শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুর নয়াচীন এবং অন্য কিছু

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুর নয়াচীন এবং অন্য কিছু

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শেষের পথে। ২৮ দিনের মাস ফেব্রুয়ারি। চার বছর পরপর ২৯ দিনের লিপিয়ার। এবার সেই লিপিয়ার। এবার আর ভাষার মাসে লেখার সুযোগ পাব না, সুযোগ আসবে স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের মাসে। অনেকেই ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন বলে। আসলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি, ৮ ফাল্গুন ভাষা আন্দোলন নয়, ভাষা আন্দোলনের সফল সমাপ্তি। ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল চার বছর আগে ’৪৮ সালে। সব করেছেন বঙ্গবন্ধু- এটা মোটেই সত্য নয়। যার যার সময় প্রত্যেকেই করেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনো বিচ্যুত হননি। বছর দুই আগে হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ওপর একটা লেখা লিখেছিলাম। তাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কথাও ছিল। তবে বঙ্গবন্ধুর ওপর মওলানা ভাসানীর প্রভাব তুলে ধরেছিলাম। তা নিয়ে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ফোন করেছিলেন, ‘তোমার তথ্যে ভুল আছে। বঙ্গবন্ধুর মূল নেতা হুজুর মওলানা ভাসানী নন, মূল নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।’ এটা অবশ্যই সত্য কথা। সেই গোপালগঞ্জের মিশন স্কুল থেকে গুরু-শিষ্যের পরিচয়। তখন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক একসঙ্গে গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। মিশন স্কুলের জীর্ণ ছাত্রাবাস মেরামত নিয়ে তাদের পরিচয়। কলকাতায় সব সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্য পেয়েছেন, শেরেবাংলাকেও পেয়েছেন। তখন হুজুর মওলানা ভাসানীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল না। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান হওয়ার পর মওলানা ভাসানীই ছিলেন বাংলার তরুণ তুর্কিদের দিশারি। বিশেষ করে ’৪৯ থেকে ’৫৭- এ সময়টা বঙ্গবন্ধু ছিলেন হুজুর মওলানা ভাসানীর ছায়াসঙ্গী। জেলে থাকা ছাড়া সব সময় ছিলেন হুজুরের পাশে পাশে। তাই আমি লিখেছিলাম, ‘১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন।’ তাই বলে ভাষা আন্দোলনে তাঁর কোনো ভূমিকা ছিল না, তা নয়। অবশ্যই ছিল। তিনি তখন অনশনে ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সফল পরিণতি এবং অনশনের কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি মুক্তি পান। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো শান্তিতে থাকতে পারেননি, কখনো নির্বিঘ্নে জেলের বাইরে থাকেননি। তবে জেলের ভিতরে-বাইরে সব সময় দেশের জন্য যেখানে যা করা দরকার তা করেছেন। এখানেই তিনি ব্যতিক্রম। অসংখ্য মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ছিল, দোয়া করেছিল, আল্লাহ সহায় ছিলেন। তাই তাঁর হাত দিয়ে একটি ভূখন্ডের স্বাধীনতা এসেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি এখনো আসেনি। বঙ্গবন্ধু এখন বেঁচে থাকলে তাঁর ১০০ বছর হতো। এখন তো ১০০ বছর অনেকেই বেঁচে থাকেন। তিনি থাকলে সমাজের এ অবক্ষয় দেখে বড় কষ্ট পেতেন, তাঁর বুক ফেটে যেত।

কেউ কেউ মনে করতে পারেন বর্তমান সরকার আমলে দেশে দুধের নহর বইছে, মানুষ বড় বেশি সুখে আছে। আসলে তা নয়। হ্যাঁ, গুটিকয় বিত্তশালী খুব আরামে আছে। মুখে জনগণের কথা বলে সরকার এবং সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের কাছে পৌঁছতে পারছে না। মনে হয় সবকিছু যেন চলছে গুটিকয় লোকের জন্য, জনগণের জন্য কিছুই না- এটা বড়ই পীড়াদায়ক। গত লেখা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে যথেষ্ট কথা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন খালেদা জিয়া যে কয়েক দিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন এটা বলছেন কী করে? আমি তো আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। আকাশ-বাতাস পর্যবেক্ষণ করে বলেছি। দয়া করে কদিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়। বেগম খালেদা জিয়া জেলে মারা যাবেন এবং তা নেত্রী শেখ হাসিনার আমলে- এটা কেউ বিশ্বাস করে না এবং বিশ্বাসযোগ্যও নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন ঘাতকের গুলিতে নিহত হন তখন আমি ভারতে। তাঁর মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টা পর ঘোষিত হয়েছে কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী- তা ঠিকঠাক করে। আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর তিন দিন পর তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল, কে ইসলামের পরবর্তী নেতা- তা ঠিক করে।

‘আমার দেখা নয়াচীন - শেখ মুজিবুর রহমান’ সত্যিই আমার চোখে অসাধারণ বই। গত চার-পাঁচ দিন আগে ইলা নামে একটি মেয়ে এসেছিল। আমার এলাকার মানুষ। হুরপরীর মতো দেখতে। এম এ করেছে দুই বছর আগে। প্রথম শ্রেণি পেয়েছে। বিসিএসের জন্য চেষ্টা করছে। মনে হয় সেখানেও উতরে যাবে। আমার দেখা নয়াচীন নিয়ে কথা উঠতেই মেয়েটি বলল, ‘দাদা! সত্যিই কি বঙ্গবন্ধু লিখেছেন? অনেকেই যে বলছে এসবই সরকারের বানানো?’ আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। কয়েক বছর আগে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী যখন পড়ছিলাম তখন আমার মনেও অমন প্রশ্ন জেগেছিল। কিন্তু বইটি পড়ে মনে হয়েছিল এটা বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও লেখার ক্ষমতা নেই। কোথাও দু-একটি শব্দ অদলবদল হতে পারে। কিন্তু বইয়ের অর্থ যা তাতে নড়চড় করার কারও বাবার সাধ্য নেই। আমার দেখা নয়াচীনের ক্ষেত্রেও তাই। নিশ্চয়ই মার্জিত করার জন্য পন্ডিতরা কলম চালাতেই পারেন। আমিও বইটি সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করব। সেখানে দু-চারটা শব্দ এদিক-ওদিক হবে। কিন্তু মূল অর্থ বদল হবে না। গত লেখায় আমি আমার জীবনের কথা বলেছি। বাস্তবের বাইরে একবিন্দুও অলঙ্কার নেই। হ্যাঁ, আমিও যন্ত্রণায় ভুগছি আজ কদিন সুইডেনপ্রবাসী সেই মেয়েটিকে নিয়ে। পানকাত্তার জনসভায় সে আমায় দেখেছিল, আমি তাকে দেখিনি। তারপর স্বাধীনতার যুদ্ধ। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে হঠাৎই একদিন টাঙ্গাইল পতিতালয়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ডিসি-এসপি, এসডিও, দারোগা-পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, নেতানেত্রীরাও ছিলেন। কজন মহিলা নেত্রী সে সময় খুবই ভালো কাজ করেছেন। সুইডেনের মেয়েটিকে নিয়ে কত যে ফোন পেয়েছি, চিঠিও এসে গেছে কয়েকটা। কী করব? কোনো কোনো সময় মানুষ এমন মারাত্মক ভুল করে যার কোনো সংশোধনের পথ থাকে না। মেয়েটি আমায় পানকাত্তায় দেখেছিল। তারপর পতিতালয়ে। সেও ভালো করে দেখা হয়নি। তিন-চারবার মির্জাপুর হাসপাতালে। তার বাবা কে, মা কে কিছুই জানি না। দেশে ফেরার আগে তার লেখা চিঠি যদি হারিয়ে না ফেলতাম, যদি মনে রাখতে পারতাম তাহলে এমন মর্মপীড়ার কারণ হতো না। এখন ভরসা, ’৭২ সালে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কাগজপত্র। তাও পাওয়া যাবে কিনা জানি না। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি। দেখা যাক কী হয়। সমাজের অর্ধেক নারী এবং তারা সমাজের অর্ধেক কাজ করেন। কোনো কোনো সময় অর্ধেকের বেশি করেন। এটা অনেক সময় সমাজ স্বীকৃতি দিতে চায় না। কিন্তু তখন হানাদারদের কাছে বাংলার নারীদের ইজ্জত-সম্ভ্রম ছিল না, মুক্তিকামী মানুষের কাছে ছিল। এই ভূখন্ডের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর আমলে অল্প কিছুদিন নারীরা যে সম্মান, মর্যাদা ও গুরুত্ব পেয়েছে আর কখনো তা পায়নি। এখন বড় হয়েছি, বয়স হয়েছে কখন চলে যাব ঠিক নেই। তাই একেবারেই কিছু বুঝি না তেমন নয়। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের নিয়ে এখন যে খেলা হচ্ছে তাতে তাদের যুদ্ধে অবদান ও মহিমাকে খর্ব ও ছোট করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে একজন মহিলাও অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেনি। তাই বলে তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়, তেমন নয়। পুরুষের সঙ্গে হাজার হাজার লাখো নারী মুক্তিযোদ্ধা হলে আমি গর্ববোধ করব। যারা আমাদের খাইয়েছে, যুদ্ধাহতদের সেবা করেছে তাদের আমি অকাতরে গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে গর্ববোধ করি। এখন তো সব ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে... তোরা সব জয়ধ্বনি র্ক’ সবকিছু বাস্তব থেকে অনেক দূরে। একা কোনো কিছুতে যে তেমন আনন্দ নেই, গৌরব নেই- এটা কেউ বুঝতে চাচ্ছে না। সব একলা চল রে দল। ভালো কাজ এগিয়ে নিতে সাড়া না পেলে একলা চলা ভালো। কিন্তু ভালো কাজ প- করতে একলা চলা খুবই লজ্জার এবং ক্ষতিকর। জানি, নানাখানে নানা প্রতিক্রিয়া শুনতে পাই, দেখতে পাই। তৎক্ষণাৎ কিছু না হোক ভাবীকালে যে কিছু হবে, এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাই যখন লিখতে শিখেছি, দু-চারজন পাঠককেও যখন পড়তে দেখি তখন লিখে যাই, দেখা যাক কী হয়।

গত পরশু বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের ‘কী হচ্ছে মুজিববর্ষের নামে’ শিরোনামে এক অসাধারণ লেখা পড়ে উদ্বেলিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে কতজন কত ফন্দি-ফিকির করছে। সবাই এখন ‘বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু’ বলে মুখে ফেনা তুলছে। নকলের কনুইর বাড়িতে আসল দিশাহারা। সবাই এখন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কেউ একজন ১০০ অ্যাম্বুলেন্স দান করবে। খুশির খবর। সেই ১০০ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিতে হবে নঈম নিজামকে। বাঃ, কি মজা! ‘মাগনা আইনা বিলাইয়া খায়, হাতে হাতে স্বর্গ পায়’ প্রবাদের মতো।

গত পর্বে বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ নিয়ে লিখেছিলাম। তাই বই থেকে কিছুটা উঠিয়ে দিলাম। ১০৮ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে- ‘মানুষ যদি সত্যিকারভাবে ধর্মভাব নিয়ে চলতো তাহলে আর মানুষে মানুষে এবং রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এইভাবে যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম হতো না। কিন্তু মানুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য ধর্মের অর্থ যার যেভাবে ইচ্ছা সেইভাবে চালাতে চেষ্টা করেছে। সেই জন্য একই ধর্মের মধ্যে নানা মতের সৃষ্টি হয়েছে। ধরুন রসুলে করিম (দ.) ইসলাম ধর্মকে যেভাবে রূপ দিয়েছিলেন সেইভাবে যদি ধর্ম চলতো তাহা হলে আজ আর মানুষে মানুষে এ বিরোধ হতো না। কিন্তু সেই ইসলাম ধর্মের মধ্যে কত বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সুন্নি, শিয়া, কাদিয়ানি, ইসমাইলি, আগাখানি, আবার মোহম্মদি, ওহাবি, কত রকমের বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে একই ধর্মের মধ্যে। এর অর্থ কী? আমরা দেখতে পেয়েছি শুধু হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরাই একে অন্যের সঙ্গে দাঙ্গাহাঙ্গামা করে নাই। শিয়া সুন্নি দাঙ্গার কথা আপনারা জানেন, হাজার হাজার মুসলমান মুসলমানকে হত্যা করেছে। আপনারা এও জানেন, কাদিয়ানি-শিয়া-সুন্নিদের সঙ্গে পাঞ্জাবে যে হত্যাকান্ড হয়ে গেছে তার নজির বোধ হয় ইতিহাসে বিরল। এর কারণ কী? আজ ধর্ম কোথায়? আর যারা আমাদের ধর্মের গুরু তাদের অবস্থা কী? একবার চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন, আমাদের দেশে এককালে এসব তথাকথিত ধর্মগুরু বা পীর সাহেবরা ইংরেজি পড়া হারাম বলে আমাদের জাতির কী ভয়ানক ক্ষতি করেছে। সৈয়দ আহমদ যখন ইংরেজি পড়ার জন্য আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করলেন তখন তাঁকে এই সকল পীর সাহেবরা ফতোয়া দিলো “কাফের” বলে। জিন্নাহ সাহেব যখন পাকিস্তানের আন্দোলন শুরু করলেন তখন এই সমস্ত পীর সাহেবরা কায়েদে আজমের বিরুদ্ধে কী জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল। হাজার হাজার প্যামফ্লেট কংগ্রেসের টাকা দিয়া ছাপাইয়া দেশ বিদেশে বিলি করেছিল। ইসলামের নামে তারা কোরআন ও হাদিস দিয়া প্রমাণ করে দিতে চেষ্টা করত যে পাকিস্তান দাবি করা, আর কোরআনের খেলাফ কাজ করা একই কথা। আর একদল পীর মওলানারা বলত এবং কেতাব কোরআন দিয়া প্রমাণ করত যে পাকিস্তান চাওয়া নাজায়েজ। আমার মনে আছে, যখন আমি সিলেটে গণভোটে যাই, আমার প্রায় তিনশত কর্মী ছিল। সিলেটে দেওবন্দের পাস করা প্রায় ১৫ হাজার মওলানা আছেন। তারা প্রায় সকলে একমত হয়ে ফতোয়া দিলো যে সিলেট জেলা পাকিস্তানে যাওয়া উচিত হবে না এবং কোরআন হাদিস দিয়ে তা প্রমাণ করে দিতে চেষ্টা করল। সেখানে ভোটাভুটি হবে। লোকে যদি ভোট দেয় পাকিস্তানের পক্ষে তবে সিলেট জেলা পাকিস্তানে আসবে, আর যদি হিন্দুস্তানের পক্ষে ভোট দেয় তবে হিন্দুস্তানে যোগদান করবে। আমরা সকলকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম। কাজ শুরু হলো। হাজার হাজার মওলানা লম্বা জামা পরে কংগ্রেসের টাকা নিয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন, পাকিস্তানে ভোট দেওয়া হারাম। আমরা বলতে শুরু করলাম ওরা ভাড়াটিয়া মওলানা, ওদের কথা শুনো না। একটা ঘটনা বলতে চাই। সোহরাওয়ার্দী সাহেব সিলেটে খবর দিলেন যে তাঁর শ্রেষ্ঠ কর্মীদের পাঠাবেন। যে জায়গায় অসুবিধা সেখানে তাদের পাঠালে খুব ভালো হবে। তার মধ্যে তিনি আমার নামও দিয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন, আমি খুব ভালো কর্মী, আর বক্তৃতাও করতে পারি। আমাকে ও আমার দলবলকে এমন জায়গায় পাঠানো হলো যে, যেখানে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বললেই মওলানারা মারে। যারা সভা করতে পূর্বে চেষ্টা করেছে তাদের কপালে অনেক কিছু হয়েছে। আমি যাওয়ার পরে বিয়াবহ নামক স্থানে সভা করব বলে ঘোষণা করলাম এবং সদলবলে রওয়ানা হলাম। কিছু লোক সেখানে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে লাগল। তাদের প্রায় সকলেরই দাড়ি নাই। ভয়েতে তারা অস্থির। আমি প্রায় ৪০ জন বাছাবাছা কর্মী নিয়ে একদিন পূর্বে সেখানে পৌঁছলাম। কর্মীরা সব নেমে গেল বাড়ি বাড়ি ক্যানভাস করতে, আর দাবি করল আপনারা ভোট না দেন কিন্তু আমাদের কিছু বলতে দেন। আপনারা শোনেন, পছন্দ না হয় ভোট দিবেন না।

দুয়ারে দুয়ারে কর্মীরা ঘুরতে আরম্ভ করল। কিছু স্কুলের ছাত্রও আমাদের ছেলেদের সঙ্গে জুটল। দেশের মধ্যে কিছু লোক ঘুষখোর থাকতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষ তো আর খারাপ না, তারা অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ। তারা অনেকে বললেন, বলুক না ওরা কী বলতে চায়। যা হোক সভার দিন সকাল সকাল আমরা উপস্থিত হলাম। যেয়ে দেখি আবার কংগ্রেসী মওলানাদের দলও এসেছে। তারা প্রস্তাব করল যে, ‘সভা করতে পারো তবে আগে বাহাস (বিতর্ক) করতে হবে। তোমরা আগে বলো, আর আমরা পরে বলব।’ বাধ্য হয়ে কিলের ভয়েতে আমাদের মেনে নিতে হলো। প্রায় দশ হাজার লোক সভায় উপস্থিত হয়েছে। তারাও বলল, আচ্ছা দুই পক্ষের কথাই আমরা শুনব। হায় খোদা! দেখি প্রায় ৮/১০ জন বিরাট বিরাট মওলানা। একজনের নাম এক পৃষ্ঠা, আলী হজরত থেকে আরম্ভ করে অনেকদূর বলতে হয়। আমার তো দেখে প্রাণ শুকিয়ে গিয়েছে। তারা সভায় বহু কেতাব কোরআন নিয়েও এসেছে; প্রমাণ করে দেবে যে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেওয়া হারাম। ভাবি, হায় হায় শেষ হয়ে যাব! আমার সঙ্গে শুধু এক স্কুলের মৌলবি সাহেব, তিনি কিছু কোরআন হাদিস জানেন। ওদের দিকে চেয়ে তারও অবস্থা কাহিল। আর আমার সঙ্গে ছিল করিমগঞ্জ মহকুমার গণভোট কমিটির প্রেসিডেন্ট ফোরকান আলি মুন্সী সাহেব।

আমরা বিদেশি মানুষ, আমাদের পূর্বে বলতে দেওয়া হলো। স্কুলের মৌলবি সাহেব আধঘণ্টা কোরআন হাদিস দিয়ে কিছু বোঝালেন। আর ফোরকান আলি মুন্সী আধ ঘণ্টা কিছু বললেন। আর আমার ভাগ্যে হলো দুই ঘণ্টা। সোহরাওয়ার্দী সাহেব আমাকে মাইক্রোফোন দিয়েছিলেন, আমি মাইক্রোফোনে বক্তৃতা শুরু করলাম। পীর সাহেবরা প্রথমে দাঁড়াইয়া ফতোয়া দিলেন, মাইক্রোফোনে কথা বলা হারাম। যা হোক, আমি ওদের হারাম আর হালাল মানি কম। জানি, তা মানলে আর পাকিস্তান আসত না। দুই ঘণ্টা বক্তৃতা দেওয়ার পর কর্মীরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আজম জিন্দাবাদ’ শুরু করল। জনসাধারণও তাদের সঙ্গে মিলে বলতে আরম্ভ করল। আর যায় কোথায়? পীর সাহেবরা দাঁড়াইয়া আমাকে ও কর্মীদের মারবার জন্য হুকুম দিলেন। প্রায় দুই/তিনশত লোক লাঠি নিয়ে আমাকে আক্রমণ করল। আমার সঙ্গে কর্মীরা এসে আমার পাশে দাঁড়াল। আমি মাথাটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, “আমাকে মেরে যদি শান্তি পান, মারুন।” কিন্তু কিছুক্ষণ হৈচৈ করে আর মারল না, চলে গেল। এ ঘটনাটা বলা আমার এখানে উচিত কি না জানি না, তবুও বললাম এই উদ্দেশ্যে যে, কেমন করে আমাদের দেশের একদল মওলানা টাকার লোভে কোরআন হাদিসের মিথ্যা ব্যাখ্যা করতে পারে। কেন তারা এ কাজ করে? এর অর্থ, তারা এটাকে ব্যবসা হিসাবে গ্রহণ করেছে।

আমাদের দেশে প্রোপাগান্ডা হয়েছে, নয়াচীনে ধর্ম-কর্ম করতে দেওয়া হয় না। এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার যথেষ্ট প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আর যদি আমি নয়াচীনে দেখতাম ধর্ম পালন করতে দেওয়া হয় না, তবে সমস্ত দুনিয়ায় এর বিরুদ্ধে আমি প্রোপাগান্ডা করতাম। কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মে বিশ্বাসী। এবং নিজে একজন মুসলমান বলে গর্ব অনুভব করি।

আমি নিজে চেষ্টা করেছিলাম- ভালোভাবে জানবার জন্য, মুসলমানদের অবস্থা কী? তারা এই সরকারের হুকুমতে কেমন আছে? কী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে! পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম, নয়াচীন সরকার কারও ধর্মকাজে বাধার সৃষ্টি করে না এবং যদি কোনো সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের ওপর বা তাদের ধর্মকাজে বাধার সৃষ্টি করে, তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হয়। এ রকম অনেক ঘটনার কথা আমাকে অনেক মুসলমান বলেছেন। আমরা নিজেরা মসজিদে গিয়াছি, সেখানে মুসলমানরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। প্রত্যেক মসজিদে ইমাম আছেন যারা ছেলেমেয়েদের কোরআন হাদিস শিক্ষা দেন।

ইমাম সাহেবরা বেতন পান। তাদের আমাদের দেশের মতো না খেয়ে ইমামতি করতে হয় না; আর পেট বাঁচানোর জন্য মিথ্যা ফতোয়া দেওয়া লাগে না। আর তাবিজ কবজ, ফুঁ-ফাঁ দিয়া পয়সা নিতে হয় না এবং এই সমস্ত টাকা গ্রহণ করা আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে যদি যক্ষ্মার ব্যারাম হয় তবে পীর সাহেব এক টাকা সোয়া পাঁচ আনা পয়সা নিয়া তাবিজ দিয়া বলে, “ভালো হয়ে যাবা”। বেচারা বিশ্বাস করে পড়ে থাকে। একদিন ভুগতে ভুগতে মারা যায়, আর কিছু ব্যারাম বিলিয়ে রেখে যায়, হয় স্ত্রীর যক্ষ্মা হবে, না হয় ছেলেমেয়েদের হবে। এইভাবে রোগের বিস্তার ঘটে। তাই তাবিজ-কবজ ফুঁ-ফাঁ বন্ধ হয়ে গেছে নয়াচীনে। তাতে ইসলামের কোনো ক্ষতি হয় নাই বরং উপকার হয়েছে। বসে বসে টাকা নেওয়া আর চারটা করে বিবাহ করা নয়াচীনে এখন আর চলে না, যা আমাদের দেশে সচরাচর চলে থাকে। আবার কেউ ৬০ বৎসর বয়সে ১৪ বৎসরের মেয়ে বিবাহ করে বসে থাকে। এমন অনেক গল্প চীন দেশে ছিল, আমাদের দেশেও আছে যে, পীর সাহেবদের মুরিদরা মেয়ে দান করে। ৬০ বৎসরের পীর সাহেব ১২ বৎসরের মেয়েকে বিবাহ করিয়া মুরিদের দান গ্রহণ করেন। নয়াচীনের ইসলামিক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এই সমস্ত অন্যায় কাজ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।’ প্রিয় পাঠক! দেখুন, মাত্র ৩২ বছর বয়সে কি অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আমাদের নেতা, দেশের পিতার।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু
জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা
লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল
ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার
জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি
নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি
রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া
জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট
নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন
সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন

নগর জীবন

১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ
১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ

দেশগ্রাম

প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে
প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে

নগর জীবন

পাখি শিকার লাইভে রান্নায় অর্থদণ্ড
পাখি শিকার লাইভে রান্নায় অর্থদণ্ড

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

দেশগ্রাম

ভেজাল বীজ বিক্রি চার ব্যবসায়ীর জরিমানা
ভেজাল বীজ বিক্রি চার ব্যবসায়ীর জরিমানা

দেশগ্রাম

আগুনে পুড়ল পাট গুদাম দোকান
আগুনে পুড়ল পাট গুদাম দোকান

দেশগ্রাম

আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা
আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ড্রেন দখল, জলাবদ্ধতা হাসপাতালে
ড্রেন দখল, জলাবদ্ধতা হাসপাতালে

দেশগ্রাম

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য

সম্পাদকীয়