শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০ আপডেট:

দয়াময় প্রভু দয়া করুন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
দয়াময় প্রভু দয়া করুন

মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু না, বরং মৃত্যুই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মৃত্যু কীভাবে হচ্ছে সেটাই ভাবার বিষয়। জন্ম যেমন আনন্দের, স্বাভাবিক মৃত্যুও অনেকের কাছে সুন্দর উপভোগ্য আনন্দের। আমরা কি ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুর এমন মৃত্যু হবে? তাঁর পরিবারের সবার এমনভাবে দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে? যে যাই বলুন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা কোনো মহামানবী ছিলেন না। তিনি একজন যথার্থ পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন। কোমরে আঁচল বেঁধে অনেকের সঙ্গে কথা বলার সাহস তিনি রাখতেন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল শিশু বয়সে। স্কুল-কলেজে কোনো শিক্ষা নেননি। কিন্তু প্রকৃতির কাছ থেকে যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন সেটা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর কি ওভাবে মরার কথা ছিল? ১৫ আগস্টের আগে আমরা কেউ কি একবারও এমন কল্পনা করেছি? পৃথিবীতে এমনি অনেক ঘটনা ঘটে যা আমাদের কল্পনাকেও হার মানায়। এই যে করোনা, এ নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখেছি, মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক কিছু না। যতগুলো লোক করোনায় মরেছে স্বাভাবিক সময়েও অতটা মানুষ অসুখ-বিসুখে মরে, ওর চাইতেও বেশি মরে। কিন্তু আতঙ্ক ছড়ায় না। এই সেদিন করোনায় মরেছে ৩২ জন আর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন। তাই করোনার মৃত্যু আহামরি কিছু না। তবে করোনার কারণে আমরা অনেক পশুশক্তিকে চিহ্নিত করতে পারলাম। করোনার নামে মিথ্যা সার্টিফিকেট, জাল-জালিয়াতি অমানবিকতার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এমন হওয়ার কথা নয়। যেখানে বাঙালি জাতি মানবতা, দেশপ্রেম, ভালোবাসায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে মায়া-মমতায় বিশ্বের উদাহরণ সৃষ্টিকারী একটি জাতি, সেই তাদের কপালেই জুটেছে এ ধরনের ন্যক্কারজনক জঘন্য তকমা! যা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। ঠিক এমন এক সময়ে লেবাননে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো বিস্ফোরণ সমগ্র মানবসভ্যতাকে নাড়া দিয়েছে। লেবানন বহু বছর অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনেছে। ফিলিস্তিনিরা একসময় লেবাননে আশ্রয় নিয়েছিল। ইয়াসির আরাফাতের সদর দফতর ছিল লেবাবনে। সেই লেবাননে এ কি ভয়াবহ বিস্ফোরণ! এ বিস্ফোরণ যদি সরকারের উদাসীনতায় হয়ে থাকে তাহলে তাদের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। আর এটা যদি কোনো অশুভ শক্তি ঘটিয়ে থাকে তাহলে এর চেয়ে নিষ্ঠুর ঘৃণ্য কাজ আর হতে পারে না। এ বিস্ফোরণে আমাদের কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। সর্বত্র কেমন যেন অস্থিরতা। আল্লাহ কি আমাদের এ অস্থিরতা থেকে মুক্তি দেবেন না? আমার এক বন্ধুর বড় ভাই জামান স্যার মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘাটাইল স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরও ছিলেন অনেক বছর। নেজামে ইসলাম পার্টি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। কদিনের মধ্যে শান্তি কমিটির অশান্তি দেখে হতাশ হয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই একজনই শান্তি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পদত্যাগ করা কোনো কঠিন কাজ নয়। কিন্তু ইয়াহিয়ার আমলে মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি থেকে পদত্যাগ করা যে সে কথা ছিল না। ইমানের জোর ছিল, আল্লাহর ওপর ভরসা ছিল তাই হয়তো নীতি আঁকড়ে বেঁচে ছিলেন। কতবার বলেছেন, ‘বাবা কাদের! বঙ্গবন্ধুর কন্যা নেত্রীকে বল একটা জাতীয় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করতে। সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে হয়তো আল্লাহ মাফ করতে পারেন।’ তাঁর বিশ্বাস ছিল, আমি অনুরোধ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনবেন। তাই এর আগেও জাতীয় দোয়া মাহফিলের প্রস্তাব করেছিলাম। ৯৭-৯৮ বছর বয়সে পবিত্র ঈদের দিন শনিবার ইন্তেকাল করেছেন। মারা যাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার বলেছেন, কাদের! তোমাকে দেখতে বড় ইচ্ছা করে। আমিও কথা দিয়েছিলাম কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে দেখা করব। আর হলো না। জাতীয় দোয়া মাহফিলের জন্য কত চিঠি এবং টেলিফোন যে পেয়েছি তার হিসাব নেই। তাই আবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, যদি কোনো অসুবিধা না থাকে আমাদের সবাইকে নিয়ে কোনো শুক্রবার একটা জাতীয় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করুন।

