শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

হ্যালো, আজ কেমন বোধ করছ?

ভালো বোধ করছি। কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।

শ্বাস নিতে পারছ ঠিকভাবে? অক্সিমিটার হাতে নাও। পরীক্ষা করে দেখ শ্বাস নিতে সমস্যা হয় কিনা? সমস্যা হলেই জানাবে।

-পরীক্ষা করলাম, স্বাভাবিক মনে হচ্ছে শ্বাস। ডা. বলেছেন ৯০-এর বেশি থাকলে চলবে।

 ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছ আজ?

-হুম কথা হয়েছে। অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ফোন করেছেন। ডা. তানিয়া ফোন করেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন। সর্বশেষ অবস্থা ওনাদের জানাইছি।

নতুন কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কী? খাবার, মেডিসিন?

- না, আর কোনো পরামর্শ দেননি। সাবধানে থাকতে বলেছেন। আগে যেভাবে বলেছেন তা ঠিকভাবে পালন করে যেতে হবে। আর কিছু নয়।

দূর দেশ নয়, পাশের রুম থেকে ফোনে খবর নিচ্ছিল আমার মেয়ে। টানা আইসোলেশনে আমি। শরীরের এ সমস্যা হুট করেই শুরু। কীভাবে কোথা থেকে কী হলো বুঝতে পারছি না। অফিস করেছি নিয়মিত। এর মাঝে বাংলাদেশ প্রতিদিনের তিন সহকর্মী আক্রান্ত হলেন। খারাপ খবর আসে রেডিও ক্যাপিটাল থেকেও। নিউজ টোয়ান্টিফোর টিভি ঠিক আছে। অথচ শুরু থেকে ওদের নিয়েই আশঙ্কায় ছিলাম। চিন্তায় ছিলাম। পত্রিকার লোকজনকে বলেছিলাম তোমরা বের হবে না। বাসা আর অফিসে আসা যাওয়া করবে। অফিসের গাড়ি আর নিজের মোটরসাইকেলের বাইরে চড়বে না। টেলিভিশনের সবাইকে নিয়ে শঙ্কার কথা বলতাম। কারণ তারা অ্যাসাইনমেন্ট করতে বের হতো। কঠিনতম সময় মোকাবিলায় আমি অফিসের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। অফিসের কাজের বাইরে অসহায় মানুষের জন্য কিছু কাজ শুরু করি। গরিব হকারদের পাশে দাঁড়ালাম। নাঙ্গলকোটে নীরবে কিছু কাজ শুরু করি। এ ছাড়াও খুঁজে খুঁজে কিছু অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা বিকাশ করতে থাকি। আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই করার জন্য। ফরিদা ইয়াসমিন শুরু থেকেই সতর্ক করছিলেন। বলছিলেন, তোমার কারণে আমরা পুরো পরিবার একটা বিপদে পড়ব। তুমি এত দৌড়াচ্ছো কেন? কিন্তু দায়িত্বের কাছে কোনো দিন নিজেকে আড়াল করতে পারিনি। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চলে যেতাম সোজা শাওয়ারে। দীর্ঘ সময় নিয়ে শাওয়ার করে বের হতাম। সকালে অফিসে যেতে একবার শাওয়ার করে যেতাম। ফিরে এসে আবার। 

