শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক

বিকাশের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত করার চেষ্টা চলছে উভয় দেশের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ সফরে এসে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বাংলাদেশকে এশিয়ার উদীয়মান সূর্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। বলেছেন আর সব দেশের জন্য বাংলাদেশ আজ মডেল। এশিয়া আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে তুর্কি বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তুরস্কের অনেক বড় কোম্পানি টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী। নামিদামি কোম্পানিগুলোকে এ দেশে আসতে উৎসাহ দিচ্ছে তুরস্ক সরকার। আশা করা হচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতে দুই দেশের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে, যা গত বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলার ছিল। বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। তুরস্কের কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চীনের পরই তুরস্কের অবস্থান। এ খাতে তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তুরস্কের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগতমান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কেনার জন্য কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। তুর্কি মন্ত্রীর প্রত্যাশা- বাংলাদেশ এ সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে। প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনেও তুরস্ক রাজি। তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অভিন্ন ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য তুরস্কের শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে তাতে উভয় দেশই লাভবান হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুবিধা দেওয়া হলে বাংলাদেশের আগ্রহ বাড়াতে সহায়তা করবে। আমাদের বিশ্বাস, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণেও ভূমিকা রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর