বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সারা দেশে শীত

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও শ্রমিকরা। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে দুস্থ মানুষ। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ দল বেঁধে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যানবাহন চলায় বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে শীতের অনুষঙ্গ পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস কনকনে শীতের আবহ তৈরি করেছে। আগামী সপ্তাহে এর তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ছিল। বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মেলেনি। পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলার তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার জন্য সড়কে দিনেও লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শিশুরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সাত ঘণ্টা পর নৌযান চলা শুরু হয়। সোয়া ঘণ্টা বন্ধ ছিল বঙ্গবন্ধু সেতু। কুয়াশার মাত্রা বেড়ে রিখটার স্কেলে ৪০ শতাংশ নেমে যাওয়ায় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত যানবাহন চলা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সেতুর দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কুয়াশার ঘনত্ব একটু কমলে সোয়া ৩টার পর দু-একটি করে যানবাহন চলা শুরু হওয়ায় গতকাল দুপুর ১২টায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। শীতে সর্দি, কাশিসহ নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। করোনাভাইরাসের এ মহামারীতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর