শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

কুলদীপ নায়ারের সঙ্গে একটা দারুণ সম্পর্ক ছিল। আমার আমন্ত্রণে ঢাকায়ও এসেছিলেন। ভীষণ স্নেহ করতেন। আবার কুলদীপ নায়ারের বিপরীত চিন্তার এম জে আকবরের সঙ্গে সম্পর্কটা ভাই-বন্ধুর মতো। দিল্লির আকবরের চলাফেরাতেও একটা ভাব আছে। দারুণ মানুষ। আড্ডার টেবিলে তাঁর তুলনা হয় না। পেশাগত জীবনে দেখা হয়েছিল দ্য হিন্দুর এডিটর রবিসহ অনেক স্বনামখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে।  দিল্লিতে আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু। কিন্তু খুশবন্ত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি কখনো। খুশবন্ত সিংয়ের লেখার দারুণ ভক্ত আমি। তাঁর লেখা দেখলেই পড়ি। বইগুলো সংগ্রহ করি। সত্য বলতে তিনি পিছপা হতেন না। সব কাঠিন্য মোকাবিলা করে সাংবাদিকতা করেছেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। ভারতীয় রাজনীতিকে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। স্পষ্ট কথা বলতে ছাড়তেন না কাউকে। তোয়াক্কা করতেন না কোনো কিছুর। সেই মানুষটি সমর্থন দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর বিতর্কিত জরুরি অবস্থাকে। সঞ্জয় গান্ধীর অনেক কাজেও সমর্থন ছিল। কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন অনেক দিন ছিল আমার মাঝে। ভাবতাম লেখনীতে সব সময় খুশবন্ত আলাদা। চিন্তা-চেতনাতেও। তারপরও ইন্দিরার জরুরি অবস্থাকে সমর্থন কেন দিতে হবে? আমার মতো অনেক মানুষের এ প্রশ্নের জবাব খুশবন্ত নিজেই দিয়ে গেছেন। জীবিতকালে তিনি লিখে গেছেন, ‘হোয়াই আই সাপোর্টেড ইমার্জেন্সি’। জরুরি অবস্থা কেন সমর্থন করলেন তা স্পষ্ট করলেন তিনি। অকপটে এমন সত্য লেখা একমাত্র খুশবন্তের পক্ষেই সম্ভব। অন্য কারও পক্ষে নয়।

পুরো লেখাটিতে সাদামাটা বয়ান। কোনো রাখডাক নেই। বুদ্ধিজীবী মার্কা কথা নেই। খুশবন্ত সিং লিখেছেন, ‘আমি তখন দিল্লিতে বসে আছি। লন্ডন থেকে চলে এসেছি। আমার কোনো চাকরি নেই। আমার কোনো কাজ নেই বলে, ইন্দিরা গান্ধী হিন্দুস্তান টাইমসের মালিক কে কে বিড়লাকে ডেকে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এমন একজন যোগ্য লোক বসে আছে, ওকে হিন্দুস্তান টাইমসের এডিটর করে দাও। তোমাদের পত্রিকার চেহারা বদলে যাবে। ভালো করবে।’ ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধ রেখেছিলেন কে কে বিড়লা। খুশবন্ত সিংকে এডিটর করেছিলেন হিন্দুস্তান টাইমসের। পরে সম্পাদক পদ ছাড়ার পর সঞ্জয় গান্ধী ডেকে নিয়ে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। খুশবন্ত লিখেছেন, ‘এই কারণে আমি জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করেছিলাম।’ এভাবে সবাই সবকিছু লিখতে পারেন না। বলতে পারেন না। লিখতে হলে সাহস লাগে। মনোবল লাগে। সবার সবকিছু থাকে না। খুশবন্ত সিং অন্য ১০ জনের মতো ছিলেন না। ছিলেন না বলেই হয়তো সাংবাদিকতা জীবনের আড়ালের কথা লিখে গেছেন।

জয়ন্ত ঘোষালের একটি লেখা পড়েছিলাম মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে। মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তিনি লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা ছেড়ে ঘোষাল আজতক ও ইন্ডিয়া টুডেতে কাজ করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করছেন দেশ-বিদেশে। কলকাতাতেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে দায়িত্ব পেয়ে ৩৩ বছর আগে যান দিল্লিতে। দিল্লিতে গিয়ে কোথায় উঠবেন বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে? মমতা বললেন, তাঁর ফ্ল্যাটে উঠতে। জয়ন্ত ঘোষাল দিল্লিতে ভাড়া বাড়িতে ওঠার আগে মমতার ফ্ল্যাটেই ওঠেন। নতুন সংসার জীবনে মমতা নিয়মিত খোঁজ নিতেন। শুধু তাই নয়, আরেকবার জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কলকাতা যেতে হবে জরুরি। ঘোষাল যেতে পারছিলেন না কাজের ব্যস্ততার কারণে। বিমানের টিকিট কাটার মুহূর্তে মমতার সঙ্গে কথা হয়। মমতা বললেন, এ অবস্থায় একা পাঠানো ঠিক হবে না। তিনি বললেন, কলকাতায় যাচ্ছি ট্রেনে। আমার সঙ্গে যাবে। এসি টু টাওয়ার ট্রেনে রাতে ওপরে নিচে থাকার ব্যবস্থা। রেল ভ্রমণের স্মৃতি নিয়ে জয়ন্ত লেখেন, মমতা তখন সংসদে রেলের পাস পেতেন। আমার স্ত্রীকে অ্যাটেনডেন্ট করে তিনি কলকাতা গেলেন। সাধারণত অ্যাটেনডেন্ট ওপরে শোয় এবং সংসদ সদস্য নিচে। রাতে খাওয়ার পর আমার স্ত্রী যখন ওপরে শুতে যাচ্ছেন, উনি আমার স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, ‘তুমি এ অবস্থায় ওপরে উঠবে! একদম নয়! তুমি নিচে শোবে, আমি ওপরে যাচ্ছি।’ ট্রেনে একই সঙ্গে থাকা বিপরীতে বসা মমতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গীতা মুখার্জি বিস্ময় নিয়ে সব দেখলেন। পরে তিনি জয়ন্তর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, উনি কি আপনার আত্মীয় হন?

রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাংবাদিকের সম্পর্ক থাকবেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক কি লেখালেখিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়? খুশবন্ত সিং জরুরি অবস্থাকে সমর্থন জানালেও তিনি কংগ্রেসের সবকিছুকে ইতিবাচক বলেননি। অনেক খারাপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে এম জে আকবরেরও সম্পর্ক ছিল। রাজীব গান্ধী তাঁকে এমপি করেছিলেন। কিন্তু সোনিয়ার সঙ্গে মেলেনি। রাজীবের চলে যাওয়ার পর সোনিয়াকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, তুমি বিদেশিনী। রাজীবের স্ত্রী হিসেবে ভারত তোমাকে স্বাগত জানাবে। রাজনীতি করতে পারবে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখ না। আকবরের এ বক্তব্য ভালোভাবে নেননি সোনিয়া ও তাঁর সমর্থকরা। কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল আকবরকে। ইতিহাস এমনই হয়। অনেক সময় অপ্রিয় সত্য বলা যায় না। আবার অনেক সময় বলেও বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জয়ন্ত ঘোষাল। এক শনিবারে দিল্লিতে মমতার ফ্ল্যাটে মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত ছিল ঘোষালের। কথা ছিল খিচুড়ি রান্না হবে। খিচুড়ি খাবেন একসঙ্গে। তারপর কথা বলবেন। প্রতি শনিবারের বর্তমান পত্রিকায় দিল্লির রাজনীতি নামে জয়ন্ত তখন নিয়মিত কলাম লিখতেন। সেই শনিবারও নিজের কলামে তিনি কিছু অপ্রিয় সত্য লিখে বসেন। ব্যস আর যায় কোথায়? সকাল থেকে মমতার মন-মেজাজের আকাশে মেঘ দেখা দেয়। দুপুরে খেতে রওনা হওয়ার মুহূর্তে ঘোষাল ফোন করেন মমতার সহকারী সোনালীকে। ফোনটা ধরেই সোনালী বললেন, ‘আপনার বোধহয় আজকের মধ্যাহ্নভোজটা আর হলো না। জয়ন্ত ঘোষাল বললেন, কেন? সমস্যা কী? জবাবে সোনালী বললেন, দিদি রেগে গেলে মুডটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’ তারপরও দিদির সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করলেন জয়ন্ত। সোনালী জিজ্ঞেস করলেন মমতাকে ঘোষাল আসবে কিনা? মমতা গম্ভীরভাবে বললেন, আসতে বল। জয়ন্ত ঘোষাল গেলেন। গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন মমতা। মুখ ভারী করে আলাপ শুরু করলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর সব ঠিক হয়ে গেল। তারপর বললেন, যা ভালো বুঝেছেন লিখেছেন, ঠিক আছে। জয়ন্ত ঘোষালও লিখেছেন, ‘ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যাবে না, এই ধারণা বোধহয় ঠিক নয়।’