ঈদের আগের বৃহস্পতিবার পরম মিত্র সৌমেন মিত্র ৭৮ বছর বয়সে আমাদের মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেছেন। খবরটা হঠাৎই পেয়েছিলাম মুন্সীগঞ্জের সিরাজ ফরাজি নামে এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে। সাধারণত ইদানীং কোনো মৃত্যু সংবাদ খুব একটা তোলপাড় করে না। কিন্তু সৌমেন মিত্রের মৃত্যু ভীষণ নাড়া দিয়েছে। স্বাধীনতার পর ভদ্রলোককে প্রথম দেখেছিলাম ’৭২ সালে। আমরা প্রায় ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা জীবনে প্রথম কলকাতা সফরে গিয়েছিলাম। তখন বাঘা সিদ্দিকী ছিল ভারতের মানুষের কাছে এক আরাধ্য পুরুষ। দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতার সময় কথিকা পাঠ করে বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত হয়েছিলেন। সেই দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বাঘা সিদ্দিকী সংবর্ধনা কমিটি করেছিলেন। বড় ভালো লেগেছিল তাঁদের অভাবনীয় আতিথেয়তায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের উপস্থিতিতে বসশ্রী সিনেমা হলে এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখার্জি আর সৌমেন মিত্র আয়োজক ছিলেন। তখন তাঁদের ‘ত্রিরত্ন’ বলা হতো। সেই পরিচয় থেকে আমৃত্যু তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ’৭৫-এর পর আমরা যখন সর্বহারা, দিশাহারা তখন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর সৌমেন মিত্র যে সহযোগিতা করেছিলেন কোনো মায়ের পেটের ভাই ছাড়া অন্য কেউ খুব একটা করে না। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি তাঁর এক বন্ধু সুবীর ঘোষের বাড়িতে আমাদের থাকতে দিয়েছিলেন। কলকাতায় তখন কেবল ফ্ল্যাটবাড়ির সূচনা হয়েছে। আমরা আট বা নয় তলায় সুবীর ঘোষের এলগিন রোডের বাড়িতে ছিলাম। লোকটার একসময় সুদিন ছিল। সুবীর ঘোষের বাড়ির উত্তরে ছিল বাঙালির স্বপ্নসাধ নেতাজি সুভাষ বোসের বাড়ি। বারান্দায় বসে প্রতিদিনই বাড়িটি দেখতাম আর নানা কল্পনার জাল বুনতাম। সে সময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ছোট ভাইয়ের বিয়ে হয়। সে বিয়েতেও গিয়েছিলাম। কতটা যত্ন করেছিল তা বলার মতো না। একসময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর সৌমেন মিত্রের খুব একটা সদ্ভাব ছিল না। কিন্তু বাঘা দাকে নিয়ে তাঁদের কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। যখন যে কাজে গেছি কখনো না করেননি। কত নেতাকে সৌমেন মিত্রের বাড়িতে দেখেছি। এই যে আজ পশ্চিমবঙ্গের জগদ্বিখ্যাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তাঁকেও সৌমেন মিত্রের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে দেখেছি। অজিত পাঁজা, সুব্রত মুখার্জি- কাকে দেখিনি সেখানে। শেষের দিকে সৌমেন মিত্র এবিএ গণি খানের ভাবশিষ্যে পরিণত হয়েছিলেন। গণি খান যেমন তাঁকে সন্তানতুল্য ভাবতেন, সৌমেন মিত্রও পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। গণি খান যেদিন মারা যান, মারা যাওয়া থেকে কবর দেওয়া পর্যন্ত সৌমেন মিত্র সন্তানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর ভাই-বোন, ভাইস্তা-ভাস্তিরা দায়িত্ব পালনে সৌমেন মিত্রের ধারেকাছেও ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আগাগোড়া কংগ্রেসি রাজনীতির একজন উল্লেখযোগ্য মানুষ ছিলেন সৌমেন মিত্র। নিখাদ রাজনীতিক বলতে যাদের বোঝায় সৌমেন মিত্র তার অন্যতম। হয়তো তিনি মন্ত্রী হননি রাজ্যে বা কেন্দ্রে। কিন্তু তাঁর আঙ্গুল ধরে যারা রাজনীতিতে এসেছেন তাদের অনেকেই হয়েছেন। তাই মন্ত্রিত্ব দিয়ে বিচার না করে রাজনীতি দিয়ে বিচার করলে পশ্চিমবঙ্গে কয়েকজন নেতার পরই আসে সৌমেন মিত্রের নাম। স্বাধীনতার পর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখার্জি, সৌমেন মিত্র ছিলেন ত্রিরত্ন। দারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সৌমেন মিত্রের সঙ্গে কয়েক বছর আগে ঢাকায় শেষ দেখা। আমি আবার খুব একটা ক্লাব চিনি না। কোনো ক্লাবে যাই না। একবার বিএনপি আমলে গুলশান ক্লাবে গিয়েছিলাম ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী দিদি শুভ্রা মুখার্জিকে বাবর রোডের বাড়ি আনতে। ঢাকা ক্লাবে গেছি দুবার। একবার ’৭৪-এর দিকে কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান আনোয়ারুল আলম শহীদ যখন বিয়ে করেন তখন আর শেষবার সৌমেন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে। সেই সৌমেন মিত্র এভাবে হঠাৎ চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। পরম প্রভু সৃষ্টিকর্তা তাঁকে স্বর্গবাসী করুন, তাঁর পরিবার-পরিজনকে বিয়োগব্যথা সইবার শক্তি দিন।

বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা। বেশ কয়েকজন সামরিক অফিসার পত্র লিখে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়েছেন, অনেকেই ফোন দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ, পরিচয় নেই। যা পরিচয় তা সবই রাস্তাঘাটে। রাস্তাঘাটে অফিসার র‌্যাংকের তেমন কেউ থাকে না, সবই সাধারণ সৈনিক, সিপাই, ল্যান্স নায়েক, হাওলদার, সুবেদার। এখন মনে হয় হাওলদার পদ উঠে গেছে। এখন নায়েক, হাওলদারদের কীসব অন্য নামে ডাকে। তাদের সঙ্গে দেখা হয় যেহেতু তারা রাস্তাঘাটে রোদবৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে থাকে। যখন রাস্তায় চলি তখন দেখা হয়। কারও কারও সঙ্গে কথা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় যখন প্রায় সবার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন ফুলপুরে সেনাবাহিনীর চার সিপাইর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তারা আমার গাড়ি থামিয়ে ছিল। পরিচয় পেয়ে দুজন হাতে চুমো খেয়েছিল আর দুজন বয়সে ছোট হয়েও মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে অবাক বিস্ময়ে বলছিল, ‘আজ আমাদের শুভদিন, আপনাকে দেখলাম।’ সেই সেনাবাহিনী নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে আবার কষ্টও হয়। পুলিশের হাতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নিহত শুনতেই যেন কেমন লাগে। পুলিশ গত সাধারণ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের মারাত্মক আস্থা হারিয়েছে। তবে এই করোনাকালে পুলিশ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। করোনা না এলে যুগ যুগ চেষ্টা করেও পুলিশ তার এ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারত না। আমার মনপ্রাণও ছুঁয়ে গিয়েছিল করোনায় পুলিশের কর্তব্য পালন দেখে। আত্মীয়স্বজন প্রিয়জনকে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে পুলিশ তাকে তুলে নিয়েছে। ফেলে রাখা কত শিশুকে পিতা-মাতার মতো পুলিশ বুকে তুলে নিয়েছে- এ এক স্বর্গীয় মানবিক কর্মকান্ডের উদাহরণ। করোনায় যখন অনেক বদনাম থেকে পুলিশ বেরিয়ে এসেছিল ঠিক তখন মেজর সিনহা হত্যা হাজারো পুলিশের নিরলস পরিশ্রমে পানি ঢেলে দিয়েছে। পানি ঢালা খারাপ কিছু নয়, কিন্তু এ কাজটা চরম খারাপের পর্যায়ে পড়ে। কোনো জবাব নেই। সেনাপ্রধান ও পুলিশের আইজি বলেছেন, এ হত্যার কারণে দুই বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। কথা বলা সহজ, কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। এটা সত্য, হয়তো সামগ্রিক অর্থে দুই বাহিনীতে কোনো প্রভাব পড়বে না, কিন্তু সদস্যদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক যে প্রভাব পড়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ হবে না। গুলি করেছে পুলিশ, আসামি হয়েছে আক্রান্তরা। এখন দেখছি, এসপিও জড়িত। সব নাদানের সমাহার। এভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একা কী করবেন। অযোগ্যদের মেলায় তিনি এক নীরব দর্শক। সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত তরুণ সদস্য গাড়ির দরজা খুলে বেরোতে বেরোতে তিন গুলি! অস্ত্র হাতে থাকলে সিনহা কি গুলি চালাতে পারত না? তার গাড়িতে ৫০টি ইয়াবা- এও কি সম্ভব? এক যুগ আগে আমাকে নিয়ে শত্রুপক্ষ কথা বলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তোমরা বজ্রকে নিয়ে কথা বলতে যেও না। যে জীবনে একটা সিগারেট ধরেনি তার সম্পর্কে তোমাদের কথা বলা সাজে না।’ ঠিক তেমনি মেজর সিনহার গাড়িতে ইয়াবা! সেদিন পত্রিকায় দেখলাম ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অফিসে তদন্ত কমিটির লোকেরা ইয়াবা পেয়েছে। মাশা আল্লাহ, ওসি একখান! মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা পাওয়া গেছে। কে কত মাসোহারা দিত তার হিসাবও পাওয়া গেছে। এসব আলামত নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হবে আল্লাহই জানেন। কেউ মিথ্যা বললে তার সঙ্গে পারা যায় না। একজন মানুষ মিথ্যা বললে হয়তো দু-এক জনের ক্ষতি হয়। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ যার ওপর সমাজ দাঁড়িয়ে আছে তাদের কেউ মিথ্যা বললে বিশেষ করে একটা থানার প্রধান যদি মিথ্যা বলেন তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? অনেক দিন ভারতে ছিলাম। সেখানে চোর পুলিশ যেমন দেখেছি তেমনি সাধু পুলিশও দেখেছি। সেখানে চোরের চেয়ে সাধুর সংখ্যা বেশি। আমাদের দেশে সৎ থাকবে কী করে। কনস্টেবলে ভর্তি হতে ১৫ লাখ লাগে। পাঁচ-ছয় বছর আগে আমি দুজনকে পুলিশে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। একজনকে নিয়েছিল, আরেকজনকে নেয়নি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যাপারটা বলায় তিনি কঠিনভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমার অনুরোধ রক্ষা করতে। কিন্তু করেনি। পরে শুনেছি, আমার অনুরোধের বাইরে যাকে নিয়েছে সে জমি বিক্রি করে ২৫ লাখ দিয়েছে। ২৫ লাখের কাছে কারও অনুরোধ কী করে টিকবে! একবার রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজের এক এসডিইর বদলি নিয়ে যোগাযোগ সচিব রেজাউল হায়াতকে অনুরোধ করেছিলাম। ভদ্রলোক বলেছিলেন, আচ্ছা হয়ে যাবে। এক দিন-দুই দিন-সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে ছয় মাস। হঠাৎ রেজাউল হায়াতের সঙ্গে দেখা। বলেছিলাম, কী হলো! আমার লোকটার বদলি হলো না? ভদ্রলোক আসমান থেকে পড়েছিলেন। পরদিন অফিসে গিয়েই ফোন, ‘কাদের ভাই! আমি বড় লজ্জিত। আপনার অনুরোধটি রাখা হয়নি। আমি আবার আপনাকে ফোন করব।’ মাস দুই-আড়াই পর রেজাউল হায়াতের ফোন, ‘কাদের ভাই! কাল আমার সঙ্গে দুপুরে খাবেন।’ বলেছিলাম, আমি তো বাইরে খাই না। বউয়ের হাতের রান্না খেয়ে ধন্য হই। বলেছিলেন, ‘আপনার ভাবি রান্না করে দেবেন, আমরা দুই ভাই খাব। কথা আছে।’ গিয়েছিলাম পরদিন। খাবার খেতে খেতে ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘আপনার লোক দুই দিন আগে সে জায়গায় বসেছেন শুনেছেন কি?’ বলেছিলাম, না, শুনিনি। তিনি বললেন, ‘বাড়ি গেলেই শুনবেন।’ তারপর যা বললেন তা শুনে অবাক না হয়ে পারিনি। তিনি বললেন, ‘কাদের ভাই! বদলিটদলি এ তো নিয়মিত কাজ। এমনিতেই করি। সম্মানি কেউ বললে আমরা খুশি হয়ে করি। আপনার ব্যাপারটাও সহজ ভেবে বলেছিলাম হয়ে যাবে। কিন্তু আপনার লোকের জায়গায় যিনি গিয়েছিলেন তিনি জায়গামতো ২ লাখ দিয়েছিলেন। টাকা দেওয়ার আগে আমি বলতে পারলে হয়তো হয়ে যেত। টাকা কোনো কাজে আসত না। কিন্তু শুধু টাকা দেওয়াই নয়, যাকে যাকে দিলে হয় টাকাটা তাকে তাকে দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করে ফেলেছিল। টাকা না নেওয়া এক কথা, টাকা নিয়ে খরচ করে তা বাক্স থেকে বের করা সে তো আরেক কথা। তাই একটু দেরি হয়ে গেল।’ সে আমার এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। ভদ্রলোক মারা গেছেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেশতবাসী করুন। এখন টাকা ছাড়া কিছু হয় না- এটা যখন শুনি তখন মরে যেতে ইচ্ছা করে। তাই বলছি, সাধু সাবধান! সিনহা হত্যা ছোট করে দেখলে চলবে না। সরকারকে অপ্রিয় করার এও এক গভীর ষড়যন্ত্র হতে পারে। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ক্রসফায়ারের কারণে কাউকে বাহাদুরি নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কারও জীবনহানি হলে সেটা কঠোরভাবে দেখতে হবে। জীবনহানি কোনো শুভ কাজ নয়। আল্লাহতায়ালা সুরা মায়েদায় বলেছেন, ‘যে হত্যা করে, যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে হত্যা করলে সে যেন সারা জাহানকে হত্যা করল। আর কোনো একজনকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাল তেমনি সে যেন বিশ্বমানবতাকে বাঁচাল।’ তাই ইচ্ছা হলেই কাউকে মেরে ফেলা এর চেয়ে জঘন্য অন্যায় আর কিছু নেই। হত্যা করা সহজ, জীবন দেওয়া কঠিন। শুনেছি, মেজর সিনহার গায়ে ছয়টি গুলির দাগ পাওয়া গেছে। তাহলে কি মেজর সিনহা মারা যাওয়ার পরও তার গায়ে গুলি করা হয়েছে? এ নিষ্ঠুরতা কেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে গিয়ে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কিছু সিমার এমনি করে গুলি করেছিল। কারও গায়ে ২৫-৩০টা, কারও মাথার খুলি থেকে মগজ গিয়ে দেয়ালে লেগেছিল। এ কি তারই আলামত? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! ব্যাপারটা দেখবেন। ভালোভাবে দুই চোখ খুলে দেখতে পেলে আপনারই লাভ হবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে আমরা যেমন লাভবান হব, তেমনি আপনিও হবেন। সেদিন ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগস্ট এলে নেত্রীর জন্য শঙ্কা জাগে।’ শুধু আগস্টে নয়, আপনাকে নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকি। কারণ সব ক্ষেত্রেই লাগামহীন, কে লাগাম ধরবে? দয়া-মায়া, বিবেক-বিবেচনা সব কেমন যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। মানবিক বাঙালি আজ মানবতার নিম্নসীমায় নেমে এসেছে। মেজর সিনহার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আর তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
নিশায় আঁকা ছবি প্রভাতে চুরমার
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
সর্বশেষ খবর
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

১ সেকেন্ড আগে | চায়ের দেশ

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি
বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির
কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন
চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন

২৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’
আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’

৩৪ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক

৪২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ

৪৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?
হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?

৫৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা
ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চশমার কাচ পরিষ্কার করবেন যেভাবে
চশমার কাচ পরিষ্কার করবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাইবান্ধায় চোলাই মদসহ আটক ৩
গাইবান্ধায় চোলাই মদসহ আটক ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

চাঁদপুরে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার
চাঁদপুরে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন, খেলবেন ইংল্যান্ডের লিগে
জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন, খেলবেন ইংল্যান্ডের লিগে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারকের আপিল শুনানি শুরু
বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারকের আপিল শুনানি শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে চবির ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, একজনের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন
মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি মহাসচিবের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিবের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার
কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার

মাঠে ময়দানে

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন