শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

দয়াময় প্রভু দয়া করুন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
দয়াময় প্রভু দয়া করুন

মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু না, বরং মৃত্যুই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মৃত্যু কীভাবে হচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয়। জন্ম যেমন আনন্দের, স্বাভাবিক মৃত্যুও অনেকের কাছে সুন্দর উপভোগ্য আনন্দের। আমরা কি ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুর এমন মৃত্যু হবে? তাঁর পরিবারের সবার এমনভাবে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে? যে যাই বলুন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা কোনো মহামানবী ছিলেন না। তিনি একজন যথার্থ পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন। কোমরে আঁচল বেঁধে অনেকের সঙ্গে কথা বলার সাহস তিনি রাখতেন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল শিশু বয়সে। স্কুল-কলেজে কোনো শিক্ষা নেননি। কিন্তু প্রকৃতির কাছ থেকে যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন সেটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর কি ওভাবে মরার কথা ছিল? ১৫ আগস্টের আগে আমরা কেউ কি একবারও এমন কল্পনা করেছি? পৃথিবীতে এমনি অনেক ঘটনা ঘটে যা আমাদের কল্পনাকেও হার মানায়। এই যে করোনা, এ নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেছি, মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক কিছু না। যতগুলো লোক করোনায় মরেছে স্বাভাবিক সময়েও অতটা মানুষ অসুখ-বিসুখে মরে, ওর চাইতেও বেশি মরে। কিন্তু আতঙ্ক ছড়ায় না। এই সেদিন করোনায় মরেছে ৩২ জন আর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন। তাই করোনার মৃত্যু আহামরি কিছু না। তবে করোনার কারণে আমরা অনেক পশুশক্তিকে চিহ্নিত করতে পারলাম। করোনার নামে মিথ্যা সার্টিফিকেট, জাল-জালিয়াতি অমানবিকতার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এমন হওয়ার কথা নয়। যেখানে বাঙালি জাতি মানবতা, দেশপ্রেম, ভালোবাসায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে মায়া-মমতায় বিশ্বের উদাহরণ সৃষ্টিকারী একটি জাতি, সেই তাদের কপালেই জুটেছে এ ধরনের ন্যক্কারজনক জঘন্য তকমা! যা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। ঠিক এমন এক সময়ে লেবাননে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো বিস্ফোরণ সমগ্র মানবসভ্যতাকে নাড়া দিয়েছে। লেবানন বহু বছর অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনেছে। ফিলিস্তিনিরা একসময় লেবাননে আশ্রয় নিয়েছিল। ইয়াসির আরাফাতের সদর দফতর ছিল লেবাবনে। সেই লেবাননে এ কি ভয়াবহ বিস্ফোরণ! এ বিস্ফোরণ যদি সরকারের উদাসীনতায় হয়ে থাকে তাহলে তাদের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। আর এটা যদি কোনো অশুভ শক্তি ঘটিয়ে থাকে তাহলে এর চেয়ে নিষ্ঠুর ঘৃণ্য কাজ আর হতে পারে না। এ বিস্ফোরণে আমাদের কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। সর্বত্র কেমন যেন অস্থিরতা। আল্লাহ কি আমাদের এ অস্থিরতা থেকে মুক্তি দেবেন না? আমার এক বন্ধুর বড় ভাই জামান স্যার মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘাটাইল স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরও ছিলেন অনেক বছর। নেজামে ইসলাম পার্টি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। কদিনের মধ্যে শান্তি কমিটির অশান্তি দেখে হতাশ হয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই একজনই শান্তি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পদত্যাগ করা কোনো কঠিন কাজ নয়। কিন্তু ইয়াহিয়ার আমলে মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি থেকে পদত্যাগ করা যে সে কথা ছিল না। ইমানের জোর ছিল, আল্লাহর ওপর ভরসা ছিল তাই হয়তো নীতি আঁকড়ে বেঁচে ছিলেন। কতবার বলেছেন, ‘বাবা কাদের! বঙ্গবন্ধুর কন্যা নেত্রীকে বল একটা জাতীয় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে। সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে হয়তো আল্লাহ মাফ করতে পারেন।’ তাঁর বিশ্বাস ছিল, আমি অনুরোধ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনবেন। তাই এর আগেও জাতীয় দোয়া মাহফিলের প্রস্তাব করেছিলাম। ৯৭-৯৮ বছর বয়সে পবিত্র ঈদের দিন শনিবার ইন্তেকাল করেছেন। মারা যাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার বলেছেন, কাদের! তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছা করে। আমিও কথা দিয়েছিলাম কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করব। আর হলো না। জাতীয় দোয়া মাহফিলের জন্য কত চিঠি এবং টেলিফোন যে পেয়েছি তার হিসাব নেই। তাই আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, যদি কোনো অসুবিধা না থাকে আমাদের সবাইকে নিয়ে কোনো শুক্রবার একটা জাতীয় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করুন।

ঈদের আগের বৃহস্পতিবার পরম মিত্র সৌমেন মিত্র ৭৮ বছর বয়সে আমাদের মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেছেন। খবরটা হঠাৎই পেয়েছিলাম মুন্সীগঞ্জের সিরাজ ফরাজি নামে এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে। সাধারণত ইদানীং কোনো মৃত্যু সংবাদ খুব একটা তোলপাড় করে না। কিন্তু সৌমেন মিত্রের মৃত্যু ভীষণ নাড়া দিয়েছে। স্বাধীনতার পর ভদ্রলোককে প্রথম দেখেছিলাম ’৭২ সালে। আমরা প্রায় ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা জীবনে প্রথম কলকাতা সফরে গিয়েছিলাম। তখন বাঘা সিদ্দিকী ছিল ভারতের মানুষের কাছে এক আরাধ্য পুরুষ। দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতার সময় কথিকা পাঠ করে বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত হয়েছিলেন। সেই দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বাঘা সিদ্দিকী সংবর্ধনা কমিটি করেছিলেন। বড় ভালো লেগেছিল তাঁদের অভাবনীয় আতিথেয়তায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের উপস্থিতিতে বসশ্রী সিনেমা হলে এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখার্জি আর সৌমেন মিত্র আয়োজক ছিলেন। তখন তাঁদের ‘ত্রিরত্ন’ বলা হতো। সেই পরিচয় থেকে আমৃত্যু তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ’৭৫-এর পর আমরা যখন সর্বহারা, দিশাহারা তখন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর সৌমেন মিত্র যে সহযোগিতা করেছিলেন কোনো মায়ের পেটের ভাই ছাড়া অন্য কেউ খুব একটা করে না। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি তাঁর এক বন্ধু সুবীর ঘোষের বাড়িতে আমাদের থাকতে দিয়েছিলেন। কলকাতায় তখন কেবল ফ্ল্যাটবাড়ির সূচনা হয়েছে। আমরা আট বা নয় তলায় সুবীর ঘোষের এলগিন রোডের বাড়িতে ছিলাম। লোকটার একসময় সুদিন ছিল। সুবীর ঘোষের বাড়ির উত্তরে ছিল বাঙালির স্বপ্নসাধ নেতাজি সুভাষ বোসের বাড়ি। বারান্দায় বসে প্রতিদিনই বাড়িটি দেখতাম আর নানা কল্পনার জাল বুনতাম। সে সময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ছোট ভাইয়ের বিয়ে হয়। সে বিয়েতেও গিয়েছিলাম। কতটা যত্ন করেছিল তা বলার মতো না। একসময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর সৌমেন মিত্রের খুব একটা সদ্ভাব ছিল না। কিন্তু বাঘা দাকে নিয়ে তাঁদের কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। যখন যে কাজে গেছি কখনো না করেননি। কত নেতাকে সৌমেন মিত্রের বাড়িতে দেখেছি। এই যে আজ পশ্চিমবঙ্গের জগদ্বিখ্যাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তাঁকেও সৌমেন মিত্রের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে দেখেছি। অজিত পাঁজা, সুব্রত মুখার্জি- কাকে দেখিনি সেখানে। শেষের দিকে সৌমেন মিত্র এবিএ গণি খানের ভাবশিষ্যে পরিণত হয়েছিলেন। গণি খান যেমন তাঁকে সন্তানতুল্য ভাবতেন, সৌমেন মিত্রও পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। গণি খান যেদিন মারা যান, মারা যাওয়া থেকে কবর দেওয়া পর্যন্ত সৌমেন মিত্র সন্তানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর ভাই-বোন, ভাইস্তা-ভাস্তিরা দায়িত্ব পালনে সৌমেন মিত্রের ধারেকাছেও ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আগাগোড়া কংগ্রেসি রাজনীতির একজন উল্লেখযোগ্য মানুষ ছিলেন সৌমেন মিত্র। নিখাদ রাজনীতিক বলতে যাদের বোঝায় সৌমেন মিত্র তার অন্যতম। হয়তো তিনি মন্ত্রী হননি রাজ্যে বা কেন্দ্রে। কিন্তু তাঁর আঙ্গুল ধরে যারা রাজনীতিতে এসেছেন তাদের অনেকেই হয়েছেন। তাই মন্ত্রিত্ব দিয়ে বিচার না করে রাজনীতি দিয়ে বিচার করলে পশ্চিমবঙ্গে কয়েকজন নেতার পরই আসে সৌমেন মিত্রের নাম। স্বাধীনতার পর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখার্জি, সৌমেন মিত্র ছিলেন ত্রিরত্ন। দারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সৌমেন মিত্রের সঙ্গে কয়েক বছর আগে ঢাকায় শেষ দেখা। আমি আবার খুব একটা ক্লাব চিনি না। কোনো ক্লাবে যাই না। একবার বিএনপি আমলে গুলশান ক্লাবে গিয়েছিলাম ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী দিদি শুভ্রা মুখার্জিকে বাবর রোডের বাড়ি আনতে। ঢাকা ক্লাবে গেছি দুবার। একবার ’৭৪-এর দিকে কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান আনোয়ারুল আলম শহীদ যখন বিয়ে করেন তখন আর শেষবার সৌমেন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে। সেই সৌমেন মিত্র এভাবে হঠাৎ চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। পরম প্রভু সৃষ্টিকর্তা তাঁকে স্বর্গবাসী করুন, তাঁর পরিবার-পরিজনকে বিয়োগব্যথা সইবার শক্তি দিন।

বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা। বেশ কয়েকজন সামরিক অফিসার পত্র লিখে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়েছেন, অনেকেই ফোন দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ, পরিচয় নেই। যা পরিচয় তা সবই রাস্তাঘাটে। রাস্তাঘাটে অফিসার র‌্যাংকের তেমন কেউ থাকে না, সবই সাধারণ সৈনিক, সিপাই, ল্যান্স নায়েক, হাওলদার, সুবেদার। এখন মনে হয় হাওলদার পদ উঠে গেছে। এখন নায়েক, হাওলদারদের কীসব অন্য নামে ডাকে। তাদের সঙ্গে দেখা হয় যেহেতু তারা রাস্তাঘাটে রোদবৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে থাকে। যখন রাস্তায় চলি তখন দেখা হয়। কারও কারও সঙ্গে কথা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় যখন প্রায় সবার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন ফুলপুরে সেনাবাহিনীর চার সিপাইর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তারা আমার গাড়ি থামিয়ে ছিল। পরিচয় পেয়ে দুজন হাতে চুমো খেয়েছিল আর দুজন বয়সে ছোট হয়েও মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে অবাক বিস্ময়ে বলছিল, ‘আজ আমাদের শুভদিন, আপনাকে দেখলাম।’ সেই সেনাবাহিনী নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে আবার কষ্টও হয়। পুলিশের হাতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নিহত শুনতেই যেন কেমন লাগে। পুলিশ গত সাধারণ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মারাত্মক আস্থা হারিয়েছে। তবে এই করোনাকালে পুলিশ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। করোনা না এলে যুগ যুগ চেষ্টা করেও পুলিশ তার এ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারত না। আমার মনপ্রাণও ছুঁয়ে গিয়েছিল করোনায় পুলিশের কর্তব্য পালন দেখে। আত্মীয়স্বজন প্রিয়জনকে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে পুলিশ তাকে তুলে নিয়েছে। ফেলে রাখা কত শিশুকে পিতা-মাতার মতো পুলিশ বুকে তুলে নিয়েছে- এ এক স্বর্গীয় মানবিক কর্মকান্ডের উদাহরণ। করোনায় যখন অনেক বদনাম থেকে পুলিশ বেরিয়ে এসেছিল ঠিক তখন মেজর সিনহা হত্যা হাজারো পুলিশের নিরলস পরিশ্রমে পানি ঢেলে দিয়েছে। পানি ঢালা খারাপ কিছু নয়, কিন্তু এ কাজটা চরম খারাপের পর্যায়ে পড়ে। কোনো জবাব নেই। সেনাপ্রধান ও পুলিশের আইজি বলেছেন, এ হত্যার কারণে দুই বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। কথা বলা সহজ, কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। এটা সত্য, হয়তো সামগ্রিক অর্থে দুই বাহিনীতে কোনো প্রভাব পড়বে না, কিন্তু সদস্যদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক যে প্রভাব পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ হবে না। গুলি করেছে পুলিশ, আসামি হয়েছে আক্রান্তরা। এখন দেখছি, এসপিও জড়িত। সব নাদানের সমাহার। এভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একা কী করবেন। অযোগ্যদের মেলায় তিনি এক নীরব দর্শক। সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত তরুণ সদস্য গাড়ির দরজা খুলে বেরোতে বেরোতে তিন গুলি! অস্ত্র হাতে থাকলে সিনহা কি গুলি চালাতে পারত না? তার গাড়িতে ৫০টি ইয়াবা- এও কি সম্ভব? এক যুগ আগে আমাকে নিয়ে শত্রুপক্ষ কথা বলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তোমরা বজ্রকে নিয়ে কথা বলতে যেও না। যে জীবনে একটা সিগারেট ধরেনি তার সম্পর্কে তোমাদের কথা বলা সাজে না।’ ঠিক তেমনি মেজর সিনহার গাড়িতে ইয়াবা! সেদিন পত্রিকায় দেখলাম ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অফিসে তদন্ত কমিটির লোকেরা ইয়াবা পেয়েছে। মাশা আল্লাহ, ওসি একখান! মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা পাওয়া গেছে। কে কত মাসোহারা দিত তার হিসাবও পাওয়া গেছে। এসব আলামত নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হবে আল্লাহই জানেন। কেউ মিথ্যা বললে তার সঙ্গে পারা যায় না। একজন মানুষ মিথ্যা বললে হয়তো দু-এক জনের ক্ষতি হয়। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ যার ওপর সমাজ দাঁড়িয়ে আছে তাদের কেউ মিথ্যা বললে বিশেষ করে একটা থানার প্রধান যদি মিথ্যা বলেন তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? অনেক দিন ভারতে ছিলাম। সেখানে চোর পুলিশ যেমন দেখেছি তেমনি সাধু পুলিশও দেখেছি। সেখানে চোরের চেয়ে সাধুর সংখ্যা বেশি। আমাদের দেশে সৎ থাকবে কী করে। কনস্টেবলে ভর্তি হতে ১৫ লাখ লাগে। পাঁচ-ছয় বছর আগে আমি দুজনকে পুলিশে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। একজনকে নিয়েছিল, আরেকজনকে নেয়নি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যাপারটা বলায় তিনি কঠিনভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমার অনুরোধ রক্ষা করতে। কিন্তু করেনি। পরে শুনেছি, আমার অনুরোধের বাইরে যাকে নিয়েছে সে জমি বিক্রি করে ২৫ লাখ দিয়েছে। ২৫ লাখের কাছে কারও অনুরোধ কী করে টিকবে! একবার রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজের এক এসডিইর বদলি নিয়ে যোগাযোগ সচিব রেজাউল হায়াতকে অনুরোধ করেছিলাম। ভদ্রলোক বলেছিলেন, আচ্ছা হয়ে যাবে। এক দিন-দুই দিন-সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে ছয় মাস। হঠাৎ রেজাউল হায়াতের সঙ্গে দেখা। বলেছিলাম, কী হলো! আমার লোকটার বদলি হলো না? ভদ্রলোক আসমান থেকে পড়েছিলেন। পরদিন অফিসে গিয়েই ফোন, ‘কাদের ভাই! আমি বড় লজ্জিত। আপনার অনুরোধটি রাখা হয়নি। আমি আবার আপনাকে ফোন করব।’ মাস দুই-আড়াই পর রেজাউল হায়াতের ফোন, ‘কাদের ভাই! কাল আমার সঙ্গে দুপুরে খাবেন।’ বলেছিলাম, আমি তো বাইরে খাই না। বউয়ের হাতের রান্না খেয়ে ধন্য হই। বলেছিলেন, ‘আপনার ভাবি রান্না করে দেবেন, আমরা দুই ভাই খাব। কথা আছে।’ গিয়েছিলাম পরদিন। খাবার খেতে খেতে ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘আপনার লোক দুই দিন আগে সে জায়গায় বসেছেন শুনেছেন কি?’ বলেছিলাম, না, শুনিনি। তিনি বললেন, ‘বাড়ি গেলেই শুনবেন।’ তারপর যা বললেন তা শুনে অবাক না হয়ে পারিনি। তিনি বললেন, ‘কাদের ভাই! বদলিটদলি এ তো নিয়মিত কাজ। এমনিতেই করি। সম্মানি কেউ বললে আমরা খুশি হয়ে করি। আপনার ব্যাপারটাও সহজ ভেবে বলেছিলাম হয়ে যাবে। কিন্তু আপনার লোকের জায়গায় যিনি গিয়েছিলেন তিনি জায়গামতো ২ লাখ দিয়েছিলেন। টাকা দেওয়ার আগে আমি বলতে পারলে হয়তো হয়ে যেত। টাকা কোনো কাজে আসত না। কিন্তু শুধু টাকা দেওয়াই নয়, যাকে যাকে দিলে হয় টাকাটা তাকে তাকে দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করে ফেলেছিল। টাকা না নেওয়া এক কথা, টাকা নিয়ে খরচ করে তা বাক্স থেকে বের করা সে তো আরেক কথা। তাই একটু দেরি হয়ে গেল।’ সে আমার এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। ভদ্রলোক মারা গেছেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেশতবাসী করুন। এখন টাকা ছাড়া কিছু হয় না- এটা যখন শুনি তখন মরে যেতে ইচ্ছা করে। তাই বলছি, সাধু সাবধান! সিনহা হত্যা ছোট করে দেখলে চলবে না। সরকারকে অপ্রিয় করার এও এক গভীর ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ক্রসফায়ারের কারণে কাউকে বাহাদুরি নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কারও জীবনহানি হলে সেটা কঠোরভাবে দেখতে হবে। জীবনহানি কোনো শুভ কাজ নয়। আল্লাহতায়ালা সুরা মায়েদায় বলেছেন, ‘যে হত্যা করে, যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে হত্যা করলে সে যেন সারা জাহানকে হত্যা করল। আর কোনো একজনকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাল তেমনি সে যেন বিশ্বমানবতাকে বাঁচাল।’ তাই ইচ্ছা হলেই কাউকে মেরে ফেলা এর চেয়ে জঘন্য অন্যায় আর কিছু নেই। হত্যা করা সহজ, জীবন দেওয়া কঠিন। শুনেছি, মেজর সিনহার গায়ে ছয়টি গুলির দাগ পাওয়া গেছে। তাহলে কি মেজর সিনহা মারা যাওয়ার পরও তার গায়ে গুলি করা হয়েছে? এ নিষ্ঠুরতা কেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে গিয়ে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কিছু সিমার এমনি করে গুলি করেছিল। কারও গায়ে ২৫-৩০টা, কারও মাথার খুলি থেকে মগজ গিয়ে দেয়ালে লেগেছিল। এ কি তারই আলামত? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! ব্যাপারটা দেখবেন। ভালোভাবে দুই চোখ খুলে দেখতে পেলে আপনারই লাভ হবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে আমরা যেমন লাভবান হব, তেমনি আপনিও হবেন। সেদিন ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগস্ট এলে নেত্রীর জন্য শঙ্কা জাগে।’ শুধু আগস্টে নয়, আপনাকে নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকি। কারণ সব ক্ষেত্রেই লাগামহীন, কে লাগাম ধরবে? দয়া-মায়া, বিবেক-বিবেচনা সব কেমন যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। মানবিক বাঙালি আজ মানবতার নিম্নসীমায় নেমে এসেছে। মেজর সিনহার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আর তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
জনশক্তির নতুন বাজার
জনশক্তির নতুন বাজার
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
এরশাদ : মানুষের হৃদয়ে কনক প্রদীপ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
সাহসকে সালাম : মানবাধিকার প্রহরীদের ধন্যবাদ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়
কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