বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিজিটাল প্রতারণা

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর সঙ্গে একসময় জড়িত ছিল নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সুসংবদ্ধ প্রতারক চক্র। তারা প্রতারণার কাজে অনেক সময় এ দেশীয় তরুণ-তরুণীদের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করত। এখন শুধু আফ্রিকান প্রতারক চক্র নয়, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় রয়েছে দেশীয় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা লটারি ও গিফট দেওয়ার নামে পাতছে প্রতারণার ফাঁদ। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ও বিভিন্ন অ্যাপসকে প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোনো সময় প্রতারক চক্র গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জোগাড় করে করছে প্রতারণা। এ ছাড়া অনলাইন জুয়ার বিভিন্ন সাইট ব্যবহার করেও পাতা হচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রতারণার শিকার হচ্ছে নারী ও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা। প্রতারক চক্র মূলত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতারণার জাল ফেলে। একটি গ্রুপ প্রথমে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর কিংবা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জোগাড় করে। দ্বিতীয় গ্রুপটি কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা সেজে ভিকটিমকে ফোন করে। তৃতীয় গ্রুপটি সংগ্রহ করে প্রতারণার টাকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে গত ২৬ জুলাই প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে গত চার মাসে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম পুলিশ করোনাকালে ত্রাণ বিতরণের নামে অর্থ সংগ্রহ এবং অন্যান্য অভিযোগেও এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। প্রতিদিন ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হচ্ছে একাধিক মানুষ। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ খুব কমই করা হয়। জনসচেতনতার অভাবে প্রতারক চক্র ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। আমরা আশা করব, ডিজিটাল প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরও তৎপর হবে। বিশেষ করে প্রতারিতরা প্রতারণার বিষয়ে যাতে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহী হয় সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর