শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

কুলদীপ নায়ারের সঙ্গে একটা দারুণ সম্পর্ক ছিল। আমার আমন্ত্রণে ঢাকায়ও এসেছিলেন। ভীষণ স্নেহ করতেন। আবার কুলদীপ নায়ারের বিপরীত চিন্তার এম জে আকবরের সঙ্গে সম্পর্কটা ভাই-বন্ধুর মতো। দিল্লির আকবরের চলাফেরাতেও একটা ভাব আছে। দারুণ মানুষ। আড্ডার টেবিলে তাঁর তুলনা হয় না। পেশাগত জীবনে দেখা হয়েছিল দ্য হিন্দুর এডিটর রবিসহ অনেক স্বনামখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে।  দিল্লিতে আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু। কিন্তু খুশবন্ত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি কখনো। খুশবন্ত সিংয়ের লেখার দারুণ ভক্ত আমি। তাঁর লেখা দেখলেই পড়ি। বইগুলো সংগ্রহ করি। সত্য বলতে তিনি পিছপা হতেন না। সব কাঠিন্য মোকাবিলা করে সাংবাদিকতা করেছেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। ভারতীয় রাজনীতিকে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। স্পষ্ট কথা বলতে ছাড়তেন না কাউকে। তোয়াক্কা করতেন না কোনো কিছুর। সেই মানুষটি সমর্থন দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর বিতর্কিত জরুরি অবস্থাকে। সঞ্জয় গান্ধীর অনেক কাজেও সমর্থন ছিল। কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন অনেক দিন ছিল আমার মাঝে। ভাবতাম লেখনীতে সব সময় খুশবন্ত আলাদা। চিন্তা-চেতনাতেও। তারপরও ইন্দিরার জরুরি অবস্থাকে সমর্থন কেন দিতে হবে? আমার মতো অনেক মানুষের এ প্রশ্নের জবাব খুশবন্ত নিজেই দিয়ে গেছেন। জীবিতকালে তিনি লিখে গেছেন, ‘হোয়াই আই সাপোর্টেড ইমার্জেন্সি’। জরুরি অবস্থা কেন সমর্থন করলেন তা স্পষ্ট করলেন তিনি। অকপটে এমন সত্য লেখা একমাত্র খুশবন্তের পক্ষেই সম্ভব। অন্য কারও পক্ষে নয়।

পুরো লেখাটিতে সাদামাটা বয়ান। কোনো রাখডাক নেই। বুদ্ধিজীবী মার্কা কথা নেই। খুশবন্ত সিং লিখেছেন, ‘আমি তখন দিল্লিতে বসে আছি। লন্ডন থেকে চলে এসেছি। আমার কোনো চাকরি নেই। আমার কোনো কাজ নেই বলে, ইন্দিরা গান্ধী হিন্দুস্তান টাইমসের মালিক কে কে বিড়লাকে ডেকে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এমন একজন যোগ্য লোক বসে আছে, ওকে হিন্দুস্তান টাইমসের এডিটর করে দাও। তোমাদের পত্রিকার চেহারা বদলে যাবে। ভালো করবে।’ ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধ রেখেছিলেন কে কে বিড়লা। খুশবন্ত সিংকে এডিটর করেছিলেন হিন্দুস্তান টাইমসের। পরে সম্পাদক পদ ছাড়ার পর সঞ্জয় গান্ধী ডেকে নিয়ে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। খুশবন্ত লিখেছেন, ‘এই কারণে আমি জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করেছিলাম।’ এভাবে সবাই সবকিছু লিখতে পারেন না। বলতে পারেন না। লিখতে হলে সাহস লাগে। মনোবল লাগে। সবার সবকিছু থাকে না। খুশবন্ত সিং অন্য ১০ জনের মতো ছিলেন না। ছিলেন না বলেই হয়তো সাংবাদিকতা জীবনের আড়ালের কথা লিখে গেছেন।

জয়ন্ত ঘোষালের একটি লেখা পড়েছিলাম মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে। মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তিনি লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা ছেড়ে ঘোষাল আজতক ও ইন্ডিয়া টুডেতে কাজ করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করছেন দেশ-বিদেশে। কলকাতাতেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে দায়িত্ব পেয়ে ৩৩ বছর আগে যান দিল্লিতে। দিল্লিতে গিয়ে কোথায় উঠবেন বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে? মমতা বললেন, তাঁর ফ্ল্যাটে উঠতে। জয়ন্ত ঘোষাল দিল্লিতে ভাড়া বাড়িতে ওঠার আগে মমতার ফ্ল্যাটেই ওঠেন। নতুন সংসার জীবনে মমতা নিয়মিত খোঁজ নিতেন। শুধু তাই নয়, আরেকবার জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কলকাতা যেতে হবে জরুরি। ঘোষাল যেতে পারছিলেন না কাজের ব্যস্ততার কারণে। বিমানের টিকিট কাটার মুহূর্তে মমতার সঙ্গে কথা হয়। মমতা বললেন, এ অবস্থায় একা পাঠানো ঠিক হবে না। তিনি বললেন, কলকাতায় যাচ্ছি ট্রেনে। আমার সঙ্গে যাবে। এসি টু টাওয়ার ট্রেনে রাতে ওপরে নিচে থাকার ব্যবস্থা। রেল ভ্রমণের স্মৃতি নিয়ে জয়ন্ত লেখেন, মমতা তখন সংসদে রেলের পাস পেতেন। আমার স্ত্রীকে অ্যাটেনডেন্ট করে তিনি কলকাতা গেলেন। সাধারণত অ্যাটেনডেন্ট ওপরে শোয় এবং সংসদ সদস্য নিচে। রাতে খাওয়ার পর আমার স্ত্রী যখন ওপরে শুতে যাচ্ছেন, উনি আমার স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, ‘তুমি এ অবস্থায় ওপরে উঠবে! একদম নয়! তুমি নিচে শোবে, আমি ওপরে যাচ্ছি।’ ট্রেনে একই সঙ্গে থাকা বিপরীতে বসা মমতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গীতা মুখার্জি বিস্ময় নিয়ে সব দেখলেন। পরে তিনি জয়ন্তর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, উনি কি আপনার আত্মীয় হন?

রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাংবাদিকের সম্পর্ক থাকবেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক কি লেখালেখিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়? খুশবন্ত সিং জরুরি অবস্থাকে সমর্থন জানালেও তিনি কংগ্রেসের সবকিছুকে ইতিবাচক বলেননি। অনেক খারাপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে এম জে আকবরেরও সম্পর্ক ছিল। রাজীব গান্ধী তাঁকে এমপি করেছিলেন। কিন্তু সোনিয়ার সঙ্গে মেলেনি। রাজীবের চলে যাওয়ার পর সোনিয়াকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, তুমি বিদেশিনী। রাজীবের স্ত্রী হিসেবে ভারত তোমাকে স্বাগত জানাবে। রাজনীতি করতে পারবে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখ না। আকবরের এ বক্তব্য ভালোভাবে নেননি সোনিয়া ও তাঁর সমর্থকরা। কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল আকবরকে। ইতিহাস এমনই হয়। অনেক সময় অপ্রিয় সত্য বলা যায় না। আবার অনেক সময় বলেও বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জয়ন্ত ঘোষাল। এক শনিবারে দিল্লিতে মমতার ফ্ল্যাটে মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত ছিল ঘোষালের। কথা ছিল খিচুড়ি রান্না হবে। খিচুড়ি খাবেন একসঙ্গে। তারপর কথা বলবেন। প্রতি শনিবারের বর্তমান পত্রিকায় দিল্লির রাজনীতি নামে জয়ন্ত তখন নিয়মিত কলাম লিখতেন। সেই শনিবারও নিজের কলামে তিনি কিছু অপ্রিয় সত্য লিখে বসেন। ব্যস আর যায় কোথায়? সকাল থেকে মমতার মন-মেজাজের আকাশে মেঘ দেখা দেয়। দুপুরে খেতে রওনা হওয়ার মুহূর্তে ঘোষাল ফোন করেন মমতার সহকারী সোনালীকে। ফোনটা ধরেই সোনালী বললেন, ‘আপনার বোধহয় আজকের মধ্যাহ্নভোজটা আর হলো না। জয়ন্ত ঘোষাল বললেন, কেন? সমস্যা কী? জবাবে সোনালী বললেন, দিদি রেগে গেলে মুডটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’ তারপরও দিদির সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করলেন জয়ন্ত। সোনালী জিজ্ঞেস করলেন মমতাকে ঘোষাল আসবে কিনা? মমতা গম্ভীরভাবে বললেন, আসতে বল। জয়ন্ত ঘোষাল গেলেন। গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন মমতা। মুখ ভারী করে আলাপ শুরু করলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর সব ঠিক হয়ে গেল। তারপর বললেন, যা ভালো বুঝেছেন লিখেছেন, ঠিক আছে। জয়ন্ত ঘোষালও লিখেছেন, ‘ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যাবে না, এই ধারণা বোধহয় ঠিক নয়।’

ভালো সম্পর্কে সত্য লেখা যাবে না এ মতের সঙ্গে আমিও একমত নই। আপনজনকে সত্যটা জানাতে হয়। সত্য বড় কঠিন। সেই কঠিন সত্যটা সব সময় ক্ষমতায় থেকে সবাই শুনতে চায় না। আর চায় না বলেই সমস্যাটা তৈরি হয়। জটিলতাগুলো বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে হিসাব-নিকাশ এক রকম থাকে না। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা অনেক কিছু আড়াল করে দেয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হচ্ছে কিছু দিন থেকে। আইনটি প্রণয়নের সময় আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা বসেছিলেন সম্পাদকদের সঙ্গে। সেদিন আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, এই আইন এভাবে পাস হলে দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। আপনারা বাস্তবতায় থাকুন। পরে ঝামেলা সংশোধনের চেয়ে আগে দেখে নেওয়া ভালো। আইন করুন সমস্যা নেই। নারী-শিশু হয়রানি হয় ডিজিটাল মিডিয়াতে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে অপব্যবহার করে। ব্যক্তিগত কুৎসা রটায় হিংসা ও ঈর্ষা থেকে। সেসব নিয়ন্ত্রণে আইন করতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতাকে জড়াবেন না। সবকিছু জামিনযোগ্য ধারায় আনতে হবে। আটকের সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশে স্থানান্তর করতে হবে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার একটা দায়িত্ববোধ আছে। সংবাদ প্রকাশ, প্রচারে তারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করে। মন্ত্রী সাহেবরা শুনলেন। বললেন, অবশ্যই আপনাদের কথা গুরুত্ব নিয়ে দেখা হবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। সিদ্ধান্ত চাপিয়ে আইন হলো। ডাল-চাল মিলিয়ে ফেলা হলো। জামিনযোগ্য কোনো ধারাই রাখা হয়নি। এতে সমস্যা বাড়ল। এ আইন আরও কঠোরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলো কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হলে কী যায় আসে, তাহলে বলার কিছু নেই।

আমাদের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এখন আর কথা বলেন না। বাস্তবতা তুলে ধরতে চান না প্রধানমন্ত্রীর সামনে। ভুলে গেলে হবে না তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। তাঁর সামনে কথা বলা যায় না এ কথা মানতে রাজি নই। শেখ হাসিনাকে আমরাও কাছ থেকে দেখেছি। যুক্তিসংগত কিছু বললে তিনি মন দিয়ে শোনেন। বাস্তবতাকে মেনে সিদ্ধান্ত দেন ও নেন। একটি ঘটনা না বলেই পারছি না। ২০১৮ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। হাসানুল হক ইনু তখন তথ্যমন্ত্রী। এক কেবিনেট বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধভাবেই তথ্যমন্ত্রীকে বললেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন কী সব লিখছে দেখেন না কিছু? বৈঠক শেষ হতেই দুজন মন্ত্রী ফোন দিলেন আমাকে। বললেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জবাবে বললাম, বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছি। ক্ষুব্ধ হলে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা না। কাউকে কিছু বললাম না। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে গেলাম। বসলাম প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি সামনের সারিতে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসার পর সালাম দিলাম। তিনি হাসিমুখে সালাম নিলেন। বুঝলাম, কেবিনেট বৈঠকে প্রবেশের সময় হয়তো কেউ কিছু লাগিয়েছিল। তাই ইনু ভাইকে একটু নিলেন। আবার হয়তো চেয়েছেন বার্তাটা আমার কাছে আসুক। স্বস্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করলাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে কবি নির্মলেন্দু গুণ ও আমি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। তিনি আমাদের দুজনের সঙ্গে এসে কথা বলে গেলেন হাসিমুখে। শেখ হাসিনা এমনই। আরেকবার সিরাজুল আলম খানের বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পীর হাবিবের একটি লেখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি ছিলাম আমেরিকায়। ঢাকায় ফিরে আসামাত্রই ফোন পেলাম বিপ্লব বড়ুয়ার। বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্ক ও যখন ছাত্রলীগ করত তখন থেকেই। আমার কাছে আসত। সব সময় বিনয়ী, চমৎকার। বিপ্লব বলল, আপা পত্রিকা পড়ে মন খারাপ করেছেন। বললাম, ছিলাম না দেশে। কী হয়েছে? বিপ্লব আবার বলল, পীর ভাই লিখেছেন। আপনি না থাকলেও জানেন না আপা বিশ্বাস করবেন না। বিপ্লবকে বললাম পরামর্শ দাও কী করা যায়। বিপ্লব বলল, আমু ভাই, তোফায়েল ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে সিরাজুল আলম খানের লেখার জবাব দিয়ে দিন। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপা আপনাদের কাছে তো পজিটিভটাই আশা করেন।

শেখ হাসিনাকে সারা জীবন মিডিয়াবান্ধব হিসেবে দেখেছি। সরকারি দলে অভিজ্ঞতা কম আমার। বিরোধী দলে বেশি। তারপরও মিডিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে তাঁর তুলনা তিনি নিজে। আমাদের রাজনীতিবিদদের তাঁর মতো এত সহনশীলতা নেই। ’৯১ থেকে ৯৬ সালে সারা দেশ ঘুরেছি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে। আমরা যখন ঢাকার বাইরে যেতাম তিনি খেতে বসে প্রথম খোঁজ নিতেন সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা খেয়েছেন কি না। ব্যতিক্রম এক দিনও হয়নি। তিনি জুনিয়র-সিনিয়র সবাইকে বুঝতেন। মিডিয়াবান্ধব হিসেবেই তাঁকে পেয়েছি। শুরুটা করেছিলেন কঠিন বিরোধী মিডিয়া নিয়ে। ধীরে ধীরে তিনি মিডিয়াকে কাছে টেনেছেন। ভোরের কাগজে থাকতে নিউজ মিডিয়া নামে একটি নিউজ এজেন্সি করতে তিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে মৃণাল কান্তি দা নিয়মিত আসতেন। চা খেতেন আড্ডা দিতেন। আমি তখন আওয়ামী লীগ বিটের রিপোর্টার। মৃণালদা একাই মিডিয়া জমিয়ে রাখতেন। বিরোধীদলীয় নেতার জনসংযোগে ছিলেন কাজী আখতার আহমেদ, পরে আবু তৈয়ব। সেই সময়ে একবার বোরহান কবীর ও আমি ১৭ মন্ত্রীর দুর্নীতির খবর লিখে বিপদে পড়ি। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। সংসদে এ নিয়ে ঝড় তোলেন তোফায়েল আহমেদ। পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট ছিল না। দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমাদের কাছে ডকুমেন্ট চায়। বিষয়টি জানালাম বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে। তিনি বললেন, ‘কেউ কিছু জানতে চাইলে বলে দিও ডকুমেন্ট আমার কাছে রেখেছ।’ এভাবে তিনি আমাদের পাশে থাকতেন পেশাগত কাজে।

শেখ হাসিনার সঙ্গেই প্রথম বাসন্তীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই আলোচিত বাসন্তীকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করেছেন। কেউ পাশে দাঁড়াননি। শেখ হাসিনাই প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তীর। আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাড়ি করে দিয়েছিলেন। বাসন্তীর বাড়িতে আমাদের নিয়ে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে এই অঞ্চলের মঙ্গা দূর করব। তা-ই করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন খান, বাহাউদ্দিন নাছিম ও আলাউদ্দিন নাসিম। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতেন। তখন কেবিনেটও ছিল শক্তিশালী। আবদুস সামাদ আজাদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন কেবিনেটে। ডা. এস এ মালেকও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সবাই কথা বলতেন। প্রধানমন্ত্রী সবার কথা শুনতেন। তিনি নিজেও আলাদা করে সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমাদের লেবেলেও সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেতাম। ডেকেও নিয়েছিলেন একাধিকবার। জানি সময় বদলে গেছে। সেসব দিন আর নেই। সেসব মানুষও আর নেই। রাজনৈতিক নেতাদের বলিষ্ঠতা নেই। তারপরও শেখ হাসিনা জাতির জনকের মেয়ে। বাংলাদেশের গণমানুষের জন্য লড়াই শুরু করেছেন সেই ’৮১ সালে। সেই লড়াই এখনো করছেন। তিনি বোঝেন কোনটা চাটুকারিতা, আর কোনটা বাস্তবতা। আর বোঝেন বলেই দীর্ঘসময় ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা হিসেবে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাবও তাঁর সঙ্গে। স্পষ্ট করে বলছি, সংবাদপত্রের জন্য আর আইনকানুন দরকার নেই। আর যে আইনকানুন জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে ঝামেলা তৈরি করে তাও সংশোধন দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন।  এ সংশোধনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না। বাড়বে। গুটিকয়েক চাটুকারের কথা শোনার দরকার নেই।  চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না। টেবিলের নিচ দিয়ে পালিয়ে যায়।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা
অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের ঝুঁকি, গবেষকদের সতর্কবার্তা

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর
তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’
প্রকাশ্যে ‘হুমায়ূন সাগরে কিছুক্ষণ’

শোবিজ

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন
বায়ুদূষণে নাকাল নগরজীবন

রকমারি নগর পরিক্রমা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়