শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর নয়াচীন এবং অন্য কিছু

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর নয়াচীন এবং অন্য কিছু

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শেষের পথে। ২৮ দিনের মাস ফেব্রুয়ারি। চার বছর পরপর ২৯ দিনের লিপিয়ার। এবার সেই লিপিয়ার। এবার আর ভাষার মাসে লেখার সুযোগ পাব না, সুযোগ আসবে স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের মাসে। অনেকেই ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন বলে। আসলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি, ৮ ফাল্গুন ভাষা আন্দোলন নয়, ভাষা আন্দোলনের সফল সমাপ্তি। ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল চার বছর আগে ’৪৮ সালে। সব করেছেন বঙ্গবন্ধু- এটা মোটেই সত্য নয়। যার যার সময় প্রত্যেকেই করেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনো বিচ্যুত হননি। বছর দুই আগে হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ওপর একটা লেখা লিখেছিলাম। তাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কথাও ছিল। তবে বঙ্গবন্ধুর ওপর মওলানা ভাসানীর প্রভাব তুলে ধরেছিলাম। তা নিয়ে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ফোন করেছিলেন, ‘তোমার তথ্যে ভুল আছে। বঙ্গবন্ধুর মূল নেতা হুজুর মওলানা ভাসানী নন, মূল নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।’ এটা অবশ্যই সত্য কথা। সেই গোপালগঞ্জের মিশন স্কুল থেকে গুরু-শিষ্যের পরিচয়। তখন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক একসঙ্গে গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। মিশন স্কুলের জীর্ণ ছাত্রাবাস মেরামত নিয়ে তাদের পরিচয়। কলকাতায় সব সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্য পেয়েছেন, শেরেবাংলাকেও পেয়েছেন। তখন হুজুর মওলানা ভাসানীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান হওয়ার পর মওলানা ভাসানীই ছিলেন বাংলার তরুণ তুর্কিদের দিশারি। বিশেষ করে ’৪৯ থেকে ’৫৭- এ সময়টা বঙ্গবন্ধু ছিলেন হুজুর মওলানা ভাসানীর ছায়াসঙ্গী। জেলে থাকা ছাড়া সব সময় ছিলেন হুজুরের পাশে পাশে। তাই আমি লিখেছিলাম, ‘১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন।’ তাই বলে ভাষা আন্দোলনে তাঁর কোনো ভূমিকা ছিল না, তা নয়। অবশ্যই ছিল। তিনি তখন অনশনে ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সফল পরিণতি এবং অনশনের কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি মুক্তি পান। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো শান্তিতে থাকতে পারেননি, কখনো নির্বিঘ্নে জেলের বাইরে থাকেননি। তবে জেলের ভিতরে-বাইরে সব সময় দেশের জন্য যেখানে যা করা দরকার তা করেছেন। এখানেই তিনি ব্যতিক্রম। অসংখ্য মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ছিল, দোয়া করেছিল, আল্লাহ সহায় ছিলেন। তাই তাঁর হাত দিয়ে একটি ভূখন্ডের স্বাধীনতা এসেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি এখনো আসেনি। বঙ্গবন্ধু এখন বেঁচে থাকলে তাঁর ১০০ বছর হতো। এখন তো ১০০ বছর অনেকেই বেঁচে থাকেন। তিনি থাকলে সমাজের এ অবক্ষয় দেখে বড় কষ্ট পেতেন, তাঁর বুক ফেটে যেত।

কেউ কেউ মনে করতে পারেন বর্তমান সরকার আমলে দেশে দুধের নহর বইছে, মানুষ বড় বেশি সুখে আছে। আসলে তা নয়। হ্যাঁ, গুটিকয় বিত্তশালী খুব আরামে আছে। মুখে জনগণের কথা বলে সরকার এবং সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের কাছে পৌঁছতে পারছে না। মনে হয় সবকিছু যেন চলছে গুটিকয় লোকের জন্য, জনগণের জন্য কিছুই না- এটা বড়ই পীড়াদায়ক। গত লেখা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে যথেষ্ট কথা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন খালেদা জিয়া যে কয়েক দিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন এটা বলছেন কী করে? আমি তো আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। আকাশ-বাতাস পর্যবেক্ষণ করে বলেছি। দয়া করে কদিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়। বেগম খালেদা জিয়া জেলে মারা যাবেন এবং তা নেত্রী শেখ হাসিনার আমলে- এটা কেউ বিশ্বাস করে না এবং বিশ্বাসযোগ্যও নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন ঘাতকের গুলিতে নিহত হন তখন আমি ভারতে। তাঁর মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টা পর ঘোষিত হয়েছে কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী- তা ঠিকঠাক করে। আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর তিন দিন পর তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল, কে ইসলামের পরবর্তী নেতা- তা ঠিক করে।

‘আমার দেখা নয়াচীন - শেখ মুজিবুর রহমান’ সত্যিই আমার চোখে অসাধারণ বই। গত চার-পাঁচ দিন আগে ইলা নামে একটি মেয়ে এসেছিল। আমার এলাকার মানুষ। হুরপরীর মতো দেখতে। এম এ করেছে দুই বছর আগে। প্রথম শ্রেণি পেয়েছে। বিসিএসের জন্য চেষ্টা করছে। মনে হয় সেখানেও উতরে যাবে। আমার দেখা নয়াচীন নিয়ে কথা উঠতেই মেয়েটি বলল, ‘দাদা! সত্যিই কি বঙ্গবন্ধু লিখেছেন? অনেকেই যে বলছে এসবই সরকারের বানানো?’ আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। কয়েক বছর আগে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যখন পড়ছিলাম তখন আমার মনেও অমন প্রশ্ন জেগেছিল। কিন্তু বইটি পড়ে মনে হয়েছিল এটা বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও লেখার ক্ষমতা নেই। কোথাও দু-একটি শব্দ অদলবদল হতে পারে। কিন্তু বইয়ের অর্থ যা তাতে নড়চড় করার কারও বাবার সাধ্য নেই। আমার দেখা নয়াচীনের ক্ষেত্রেও তাই। নিশ্চয়ই মার্জিত করার জন্য পন্ডিতরা কলম চালাতেই পারেন। আমিও বইটি সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করব। সেখানে দু-চারটা শব্দ এদিক-ওদিক হবে। কিন্তু মূল অর্থ বদল হবে না। গত লেখায় আমি আমার জীবনের কথা বলেছি। বাস্তবের বাইরে একবিন্দুও অলঙ্কার নেই। হ্যাঁ, আমিও যন্ত্রণায় ভুগছি আজ কদিন সুইডেনপ্রবাসী সেই মেয়েটিকে নিয়ে। পানকাত্তার জনসভায় সে আমায় দেখেছিল, আমি তাকে দেখিনি। তারপর স্বাধীনতার যুদ্ধ। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে হঠাৎই একদিন টাঙ্গাইল পতিতালয়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ডিসি-এসপি, এসডিও, দারোগা-পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, নেতানেত্রীরাও ছিলেন। কজন মহিলা নেত্রী সে সময় খুবই ভালো কাজ করেছেন। সুইডেনের মেয়েটিকে নিয়ে কত যে ফোন পেয়েছি, চিঠিও এসে গেছে কয়েকটা। কী করব? কোনো কোনো সময় মানুষ এমন মারাত্মক ভুল করে যার কোনো সংশোধনের পথ থাকে না। মেয়েটি আমায় পানকাত্তায় দেখেছিল। তারপর পতিতালয়ে। সেও ভালো করে দেখা হয়নি। তিন-চারবার মির্জাপুর হাসপাতালে। তার বাবা কে, মা কে কিছুই জানি না। দেশে ফেরার আগে তার লেখা চিঠি যদি হারিয়ে না ফেলতাম, যদি মনে রাখতে পারতাম তাহলে এমন মর্মপীড়ার কারণ হতো না। এখন ভরসা, ’৭২ সালে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কাগজপত্র। তাও পাওয়া যাবে কিনা জানি না। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি। দেখা যাক কী হয়। সমাজের অর্ধেক নারী এবং তারা সমাজের অর্ধেক কাজ করেন। কোনো কোনো সময় অর্ধেকের বেশি করেন। এটা অনেক সময় সমাজ স্বীকৃতি দিতে চায় না। কিন্তু তখন হানাদারদের কাছে বাংলার নারীদের ইজ্জত-সম্ভ্রম ছিল না, মুক্তিকামী মানুষের কাছে ছিল। এই ভূখন্ডের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর আমলে অল্প কিছুদিন নারীরা যে সম্মান, মর্যাদা ও গুরুত্ব পেয়েছে আর কখনো তা পায়নি। এখন বড় হয়েছি, বয়স হয়েছে কখন চলে যাব ঠিক নেই। তাই একেবারেই কিছু বুঝি না তেমন নয়। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের নিয়ে এখন যে খেলা হচ্ছে তাতে তাদের যুদ্ধে অবদান ও মহিমাকে খর্ব ও ছোট করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে একজন মহিলাও অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেনি। তাই বলে তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়, তেমন নয়। পুরুষের সঙ্গে হাজার হাজার লাখো নারী মুক্তিযোদ্ধা হলে আমি গর্ববোধ করব। যারা আমাদের খাইয়েছে, যুদ্ধাহতদের সেবা করেছে তাদের আমি অকাতরে গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে গর্ববোধ করি। এখন তো সব ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে... তোরা সব জয়ধ্বনি র্ক’ সবকিছু বাস্তব থেকে অনেক দূরে। একা কোনো কিছুতে যে তেমন আনন্দ নেই, গৌরব নেই- এটা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। সব একলা চল রে দল। ভালো কাজ এগিয়ে নিতে সাড়া না পেলে একলা চলা ভালো। কিন্তু ভালো কাজ প- করতে একলা চলা খুবই লজ্জার এবং ক্ষতিকর। জানি, নানাখানে নানা প্রতিক্রিয়া শুনতে পাই, দেখতে পাই। তৎক্ষণাৎ কিছু না হোক ভাবীকালে যে কিছু হবে, এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাই যখন লিখতে শিখেছি, দু-চারজন পাঠককেও যখন পড়তে দেখি তখন লিখে যাই, দেখা যাক কী হয়।

গত পরশু বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের ‘কী হচ্ছে মুজিববর্ষের নামে’ শিরোনামে এক অসাধারণ লেখা পড়ে উদ্বেলিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে কতজন কত ফন্দি-ফিকির করছে। সবাই এখন ‘বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু’ বলে মুখে ফেনা তুলছে। নকলের কনুইর বাড়িতে আসল দিশাহারা। সবাই এখন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কেউ একজন ১০০ অ্যাম্বুলেন্স দান করবে। খুশির খবর। সেই ১০০ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিতে হবে নঈম নিজামকে। বাঃ, কি মজা! ‘মাগনা আইনা বিলাইয়া খায়, হাতে হাতে স্বর্গ পায়’ প্রবাদের মতো।

গত পর্বে বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ নিয়ে লিখেছিলাম। তাই বই থেকে কিছুটা উঠিয়ে দিলাম। ১০৮ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে- ‘মানুষ যদি সত্যিকারভাবে ধর্মভাব নিয়ে চলতো তাহলে আর মানুষে মানুষে এবং রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এইভাবে যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম হতো না। কিন্তু মানুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ধর্মের অর্থ যার যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবে চালাতে চেষ্টা করেছে। সেই জন্য একই ধর্মের মধ্যে নানা মতের সৃষ্টি হয়েছে। ধরুন রসুলে করিম (দ.) ইসলাম ধর্মকে যেভাবে রূপ দিয়েছিলেন সেইভাবে যদি ধর্ম চলতো তাহা হলে আজ আর মানুষে মানুষে এ বিরোধ হতো না। কিন্তু সেই ইসলাম ধর্মের মধ্যে কত বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সুন্নি, শিয়া, কাদিয়ানি, ইসমাইলি, আগাখানি, আবার মোহম্মদি, ওহাবি, কত রকমের বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে একই ধর্মের মধ্যে। এর অর্থ কী? আমরা দেখতে পেয়েছি শুধু হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরাই একে অন্যের সঙ্গে দাঙ্গাহাঙ্গামা করে নাই। শিয়া সুন্নি দাঙ্গার কথা আপনারা জানেন, হাজার হাজার মুসলমান মুসলমানকে হত্যা করেছে। আপনারা এও জানেন, কাদিয়ানি-শিয়া-সুন্নিদের সঙ্গে পাঞ্জাবে যে হত্যাকান্ড হয়ে গেছে তার নজির বোধ হয় ইতিহাসে বিরল। এর কারণ কী? আজ ধর্ম কোথায়? আর যারা আমাদের ধর্মের গুরু তাদের অবস্থা কী? একবার চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন, আমাদের দেশে এককালে এসব তথাকথিত ধর্মগুরু বা পীর সাহেবরা ইংরেজি পড়া হারাম বলে আমাদের জাতির কী ভয়ানক ক্ষতি করেছে। সৈয়দ আহমদ যখন ইংরেজি পড়ার জন্য আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করলেন তখন তাঁকে এই সকল পীর সাহেবরা ফতোয়া দিলো “কাফের” বলে। জিন্নাহ সাহেব যখন পাকিস্তানের আন্দোলন শুরু করলেন তখন এই সমস্ত পীর সাহেবরা কায়েদে আজমের বিরুদ্ধে কী জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল। হাজার হাজার প্যামফ্লেট কংগ্রেসের টাকা দিয়া ছাপাইয়া দেশ বিদেশে বিলি করেছিল। ইসলামের নামে তারা কোরআন ও হাদিস দিয়া প্রমাণ করে দিতে চেষ্টা করত যে পাকিস্তান দাবি করা, আর কোরআনের খেলাফ কাজ করা একই কথা। আর একদল পীর মওলানারা বলত এবং কেতাব কোরআন দিয়া প্রমাণ করত যে পাকিস্তান চাওয়া নাজায়েজ। আমার মনে আছে, যখন আমি সিলেটে গণভোটে যাই, আমার প্রায় তিনশত কর্মী ছিল। সিলেটে দেওবন্দের পাস করা প্রায় ১৫ হাজার মওলানা আছেন। তারা প্রায় সকলে একমত হয়ে ফতোয়া দিলো যে সিলেট জেলা পাকিস্তানে যাওয়া উচিত হবে না এবং কোরআন হাদিস দিয়ে তা প্রমাণ করে দিতে চেষ্টা করল। সেখানে ভোটাভুটি হবে। লোকে যদি ভোট দেয় পাকিস্তানের পক্ষে তবে সিলেট জেলা পাকিস্তানে আসবে, আর যদি হিন্দুস্তানের পক্ষে ভোট দেয় তবে হিন্দুস্তানে যোগদান করবে। আমরা সকলকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম। কাজ শুরু হলো। হাজার হাজার মওলানা লম্বা জামা পরে কংগ্রেসের টাকা নিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন, পাকিস্তানে ভোট দেওয়া হারাম। আমরা বলতে শুরু করলাম ওরা ভাড়াটিয়া মওলানা, ওদের কথা শুনো না। একটা ঘটনা বলতে চাই। সোহরাওয়ার্দী সাহেব সিলেটে খবর দিলেন যে তাঁর শ্রেষ্ঠ কর্মীদের পাঠাবেন। যে জায়গায় অসুবিধা সেখানে তাদের পাঠালে খুব ভালো হবে। তার মধ্যে তিনি আমার নামও দিয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন, আমি খুব ভালো কর্মী, আর বক্তৃতাও করতে পারি। আমাকে ও আমার দলবলকে এমন জায়গায় পাঠানো হলো যে, যেখানে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বললেই মওলানারা মারে। যারা সভা করতে পূর্বে চেষ্টা করেছে তাদের কপালে অনেক কিছু হয়েছে। আমি যাওয়ার পরে বিয়াবহ নামক স্থানে সভা করব বলে ঘোষণা করলাম এবং সদলবলে রওয়ানা হলাম। কিছু লোক সেখানে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে লাগল। তাদের প্রায় সকলেরই দাড়ি নাই। ভয়েতে তারা অস্থির। আমি প্রায় ৪০ জন বাছাবাছা কর্মী নিয়ে একদিন পূর্বে সেখানে পৌঁছলাম। কর্মীরা সব নেমে গেল বাড়ি বাড়ি ক্যানভাস করতে, আর দাবি করল আপনারা ভোট না দেন কিন্তু আমাদের কিছু বলতে দেন। আপনারা শোনেন, পছন্দ না হয় ভোট দিবেন না।

দুয়ারে দুয়ারে কর্মীরা ঘুরতে আরম্ভ করল। কিছু স্কুলের ছাত্রও আমাদের ছেলেদের সঙ্গে জুটল। দেশের মধ্যে কিছু লোক ঘুষখোর থাকতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ তো আর খারাপ না, তারা অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ। তারা অনেকে বললেন, বলুক না ওরা কী বলতে চায়। যা হোক সভার দিন সকাল সকাল আমরা উপস্থিত হলাম। যেয়ে দেখি আবার কংগ্রেসী মওলানাদের দলও এসেছে। তারা প্রস্তাব করল যে, ‘সভা করতে পারো তবে আগে বাহাস (বিতর্ক) করতে হবে। তোমরা আগে বলো, আর আমরা পরে বলব।’ বাধ্য হয়ে কিলের ভয়েতে আমাদের মেনে নিতে হলো। প্রায় দশ হাজার লোক সভায় উপস্থিত হয়েছে। তারাও বলল, আচ্ছা দুই পক্ষের কথাই আমরা শুনব। হায় খোদা! দেখি প্রায় ৮/১০ জন বিরাট বিরাট মওলানা। একজনের নাম এক পৃষ্ঠা, আলী হজরত থেকে আরম্ভ করে অনেকদূর বলতে হয়। আমার তো দেখে প্রাণ শুকিয়ে গিয়েছে। তারা সভায় বহু কেতাব কোরআন নিয়েও এসেছে; প্রমাণ করে দেবে যে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেওয়া হারাম। ভাবি, হায় হায় শেষ হয়ে যাব! আমার সঙ্গে শুধু এক স্কুলের মৌলবি সাহেব, তিনি কিছু কোরআন হাদিস জানেন। ওদের দিকে চেয়ে তারও অবস্থা কাহিল। আর আমার সঙ্গে ছিল করিমগঞ্জ মহকুমার গণভোট কমিটির প্রেসিডেন্ট ফোরকান আলি মুন্সী সাহেব।

আমরা বিদেশি মানুষ, আমাদের পূর্বে বলতে দেওয়া হলো। স্কুলের মৌলবি সাহেব আধঘণ্টা কোরআন হাদিস দিয়ে কিছু বোঝালেন। আর ফোরকান আলি মুন্সী আধ ঘণ্টা কিছু বললেন। আর আমার ভাগ্যে হলো দুই ঘণ্টা। সোহরাওয়ার্দী সাহেব আমাকে মাইক্রোফোন দিয়েছিলেন, আমি মাইক্রোফোনে বক্তৃতা শুরু করলাম। পীর সাহেবরা প্রথমে দাঁড়াইয়া ফতোয়া দিলেন, মাইক্রোফোনে কথা বলা হারাম। যা হোক, আমি ওদের হারাম আর হালাল মানি কম। জানি, তা মানলে আর পাকিস্তান আসত না। দুই ঘণ্টা বক্তৃতা দেওয়ার পর কর্মীরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আজম জিন্দাবাদ’ শুরু করল। জনসাধারণও তাদের সঙ্গে মিলে বলতে আরম্ভ করল। আর যায় কোথায়? পীর সাহেবরা দাঁড়াইয়া আমাকে ও কর্মীদের মারবার জন্য হুকুম দিলেন। প্রায় দুই/তিনশত লোক লাঠি নিয়ে আমাকে আক্রমণ করল। আমার সঙ্গে কর্মীরা এসে আমার পাশে দাঁড়াল। আমি মাথাটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, “আমাকে মেরে যদি শান্তি পান, মারুন।” কিন্তু কিছুক্ষণ হৈচৈ করে আর মারল না, চলে গেল। এ ঘটনাটা বলা আমার এখানে উচিত কি না জানি না, তবুও বললাম এই উদ্দেশ্যে যে, কেমন করে আমাদের দেশের একদল মওলানা টাকার লোভে কোরআন হাদিসের মিথ্যা ব্যাখ্যা করতে পারে। কেন তারা এ কাজ করে? এর অর্থ, তারা এটাকে ব্যবসা হিসাবে গ্রহণ করেছে।

আমাদের দেশে প্রোপাগান্ডা হয়েছে, নয়াচীনে ধর্ম-কর্ম করতে দেওয়া হয় না। এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার যথেষ্ট প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আর যদি আমি নয়াচীনে দেখতাম ধর্ম পালন করতে দেওয়া হয় না, তবে সমস্ত দুনিয়ায় এর বিরুদ্ধে আমি প্রোপাগান্ডা করতাম। কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মে বিশ্বাসী। এবং নিজে একজন মুসলমান বলে গর্ব অনুভব করি।

আমি নিজে চেষ্টা করেছিলাম- ভালোভাবে জানবার জন্য, মুসলমানদের অবস্থা কী? তারা এই সরকারের হুকুমতে কেমন আছে? কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে! পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম, নয়াচীন সরকার কারও ধর্মকাজে বাধার সৃষ্টি করে না এবং যদি কোনো সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের ওপর বা তাদের ধর্মকাজে বাধার সৃষ্টি করে, তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হয়। এ রকম অনেক ঘটনার কথা আমাকে অনেক মুসলমান বলেছেন। আমরা নিজেরা মসজিদে গিয়াছি, সেখানে মুসলমানরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। প্রত্যেক মসজিদে ইমাম আছেন যারা ছেলেমেয়েদের কোরআন হাদিস শিক্ষা দেন।

ইমাম সাহেবরা বেতন পান। তাদের আমাদের দেশের মতো না খেয়ে ইমামতি করতে হয় না; আর পেট বাঁচানোর জন্য মিথ্যা ফতোয়া দেওয়া লাগে না। আর তাবিজ কবজ, ফুঁ-ফাঁ দিয়া পয়সা নিতে হয় না এবং এই সমস্ত টাকা গ্রহণ করা আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে যদি যক্ষ্মার ব্যারাম হয় তবে পীর সাহেব এক টাকা সোয়া পাঁচ আনা পয়সা নিয়া তাবিজ দিয়া বলে, “ভালো হয়ে যাবা”। বেচারা বিশ্বাস করে পড়ে থাকে। একদিন ভুগতে ভুগতে মারা যায়, আর কিছু ব্যারাম বিলিয়ে রেখে যায়, হয় স্ত্রীর যক্ষ্মা হবে, না হয় ছেলেমেয়েদের হবে। এইভাবে রোগের বিস্তার ঘটে। তাই তাবিজ-কবজ ফুঁ-ফাঁ বন্ধ হয়ে গেছে নয়াচীনে। তাতে ইসলামের কোনো ক্ষতি হয় নাই বরং উপকার হয়েছে। বসে বসে টাকা নেওয়া আর চারটা করে বিবাহ করা নয়াচীনে এখন আর চলে না, যা আমাদের দেশে সচরাচর চলে থাকে। আবার কেউ ৬০ বৎসর বয়সে ১৪ বৎসরের মেয়ে বিবাহ করে বসে থাকে। এমন অনেক গল্প চীন দেশে ছিল, আমাদের দেশেও আছে যে, পীর সাহেবদের মুরিদরা মেয়ে দান করে। ৬০ বৎসরের পীর সাহেব ১২ বৎসরের মেয়েকে বিবাহ করিয়া মুরিদের দান গ্রহণ করেন। নয়াচীনের ইসলামিক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এই সমস্ত অন্যায় কাজ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।’ প্রিয় পাঠক! দেখুন, মাত্র ৩২ বছর বয়সে কি অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আমাদের নেতা, দেশের পিতার।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার
সকালে গরম পানি পানের ৭ উপকার

৮ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে অভিযানে নিষিদ্ধ যুবলীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো
সহিংসতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ: জেন-জি আন্দোলনে উত্তপ্ত মেক্সিকো

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ
এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ আজ

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন
সাভারে মহাসড়কের পাশে থেমে থাকা বাসে আগুন

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ নভেম্বর)

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’
‘আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না’

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
আজ ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮
ইরাকে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের
অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা, উপকূলে নৌকাডুবে প্রাণ গেল ৪ জনের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা