শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ আপডেট:

ড. কামাল অবসর নিন, মান্নান শান্তিগঞ্জের মন্ত্রী নন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ড. কামাল অবসর নিন, মান্নান শান্তিগঞ্জের মন্ত্রী নন

১. একদম ভালো লাগে না। কোথায় কী হচ্ছে তাও বুঝছি না। গণঅসন্তোষ তৈরির মতোন ঘটনা ঘটছে আর থেমে যাচ্ছে। থেমে যাওয়ার কারণ ওই একজনই। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। জনঅসন্তোষকে ধারণ করেন। জনগণের পক্ষে অবস্থান নেন। তাই স্তিমিত হয়ে যায় উত্তেজনা। সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড়। পলাতক পুলিশকর্তা আকবরের সহযোগী গ্রেফতার হয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার যেখানে ধর্ষণ, অপরাধ, অন্যায় সেখানে অ্যাকশনে যাচ্ছে। আড়াল করার চেষ্টা নেই। ধামাচাপা নেই। মাজা ভাঙা বিরোধী দল ক্যাশ করবে কি কথা বলার আগেই জল ঢেলে দেন শেখ হাসিনা। আগুন জ্বলবে কি নিভতেও দেখা যায় না। যাক, সমাজে একটা স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশে করোনার বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক লড়াই চলছে সেখানে বিজয়ী হলেই দেশ বিজয়ী হয়। উৎপাদনে মালিক শ্রমিক কৃষক নেমেছে। অর্থনীতি চাঙ্গা। দুর্নীতি, ঘুষ, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থ পাচার রোধ ও দেশের টাকা দেশে রাখার সর্বোচ্চ শক্তি এখন সরকারের দেখা দরকার। মৃত শেয়ারবাজারে আলো জ্বালিয়ে দেন বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত। তার পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। ব্রোকার্স হাউসগুলো থেকে বাজারের বাজিকরদের দিকে এমনকি মনিটরিং সেলের দিকেও কড়া নজরদারি রাখা জরুরি। উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের দেশে বৈষম্য যাতে না হয় রাষ্ট্রের তা দেখা দরকার। জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের চুক্তিনামা হলো সংবিধান। সংবিধান থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে একচুল নড়ার সামর্থ্য নেই। কারও ক্ষমতার কর্তৃত্ব ব্যক্তির খেয়াল খুশিমতো হতে পারে না। জনগণের কল্যাণে সংবিধান, আইন, বিধি-বিধান ও রীতিনীতির বাইরে যেতে পারেন না।

 

২. মমতাজের একটি পপুলার গান আছে ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই, নিতাইগঞ্জে করব বাসা মনে ছিল দারুণ আশা, ঘুমায়া ছিলাম, ছিলাম ভালো জেগে দেখি বেলা নাই।’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জের দক্ষিণের অবহেলিত ডুংরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিকূল পরিবেশে মেধার স্বাক্ষর রেখে লেখাপড়া করে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসর জীবনে রাজনীতিতে নেমেছেন। সেখানেও তিনি কিস্তিমাত করেছেন। তিনি আমার জেলার বাসিন্দাই নন আত্মীয়ও বটে। একজন সৎ সরল তীক্ষ বুদ্ধিসম্পন্ন সাদামাটা জীবনের এই মানুষটি আমার খুব প্রিয়। আমি তার প্রশংসা করি নিয়মিত। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে জাতীয় নেতা আবদুস সামাদ আজাদ মৃত্যুবরণ করলে সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনটি শূন্য হয়। আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করায় সামাদ আজাদ-পুত্র দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে পারেননি। তবে এম এ মান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধ করে বিএনপি জোটের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ তার ভোটের দুর্গ হয়ে ওঠে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এম এ মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করে বিজয়ী হয়ে সংসদে আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করেন। সে সময় গ্রাম্য রাজনীতির বিরল চেহারার জটিল চরিত্রের একজন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা তাকে প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে মানসিক যন্ত্রণা দেন। এটি তিনি নীরবে হজম করেন। কিন্তু সুনামগঞ্জের মানুষ তাকে প্রাণঢালা ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করেনি। এমপিরা সবাই তাকে সম্মান করেন। জনপ্রতিনিধিরা করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন। সে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুজ সামাদ আজাদ ডন ভোটের চমক দেখালেও মান্নান বিজয়ী হন। শেখ হাসিনা তাকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এলে তার ধারণা ছিল তিনি অর্থমন্ত্রী হবেন। দুঃখ করে আমাকে বলেছিলেন, ২৮ বছর ধরে সিলেটে অর্থমন্ত্রী আর কত? এমন প্রশ্ন তুলে একটি গ্রুপ তাকে আটকে দেয়। শেখ হাসিনা তাকে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনি দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। একজন মন্ত্রী গোটা দেশের মন্ত্রী। সব মানুষের মন্ত্রী। কারও প্রতি রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হবেন না এই মর্মে বঙ্গভবনে শপথ পাঠ করেন। কিন্তু গভীর বেদনার সঙ্গে আমার প্রিয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে প্রশ্ন রাখতে ইচ্ছা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সুনামগঞ্জকে দুই হাত ভরে উন্নয়ন উপহার দিলেও তিনি মন্ত্রীর ক্ষমতার জোরে কেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরকে অবজ্ঞা উপেক্ষা করে তার বাড়িতে সব নিয়ে যাচ্ছেন? একটি জেলা সদর নীরব নিস্তব্ধ প্রাণহীন পরিত্যক্ত করে কি উন্নয়নের সুফল ভোগ করা যায়? এম এ মান্নান ডুংরিয়ার পাশেই শান্তিগঞ্জে একটি বাড়ি করেছেন। হিজল করচ নামের বাড়িটি মুগ্ধতা ছড়ায়।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মেডিকেল কলেজ তিনি তার শান্তিগঞ্জের বাড়ির কাছে নিয়ে গেছেন। টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেটিও তার বাড়ি ডুংরিয়ায় নিয়ে গেছেন। সংসদের বিগত অধিবেশনে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিল পাস হয়। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উভয় জেলা সদরে প্রতিষ্ঠার সংশোধনী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ চাঁদপুর ও হবিগঞ্জ জেলা সদরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে সংসদের খবরে, প্রধানমন্ত্রীর উপহারে সুনামগঞ্জবাসী আনন্দে উল্লসিত হয়ে ওঠে। ১৫ অক্টোবর এ বিলটি সংসদের স্থায়ী কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়। সেখানে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জেলা সদর উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির সভাপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রীর জোর সুপারিশের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রীর বাড়ি শান্তিগঞ্জেই প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা সংসদের আগামী অধিবেশনে আসবে। প্রধানমন্ত্রী হাওরের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে যা দিচ্ছেন তাই এখন মন্ত্রীর শান্তিগঞ্জে চলে যাচ্ছে। জেলা সদরে হলে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশাসহ সবার সুবিধা হতো। এখন যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে সেখান থেকে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। এবং শান্তিগঞ্জে সবকিছু প্রতিষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে লাভবান দূরে থাক গণঅসন্তোষের মুখে পড়বে। এসব ঘটনায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরিকল্পনামন্ত্রী হাওরে ফ্লাইওভারের স্বপ্ন দেখান, কিন্তু সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের যে বেহালদশা তার নির্মাণকাজ দুই বছরেও শেষ করাতে পারেননি। চার লেনের মহাসড়কে যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার পাগলা জগন্নাথপুরে উন্নয়ন হয় না। সুনামগঞ্জের ট্রেন লাইন, ধারারগাঁওয়ে সুরমা নদীর ওপর সেতু এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। সুনামগঞ্জে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে। মন্ত্রী এম এ মান্নান শান্তিগঞ্জের মন্ত্রী নন, দেশের মন্ত্রী, জেলার মন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজ বাড়িতে নেবেন না। সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নাম নেই। এটি প্রতিষ্ঠায় তার অবদান মানুষের হৃদয়ে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক নির্মাণে আবদুস সামাদ আজাদের অবদান মানুষ এখনো স্মরণ করে। কর্মই আপনাকে অমরত্ব দেবে। মমতাজের গানের মতো ‘নিতাইগঞ্জ’ নয়, শান্তিগঞ্জে দারুণ আশার বাড়ি করেছেন। সুখে থাকেন। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের বৈষম্য সৃষ্টি করে নিজের বাড়ি নিয়ে গেলে মানুষও জেগে উঠে বলবে, শান্তিগঞ্জে কোনবা পথে যাই?

 

৩. দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরাম গঠন করেছিলেন মূলধারার রাজনীতির স্লোগান তুলে। তার সঙ্গে দলের অনেকেই যোগ দেননি যারা একসময় তাকে মার্কিনপন্থি রাজনীতিবিদ বলে প্রচার করতেন সেই বামপন্থিরাও এসে যোগ দিয়েছিলেন। নতুন দলে রাজনীতি ও সমাজের আলোকিত মানুষরা এসে যুক্ত হলেও দল আর অগ্রসর হয়নি। সেই সময়ে তার সাংগঠনিক সফরে দু-একবার সঙ্গী হয়েছিলাম। সুনামগঞ্জে জনসভা করতে গিয়ে সড়ক ভবনের গেস্টহাউসে উঠেছিলেন। সেখান থেকে সবাই হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলেন ট্রাফিক পয়েন্টের জনসভাস্থলে। কোর্ট থেকে ফিরছিলেন আমার বড় ভাই ’৭৫-উত্তর দুঃসময়ে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক থেকে পরপর দুবার নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর। মন্তব্য করেছিলেন, উনারা পাকা সড়কেই হাঁটতে পারেন না, গ্রামে গ্রামে সংগঠন করবেন কীভাবে? আরেকবার মানিকগঞ্জে গেলাম। মফিজুল ইসলাম কামাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি। গণফোরামের নেতা হলেন। তার বাড়িতে বিশাল পাঙ্গাশ মাছ ভাবি রান্না করেছিলেন। জলপাইর টক-মিষ্টি ভোলবার নয়। সংবাদকর্মী আমির খসরুও ছিলেন। ভিতরে এত নেতা, এত খাবার আয়োজন। কিন্তু বাইরে উঠোনে একটি লোক মাথা গরম করে রীতিমতো বিদ্রোহে ফুসফুস করছে। কৌতূহলবশত লোকটার কাছে গেলাম। জানতে চাইলাম তার এত রাগের কারণ কী? সে বলল, এ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে আছে। মফিজুল ইসলাম কামালের মা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাকে দিয়ে ৩২ নম্বরে পিঠেপুলি পাঠাতেন। এটা ছিল তার পরম আনন্দ। এখন আওয়ামী লীগ ছেড়ে এসব দল করায় তার আর ৩২ নম্বরে যাওয়া হবে না। এটা সে মানতে পারছে না। বলছিল, যান যান আপনারা খান। এসব খাবার আমি খাব না। বুঝলাম বাড়িতে বিদ্রোহ রেখে এই দল কীভাবে সম্ভব?

যাক, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, আবুল মাল আবদুল মুহিত, শেখ আবদুল আজিজ, মতিউর রহমান, মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান (অব.) পংকজ ভট্টাচার্য, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান সিরাজ, তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ, নুরজাহান মুর্শেদসহ সারা দেশে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন।

ছাত্রসমাজে মোস্তফা মহসীন মন্টুর তখনো দারুণ প্রভাব। সগীর আনোয়ারদের মতোন ছাত্রনেতারা যোগ দিলেন। কিন্তু দলটি ছাত্র সংগঠনও রাখল না। গণসংগঠন গড়তে যে পথ তৃণমূল ধরে নিতে হয় তাও আর নিল না। বিষয়টি তখন অবাক লাগে। গণমানুষকে যুক্ত করার পথ পরিহার করে সেমিনারে আগ্রহী হলো। দলের কাজের চেয়ে ড. কামাল বিদেশ ভ্রমণেই বেশি আগ্রহী হলেন। মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ হলেন। জনগণের ঐক্যের নামে বায়বীয় বক্তব্যের রহস্যময়তায় কোনো কিছু খোলাসা হলো না। মাঝখানে ’৯১ সালে পরাজিত আওয়ামী লীগে ভাঙন এনে দলটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলো। একদিন সংবিধানপ্রণেতা থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে যে ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগ বটবৃক্ষে তৈরি করেছিল তাতে দল ভেঙে গণফোরাম করে আওয়ামী লীগের ক্ষতি কতটা করেছেন জানি না তবে নিজেকে ঝরাপাতায় পরিণত করে দেন। রাজনীতিতে নিজেকে যে কোনো সংকটে তৃতীয় শক্তির মুখ হিসেবে জনগণের সামনে এসেছে তার মুখ! কেন জানি না! বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী একজন গণতন্ত্রের আদর্শিক পথের যাত্রীর জন্য এটা সম্মানের নয়। আমি ড. কামাল হোসেনকে শ্রদ্ধা-সম্মান করি। একসময় রাজনৈতিক রিপোর্টার থাকাকালে নিয়মিত যোগাযোগ করেছি। গণতন্ত্রের সংগ্রামে তার ভূমিকা অমর অক্ষয়। একুশের গ্রেনেড হামলার পর ভুতুড়ে নগরীতে গণতদন্ত কমিশনে তার ভূমিকা অসাধারণ। দেশবাসীও জানেন। তিনি এ দেশের একজন কিংবদন্তিই নন, গর্বিত সন্তান। আমাকে একবার বলেছিলেন বালিশের নিচে সংবিধান রাখবেন। আমীর-উল ইসলাম সাহেবও রাখেন। আমি নিচে নয়, মাথার পাশে খাটের ওপর রাখি। আর দেখি রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে চুক্তিনামা কতটা লঙ্ঘন করেছে।

যাক, ড. কামালের গণফোরাম একে একে সবাই ছেড়ে দিয়েছেন। ’৯৬ সালের নির্বাচনের আগেই নাহিদ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্যই নয়, দুবার মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিতও দুবার অর্থমন্ত্রীই নয়, পরিবারকেই দলে মালিকানা এনে দিয়েছেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের মতোন খ্যাতিমান আইনজীবী মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব ক্যারিশমা নিয়ে আজ নির্বাসিত। অনেকে মারা গেছেন। সারা দেশেই দলটা বিলুপ্ত। অনেকে নিজের মতোন জীবনযাপন করলেও গণফোরামে নেই। মোস্তফা মহসীন মন্টু নিঃস্ব হলেন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ শেষ বেলায় গিয়ে চরম ভুলটা করলেন। যাক, অবশেষে ছোট্ট পাখির নীড়ের মতোন ড. কামাল হোসেনের গণফোরামটিও ভেঙে গেল। ডিসেম্বরেই আনুষ্ঠানিক ভাঙনের নাটক দর্শকরা উপভোগ করবেন।

ড. কামাল সব সময় বিভক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে বলতেন। আমার প্রশ্ন- নিজের দলেই কেন এমন করুণ দশা? রুগ্ন রাজনীতির কথা বলতেন, দলটি তার কেন এত রুগ্ন? তিনি আওয়ামী লীগে দলীয় গণতন্ত্র ও যৌথ নেতৃত্বের কথা বলতেন। তাহলে গণফোরামে যৌথ নেতৃত্ব অস্তিত্বহীন কেন ছিল? দলীয় গণতন্ত্রের নিশানা কোথায় ছিল? ২৭ বছরে দলের সভাপতি থেকে সংগঠনের সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারলেন না কেন? গণতন্ত্রের কোন সংজ্ঞায় কোন প্রক্রিয়ায় হঠাৎ ভোটের আগে এসে যোগ দেওয়া ড. রেজা কিবরিয়াকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক করলেন? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব দেশের সেরা মর্যাদাশীল ব্যক্তিত্ববান মেধাবী দক্ষ সৎ যোগ্য অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার রক্তের ওপর দিয়ে সেদিনের ঘাতক সরকারি দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে যে সন্তান এমপি হতে ঐক্যফ্রন্টে গেছেন তাকে দিয়ে আদর্শের রাজনীতি হয় কোন বিবেচনায়? আর যে ড. কামাল হোসেন সেনাশাসক এরশাদের সঙ্গে মঞ্চে ওঠেননি তিনি কীভাবে গ্রেনেড বোমা রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের রক্তে মাখা বিএনপি ও তার পেছনের দরজায় ঐক্যে শামিল জামায়াত নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করলেন?

সুপ্রিম কোর্টে আজ বিখ্যাত আইনজীবীদের বড় আকাল। আইকন নেই। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকও শয্যায়। ড. কামাল হোসেন একজন অভিভাবকতুল্য সম্মানিত মানুষ। গুণীজন হিসেবে রাজনীতিতে ব্যর্থ হতেই পারেন। আতাউর রহমান খান, ড. আলিম আল রাজীসহ অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। জীবনের শেষ সময়ে মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে যে কজন বেঁচে আছেন জাতির প্রয়োজনে পরামর্শ দিন। জনস্বার্থে আদালতে দাঁড়ান। মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলুন। কিন্তু দয়া করে গণফোরামই নয়, রাজনীতি থেকে অবসর নেন। দেশকে আপনি অনেক দিয়েছেন। দেশ ও বঙ্গবন্ধু আপনাকে অনেক দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ড. কামাল হোসেন হয়েই বাকিটা জীবন মানুষের জন্য অবসরে কাটান। এটা হবে সম্মান ও গৌরবের। গণফোরামের ব্যর্থতা গ্লানি লজ্জা ও ব্যর্থতার। আশা করি, আমার প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন।

 

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!
অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!

১১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা
মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা

১২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান
সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি
ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি

৫২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত
ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ
শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন
সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার
জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া
ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে
আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

২১ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা