মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

বিদেশি বিনিয়োগ

উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সেরা পথ

দেশের উন্নয়নে সরকার বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করছে। ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ প্রবচনে উদ্বুদ্ধ হয়ে কর্মসংস্থান ও দেশের দ্রুত উন্নয়নে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। গড়ে তোলা হচ্ছে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিসসহ সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এক যুগ ধরে। রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ে, মালয়েশিয়া ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এলে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বৃহত্তর বিনিয়োগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন। তিন বন্ধু দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে তাদের দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের যে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তা সময়ের বিচারে খুবই প্রাসঙ্গিক। কারণ আজকের যুগ বিনিয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের কোনো বিকল্পই নেই। বাজার অর্থনীতি প্রবর্তনের আগে চীন ছিল অন্যতম দরিদ্র দেশ। চীনের রপ্তানি আয় ছিল তাদেরই বিচ্ছিন্ন ভূখ- তাইওয়ানের চেয়েও কম। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগের বদৌলতে চীন এখন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে চলেছে। উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশেও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার কোনো বিকল্প নেই। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের ফলে রোহিঙ্গা সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। যদিও নতুন প্রশাসন এ সমস্যা সমাধানে আগ্রহী এমনটিই দেখাতে চাচ্ছে। তার পরও বাংলাদেশের ঘাড় থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার স্বদেশ প্রত্যর্পণে আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও তা বাড়তি সমর্থন অর্জনে সহায়তা করবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর