বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বাড়ছে বন্যার পানি

সব প্রস্তুতি রাখতে হবে

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর অধিকাংশ এলাকা। উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট দিয়ে শুরু হয়ে বন্যার পানি এখন দেশের মধ্যাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় চলে এসেছে। মঙ্গলবার বন্যার পানি ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোয় পৌঁছে গেছে। ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে বেড়িবাঁধ থাকলেও পূর্বাঞ্চলে বন্যা ঠেকানোর মতো বাঁধ বা অন্য কোনো অবকাঠামো নেই। পূর্বাঞ্চলে বেশির ভাগ নিচু এলাকার জলাভূমি ভরাট করে আবাসিক এলাকা করা হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাবে বর্তমানে দেশের ১৭ জেলার ১২ লাখ মানুষ পানিবন্দী। তাদের জন্য প্রায় ১ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেগুলোয় প্রায় ২১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েক হাজার বসতবাড়ি। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম, কৃষি ফসল। অব্যাহতভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানিসমতল স্টেশনের ৬৪টিতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৩ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা, তিস্তা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গুড়, আত্রাই, ধলেশ্বরী, আপার আত্রাই, পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, সুরমা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়েছে। সম্ভবত ১৯৯৮ সালের ৩৩ দিনের বন্যার রেকর্ডে পৌঁছাতে যাচ্ছে এবারের বন্যা। ১৯৯৮ সালের পর বড় বন্যা হয়েছিল গত বছর, ১৭ দিনের। চলমান বন্যা ইতোমধ্যে ১৭ দিন পার করেছে। দেশে অনেক বছর বড় ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হয়নি। করোনা মহামারীর মধ্যে ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেশ কঠিন। তার পরও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি; প্রাইমারি চিকিৎসা সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে। বন্যা-পরবর্তী খাদ্য সংকট নিরসনে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

বাড়তি যত্ন নিতে হবে বয়োজ্যেষ্ঠ, নারী ও শিশুদের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর