শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

হ্যালো, আজ কেমন বোধ করছ?

ভালো বোধ করছি। কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।

শ্বাস নিতে পারছ ঠিকভাবে? অক্সিমিটার হাতে নাও। পরীক্ষা করে দেখ শ্বাস নিতে সমস্যা হয় কিনা? সমস্যা হলেই জানাবে।

-পরীক্ষা করলাম, স্বাভাবিক মনে হচ্ছে শ্বাস। ডা. বলেছেন ৯০-এর বেশি থাকলে চলবে।

 ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছ আজ?

-হুম কথা হয়েছে। অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ফোন করেছেন। ডা. তানিয়া ফোন করেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন। সর্বশেষ অবস্থা ওনাদের জানাইছি।

নতুন কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কী? খাবার, মেডিসিন?

- না, আর কোনো পরামর্শ দেননি। সাবধানে থাকতে বলেছেন। আগে যেভাবে বলেছেন তা ঠিকভাবে পালন করে যেতে হবে। আর কিছু নয়।

দূর দেশ নয়, পাশের রুম থেকে ফোনে খবর নিচ্ছিল আমার মেয়ে। টানা আইসোলেশনে আমি। শরীরের এ সমস্যা হুট করেই শুরু। কীভাবে কোথা থেকে কী হলো বুঝতে পারছি না। অফিস করেছি নিয়মিত। এর মাঝে বাংলাদেশ প্রতিদিনের তিন সহকর্মী আক্রান্ত হলেন। খারাপ খবর আসে রেডিও ক্যাপিটাল থেকেও। নিউজ টোয়ান্টিফোর টিভি ঠিক আছে। অথচ শুরু থেকে ওদের নিয়েই আশঙ্কায় ছিলাম। চিন্তায় ছিলাম। পত্রিকার লোকজনকে বলেছিলাম তোমরা বের হবে না। বাসা আর অফিসে আসা যাওয়া করবে। অফিসের গাড়ি আর নিজের মোটরসাইকেলের বাইরে চড়বে না। টেলিভিশনের সবাইকে নিয়ে শঙ্কার কথা বলতাম। কারণ তারা অ্যাসাইনমেন্ট করতে বের হতো। কঠিনতম সময় মোকাবিলায় আমি অফিসের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। অফিসের কাজের বাইরে অসহায় মানুষের জন্য কিছু কাজ শুরু করি। গরিব হকারদের পাশে দাঁড়ালাম। নাঙ্গলকোটে নীরবে কিছু কাজ শুরু করি। এ ছাড়াও খুঁজে খুঁজে কিছু অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা বিকাশ করতে থাকি। আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই করার জন্য। ফরিদা ইয়াসমিন শুরু থেকেই সতর্ক করছিলেন। বলছিলেন, তোমার কারণে আমরা পুরো পরিবার একটা বিপদে পড়ব। তুমি এত দৌড়াচ্ছো কেন? কিন্তু দায়িত্বের কাছে কোনো দিন নিজেকে আড়াল করতে পারিনি। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চলে যেতাম সোজা শাওয়ারে। দীর্ঘ সময় নিয়ে শাওয়ার করে বের হতাম। সকালে অফিসে যেতে একবার শাওয়ার করে যেতাম। ফিরে এসে আবার। 

রমজানে রোজা রাখি। তাই আমার অফিসের সময় নতুনভাবে সাজিয়ে নিই। সকালে অফিসে যেতাম। বিজ্ঞাপন বিভাগ, হিসাব বিভাগ, ফিচার, টিভি ও রেডিওর সঙ্গে কাজ করতাম। বিকালে পত্রিকার মেকআপ শেষ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতাম। ইফতার করতাম পরিবারের সঙ্গে। মাগরিবের নামাজ শেষে ডিনার সারতাম। ১৭ মে রাতে আলসেমি করে সাহরি খাওয়া হয়নি ঠিকভাবে। ১৮ মে সকালে অফিসে গেলাম। একটার পর একটা মিটিং ছিল। কাগজপত্রের স্তূপে স্বাক্ষর তো ছিলই। হিসাব বিভাগ আর মার্কেটিং বিভাগের সঙ্গে দুই মাসের পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষ করতেই নিউজ টোয়ান্টিফোরের বার্তা বিভাগের সিনিয়ররা আসেন নিয়মিত বৈঠকে। তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা বৈঠক শেষ করলাম। এই সময় এলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মার্কেটিং বিভাগ প্রধান মাসুদ। তার সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ মনে হলো মাথা ঘুরছে। মাসুদ বুঝলো শরীর খারাপ করছে। বলল, স্যার রোজাতে এত চাপ নিলে হয়? আপনি বিশ্রাম করুন। বলে দিচ্ছি ভিতরে কেউ আসবে না। মাসুদ বেরিয়ে যেতেই দেখলাম আমার চারপাশ ঘুরছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। চোখ বুজেও শান্তি নেই।  দুনিয়াদারির সব কিছু ঘুরছে। তবুও চোখ বোজার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। নিজের কাছে মনে হলো আগের রাতে সাহরি খাইনি বলে হয়তো এমন হচ্ছে। রাত ১২টার দিকে একবারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতেও রোজা না ভাঙার শপথে চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকলাম। একটু তন্দ্রার মতো এলো। এভাবেই ঘণ্টা দুই কাটল। বাসায় কিছু জানালাম না। বিকাল ৫টায় চোখ খুলেই বমি করলাম। ভিতর থেকে শুধু পানি এলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম। সোজা বাথরুমে শাওয়ার করতে গিয়ে আবার বমি। এবার শুধু কফ বের হলো। আর কিছু না। দ্বিতীয় দফা বমির পর কিছুটা ভালো অনুভব করলাম। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে পানি খেলাম। তারপর একটু ভাত খেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। ফরিদা ও আমার সন্তানরা এসে বারবার খোঁজ নিল। বললাম, আমার ঘুমানো দরকার। তারা শুধু বলল, কিছু লাগলে জানাবে। রাতে ভালো ঘুম হলো। সকালে ফুরফুরে লাগল।

১৯ মে অফিসে গেলাম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরত হকারদের সহায়তা করবেন। আমাকে নিয়ে তিনি পত্রিকার হকারদের জন্য ২০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন। এ অনুষ্ঠানটি দুদিন আগে চূড়ান্ত করা। এমডি সাহেবের ওখান থেকে সোজা এলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটু একটু শরীর খারাপ লাগছিল। রাতে শীত ও জ¦র অনুভব করলাম। পরদিন ২০ মে সকালে আর অফিসে গেলাম না। ছেলেমেয়ে জ্বর মেপে বলল, বাবা তোমার জ¦র আছে। ফরিদা ইয়াসমিন বললেন, নো অফিস। বাসা থেকে অফিস চালাও। অফিসে গেলাম না। ফোন করলাম ডা. তানিয়া আলমকে। তাকে বললাম, জ্বর তেমন নেই, শরীর ব্যথা আছে। প্যারাসিটামল খেয়েছি। পরামর্শ কী? তানিয়া বলল, এখনই আপনি আলাদা রুমে আইসোলেশনে চলে যান। আর করোনা টেস্ট করুন কালকেই। বললাম, জ্বর বেশি নেই, শরীর ব্যথা। গলা ব্যথাও নেই। তানিয়া বলল, করোনার এখন উপসর্গ নানামুখী। টেস্ট করতেই হবে। তার আগে আইসোলেশন। আমার পাশেই ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি কঠিনভাবে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিলেন। আমাকে এক রুমে পাঠিয়ে দিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করলাম। তারা বলল, ২১ তারিখ লোক পাঠাবেন বাসায়।

২১ মে এভারকেয়ারের লোক এলো। তারা নাক থেকে নমুনা নিল পরীক্ষার জন্য। শরীরে জ্বর-ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সকালে ও দুপুরে নাপা খেলাম। আমার রুমের সামনে খাবার রেখে নক করা হতো। ছেলেমেয়ে পারলে রুমে চলে আসে। ওদের থামাতাম। রাত ৯টার দিকে ফোন এলো ডা. তানিয়ার। বললেন, খবর ভালো নয়। আপনার করোনা পজিটিভ। মনকে শক্ত করুন। জানি আপনি কঠিন ধাঁচের মানুষ সব জয় করতে পারবেন। কাল ভাবী, বাচ্চাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। আর মেডিসিনের তালিকা পাঠাচ্ছি। আবদুল্লাহ স্যার ও আরজু আপাকে দিয়ে চেক করে নিন। তারপর ওষুধগুলো রাতেই এনে নিন। কাল সকাল থেকে খাওয়া শুরু করবেন। আমি রিপোর্টের কপি পাঠালাম ফরিদা ও আমার দুই সন্তানকে। তাদের জানালাম প্রথম। তারপর ফোন করলাম, অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ও ডা. জাহানারা আরজু ভাবীকে। ব্যক্তিগত জীবনে ভাবী আলাহ উদ্দিন চৌধুরী নাসিম ভাইয়ের স্ত্রী। তারা মেডিসিন তালিকা দেখে বললেন, ঠিক আছে। শুরু করে দিন কাল সকাল থেকে। অফিসের প্রশাসন বিভাগের মোশাররফকে ফোন করে ওষুধগুলো পাঠাতে বললাম। রাতেই মোশাররফ সব কিনে বাসায় পাঠাল। সকাল থেকে শুরু হবে মেডিকেশন। অনেকটা ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। 

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফরিদা ইয়াসমিনের ফোন। জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে আসবে। মাহির, পূর্ণতা ও তার নমুনা নেবে আজ। আমারটাও আবার দিতে পারি। সবার নমুনা দিল। রিপোর্ট আমারটা আবার পজিটিভ এলো। বাকিদের নেগেটিভ। স্বস্তি ফিরে পেলাম। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলাম পরিবারের সবার ভালো খবরে। এবার লড়াইটা আমাকে নিয়েই সবার করতে হবে। নিজেও মানসিকভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিলাম। আমার আত্মীয়-পরিজনকে খবরটা জানালাম। অনেক প্রিয়জন ফোন করলেন। অনেকেই আমার খবরে ভীষণ মন খারাপ করলেন। দুঃখ করলেন। কাঁদলেনও অনেকে। নামাজ পড়ে অনেকে প্রার্থনা করলেন আল্লাহর দরবারে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করলেন। প্রিয় ঘনিষ্ঠ অনেক রাজনীতিবিদও ফোন করে খোঁজ নিলেন। অনেক আত্মীয়-পরিজন ফল কিনে পাঠালেন। কেউ পাঠালেন রান্না করে। ফরিদা ইয়াসমিন সব সামাল দিচ্ছেন। এর মাঝে আমার শাশুড়ির শরীর খারাপ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আমার শ্যালক কুয়েত থাকে। হঠাৎ খবর এলো সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফরিদা ইয়াসমিনের ওপর একটা কঠিন মানসিক চাপ তৈরি হলো।

২৫ মে ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। ঈদ আনন্দ আমার পরিবার থেকে হারিয়ে গেল। ২৪ মে ফোনে কথা হয় এ কে আজাদ ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি আমার খবর শুনে ভীষণ চিন্তিত হলেন। বললেন, করোনা ভয়ঙ্কর অবস্থা যে কোনো সময় তৈরি হতে পারে। শরীর ২ ঘণ্টার নোটিসে ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠতে পারে। আপনার উচিত হাসপাতালে যাওয়া। বেঁচে থাকতে হবে। আপনাদের মতো মানুষের বেঁচে থাকা দরকার। আজাদ ভাই আরও বললেন, তিনি হাসপাতালে আরেকটু বিলম্ব করে গেলে সমস্যায় পড়তেন। তিনি পরামর্শ দেন স্কয়ার হাসপাতালে যেতে। আমি ফরিদা ইয়াসমিনকে ফোন করলাম। করোনাকালে আইসোলেশনে ফোনই ভরসা। তাকে বললাম, আজাদ ভাই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফরিদা বলল, আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহকে ফোন দাও। ফোন দিতেই তিনি ধরলেন। বললেন, স্কয়ার থেকে এভারকেয়ার (আগের এ্যাপোলো) আপনার জন্য ভালো হবে। বাসার কাছে, অফিসের কাছে, সবাই খোঁজ নিতে পারবে। এভারকেয়ারে নিয়মিত রোগী আমি। আমার করোনা শনাক্তও হয়েছে তাদের টেস্টে। এভারকেয়ার জানাল তারা চেষ্টা করছেন আমাকে ভর্তি করানো যায় কিনা। তারা আরও বললেন, চিন্তা কইরেন না। ২ ঘণ্টা পর চিন্তায় পড়লাম।  বুঝতে পারি ওরা আসলে ভর্তি করবে না। ফোন করি আমার একজন প্রিয় মানুষ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে। তিনি আমাকে স্নেহ করেন।  বললাম স্কয়ারে তপন চৌধুরীকে একটু বলে দিন, আমাকে ভর্তি করতে। তিনি উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চান কী হয়েছে? বললাম, করোনা পজিটিভ। তিনি বললেন, ব্যবস্থা করছি। ফরিদাকে বললাম, স্কয়ারে হবে। কিন্তু কীভাবে যাব? তার মন সায় দিচ্ছিল না হাসপাতালে পাঠাতে। কারণ হাসপাতালগুলোর অবস্থা দেখতে পাচ্ছিল। ড্রাইভার সামিউর এলো বাসায়। ড্রাইভার হিসেবে সে অনেক দিন থেকে আমার সঙ্গে। তাকে পিপিই দিলেন ফরিদা। এর মাঝে তোফায়েল ভাই ফোন করেন কমপক্ষে ১০ বার। তিনি জানালেন সব তৈরি। গেলেই হবে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্কয়ারের জরুরি বিভাগে গেলাম। ওরা আগে থেকে তৈরি ছিলেন। আমার কার্ড বানালেন। ব্লাড প্রেশার আর অক্সিজেন নেওয়ার পরিমাণ মেপে দেখলেন। ডাক্তার বললেন, আপনার অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। এই রোগীদের মাঝে আপনার ভর্তি হওয়া ঠিক হবে না। আপনি বরং বাসায় চলে যান। আলাদা আইসোলেশনে থাকবেন। ওষুধ যা খাচ্ছেন খেতে থাকুন। আর যে কারণে এলেন, ভেন্টিলেটর নেই আমাদের। কথা বলে বুঝতে পারছি আপনার মনের জোর শক্ত। ফোন করি অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহকে। বললাম, সার্বিক পরিস্থিতি। ফোনটা কর্তব্যরত চিকিৎসককে দিলাম। আবদুল্লাহ ভাই তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তারপর আবার আমার সঙ্গে বললেন, বাসায় যান। দেখা যাক আমি মনিটর করব। ডা. তানিয়াকে বলে দিচ্ছি ও আপনার খোঁজ রাখবে। জানাবে আমাকে সব সময়। ফরিদাকে আবার কল দিলাম। বললাম বিস্তারিত। ও বলল, দরজা খোলা থাকবে। সোজা তোমার রুমে চলে যাবে। আল্লাহ ভরসা চলে আসো দ্রুত। হাসপাতালে থাকলে বরং আমরা বেশি টেনশনে থাকতাম।

বাসায় ফিরে মনটা একটু এলোমেলো হলো। মেয়ে ফোনে বলল, বাবা কথা শুনবা। এত হৈচৈ এর দরকার নেই। মেডিসিনগুলো নাও ঠিকভাবে। দুই বেলা ব্যায়াম করবে। গরম পানির গার্গল করবে। যখন যা লাগবে গ্রুপে লিখবে। এর মাঝে আমাদের একটি পারিবারিক গ্রুপ তৈরি করেছে ভাইবারে। কঠিন মনোবল নিয়ে পুরো পরিবার আমাকে স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করল। তারাও জানে আমার প্রচন্ড মনোবল। এই মনোবল চাঙ্গা থাকলে কোনো কিছু আমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। খারাপ সময় জয় করতে পারব। এক ভোর রাত ৫টায় ঘুম ভাঙে আমার। অনলাইনে আসতেই ছেলেমেয়ে দুজনই মেসেস পাঠালো, তোমার কিছু লাগবে? জানাও। বললাম, না ঠিক আছি। সকালে একবারে ব্রেকফাস্ট খাব। ফরিদা গ্রুপে লেখা ছাড়াও ফোন দিয়ে বলত, কী খেতে চাই, না চাই। বললাম, খাওয়ার টেস্ট নেই মুখে। প্রথম দিকে খেতে ভালো লাগত না। ও বলত খেতে হবে খারাপ লাগলেও। পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। মেয়ে মেসেস দিত বাবা ব্যায়াম কর। গরম পানি দিয়ে গার্গল কর। খাবারটা ঠিকভাবে খাবে। ছেলে ফোন করে জানতে চাইত, সব ঠিক আছে তো। একই বাসায় থেকে ফোনই আমাদের ভরসা। ফোন করতেন অনেক আপনজনও। প্রতিদিনই শরীরের খবর নিতেন তোফায়েল ভাই। তিনি বলতেন, তোমার গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে ভালো আছো। ফোন করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলতেন, নামাজ পড়ে তোমার জন্য দোয়া করেছি। তুমি ভালো হয়ে উঠবে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা ফোন করত, খোঁজ নিত শরীরের। নাঙ্গলকোটের আমার প্রিয়জনদের ফোন ছিল উৎকণ্ঠার। সবার দোয়া আর প্রার্থনায় প্রচন্ড মনোশক্তি নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে থাকি।

জানতাম, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরকার মানসিক শক্তি। ভাব নিতে হবে আমার কিছু হয়নি। ভালো আছি, ভালো থাকব। আর করোনার মতো অসুখকে জয় করতে দরকার পরিবারের সহায়তা। পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকলে একজন মানুষ খুব সহজে সব কিছু অতিক্রম করতে পারেন। করোনা গোপন করার মতো কিছু না। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.৬৪। অধিকাংশ মানুষ মারা যান ভয়ে, হৃদরোগে এবং পরিবার ও সমাজের উপেক্ষায়। আমার সাহসী ভাবনার সঙ্গে পাশে ছিল পুরো পরিবার। আমার স্ত্রী ও আমাদের দুই সন্তান সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহী করার চেষ্টা করেছেন। তারা খাবার দিতেন আলাদা করে। গরম স্যুপ, গরম চা, মসলা গরম করে আলাদা পানি দিতেন। খাবারে মুরগি, মাছ সবজি থাকত। আমার রুমে আলাদা কেটলি ছিল পানি গরমের। আমি গরম পানির ভাপ (জলীয় বাষ্প) নিতাম। গরম পানি খেতাম। গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হলেই গরম পানি খেতাম। গরম চাও খেতাম বেশি করে। চিনি ছাড়া লেবুর শরবত খেতাম। এতে কিছুটা আরাম বোধ হতো। অধ্যাপক আবদুল্লাহ ও ডা. তানিয়ার দেওয়া ওষুধ খেতাম নিয়মিত। আবদুল্লাহ ভাই ও তানিয়া খোঁজ নিয়েছেন ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছি কিনা। সব ঠিক আছে কিনা। আইসোলেশনের সময় কেটেছে বই পড়ে। নেট ফ্লেক্সে সিনেমা দেখেছি। শাওয়ার নিয়েছি নিয়মিত। নিজের পরা কাপড়গুলো নিজে ধুয়েছি। খাবারের প্লেটবাটি পরিষ্কার করেছি। নিজের ঘর পরিচ্ছন্ন রেখেছি। বিছানার চাদর বদল করেছি। প্রথম দিকে খাবারে স্বাদ পেতাম না। তবুও খেতাম। মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতাম। ব্যায়াম করতাম। অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতাম, ভাবখানা এমন আমার কিছু হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতাম।

আমাকে সবাই জানেন ভীষণ শক্ত মনের একজন মানুষ হিসেবে। কঠিনতম সময় জয় করতে পারি। ধ্বংসের সীমানায় প্রচন্ড প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। ৩ জুন আবার নমুনা দিলাম পরীক্ষার জন্য। ধরেই নিয়েছি রিপোর্ট আসবে করোনাভাইরাস নেগেটিভ। ১৪ দিন শেষ হয়েছে। ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিতে থাকি নতুন করে সব কিছু আবার শুরুর। রিপোর্ট আসার আগে সেই রাতেই খারাপ খবর আসে, আমার শাশুড়ি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তিনি শুধু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের মা ছিলেন না, তার প্রতিটি সন্তান উচ্চশিক্ষিত। তিনি আমাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে নন, নিজের ছেলে হিসেবে দেখতেন। সন্তানের মতো আদর স্নেহ পেয়েছি ওনার কাছ থেকে। আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুন। সীমিত পরিসরে ওনার জানাজা ও দাফন হলো নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে। যেতে পারলাম না আমি। আর বাসার অবস্থা বিবেচনা করে ফরিদা ও মাহির গেল না। তারা থেকে গেল আমার জন্য। ৪ জুন খারাপ খবর দিয়ে শুরু হলো জীবন। কঠিনতম অধ্যায় মানুষের একবার শুরু হলে আর ছাড়তে চায় না। এর মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষায় একটি ভালো খবরের জন্য। ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষ। কী এলো নতুন রিপোর্টে জানাব আগামী সংখ্যায়।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
রাশিয়ার তেল শোধনাগারে হামলার দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার তেল শোধনাগারে হামলার দাবি ইউক্রেনের

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য আজ
আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য আজ

১৭ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

বিহারের নতুন বিধায়কদের ৯০ শতাংশই কোটিপতি
বিহারের নতুন বিধায়কদের ৯০ শতাংশই কোটিপতি

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন : সিইসি
সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন : সিইসি

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

এমবাপ্পেকে ছাড়াই রাতে মাঠে নামছে ফ্রান্স
এমবাপ্পেকে ছাড়াই রাতে মাঠে নামছে ফ্রান্স

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভারী বৃষ্টি: বিপর্যস্ত ক্যাম্প বাসিন্দাদের তাঁবু সঙ্কট
গাজায় ভারী বৃষ্টি: বিপর্যস্ত ক্যাম্প বাসিন্দাদের তাঁবু সঙ্কট

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউ ইস্কাটন রোডে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলে পথচারী আহত
নিউ ইস্কাটন রোডে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলে পথচারী আহত

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

মাদারীপুরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ
মাদারীপুরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড : খাতা চ্যালেঞ্জে ফেল থেকে পাস ৪৫ শিক্ষার্থী
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড : খাতা চ্যালেঞ্জে ফেল থেকে পাস ৪৫ শিক্ষার্থী

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করলো ইসরায়েল
আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করলো ইসরায়েল

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করার উদ্যোগ
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে সবুজায়ন করার উদ্যোগ

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

৬ দলের সঙ্গে সংলাপে ইসি
৬ দলের সঙ্গে সংলাপে ইসি

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে জেন-জির বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১২০
মেক্সিকোতে জেন-জির বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১২০

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষায় নতুন জিপিএ–৫ পেল ২০১ শিক্ষার্থী
ঢাকা বোর্ডে পুনর্নিরীক্ষায় নতুন জিপিএ–৫ পেল ২০১ শিক্ষার্থী

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বিদায়ী জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব
বিদায়ী জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে খতমে হিফজুল কুরআন ও আলিমিয়্যাহ গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান
সিডনিতে খতমে হিফজুল কুরআন ও আলিমিয়্যাহ গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

৫৪ মিনিট আগে | পরবাস

চোখ বন্ধ, হাসি নেই: এক ক্লিকেই ঠিক করবে গুগল ফটোস
চোখ বন্ধ, হাসি নেই: এক ক্লিকেই ঠিক করবে গুগল ফটোস

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গাজা-মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে পুতিন-নেতানিয়াহু ফোনালাপ
গাজা-মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে পুতিন-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্স মঞ্চে কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চে কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ
বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস আজ
আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস আজ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে উডকে নিয়ে শঙ্কা নেই
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে উডকে নিয়ে শঙ্কা নেই

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন
সিলেটে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

গাজাকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা, পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
গাজাকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা, পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চোটে ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন শুভমান গিল
চোটে ইডেন টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা