শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
যেভাবে লড়ছি করোনাভাইরাসের সঙ্গে

হ্যালো, আজ কেমন বোধ করছ?

ভালো বোধ করছি। কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।

শ্বাস নিতে পারছ ঠিকভাবে? অক্সিমিটার হাতে নাও। পরীক্ষা করে দেখ শ্বাস নিতে সমস্যা হয় কিনা? সমস্যা হলেই জানাবে।

-পরীক্ষা করলাম, স্বাভাবিক মনে হচ্ছে শ্বাস। ডা. বলেছেন ৯০-এর বেশি থাকলে চলবে।

 ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছ আজ?

-হুম কথা হয়েছে। অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ফোন করেছেন। ডা. তানিয়া ফোন করেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন। সর্বশেষ অবস্থা ওনাদের জানাইছি।

নতুন কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কী? খাবার, মেডিসিন?

- না, আর কোনো পরামর্শ দেননি। সাবধানে থাকতে বলেছেন। আগে যেভাবে বলেছেন তা ঠিকভাবে পালন করে যেতে হবে। আর কিছু নয়।

দূর দেশ নয়, পাশের রুম থেকে ফোনে খবর নিচ্ছিল আমার মেয়ে। টানা আইসোলেশনে আমি। শরীরের এ সমস্যা হুট করেই শুরু। কীভাবে কোথা থেকে কী হলো বুঝতে পারছি না। অফিস করেছি নিয়মিত। এর মাঝে বাংলাদেশ প্রতিদিনের তিন সহকর্মী আক্রান্ত হলেন। খারাপ খবর আসে রেডিও ক্যাপিটাল থেকেও। নিউজ টোয়ান্টিফোর টিভি ঠিক আছে। অথচ শুরু থেকে ওদের নিয়েই আশঙ্কায় ছিলাম। চিন্তায় ছিলাম। পত্রিকার লোকজনকে বলেছিলাম তোমরা বের হবে না। বাসা আর অফিসে আসা যাওয়া করবে। অফিসের গাড়ি আর নিজের মোটরসাইকেলের বাইরে চড়বে না। টেলিভিশনের সবাইকে নিয়ে শঙ্কার কথা বলতাম। কারণ তারা অ্যাসাইনমেন্ট করতে বের হতো। কঠিনতম সময় মোকাবিলায় আমি অফিসের প্রতি মনোযোগী ছিলাম। অফিসের কাজের বাইরে অসহায় মানুষের জন্য কিছু কাজ শুরু করি। গরিব হকারদের পাশে দাঁড়ালাম। নাঙ্গলকোটে নীরবে কিছু কাজ শুরু করি। এ ছাড়াও খুঁজে খুঁজে কিছু অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা বিকাশ করতে থাকি। আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নেই করার জন্য। ফরিদা ইয়াসমিন শুরু থেকেই সতর্ক করছিলেন। বলছিলেন, তোমার কারণে আমরা পুরো পরিবার একটা বিপদে পড়ব। তুমি এত দৌড়াচ্ছো কেন? কিন্তু দায়িত্বের কাছে কোনো দিন নিজেকে আড়াল করতে পারিনি। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চলে যেতাম সোজা শাওয়ারে। দীর্ঘ সময় নিয়ে শাওয়ার করে বের হতাম। সকালে অফিসে যেতে একবার শাওয়ার করে যেতাম। ফিরে এসে আবার। 

রমজানে রোজা রাখি। তাই আমার অফিসের সময় নতুনভাবে সাজিয়ে নিই। সকালে অফিসে যেতাম। বিজ্ঞাপন বিভাগ, হিসাব বিভাগ, ফিচার, টিভি ও রেডিওর সঙ্গে কাজ করতাম। বিকালে পত্রিকার মেকআপ শেষ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতাম। ইফতার করতাম পরিবারের সঙ্গে। মাগরিবের নামাজ শেষে ডিনার সারতাম। ১৭ মে রাতে আলসেমি করে সাহরি খাওয়া হয়নি ঠিকভাবে। ১৮ মে সকালে অফিসে গেলাম। একটার পর একটা মিটিং ছিল। কাগজপত্রের স্তূপে স্বাক্ষর তো ছিলই। হিসাব বিভাগ আর মার্কেটিং বিভাগের সঙ্গে দুই মাসের পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষ করতেই নিউজ টোয়ান্টিফোরের বার্তা বিভাগের সিনিয়ররা আসেন নিয়মিত বৈঠকে। তাদের সঙ্গে পরিকল্পনা বৈঠক শেষ করলাম। এই সময় এলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মার্কেটিং বিভাগ প্রধান মাসুদ। তার সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ মনে হলো মাথা ঘুরছে। মাসুদ বুঝলো শরীর খারাপ করছে। বলল, স্যার রোজাতে এত চাপ নিলে হয়? আপনি বিশ্রাম করুন। বলে দিচ্ছি ভিতরে কেউ আসবে না। মাসুদ বেরিয়ে যেতেই দেখলাম আমার চারপাশ ঘুরছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। চোখ বুজেও শান্তি নেই।  দুনিয়াদারির সব কিছু ঘুরছে। তবুও চোখ বোজার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। নিজের কাছে মনে হলো আগের রাতে সাহরি খাইনি বলে হয়তো এমন হচ্ছে। রাত ১২টার দিকে একবারে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতেও রোজা না ভাঙার শপথে চেয়ারে হেলান দিয়ে শুয়ে থাকলাম। একটু তন্দ্রার মতো এলো। এভাবেই ঘণ্টা দুই কাটল। বাসায় কিছু জানালাম না। বিকাল ৫টায় চোখ খুলেই বমি করলাম। ভিতর থেকে শুধু পানি এলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম। সোজা বাথরুমে শাওয়ার করতে গিয়ে আবার বমি। এবার শুধু কফ বের হলো। আর কিছু না। দ্বিতীয় দফা বমির পর কিছুটা ভালো অনুভব করলাম। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে পানি খেলাম। তারপর একটু ভাত খেয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। ফরিদা ও আমার সন্তানরা এসে বারবার খোঁজ নিল। বললাম, আমার ঘুমানো দরকার। তারা শুধু বলল, কিছু লাগলে জানাবে। রাতে ভালো ঘুম হলো। সকালে ফুরফুরে লাগল।

১৯ মে অফিসে গেলাম। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান সংবাদপত্র শিল্পে কর্মরত হকারদের সহায়তা করবেন। আমাকে নিয়ে তিনি পত্রিকার হকারদের জন্য ২০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করলেন। এ অনুষ্ঠানটি দুদিন আগে চূড়ান্ত করা। এমডি সাহেবের ওখান থেকে সোজা এলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটু একটু শরীর খারাপ লাগছিল। রাতে শীত ও জ¦র অনুভব করলাম। পরদিন ২০ মে সকালে আর অফিসে গেলাম না। ছেলেমেয়ে জ্বর মেপে বলল, বাবা তোমার জ¦র আছে। ফরিদা ইয়াসমিন বললেন, নো অফিস। বাসা থেকে অফিস চালাও। অফিসে গেলাম না। ফোন করলাম ডা. তানিয়া আলমকে। তাকে বললাম, জ্বর তেমন নেই, শরীর ব্যথা আছে। প্যারাসিটামল খেয়েছি। পরামর্শ কী? তানিয়া বলল, এখনই আপনি আলাদা রুমে আইসোলেশনে চলে যান। আর করোনা টেস্ট করুন কালকেই। বললাম, জ্বর বেশি নেই, শরীর ব্যথা। গলা ব্যথাও নেই। তানিয়া বলল, করোনার এখন উপসর্গ নানামুখী। টেস্ট করতেই হবে। তার আগে আইসোলেশন। আমার পাশেই ছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি কঠিনভাবে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিলেন। আমাকে এক রুমে পাঠিয়ে দিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করলাম। তারা বলল, ২১ তারিখ লোক পাঠাবেন বাসায়।

২১ মে এভারকেয়ারের লোক এলো। তারা নাক থেকে নমুনা নিল পরীক্ষার জন্য। শরীরে জ্বর-ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সকালে ও দুপুরে নাপা খেলাম। আমার রুমের সামনে খাবার রেখে নক করা হতো। ছেলেমেয়ে পারলে রুমে চলে আসে। ওদের থামাতাম। রাত ৯টার দিকে ফোন এলো ডা. তানিয়ার। বললেন, খবর ভালো নয়। আপনার করোনা পজিটিভ। মনকে শক্ত করুন। জানি আপনি কঠিন ধাঁচের মানুষ সব জয় করতে পারবেন। কাল ভাবী, বাচ্চাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করুন। আর মেডিসিনের তালিকা পাঠাচ্ছি। আবদুল্লাহ স্যার ও আরজু আপাকে দিয়ে চেক করে নিন। তারপর ওষুধগুলো রাতেই এনে নিন। কাল সকাল থেকে খাওয়া শুরু করবেন। আমি রিপোর্টের কপি পাঠালাম ফরিদা ও আমার দুই সন্তানকে। তাদের জানালাম প্রথম। তারপর ফোন করলাম, অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ ও ডা. জাহানারা আরজু ভাবীকে। ব্যক্তিগত জীবনে ভাবী আলাহ উদ্দিন চৌধুরী নাসিম ভাইয়ের স্ত্রী। তারা মেডিসিন তালিকা দেখে বললেন, ঠিক আছে। শুরু করে দিন কাল সকাল থেকে। অফিসের প্রশাসন বিভাগের মোশাররফকে ফোন করে ওষুধগুলো পাঠাতে বললাম। রাতেই মোশাররফ সব কিনে বাসায় পাঠাল। সকাল থেকে শুরু হবে মেডিকেশন। অনেকটা ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। 

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফরিদা ইয়াসমিনের ফোন। জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার কথা হয়েছে। আইইডিসিআর তাদের পরীক্ষা করতে আসবে। মাহির, পূর্ণতা ও তার নমুনা নেবে আজ। আমারটাও আবার দিতে পারি। সবার নমুনা দিল। রিপোর্ট আমারটা আবার পজিটিভ এলো। বাকিদের নেগেটিভ। স্বস্তি ফিরে পেলাম। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলাম পরিবারের সবার ভালো খবরে। এবার লড়াইটা আমাকে নিয়েই সবার করতে হবে। নিজেও মানসিকভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিলাম। আমার আত্মীয়-পরিজনকে খবরটা জানালাম। অনেক প্রিয়জন ফোন করলেন। অনেকেই আমার খবরে ভীষণ মন খারাপ করলেন। দুঃখ করলেন। কাঁদলেনও অনেকে। নামাজ পড়ে অনেকে প্রার্থনা করলেন আল্লাহর দরবারে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করলেন। প্রিয় ঘনিষ্ঠ অনেক রাজনীতিবিদও ফোন করে খোঁজ নিলেন। অনেক আত্মীয়-পরিজন ফল কিনে পাঠালেন। কেউ পাঠালেন রান্না করে। ফরিদা ইয়াসমিন সব সামাল দিচ্ছেন। এর মাঝে আমার শাশুড়ির শরীর খারাপ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আমার শ্যালক কুয়েত থাকে। হঠাৎ খবর এলো সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ফরিদা ইয়াসমিনের ওপর একটা কঠিন মানসিক চাপ তৈরি হলো।

২৫ মে ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। ঈদ আনন্দ আমার পরিবার থেকে হারিয়ে গেল। ২৪ মে ফোনে কথা হয় এ কে আজাদ ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি আমার খবর শুনে ভীষণ চিন্তিত হলেন। বললেন, করোনা ভয়ঙ্কর অবস্থা যে কোনো সময় তৈরি হতে পারে। শরীর ২ ঘণ্টার নোটিসে ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠতে পারে। আপনার উচিত হাসপাতালে যাওয়া। বেঁচে থাকতে হবে। আপনাদের মতো মানুষের বেঁচে থাকা দরকার। আজাদ ভাই আরও বললেন, তিনি হাসপাতালে আরেকটু বিলম্ব করে গেলে সমস্যায় পড়তেন। তিনি পরামর্শ দেন স্কয়ার হাসপাতালে যেতে। আমি ফরিদা ইয়াসমিনকে ফোন করলাম। করোনাকালে আইসোলেশনে ফোনই ভরসা। তাকে বললাম, আজাদ ভাই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ফরিদা বলল, আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহকে ফোন দাও। ফোন দিতেই তিনি ধরলেন। বললেন, স্কয়ার থেকে এভারকেয়ার (আগের এ্যাপোলো) আপনার জন্য ভালো হবে। বাসার কাছে, অফিসের কাছে, সবাই খোঁজ নিতে পারবে। এভারকেয়ারে নিয়মিত রোগী আমি। আমার করোনা শনাক্তও হয়েছে তাদের টেস্টে। এভারকেয়ার জানাল তারা চেষ্টা করছেন আমাকে ভর্তি করানো যায় কিনা। তারা আরও বললেন, চিন্তা কইরেন না। ২ ঘণ্টা পর চিন্তায় পড়লাম।  বুঝতে পারি ওরা আসলে ভর্তি করবে না। ফোন করি আমার একজন প্রিয় মানুষ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে। তিনি আমাকে স্নেহ করেন।  বললাম স্কয়ারে তপন চৌধুরীকে একটু বলে দিন, আমাকে ভর্তি করতে। তিনি উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চান কী হয়েছে? বললাম, করোনা পজিটিভ। তিনি বললেন, ব্যবস্থা করছি। ফরিদাকে বললাম, স্কয়ারে হবে। কিন্তু কীভাবে যাব? তার মন সায় দিচ্ছিল না হাসপাতালে পাঠাতে। কারণ হাসপাতালগুলোর অবস্থা দেখতে পাচ্ছিল। ড্রাইভার সামিউর এলো বাসায়। ড্রাইভার হিসেবে সে অনেক দিন থেকে আমার সঙ্গে। তাকে পিপিই দিলেন ফরিদা। এর মাঝে তোফায়েল ভাই ফোন করেন কমপক্ষে ১০ বার। তিনি জানালেন সব তৈরি। গেলেই হবে।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্কয়ারের জরুরি বিভাগে গেলাম। ওরা আগে থেকে তৈরি ছিলেন। আমার কার্ড বানালেন। ব্লাড প্রেশার আর অক্সিজেন নেওয়ার পরিমাণ মেপে দেখলেন। ডাক্তার বললেন, আপনার অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। এই রোগীদের মাঝে আপনার ভর্তি হওয়া ঠিক হবে না। আপনি বরং বাসায় চলে যান। আলাদা আইসোলেশনে থাকবেন। ওষুধ যা খাচ্ছেন খেতে থাকুন। আর যে কারণে এলেন, ভেন্টিলেটর নেই আমাদের। কথা বলে বুঝতে পারছি আপনার মনের জোর শক্ত। ফোন করি অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহকে। বললাম, সার্বিক পরিস্থিতি। ফোনটা কর্তব্যরত চিকিৎসককে দিলাম। আবদুল্লাহ ভাই তাদের সঙ্গে কথা বললেন। তারপর আবার আমার সঙ্গে বললেন, বাসায় যান। দেখা যাক আমি মনিটর করব। ডা. তানিয়াকে বলে দিচ্ছি ও আপনার খোঁজ রাখবে। জানাবে আমাকে সব সময়। ফরিদাকে আবার কল দিলাম। বললাম বিস্তারিত। ও বলল, দরজা খোলা থাকবে। সোজা তোমার রুমে চলে যাবে। আল্লাহ ভরসা চলে আসো দ্রুত। হাসপাতালে থাকলে বরং আমরা বেশি টেনশনে থাকতাম।

বাসায় ফিরে মনটা একটু এলোমেলো হলো। মেয়ে ফোনে বলল, বাবা কথা শুনবা। এত হৈচৈ এর দরকার নেই। মেডিসিনগুলো নাও ঠিকভাবে। দুই বেলা ব্যায়াম করবে। গরম পানির গার্গল করবে। যখন যা লাগবে গ্রুপে লিখবে। এর মাঝে আমাদের একটি পারিবারিক গ্রুপ তৈরি করেছে ভাইবারে। কঠিন মনোবল নিয়ে পুরো পরিবার আমাকে স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করল। তারাও জানে আমার প্রচন্ড মনোবল। এই মনোবল চাঙ্গা থাকলে কোনো কিছু আমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। খারাপ সময় জয় করতে পারব। এক ভোর রাত ৫টায় ঘুম ভাঙে আমার। অনলাইনে আসতেই ছেলেমেয়ে দুজনই মেসেস পাঠালো, তোমার কিছু লাগবে? জানাও। বললাম, না ঠিক আছি। সকালে একবারে ব্রেকফাস্ট খাব। ফরিদা গ্রুপে লেখা ছাড়াও ফোন দিয়ে বলত, কী খেতে চাই, না চাই। বললাম, খাওয়ার টেস্ট নেই মুখে। প্রথম দিকে খেতে ভালো লাগত না। ও বলত খেতে হবে খারাপ লাগলেও। পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। মেয়ে মেসেস দিত বাবা ব্যায়াম কর। গরম পানি দিয়ে গার্গল কর। খাবারটা ঠিকভাবে খাবে। ছেলে ফোন করে জানতে চাইত, সব ঠিক আছে তো। একই বাসায় থেকে ফোনই আমাদের ভরসা। ফোন করতেন অনেক আপনজনও। প্রতিদিনই শরীরের খবর নিতেন তোফায়েল ভাই। তিনি বলতেন, তোমার গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে ভালো আছো। ফোন করে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু বলতেন, নামাজ পড়ে তোমার জন্য দোয়া করেছি। তুমি ভালো হয়ে উঠবে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা ফোন করত, খোঁজ নিত শরীরের। নাঙ্গলকোটের আমার প্রিয়জনদের ফোন ছিল উৎকণ্ঠার। সবার দোয়া আর প্রার্থনায় প্রচন্ড মনোশক্তি নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যেতে থাকি।

জানতাম, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরকার মানসিক শক্তি। ভাব নিতে হবে আমার কিছু হয়নি। ভালো আছি, ভালো থাকব। আর করোনার মতো অসুখকে জয় করতে দরকার পরিবারের সহায়তা। পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকলে একজন মানুষ খুব সহজে সব কিছু অতিক্রম করতে পারেন। করোনা গোপন করার মতো কিছু না। মৃত্যুর হার বাংলাদেশে ১.৬৪। অধিকাংশ মানুষ মারা যান ভয়ে, হৃদরোগে এবং পরিবার ও সমাজের উপেক্ষায়। আমার সাহসী ভাবনার সঙ্গে পাশে ছিল পুরো পরিবার। আমার স্ত্রী ও আমাদের দুই সন্তান সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহী করার চেষ্টা করেছেন। তারা খাবার দিতেন আলাদা করে। গরম স্যুপ, গরম চা, মসলা গরম করে আলাদা পানি দিতেন। খাবারে মুরগি, মাছ সবজি থাকত। আমার রুমে আলাদা কেটলি ছিল পানি গরমের। আমি গরম পানির ভাপ (জলীয় বাষ্প) নিতাম। গরম পানি খেতাম। গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হলেই গরম পানি খেতাম। গরম চাও খেতাম বেশি করে। চিনি ছাড়া লেবুর শরবত খেতাম। এতে কিছুটা আরাম বোধ হতো। অধ্যাপক আবদুল্লাহ ও ডা. তানিয়ার দেওয়া ওষুধ খেতাম নিয়মিত। আবদুল্লাহ ভাই ও তানিয়া খোঁজ নিয়েছেন ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছি কিনা। সব ঠিক আছে কিনা। আইসোলেশনের সময় কেটেছে বই পড়ে। নেট ফ্লেক্সে সিনেমা দেখেছি। শাওয়ার নিয়েছি নিয়মিত। নিজের পরা কাপড়গুলো নিজে ধুয়েছি। খাবারের প্লেটবাটি পরিষ্কার করেছি। নিজের ঘর পরিচ্ছন্ন রেখেছি। বিছানার চাদর বদল করেছি। প্রথম দিকে খাবারে স্বাদ পেতাম না। তবুও খেতাম। মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করতাম। ব্যায়াম করতাম। অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতাম, ভাবখানা এমন আমার কিছু হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতাম।

আমাকে সবাই জানেন ভীষণ শক্ত মনের একজন মানুষ হিসেবে। কঠিনতম সময় জয় করতে পারি। ধ্বংসের সীমানায় প্রচন্ড প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। ৩ জুন আবার নমুনা দিলাম পরীক্ষার জন্য। ধরেই নিয়েছি রিপোর্ট আসবে করোনাভাইরাস নেগেটিভ। ১৪ দিন শেষ হয়েছে। ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিতে থাকি নতুন করে সব কিছু আবার শুরুর। রিপোর্ট আসার আগে সেই রাতেই খারাপ খবর আসে, আমার শাশুড়ি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তিনি শুধু জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের মা ছিলেন না, তার প্রতিটি সন্তান উচ্চশিক্ষিত। তিনি আমাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে নন, নিজের ছেলে হিসেবে দেখতেন। সন্তানের মতো আদর স্নেহ পেয়েছি ওনার কাছ থেকে। আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুন। সীমিত পরিসরে ওনার জানাজা ও দাফন হলো নরসিংদী গ্রামের বাড়িতে। যেতে পারলাম না আমি। আর বাসার অবস্থা বিবেচনা করে ফরিদা ও মাহির গেল না। তারা থেকে গেল আমার জন্য। ৪ জুন খারাপ খবর দিয়ে শুরু হলো জীবন। কঠিনতম অধ্যায় মানুষের একবার শুরু হলে আর ছাড়তে চায় না। এর মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষায় একটি ভালো খবরের জন্য। ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষ। কী এলো নতুন রিপোর্টে জানাব আগামী সংখ্যায়।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৩১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৫৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা