মাছের রাজা ইলিশ। বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় মাছও ইলিশ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু মাছ। আর পদ্মার ইলিশের তো কোনো তুলনাই নেই। সবার জন্য সুখবর হলো ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু হতে না হতেই বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। এতে জেলেদের মুখে যেমন হাসি ফুটেছে তেমনি কম দামে ইলিশ কিনে খুশি ক্রেতারাও। তবে হতাশার খবর হলো, এখনো মেঘনা ও পদ্মায় ইলিশ তেমন ধরা পড়ছে না। বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরছেন দেশের বৃহত্তম মৎস্যবন্দর পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুরে। ব্যাপকহারে ধরা পড়ায় ইলিশের দাম কমেছে। কম দামে ইলিশ বিক্রি করলেও খুশি জেলেরা। কারণ দীর্ঘদিন পর তাদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। সব মিলিয়ে মৎস্যবন্দরগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। টানা ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে যায়। জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি ইলিশ শিকারিরা। গত কদিনে শত শত ট্রলার মাছ নিয়ে সাগর থেকে ফিরে আসায় ইলিশে ইলিশে সয়লাব হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য বন্দরগুলো। চাঁদপুরে ইলিশের আমদানি বাড়ায় মাছঘাটগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ ছিল আড়তদাররা। মাছের আড়তে ইলিশ আসতে শুরু করায় সৃষ্টি হয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। মাছঘাটের অধিকাংশ ইলিশ বরিশাল, ভোলা ও চরফ্যাশন থেকে আসা। বরগুনা প্রান্তে সাগরে ধরা পড়েছে প্রচুর ইলিশ। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ বেশি ধরা পড়বে বলে আশা করছে অভিজ্ঞ জেলেরা। এ বছর দুই দফায় মাছ শিকার বন্ধ ছিল প্রজননের সুবিধার্থে। তবে এ সময়ে শত শত ভারতীয় ট্রলার বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ইলিশ চুরির মহোৎসবের মেতে ওঠে। শতাধিক ট্রলার ধরাও পড়ে কোস্টগার্ডদের হাতে। ইলিশ ব্যাপকভাবে ধরা পড়ার খবর দেশের মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক ঘটনা। তবে এ স্বস্তি জিইয়ে রাখার জন্য ইলিশ ধরার ট্রলারগুলো যাতে চাঁদাবাজির শিকার না হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে। বরফের অভাবে ইলিশ যাতে নষ্ট না হয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে যথাযথভাবে।