রমজানে রোজা রাখি। তাই আমার অফিসের সময় নতুনভাবে সাজিয়ে নিই। সকালে অফিসে যেতাম। বিজ্ঞাপন বিভাগ, হিসাব বিভাগ, ফিচার, টিভি ও রেডিওর সঙ্গে কাজ করতাম। বিকালে পত্রিকার মেকআপ শেষ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতাম। ইফতার করতাম পরিবারের সঙ্গে। মাগরিবের নামাজ শেষে ডিনার সারতাম। ১৭ মে রাতে আলসেমি করে সাহরি খাওয়া হয়নি ঠিকভাবে। ১৮ মে সকালে অফিসে গেলাম। একটার পর একটা মিটিং ছিল। কাগজপত্রের স্তূপে স্বাক্ষর তো ছিলই। হিসাব বিভাগ আর মার্কেটিং বিভাগের সঙ্গে দুই মাসের পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষ করতেই নিউজ টোয়ান্টিফোরের বার্তা বিভাগের সিনিয়ররা আসেন নিয়মিত বৈঠকে। তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা বৈঠক শেষ করলাম। এই সময় এলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মার্কেটিং বিভাগ প্রধান মাসুদ। তার সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ মনে হলো মাথা ঘুরছে। মাসুদ বুঝলো শরীর খারাপ করছে। বলল, স্যার রোজাতে এত চাপ নিলে হয়? আপনি বিশ্রাম করুন। বলে দিচ্ছি ভিতরে কেউ আসবে না। মাসুদ বেরিয়ে যেতেই দেখলাম আমার চারপাশ ঘুরছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। চোখ বুজেও শান্তি নেই।  দুনিয়াদারির সব কিছু ঘুরছে। তবুও চোখ বোজার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। নিজের কাছে মনে হলো আগের রাতে সাহরি খাইনি বলে হয়তো এমন হচ্ছে। রাত ১২টার দিকে একবারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতেও রোজা না ভাঙার শপথে চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকলাম। একটু তন্দ্রার মতো এলো। এভাবেই ঘণ্টা দুই কাটল। বাসায় কিছু জানালাম না। বিকাল ৫টায় চোখ খুলেই বমি করলাম। ভিতর থেকে শুধু পানি এলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম। সোজা বাথরুমে শাওয়ার করতে গিয়ে আবার বমি। এবার শুধু কফ বের হলো। আর কিছু না। দ্বিতীয় দফা বমির পর কিছুটা ভালো অনুভব করলাম। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে পানি খেলাম। তারপর একটু ভাত খেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। ফরিদা ও আমার সন্তানরা এসে বারবার খোঁজ নিল। বললাম, আমার ঘুমানো দরকার। তারা শুধু বলল, কিছু লাগলে জানাবে। রাতে ভালো ঘুম হলো। সকালে ফুরফুরে লাগল।

১৯ মে অফিসে গেলাম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরত হকারদের সহায়তা করবেন। আমাকে নিয়ে তিনি পত্রিকার হকারদের জন্য ২০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন। এ অনুষ্ঠানটি দুদিন আগে চূড়ান্ত করা। এমডি সাহেবের ওখান থেকে সোজা এলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটু একটু শরীর খারাপ লাগছিল। রাতে শীত ও জ¦র অনুভব করলাম। পরদিন ২০ মে সকালে আর অফিসে গেলাম না। ছেলেমেয়ে জ্বর মেপে বলল, বাবা তোমার জ¦র আছে। ফরিদা ইয়াসমিন বললেন, নো অফিস। বাসা থেকে অফিস চালাও। অফিসে গেলাম না। ফোন করলাম ডা. তানিয়া আলমকে। তাকে বললাম, জ্বর তেমন নেই, শরীর ব্যথা আছে। প্যারাসিটামল খেয়েছি। পরামর্শ কী? তানিয়া বলল, এখনই আপনি আলাদা রুমে আইসোলেশনে চলে যান। আর করোনা টেস্ট করুন কালকেই। বললাম, জ্বর বেশি নেই, শরীর ব্যথা। গলা ব্যথাও নেই। তানিয়া বলল, করোনার এখন উপসর্গ নানামুখী। টেস্ট করতেই হবে। তার আগে আইসোলেশন। আমার পাশেই ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি কঠিনভাবে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিলেন। আমাকে এক রুমে পাঠিয়ে দিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করলাম। তারা বলল, ২১ তারিখ লোক পাঠাবেন বাসায়।

২১ মে এভারকেয়ারের লোক এলো। তারা নাক থেকে নমুনা নিল পরীক্ষার জন্য। শরীরে জ্বর-ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সকালে ও দুপুরে নাপা খেলাম। আমার রুমের সামনে খাবার রেখে নক করা হতো। ছেলেমেয়ে পারলে রুমে চলে আসে। ওদের থামাতাম। রাত ৯টার দিকে ফোন এলো ডা. তানিয়ার। বললেন, খবর ভালো নয়। আপনার করোনা পজিটিভ। মনকে শক্ত করুন। জানি আপনি কঠিন ধাঁচের মানুষ সব জয় করতে পারবেন। কাল ভাবী, বাচ্চাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। আর মেডিসিনের তালিকা পাঠাচ্ছি। আবদুল্লাহ স্যার ও আরজু আপাকে দিয়ে চেক করে নিন। তারপর ওষুধগুলো রাতেই এনে নিন। কাল সকাল থেকে খাওয়া শুরু করবেন। আমি রিপোর্টের কপি পাঠালাম ফরিদা ও আমার দুই সন্তানকে। তাদের জানালাম প্রথম। তারপর ফোন করলাম, অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ও ডা. জাহানারা আরজু ভাবীকে। ব্যক্তিগত জীবনে ভাবী আলাহ উদ্দিন চৌধুরী নাসিম ভাইয়ের স্ত্রী। তারা মেডিসিন তালিকা দেখে বললেন, ঠিক আছে। শুরু করে দিন কাল সকাল থেকে। অফিসের প্রশাসন বিভাগের মোশাররফকে ফোন করে ওষুধগুলো পাঠাতে বললাম। রাতেই মোশাররফ সব কিনে বাসায় পাঠাল। সকাল থেকে শুরু হবে মেডিকেশন। অনেকটা ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। 

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফরিদা ইয়াসমিনের ফোন। জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে আসবে। মাহির, পূর্ণতা ও তার নমুনা নেবে আজ। আমারটাও আবার দিতে পারি। সবার নমুনা দিল। রিপোর্ট আমারটা আবার পজিটিভ এলো। বাকিদের নেগেটিভ। স্বস্তি ফিরে পেলাম। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলাম পরিবারের সবার ভালো খবরে। এবার লড়াইটা আমাকে নিয়েই সবার করতে হবে। নিজেও মানসিকভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিলাম। আমার আত্মীয়-পরিজনকে খবরটা জানালাম। অনেক প্রিয়জন ফোন করলেন। অনেকেই আমার খবরে ভীষণ মন খারাপ করলেন। দুঃখ করলেন। কাঁদলেনও অনেকে। নামাজ পড়ে অনেকে প্রার্থনা করলেন আল্লাহর দরবারে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করলেন। প্রিয় ঘনিষ্ঠ অনেক রাজনীতিবিদও ফোন করে খোঁজ নিলেন। অনেক আত্মীয়-পরিজন ফল কিনে পাঠালেন। কেউ পাঠালেন রান্না করে। ফরিদা ইয়াসমিন সব সামাল দিচ্ছেন। এর মাঝে আমার শাশুড়ির শরীর খারাপ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আমার শ্যালক কুয়েত থাকে। হঠাৎ খবর এলো সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফরিদা ইয়াসমিনের ওপর একটা কঠিন মানসিক চাপ তৈরি হলো।

২৫ মে ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। ঈদ আনন্দ আমার পরিবার থেকে হারিয়ে গেল। ২৪ মে ফোনে কথা হয় এ কে আজাদ ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি আমার খবর শুনে ভীষণ চিন্তিত হলেন। বললেন, করোনা ভয়ঙ্কর অবস্থা যে কোনো সময় তৈরি হতে পারে। শরীর ২ ঘণ্টার নোটিসে ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠতে পারে। আপনার উচিত হাসপাতালে যাওয়া। বেঁচে থাকতে হবে। আপনাদের মতো মানুষের বেঁচে থাকা দরকার। আজাদ ভাই আরও বললেন, তিনি হাসপাতালে আরেকটু বিলম্ব করে গেলে সমস্যায় পড়তেন। তিনি পরামর্শ দেন স্কয়ার হাসপাতালে যেতে। আমি ফরিদা ইয়াসমিনকে ফোন করলাম। করোনাকালে আইসোলেশনে ফোনই ভরসা। তাকে বললাম, আজাদ ভাই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফরিদা বলল, আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহকে ফোন দাও। ফোন দিতেই তিনি ধরলেন। বললেন, স্কয়ার থেকে এভারকেয়ার (আগের এ্যাপোলো) আপনার জন্য ভালো হবে। বাসার কাছে, অফিসের কাছে, সবাই খোঁজ নিতে পারবে। এভারকেয়ারে নিয়মিত রোগী আমি। আমার করোনা শনাক্তও হয়েছে তাদের টেস্টে। এভারকেয়ার জানাল তারা চেষ্টা করছেন আমাকে ভর্তি করানো যায় কিনা। তারা আরও বললেন, চিন্তা কইরেন না। ২ ঘণ্টা পর চিন্তায় পড়লাম।  বুঝতে পারি ওরা আসলে ভর্তি করবে না। ফোন করি আমার একজন প্রিয় মানুষ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে। তিনি আমাকে স্নেহ করেন।  বললাম স্কয়ারে তপন চৌধুরীকে একটু বলে দিন, আমাকে ভর্তি করতে। তিনি উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চান কী হয়েছে? বললাম, করোনা পজিটিভ। তিনি বললেন, ব্যবস্থা করছি। ফরিদাকে বললাম, স্কয়ারে হবে। কিন্তু কীভাবে যাব? তার মন সায় দিচ্ছিল না হাসপাতালে পাঠাতে। কারণ হাসপাতালগুলোর অবস্থা দেখতে পাচ্ছিল। ড্রাইভার সামিউর এলো বাসায়। ড্রাইভার হিসেবে সে অনেক দিন থেকে আমার সঙ্গে। তাকে পিপিই দিলেন ফরিদা। এর মাঝে তোফায়েল ভাই ফোন করেন কমপক্ষে ১০ বার। তিনি জানালেন সব তৈরি। গেলেই হবে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্কয়ারের জরুরি বিভাগে গেলাম। ওরা আগে থেকে তৈরি ছিলেন। আমার কার্ড বানালেন। ব্লাড প্রেশার আর অক্সিজেন নেওয়ার পরিমাণ মেপে দেখলেন। ডাক্তার বললেন, আপনার অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। এই রোগীদের মাঝে আপনার ভর্তি হওয়া ঠিক হবে না। আপনি বরং বাসায় চলে যান। আলাদা আইসোলেশনে থাকবেন। ওষুধ যা খাচ্ছেন খেতে থাকুন। আর যে কারণে এলেন, ভেন্টিলেটর নেই আমাদের। কথা বলে বুঝতে পারছি আপনার মনের জোর শক্ত। ফোন করি অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহকে। বললাম, সার্বিক পরিস্থিতি। ফোনটা কর্তব্যরত চিকিৎসককে দিলাম। আবদুল্লাহ ভাই তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তারপর আবার আমার সঙ্গে বললেন, বাসায় যান। দেখা যাক আমি মনিটর করব। ডা. তানিয়াকে বলে দিচ্ছি ও আপনার খোঁজ রাখবে। জানাবে আমাকে সব সময়। ফরিদাকে আবার কল দিলাম। বললাম বিস্তারিত। ও বলল, দরজা খোলা থাকবে। সোজা তোমার রুমে চলে যাবে। আল্লাহ ভরসা চলে আসো দ্রুত। হাসপাতালে থাকলে বরং আমরা বেশি টেনশনে থাকতাম।

বাসায় ফিরে মনটা একটু এলোমেলো হলো। মেয়ে ফোনে বলল, বাবা কথা শুনবা। এত হৈচৈ এর দরকার নেই। মেডিসিনগুলো নাও ঠিকভাবে। দুই বেলা ব্যায়াম করবে। গরম পানির গার্গল করবে। যখন যা লাগবে গ্রুপে লিখবে। এর মাঝে আমাদের একটি পারিবারিক গ্রুপ তৈরি করেছে ভাইবারে। কঠিন মনোবল নিয়ে পুরো পরিবার আমাকে স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করল। তারাও জানে আমার প্রচন্ড মনোবল। এই মনোবল চাঙ্গা থাকলে কোনো কিছু আমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। খারাপ সময় জয় করতে পারব। এক ভোর রাত ৫টায় ঘুম ভাঙে আমার। অনলাইনে আসতেই ছেলেমেয়ে দুজনই মেসেস পাঠালো, তোমার কিছু লাগবে? জানাও। বললাম, না ঠিক আছি। সকালে একবারে ব্রেকফাস্ট খাব। ফরিদা গ্রুপে লেখা ছাড়াও ফোন দিয়ে বলত, কী খেতে চাই, না চাই। বললাম, খাওয়ার টেস্ট নেই মুখে। প্রথম দিকে খেতে ভালো লাগত না। ও বলত খেতে হবে খারাপ লাগলেও। পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। মেয়ে মেসেস দিত বাবা ব্যায়াম কর। গরম পানি দিয়ে গার্গল কর। খাবারটা ঠিকভাবে খাবে। ছেলে ফোন করে জানতে চাইত, সব ঠিক আছে তো। একই বাসায় থেকে ফোনই আমাদের ভরসা। ফোন করতেন অনেক আপনজনও। প্রতিদিনই শরীরের খবর নিতেন তোফায়েল ভাই। তিনি বলতেন, তোমার গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে ভালো আছো। ফোন করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলতেন, নামাজ পড়ে তোমার জন্য দোয়া করেছি। তুমি ভালো হয়ে উঠবে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা ফোন করত, খোঁজ নিত শরীরের। নাঙ্গলকোটের আমার প্রিয়জনদের ফোন ছিল উৎকণ্ঠার। সবার দোয়া আর প্রার্থনায় প্রচন্ড মনোশক্তি নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে থাকি।

জানতাম, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরকার মানসিক শক্তি। ভাব নিতে হবে আমার কিছু হয়নি। ভালো আছি, ভালো থাকব। আর করোনার মতো অসুখকে জয় করতে দরকার পরিবারের সহায়তা। পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকলে একজন মানুষ খুব সহজে সব কিছু অতিক্রম করতে পারেন। করোনা গোপন করার মতো কিছু না। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.৬৪। অধিকাংশ মানুষ মারা যান ভয়ে, হৃদরোগে এবং পরিবার ও সমাজের উপেক্ষায়। আমার সাহসী ভাবনার সঙ্গে পাশে ছিল পুরো পরিবার। আমার স্ত্রী ও আমাদের দুই সন্তান সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহী করার চেষ্টা করেছেন। তারা খাবার দিতেন আলাদা করে। গরম স্যুপ, গরম চা, মসলা গরম করে আলাদা পানি দিতেন। খাবারে মুরগি, মাছ সবজি থাকত। আমার রুমে আলাদা কেটলি ছিল পানি গরমের। আমি গরম পানির ভাপ (জলীয় বাষ্প) নিতাম। গরম পানি খেতাম। গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হলেই গরম পানি খেতাম। গরম চাও খেতাম বেশি করে। চিনি ছাড়া লেবুর শরবত খেতাম। এতে কিছুটা আরাম বোধ হতো। অধ্যাপক আবদুল্লাহ ও ডা. তানিয়ার দেওয়া ওষুধ খেতাম নিয়মিত। আবদুল্লাহ ভাই ও তানিয়া খোঁজ নিয়েছেন ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছি কিনা। সব ঠিক আছে কিনা। আইসোলেশনের সময় কেটেছে বই পড়ে। নেট ফ্লেক্সে সিনেমা দেখেছি। শাওয়ার নিয়েছি নিয়মিত। নিজের পরা কাপড়গুলো নিজে ধুয়েছি। খাবারের প্লেটবাটি পরিষ্কার করেছি। নিজের ঘর পরিচ্ছন্ন রেখেছি। বিছানার চাদর বদল করেছি। প্রথম দিকে খাবারে স্বাদ পেতাম না। তবুও খেতাম। মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতাম। ব্যায়াম করতাম। অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতাম, ভাবখানা এমন আমার কিছু হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতাম।

আমাকে সবাই জানেন ভীষণ শক্ত মনের একজন মানুষ হিসেবে। কঠিনতম সময় জয় করতে পারি। ধ্বংসের সীমানায় প্রচন্ড প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। ৩ জুন আবার নমুনা দিলাম পরীক্ষার জন্য। ধরেই নিয়েছি রিপোর্ট আসবে করোনাভাইরাস নেগেটিভ। ১৪ দিন শেষ হয়েছে। ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিতে থাকি নতুন করে সব কিছু আবার শুরুর। রিপোর্ট আসার আগে সেই রাতেই খারাপ খবর আসে, আমার শাশুড়ি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তিনি শুধু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের মা ছিলেন না, তার প্রতিটি সন্তান উচ্চশিক্ষিত। তিনি আমাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে নন, নিজের ছেলে হিসেবে দেখতেন। সন্তানের মতো আদর স্নেহ পেয়েছি ওনার কাছ থেকে। আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুন। সীমিত পরিসরে ওনার জানাজা ও দাফন হলো নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে। যেতে পারলাম না আমি। আর বাসার অবস্থা বিবেচনা করে ফরিদা ও মাহির গেল না। তারা থেকে গেল আমার জন্য। ৪ জুন খারাপ খবর দিয়ে শুরু হলো জীবন। কঠিনতম অধ্যায় মানুষের একবার শুরু হলে আর ছাড়তে চায় না। এর মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষায় একটি ভালো খবরের জন্য। ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষ। কী এলো নতুন রিপোর্টে জানাব আগামী সংখ্যায়।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে
জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?
‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি
লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

৫৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া
মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে
ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারের ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ বিধায়ক গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর
বিহারের ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ বিধায়ক গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পঞ্চগড়ে ঝরছে কুয়াশা
পঞ্চগড়ে ঝরছে কুয়াশা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো ক্রোয়েশিয়া
আইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো ক্রোয়েশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাতসকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
সাতসকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধামরাইয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
ধামরাইয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডার মন্ট্রিয়েল মাতালেন কুমার শানু ও সাদনা সারগাম
কানাডার মন্ট্রিয়েল মাতালেন কুমার শানু ও সাদনা সারগাম

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনমতের সঠিক প্রতিফলন না ঘটার আশঙ্কা
জনমতের সঠিক প্রতিফলন না ঘটার আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সমেশপুরের সবজি চারায় সবুজ সারাদেশের মাঠ
সমেশপুরের সবজি চারায় সবুজ সারাদেশের মাঠ

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৮ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা