মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খাদ্যে বিষক্রিয়া

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর খবর প্রায়ই পত্রিকায় দেখা যায়। খাদ্যে বিষক্রিয়ার মূলে থাকে অনিষ্টকারী কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্যারাসাইট। নানা কারণে এগুলো খাবারের মধ্যে থাকতে পারে; সে খাবার পেয়ে এ জীবাণুগুলো শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে মানুষকে অসুস্থ করে। অনেক সময় খাদ্যে বিষক্রিয়া মারাত্মক নয়, কয়েক দিনের মধ্যে শরীর ঠিক হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, মারাত্মক হতে পারে। রোগী মারাও যেতে পারে। সাধারণভাবে প্রথম লক্ষণ হলো বমিভাব, বমি করা ও পেট খারাপ হওয়া। ঠিক কখন এ লক্ষণ দেখা দেবে বা কতটা ভয়াবহ আকারে দেখা দেবে তা নির্ভর করবে খাদ্যে কী ছিল তার ওপর এবং আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ওপর। খাদ্যে বিষক্রিয়ার অন্যান্য লক্ষণও আছে।

সালমোনেল্লা, ই-কোলাই, ক্লোইস্ট্রডিয়ান বচুলিনাম ও টক্সোপ্লাজমা গন্ডাই ভাইরাস খুব বেশি ভয়াবহ। এগুলোকে বাদ দিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে তা ধরা পড়ে না।  সালমোনেল্লা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত পাখি, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী জন্তুর অন্ত্রের (ইনটেসটাইন) মধ্যে থাকে। ভালো করে মাংস রান্না না করলে এ ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয় না। খাবারের মধ্যে থেকে যায়। এ ছাড়া অন্যভাবে যেমন পশুপাখির নোংরায় হাত দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার না করে সে হাতে খাবার ধরলে খাদ্যকে দূষিত করতে পারে। সালমোনেল্লা শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর, পেটে খিল ধরা, পেট খারাপ ইত্যাদি দেখা দেয়। এটি যথেষ্ট ভয়াবহ। বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হতে এক সপ্তাহের বেশি লাগে। হাসপাতালে না গেলে বা সতর্কতা না নিলে এর থেকে মৃত্যু ঘটতে পারে।

সাধারণত ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া মানুষ ও জন্তু-জানোয়ারের মধ্যে বেশি থাকে। এর কয়েকটি প্রজাতি এক ধরনের বিষ বা টক্সিন তৈরি করে যা শরীরের অন্ত্র, মূত্রগ্রন্থি, রক্ত ইত্যাদি আক্রান্ত করে। এ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দেহে ঢুকলে রক্তপায়খানা হয়। এটি হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর