শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

হ্যালো, আজ কেমন বোধ করছ?

ভালো বোধ করছি। কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।

শ্বাস নিতে পারছ ঠিকভাবে? অক্সিমিটার হাতে নাও। পরীক্ষা করে দেখ শ্বাস নিতে সমস্যা হয় কিনা? সমস্যা হলেই জানাবে।

-পরীক্ষা করলাম, স্বাভাবিক মনে হচ্ছে শ্বাস। ডা. বলেছেন ৯০-এর বেশি থাকলে চলবে।

 ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছ আজ?

-হুম কথা হয়েছে। অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ফোন করেছেন। ডা. তানিয়া ফোন করেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন। সর্বশেষ অবস্থা ওনাদের জানাইছি।

নতুন কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কী? খাবার, মেডিসিন?

- না, আর কোনো পরামর্শ দেননি। সাবধানে থাকতে বলেছেন। আগে যেভাবে বলেছেন তা ঠিকভাবে পালন করে যেতে হবে। আর কিছু নয়।

দূর দেশ নয়, পাশের রুম থেকে ফোনে খবর নিচ্ছিল আমার মেয়ে। টানা আইসোলেশনে আমি। শরীরের এ সমস্যা হুট করেই শুরু। কীভাবে কোথা থেকে কী হলো বুঝতে পারছি না। অফিস করেছি নিয়মিত। এর মাঝে বাংলাদেশ প্রতিদিনের তিন সহকর্মী আক্রান্ত হলেন। খারাপ খবর আসে রেডিও ক্যাপিটাল থেকেও। নিউজ টোয়ান্টিফোর টিভি ঠিক আছে। অথচ শুরু থেকে ওদের নিয়েই আশঙ্কায় ছিলাম। চিন্তায় ছিলাম। পত্রিকার লোকজনকে বলেছিলাম তোমরা বের হবে না। বাসা আর অফিসে আসা যাওয়া করবে। অফিসের গাড়ি আর নিজের মোটরসাইকেলের বাইরে চড়বে না। টেলিভিশনের সবাইকে নিয়ে শঙ্কার কথা বলতাম। কারণ তারা অ্যাসাইনমেন্ট করতে বের হতো। কঠিনতম সময় মোকাবিলায় আমি অফিসের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। অফিসের কাজের বাইরে অসহায় মানুষের জন্য কিছু কাজ শুরু করি। গরিব হকারদের পাশে দাঁড়ালাম। নাঙ্গলকোটে নীরবে কিছু কাজ শুরু করি। এ ছাড়াও খুঁজে খুঁজে কিছু অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা বিকাশ করতে থাকি। আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই করার জন্য। ফরিদা ইয়াসমিন শুরু থেকেই সতর্ক করছিলেন। বলছিলেন, তোমার কারণে আমরা পুরো পরিবার একটা বিপদে পড়ব। তুমি এত দৌড়াচ্ছো কেন? কিন্তু দায়িত্বের কাছে কোনো দিন নিজেকে আড়াল করতে পারিনি। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চলে যেতাম সোজা শাওয়ারে। দীর্ঘ সময় নিয়ে শাওয়ার করে বের হতাম। সকালে অফিসে যেতে একবার শাওয়ার করে যেতাম। ফিরে এসে আবার। 

রমজানে রোজা রাখি। তাই আমার অফিসের সময় নতুনভাবে সাজিয়ে নিই। সকালে অফিসে যেতাম। বিজ্ঞাপন বিভাগ, হিসাব বিভাগ, ফিচার, টিভি ও রেডিওর সঙ্গে কাজ করতাম। বিকালে পত্রিকার মেকআপ শেষ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতাম। ইফতার করতাম পরিবারের সঙ্গে। মাগরিবের নামাজ শেষে ডিনার সারতাম। ১৭ মে রাতে আলসেমি করে সাহরি খাওয়া হয়নি ঠিকভাবে। ১৮ মে সকালে অফিসে গেলাম। একটার পর একটা মিটিং ছিল। কাগজপত্রের স্তূপে স্বাক্ষর তো ছিলই। হিসাব বিভাগ আর মার্কেটিং বিভাগের সঙ্গে দুই মাসের পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষ করতেই নিউজ টোয়ান্টিফোরের বার্তা বিভাগের সিনিয়ররা আসেন নিয়মিত বৈঠকে। তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা বৈঠক শেষ করলাম। এই সময় এলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মার্কেটিং বিভাগ প্রধান মাসুদ। তার সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ মনে হলো মাথা ঘুরছে। মাসুদ বুঝলো শরীর খারাপ করছে। বলল, স্যার রোজাতে এত চাপ নিলে হয়? আপনি বিশ্রাম করুন। বলে দিচ্ছি ভিতরে কেউ আসবে না। মাসুদ বেরিয়ে যেতেই দেখলাম আমার চারপাশ ঘুরছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। চোখ বুজেও শান্তি নেই।  দুনিয়াদারির সব কিছু ঘুরছে। তবুও চোখ বোজার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। নিজের কাছে মনে হলো আগের রাতে সাহরি খাইনি বলে হয়তো এমন হচ্ছে। রাত ১২টার দিকে একবারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতেও রোজা না ভাঙার শপথে চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকলাম। একটু তন্দ্রার মতো এলো। এভাবেই ঘণ্টা দুই কাটল। বাসায় কিছু জানালাম না। বিকাল ৫টায় চোখ খুলেই বমি করলাম। ভিতর থেকে শুধু পানি এলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম। সোজা বাথরুমে শাওয়ার করতে গিয়ে আবার বমি। এবার শুধু কফ বের হলো। আর কিছু না। দ্বিতীয় দফা বমির পর কিছুটা ভালো অনুভব করলাম। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে পানি খেলাম। তারপর একটু ভাত খেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। ফরিদা ও আমার সন্তানরা এসে বারবার খোঁজ নিল। বললাম, আমার ঘুমানো দরকার। তারা শুধু বলল, কিছু লাগলে জানাবে। রাতে ভালো ঘুম হলো। সকালে ফুরফুরে লাগল।

১৯ মে অফিসে গেলাম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরত হকারদের সহায়তা করবেন। আমাকে নিয়ে তিনি পত্রিকার হকারদের জন্য ২০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন। এ অনুষ্ঠানটি দুদিন আগে চূড়ান্ত করা। এমডি সাহেবের ওখান থেকে সোজা এলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটু একটু শরীর খারাপ লাগছিল। রাতে শীত ও জ¦র অনুভব করলাম। পরদিন ২০ মে সকালে আর অফিসে গেলাম না। ছেলেমেয়ে জ্বর মেপে বলল, বাবা তোমার জ¦র আছে। ফরিদা ইয়াসমিন বললেন, নো অফিস। বাসা থেকে অফিস চালাও। অফিসে গেলাম না। ফোন করলাম ডা. তানিয়া আলমকে। তাকে বললাম, জ্বর তেমন নেই, শরীর ব্যথা আছে। প্যারাসিটামল খেয়েছি। পরামর্শ কী? তানিয়া বলল, এখনই আপনি আলাদা রুমে আইসোলেশনে চলে যান। আর করোনা টেস্ট করুন কালকেই। বললাম, জ্বর বেশি নেই, শরীর ব্যথা। গলা ব্যথাও নেই। তানিয়া বলল, করোনার এখন উপসর্গ নানামুখী। টেস্ট করতেই হবে। তার আগে আইসোলেশন। আমার পাশেই ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি কঠিনভাবে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিলেন। আমাকে এক রুমে পাঠিয়ে দিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করলাম। তারা বলল, ২১ তারিখ লোক পাঠাবেন বাসায়।

২১ মে এভারকেয়ারের লোক এলো। তারা নাক থেকে নমুনা নিল পরীক্ষার জন্য। শরীরে জ্বর-ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সকালে ও দুপুরে নাপা খেলাম। আমার রুমের সামনে খাবার রেখে নক করা হতো। ছেলেমেয়ে পারলে রুমে চলে আসে। ওদের থামাতাম। রাত ৯টার দিকে ফোন এলো ডা. তানিয়ার। বললেন, খবর ভালো নয়। আপনার করোনা পজিটিভ। মনকে শক্ত করুন। জানি আপনি কঠিন ধাঁচের মানুষ সব জয় করতে পারবেন। কাল ভাবী, বাচ্চাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। আর মেডিসিনের তালিকা পাঠাচ্ছি। আবদুল্লাহ স্যার ও আরজু আপাকে দিয়ে চেক করে নিন। তারপর ওষুধগুলো রাতেই এনে নিন। কাল সকাল থেকে খাওয়া শুরু করবেন। আমি রিপোর্টের কপি পাঠালাম ফরিদা ও আমার দুই সন্তানকে। তাদের জানালাম প্রথম। তারপর ফোন করলাম, অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ও ডা. জাহানারা আরজু ভাবীকে। ব্যক্তিগত জীবনে ভাবী আলাহ উদ্দিন চৌধুরী নাসিম ভাইয়ের স্ত্রী। তারা মেডিসিন তালিকা দেখে বললেন, ঠিক আছে। শুরু করে দিন কাল সকাল থেকে। অফিসের প্রশাসন বিভাগের মোশাররফকে ফোন করে ওষুধগুলো পাঠাতে বললাম। রাতেই মোশাররফ সব কিনে বাসায় পাঠাল। সকাল থেকে শুরু হবে মেডিকেশন। অনেকটা ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। 

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফরিদা ইয়াসমিনের ফোন। জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে আসবে। মাহির, পূর্ণতা ও তার নমুনা নেবে আজ। আমারটাও আবার দিতে পারি। সবার নমুনা দিল। রিপোর্ট আমারটা আবার পজিটিভ এলো। বাকিদের নেগেটিভ। স্বস্তি ফিরে পেলাম। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলাম পরিবারের সবার ভালো খবরে। এবার লড়াইটা আমাকে নিয়েই সবার করতে হবে। নিজেও মানসিকভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিলাম। আমার আত্মীয়-পরিজনকে খবরটা জানালাম। অনেক প্রিয়জন ফোন করলেন। অনেকেই আমার খবরে ভীষণ মন খারাপ করলেন। দুঃখ করলেন। কাঁদলেনও অনেকে। নামাজ পড়ে অনেকে প্রার্থনা করলেন আল্লাহর দরবারে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করলেন। প্রিয় ঘনিষ্ঠ অনেক রাজনীতিবিদও ফোন করে খোঁজ নিলেন। অনেক আত্মীয়-পরিজন ফল কিনে পাঠালেন। কেউ পাঠালেন রান্না করে। ফরিদা ইয়াসমিন সব সামাল দিচ্ছেন। এর মাঝে আমার শাশুড়ির শরীর খারাপ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আমার শ্যালক কুয়েত থাকে। হঠাৎ খবর এলো সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফরিদা ইয়াসমিনের ওপর একটা কঠিন মানসিক চাপ তৈরি হলো।

২৫ মে ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। ঈদ আনন্দ আমার পরিবার থেকে হারিয়ে গেল। ২৪ মে ফোনে কথা হয় এ কে আজাদ ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি আমার খবর শুনে ভীষণ চিন্তিত হলেন। বললেন, করোনা ভয়ঙ্কর অবস্থা যে কোনো সময় তৈরি হতে পারে। শরীর ২ ঘণ্টার নোটিসে ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠতে পারে। আপনার উচিত হাসপাতালে যাওয়া। বেঁচে থাকতে হবে। আপনাদের মতো মানুষের বেঁচে থাকা দরকার। আজাদ ভাই আরও বললেন, তিনি হাসপাতালে আরেকটু বিলম্ব করে গেলে সমস্যায় পড়তেন। তিনি পরামর্শ দেন স্কয়ার হাসপাতালে যেতে। আমি ফরিদা ইয়াসমিনকে ফোন করলাম। করোনাকালে আইসোলেশনে ফোনই ভরসা। তাকে বললাম, আজাদ ভাই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফরিদা বলল, আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহকে ফোন দাও। ফোন দিতেই তিনি ধরলেন। বললেন, স্কয়ার থেকে এভারকেয়ার (আগের এ্যাপোলো) আপনার জন্য ভালো হবে। বাসার কাছে, অফিসের কাছে, সবাই খোঁজ নিতে পারবে। এভারকেয়ারে নিয়মিত রোগী আমি। আমার করোনা শনাক্তও হয়েছে তাদের টেস্টে। এভারকেয়ার জানাল তারা চেষ্টা করছেন আমাকে ভর্তি করানো যায় কিনা। তারা আরও বললেন, চিন্তা কইরেন না। ২ ঘণ্টা পর চিন্তায় পড়লাম।  বুঝতে পারি ওরা আসলে ভর্তি করবে না। ফোন করি আমার একজন প্রিয় মানুষ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে। তিনি আমাকে স্নেহ করেন।  বললাম স্কয়ারে তপন চৌধুরীকে একটু বলে দিন, আমাকে ভর্তি করতে। তিনি উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চান কী হয়েছে? বললাম, করোনা পজিটিভ। তিনি বললেন, ব্যবস্থা করছি। ফরিদাকে বললাম, স্কয়ারে হবে। কিন্তু কীভাবে যাব? তার মন সায় দিচ্ছিল না হাসপাতালে পাঠাতে। কারণ হাসপাতালগুলোর অবস্থা দেখতে পাচ্ছিল। ড্রাইভার সামিউর এলো বাসায়। ড্রাইভার হিসেবে সে অনেক দিন থেকে আমার সঙ্গে। তাকে পিপিই দিলেন ফরিদা। এর মাঝে তোফায়েল ভাই ফোন করেন কমপক্ষে ১০ বার। তিনি জানালেন সব তৈরি। গেলেই হবে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্কয়ারের জরুরি বিভাগে গেলাম। ওরা আগে থেকে তৈরি ছিলেন। আমার কার্ড বানালেন। ব্লাড প্রেশার আর অক্সিজেন নেওয়ার পরিমাণ মেপে দেখলেন। ডাক্তার বললেন, আপনার অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। এই রোগীদের মাঝে আপনার ভর্তি হওয়া ঠিক হবে না। আপনি বরং বাসায় চলে যান। আলাদা আইসোলেশনে থাকবেন। ওষুধ যা খাচ্ছেন খেতে থাকুন। আর যে কারণে এলেন, ভেন্টিলেটর নেই আমাদের। কথা বলে বুঝতে পারছি আপনার মনের জোর শক্ত। ফোন করি অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহকে। বললাম, সার্বিক পরিস্থিতি। ফোনটা কর্তব্যরত চিকিৎসককে দিলাম। আবদুল্লাহ ভাই তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তারপর আবার আমার সঙ্গে বললেন, বাসায় যান। দেখা যাক আমি মনিটর করব। ডা. তানিয়াকে বলে দিচ্ছি ও আপনার খোঁজ রাখবে। জানাবে আমাকে সব সময়। ফরিদাকে আবার কল দিলাম। বললাম বিস্তারিত। ও বলল, দরজা খোলা থাকবে। সোজা তোমার রুমে চলে যাবে। আল্লাহ ভরসা চলে আসো দ্রুত। হাসপাতালে থাকলে বরং আমরা বেশি টেনশনে থাকতাম।

বাসায় ফিরে মনটা একটু এলোমেলো হলো। মেয়ে ফোনে বলল, বাবা কথা শুনবা। এত হৈচৈ এর দরকার নেই। মেডিসিনগুলো নাও ঠিকভাবে। দুই বেলা ব্যায়াম করবে। গরম পানির গার্গল করবে। যখন যা লাগবে গ্রুপে লিখবে। এর মাঝে আমাদের একটি পারিবারিক গ্রুপ তৈরি করেছে ভাইবারে। কঠিন মনোবল নিয়ে পুরো পরিবার আমাকে স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করল। তারাও জানে আমার প্রচন্ড মনোবল। এই মনোবল চাঙ্গা থাকলে কোনো কিছু আমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। খারাপ সময় জয় করতে পারব। এক ভোর রাত ৫টায় ঘুম ভাঙে আমার। অনলাইনে আসতেই ছেলেমেয়ে দুজনই মেসেস পাঠালো, তোমার কিছু লাগবে? জানাও। বললাম, না ঠিক আছি। সকালে একবারে ব্রেকফাস্ট খাব। ফরিদা গ্রুপে লেখা ছাড়াও ফোন দিয়ে বলত, কী খেতে চাই, না চাই। বললাম, খাওয়ার টেস্ট নেই মুখে। প্রথম দিকে খেতে ভালো লাগত না। ও বলত খেতে হবে খারাপ লাগলেও। পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। মেয়ে মেসেস দিত বাবা ব্যায়াম কর। গরম পানি দিয়ে গার্গল কর। খাবারটা ঠিকভাবে খাবে। ছেলে ফোন করে জানতে চাইত, সব ঠিক আছে তো। একই বাসায় থেকে ফোনই আমাদের ভরসা। ফোন করতেন অনেক আপনজনও। প্রতিদিনই শরীরের খবর নিতেন তোফায়েল ভাই। তিনি বলতেন, তোমার গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে ভালো আছো। ফোন করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলতেন, নামাজ পড়ে তোমার জন্য দোয়া করেছি। তুমি ভালো হয়ে উঠবে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা ফোন করত, খোঁজ নিত শরীরের। নাঙ্গলকোটের আমার প্রিয়জনদের ফোন ছিল উৎকণ্ঠার। সবার দোয়া আর প্রার্থনায় প্রচন্ড মনোশক্তি নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে থাকি।

জানতাম, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরকার মানসিক শক্তি। ভাব নিতে হবে আমার কিছু হয়নি। ভালো আছি, ভালো থাকব। আর করোনার মতো অসুখকে জয় করতে দরকার পরিবারের সহায়তা। পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকলে একজন মানুষ খুব সহজে সব কিছু অতিক্রম করতে পারেন। করোনা গোপন করার মতো কিছু না। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.৬৪। অধিকাংশ মানুষ মারা যান ভয়ে, হৃদরোগে এবং পরিবার ও সমাজের উপেক্ষায়। আমার সাহসী ভাবনার সঙ্গে পাশে ছিল পুরো পরিবার। আমার স্ত্রী ও আমাদের দুই সন্তান সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহী করার চেষ্টা করেছেন। তারা খাবার দিতেন আলাদা করে। গরম স্যুপ, গরম চা, মসলা গরম করে আলাদা পানি দিতেন। খাবারে মুরগি, মাছ সবজি থাকত। আমার রুমে আলাদা কেটলি ছিল পানি গরমের। আমি গরম পানির ভাপ (জলীয় বাষ্প) নিতাম। গরম পানি খেতাম। গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হলেই গরম পানি খেতাম। গরম চাও খেতাম বেশি করে। চিনি ছাড়া লেবুর শরবত খেতাম। এতে কিছুটা আরাম বোধ হতো। অধ্যাপক আবদুল্লাহ ও ডা. তানিয়ার দেওয়া ওষুধ খেতাম নিয়মিত। আবদুল্লাহ ভাই ও তানিয়া খোঁজ নিয়েছেন ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছি কিনা। সব ঠিক আছে কিনা। আইসোলেশনের সময় কেটেছে বই পড়ে। নেট ফ্লেক্সে সিনেমা দেখেছি। শাওয়ার নিয়েছি নিয়মিত। নিজের পরা কাপড়গুলো নিজে ধুয়েছি। খাবারের প্লেটবাটি পরিষ্কার করেছি। নিজের ঘর পরিচ্ছন্ন রেখেছি। বিছানার চাদর বদল করেছি। প্রথম দিকে খাবারে স্বাদ পেতাম না। তবুও খেতাম। মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতাম। ব্যায়াম করতাম। অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতাম, ভাবখানা এমন আমার কিছু হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতাম।

আমাকে সবাই জানেন ভীষণ শক্ত মনের একজন মানুষ হিসেবে। কঠিনতম সময় জয় করতে পারি। ধ্বংসের সীমানায় প্রচন্ড প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। ৩ জুন আবার নমুনা দিলাম পরীক্ষার জন্য। ধরেই নিয়েছি রিপোর্ট আসবে করোনাভাইরাস নেগেটিভ। ১৪ দিন শেষ হয়েছে। ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিতে থাকি নতুন করে সব কিছু আবার শুরুর। রিপোর্ট আসার আগে সেই রাতেই খারাপ খবর আসে, আমার শাশুড়ি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তিনি শুধু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের মা ছিলেন না, তার প্রতিটি সন্তান উচ্চশিক্ষিত। তিনি আমাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে নন, নিজের ছেলে হিসেবে দেখতেন। সন্তানের মতো আদর স্নেহ পেয়েছি ওনার কাছ থেকে। আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুন। সীমিত পরিসরে ওনার জানাজা ও দাফন হলো নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে। যেতে পারলাম না আমি। আর বাসার অবস্থা বিবেচনা করে ফরিদা ও মাহির গেল না। তারা থেকে গেল আমার জন্য। ৪ জুন খারাপ খবর দিয়ে শুরু হলো জীবন। কঠিনতম অধ্যায় মানুষের একবার শুরু হলে আর ছাড়তে চায় না। এর মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষায় একটি ভালো খবরের জন্য। ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষ। কী এলো নতুন রিপোর্টে জানাব আগামী সংখ্যায়।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নাট্যসঙ্ঘ কানাডার চতুর্থ নাট্যোৎসব
নাট্যসঙ্ঘ কানাডার চতুর্থ নাট্যোৎসব

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ
ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত বাড়ছে আমদানি ব্যয়, বাণিজ্য ঘাটতি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি
দ্রুত বাড়ছে আমদানি ব্যয়, বাণিজ্য ঘাটতি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি

২৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

টাঙ্গাইলে ৭ দিনব্যাপী ভাসানী মেলা শুরু
টাঙ্গাইলে ৭ দিনব্যাপী ভাসানী মেলা শুরু

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

৩৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

যুদ্ধ ও শান্তিতে ইসলামের মানবাধিকারনীতি
যুদ্ধ ও শান্তিতে ইসলামের মানবাধিকারনীতি

৪২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী
গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

টিকা না দেওয়ায় দল থেকে বাদ পড়লেন তিন আর্জেন্টাইন তারকা
টিকা না দেওয়ায় দল থেকে বাদ পড়লেন তিন আর্জেন্টাইন তারকা

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১২ নভেম্বর ২০২৫

৫২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ভারতের ছত্তিশগড়ে তুমুল সংঘর্ষ, ছয় মাওবাদী নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে তুমুল সংঘর্ষ, ছয় মাওবাদী নিহত

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলগ্রহে একসময় ছিল জীবনের উপযোগী হ্রদ: নাসার নতুন তথ্য
মঙ্গলগ্রহে একসময় ছিল জীবনের উপযোগী হ্রদ: নাসার নতুন তথ্য

৫৪ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

৪৯তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ ৬৬৮ জন
৪৯তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ ৬৬৮ জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থায়ী ২২ বিচারপতির শপথ আজ
স্থায়ী ২২ বিচারপতির শপথ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কক্সবাজারে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি আটক
কক্সবাজারে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদেই লুকিয়ে আছে ভিনগ্রহীদের চিহ্ন, বিজ্ঞানীর ধারণা
চাঁদেই লুকিয়ে আছে ভিনগ্রহীদের চিহ্ন, বিজ্ঞানীর ধারণা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?
দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান
১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | টক শো

ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ
ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার
ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল
ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান
দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’
বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!
৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?
সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০
মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’
‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি
জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটের ওপারে এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা কেন?
সিলেটের ওপারে এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা কেন?

২০ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়