বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাবা-মায়ের সেবাযত্ন

মুহম্মাদ ওমর ফারুক

বাবা-মায়ের সেবাযত্ন

আল কোরআনে সূরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর ইবাদত কর, কোনো কিছুতে তাঁর শরিক কোরো না এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর।’ মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে সূরা বনি ইসরাইলের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয় তাদের সঙ্গে সুআচরণ কর এবং কখনো উহ্ শব্দটিও উচ্চারণ কোরো না। তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বল এবং বল, হে আল্লাহ! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন করে আমাকে তারা শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’

আল কোরআন ও হাদিসে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে বার বার সচেতন করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রয়োজনে জিহাদে অংশগ্রহণকে ইসলামে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বাবা-মায়ের সেবায় সন্তানের আত্মনিয়োগকে তার চেয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বুখারির একটি হাদিস এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। ‘একবার এক ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার বাবা-মা কি জীবিত আছেন? লোকটি জবাব দিলেন, হ্যাঁ। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তাদের সেবাযতেœ নিজেকে আত্মনিয়োগ কর।’ বাবা-মায়ের প্রতি অনুগত থাকাকে ইসলাম এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে, তারা যদি মুশরিকও হয় তার পরও আল্লাহ ও রসুলের হুকুম-পরিপন্থী না হলে তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না। আল্লাহ ও রসুলের হুকুমের খেলাপ হলে এই একটি মাত্র ক্ষেত্রে সন্তান তার বাবা-মায়ের হুকুমকে লঙ্ঘন করতে পারবে।

বাবা-মা সন্তানের জন্য অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন। সন্তানের সুখের জন্য তারা পরিশ্রম করেন, নিজের সুখকে বিসর্জন দেন। বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের যে ঋণ তা কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর