারজনকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায় তবে (৭৫ লাখ গুণন ৪) অর্থাৎ ৩ কোটি মানুষের চিকিৎসার ব্যয় বহন করেন প্রবাসীরা। তারা যদি একজন করে নিকটাত্মীয়কে ছোট বা মাঝারি আকারেও ব্যবসার পুঁজি দিয়ে থাকেন বা নিজ ব্যবসায় নিয়োগ দিয়ে থাকেন তবে ৭৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছেন এই প্রবাসীরা। বাবা-মা কিংবা স্ত্রী-সন্তান এমন দুজন নিকটাত্মীয়ের ভরণপোষণ করে থাকলে (৭৫ লাখ গুণন ২) দেড় কোটি মানুষের ভরণপোষণ করেন প্রবাসীরা। দেশের আবাসনশিল্প, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীদের অর্থ। প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে শিক্ষার হার ও জীবনযাত্রার মানে দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য করার মতো। বিএমইটির তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন কুমিল্লা থেকে। তার পরই রয়েছে চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও নোয়াখালী। অন্যদিকে সবচেয়ে কম পুরুষ প্রবাসী হয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে। এসব জেলার জীবনযাত্রার মান ও মাথাপিছু ব্যয় ক্ষমতা তুলনা করলেই প্রবাসীদের অবদানের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জমির মূল্য, আবাসন ব্যবসা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল প্রভৃতির সংখ্যা অন্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে নারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী হয়েছেন ঢাকা জেলা থেকে। এরপরই রয়েছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুর। এসব জেলার অগ্রযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বার্ষিক লেনদেন বা টার্নওভার দেশের অন্য এলাকা থেকে অনেক গুণ বেশি। এতেই প্রতীয়মান হয়, প্রবাসীরা নীরবে দেশের অগ্রযাত্রায় কতটা অবদান রাখছেন। মৌলিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষায়ও এসব জেলা এগিয়ে তাই দেশে শিক্ষার হার বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, প্রবাসীদের সন্তানরা মৌলিক শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান এমনকি নিকটাত্মীয়রাও শিক্ষা শেষে কেবল চাকরির আশায় সরকার বা অন্য কারও দ্বারস্থ হয় না। তারা প্রবাসী অভিভাবকদের পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে ক্ষুদ্র বা মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়। একই সঙ্গে তারা অন্যদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যাত্রী প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রবাসীদের অর্থায়নে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকেও রয়েছে প্রবাসীদের টাকা। এ ছাড়া বহু ব্যাংক, বীমাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের একটি অংশ পরিচালনা করেন প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের সমস্যা ও সংকটের আকৃতিটা যে কত বড় তা একটি পত্রিকার পাতায় তুলে ধরা কষ্টসাধ্য। বলা যায়, তা প্রবাসীদের প্রতি আরেকটি অবিচার, কারণ প্রবাসজীবনের শুরু থেকে শেষ এমনকি মৃত্যুর পরও সমস্যা আর জটিলতার অবসান হয় না। এ জটিলতার শুরুটা হয় নিজ ঘর থেকেই। একজন তরুণ যদি কোনো ব্যবসা শুরুর জন্য পুঁজির আবদার করে, তবে কেউই এমনকি বাবা-মা বা ভাইবোনও কোনো টাকা দিতে চান না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত কথায় বলা হয়, ‘ও টাকা নষ্ট করে ফেলবে’। অথচ এই তরুণই যখন প্রবাসী হতে চায়, তখন নিকটাত্মীয় এমনকি শ্বশুরপক্ষও প্রয়োজনে জমি ও গয়না বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে টাকার জোগান দেয়। এ টাকার জোগান প্রক্রিয়াটা পুরো পরিবারে একটা মানসিক সংকট তৈরি করে। যৌতুকজনিত যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার উল্লেখযোগ্য অংশের নেপথ্যে রয়েছে এই টাকার জোগান। এ সুযোগটাকেই কাজে লাগান অসাধু রপ্তানিকারক ও তাদের দোসর বা যারা আদম ব্যাপারি নামে সমাজে বেশি পরিচিত। যদি একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মরুময় দেশে প্রতিকূল আবহাওয়ায় নামমাত্র বেতন আর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার মধ্যে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বা এজন্য কেউ টাকা খরচ করতে চাইবে না। ফলে প্রতারক চক্র শুরুতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, কারখানা বা হোটেলে আকর্ষণীয় বেতন আর উন্নত জীবনযাত্রার কথা বলে প্রকৃত সত্য আড়াল করে। ফলে ঘরবাড়ি, গয়না, গবাদি পশু সব বিক্রি করে হলেও বিদেশে যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতারক চক্র প্রথমে শুরু করে অল্প টাকার কথা বলে। তারপর একে একে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন, স্মার্টকার্ড এবং বিমান ভাড়ার কথা বলে সূক্ষ্মভাবে হাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। এ ক্ষেত্রে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, প্রতারক চক্র লক্ষ্য করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মা বা স্ত্রীর নাকে সোনার নাকফুল আছে কিনা। সেই নাকফুল বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না। বাস্তবতা হলো, প্রবাসী হওয়ার বাসনাকে প্রতারক চক্র একটা নেশার মতো চাপিয়ে দেয় এবং প্রবাসের মাটিতে পা না ফেলা পর্যন্ত এই নেশা বা মোহ থেকে নিস্তার পেতে দেয় না। কোনো যুক্তিই তখন আর বোধগম্য হতে চায় না। আর নিজ পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে কিছু প্রবাসীর আকর্ষণীয় বাড়িঘর ও বিলাসী জীবন এই নেশা বা মোহকে আরও জোরালো করে। কিন্তু প্রবাসে যে সত্তর বা আশির দশকের মতো সুযোগ-সুবিধা বা উপার্জন নেই; তা কেউ বুঝতে চায় না আর বুঝলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বা প্রবাসী হওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। গত ৫ মে, ২০১৯ তারিখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ-সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, অভিবাসনের জন্য উচ্চমাত্রার খরচ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কেননা যখন একজন প্রবাসী তার পরিবারকে ঋণগ্রস্ত বা নিঃস্ব করে বিদেশে যায় তখন যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সে কাজ করতে বাধ্য হয়। এমনকি সে সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত শ্রম কিংবা অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করে না। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (international Organisation for Migration) সংক্ষেপে আইওএম এক জরিপ শেষে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বলে তথ্য প্রকাশ করে। সংস্থাটির মতে, পুরুষ কর্মীর ক্ষেত্রে তা সাত লাখ টাকা এবং মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে তা ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে। সংস্থাটির আরেকটি তথ্যমতে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এত খরচ করে বিদেশে গেলেও তারা মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনেই কাজে নেমে যায়। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা মাইগ্রেশন ডাটা পোর্টাল (Migration Data Portal) ২০১৭ সালের উপাত্তের ভিত্তিতে জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচের কাতারে একজন ভারতীয় শ্রমিকের কাজ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ১৫৬ ডলার বা ১ লাখ টাকা যা সে দুই মাসে আয় করতে পারে। একজন নেপালি খরচ করে ১ হাজার ৮৮ ডলার বা ৯৫ হাজার টাকা যা সে তিন-চার মাসে আর করে। সবচেয়ে কম খরচ হয় ফিলিপাইনসের শ্রমিকের, যার অঙ্ক মাত্র ৪১৪ ডলার বা ৩৬ হাজার টাকা যা সে দু-এক মাসেই আয় করে। তথ্যমতে, এর বিপরীতে তখন বাংলাদেশের শ্রমিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যায় এবং নিম্নবেতনে কাজে নেমে পড়ে। এত অভিবাসন ব্যয়ে সমপরিমাণ টাকা আয় করতে সে বছরের পর বছর সময় নেয়। Migration Data Portal আরেকটি তথ্যে জানায়, ২০১৬ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে শ্রমিকরা ইতালিতে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং একজন আফ্রিকান শ্রমিক দুই থেকে ছয় মাসে এই পরিমাণ টাকা আয় করেছে। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে, এই সময় বাংলাদেশের শ্রমিকরা বৈধ বা অবৈধ পথে ইতালি যেতে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করত এবং কত দিনে এই টাকা আয় করবে, তা ছিল অনিশ্চিত। সম্প্রতি লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ইতালি যেতে ব্যর্থ ও সমুদ্রে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা হতভাগ্য শ্রমিকের প্রত্যেকে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করেন।

 

লেখক : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গবেষক।

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

২৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক
হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং
ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য