ভালো সম্পর্কে সত্য লেখা যাবে না এ মতের সঙ্গে আমিও একমত নই। আপনজনকে সত্যটা জানাতে হয়। সত্য বড় কঠিন। সেই কঠিন সত্যটা সব সময় ক্ষমতায় থেকে সবাই শুনতে চায় না। আর চায় না বলেই সমস্যাটা তৈরি হয়। জটিলতাগুলো বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে হিসাব-নিকাশ এক রকম থাকে না। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা অনেক কিছু আড়াল করে দেয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হচ্ছে কিছু দিন থেকে। আইনটি প্রণয়নের সময় আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা বসেছিলেন সম্পাদকদের সঙ্গে। সেদিন আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, এই আইন এভাবে পাস হলে দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। আপনারা বাস্তবতায় থাকুন। পরে ঝামেলা সংশোধনের চেয়ে আগে দেখে নেওয়া ভালো। আইন করুন সমস্যা নেই। নারী-শিশু হয়রানি হয় ডিজিটাল মিডিয়াতে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে অপব্যবহার করে। ব্যক্তিগত কুৎসা রটায় হিংসা ও ঈর্ষা থেকে। সেসব নিয়ন্ত্রণে আইন করতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতাকে জড়াবেন না। সবকিছু জামিনযোগ্য ধারায় আনতে হবে। আটকের সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশে স্থানান্তর করতে হবে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার একটা দায়িত্ববোধ আছে। সংবাদ প্রকাশ, প্রচারে তারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করে। মন্ত্রী সাহেবরা শুনলেন। বললেন, অবশ্যই আপনাদের কথা গুরুত্ব নিয়ে দেখা হবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। সিদ্ধান্ত চাপিয়ে আইন হলো। ডাল-চাল মিলিয়ে ফেলা হলো। জামিনযোগ্য কোনো ধারাই রাখা হয়নি। এতে সমস্যা বাড়ল। এ আইন আরও কঠোরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলো কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হলে কী যায় আসে, তাহলে বলার কিছু নেই।

আমাদের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এখন আর কথা বলেন না। বাস্তবতা তুলে ধরতে চান না প্রধানমন্ত্রীর সামনে। ভুলে গেলে হবে না তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। তাঁর সামনে কথা বলা যায় না এ কথা মানতে রাজি নই। শেখ হাসিনাকে আমরাও কাছ থেকে দেখেছি। যুক্তিসংগত কিছু বললে তিনি মন দিয়ে শোনেন। বাস্তবতাকে মেনে সিদ্ধান্ত দেন ও নেন। একটি ঘটনা না বলেই পারছি না। ২০১৮ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। হাসানুল হক ইনু তখন তথ্যমন্ত্রী। এক কেবিনেট বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধভাবেই তথ্যমন্ত্রীকে বললেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন কী সব লিখছে দেখেন না কিছু? বৈঠক শেষ হতেই দুজন মন্ত্রী ফোন দিলেন আমাকে। বললেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জবাবে বললাম, বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছি। ক্ষুব্ধ হলে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা না। কাউকে কিছু বললাম না। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে গেলাম। বসলাম প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি সামনের সারিতে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসার পর সালাম দিলাম। তিনি হাসিমুখে সালাম নিলেন। বুঝলাম, কেবিনেট বৈঠকে প্রবেশের সময় হয়তো কেউ কিছু লাগিয়েছিল। তাই ইনু ভাইকে একটু নিলেন। আবার হয়তো চেয়েছেন বার্তাটা আমার কাছে আসুক। স্বস্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করলাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে কবি নির্মলেন্দু গুণ ও আমি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। তিনি আমাদের দুজনের সঙ্গে এসে কথা বলে গেলেন হাসিমুখে। শেখ হাসিনা এমনই। আরেকবার সিরাজুল আলম খানের বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পীর হাবিবের একটি লেখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি ছিলাম আমেরিকায়। ঢাকায় ফিরে আসামাত্রই ফোন পেলাম বিপ্লব বড়ুয়ার। বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্ক ও যখন ছাত্রলীগ করত তখন থেকেই। আমার কাছে আসত। সব সময় বিনয়ী, চমৎকার। বিপ্লব বলল, আপা পত্রিকা পড়ে মন খারাপ করেছেন। বললাম, ছিলাম না দেশে। কী হয়েছে? বিপ্লব আবার বলল, পীর ভাই লিখেছেন। আপনি না থাকলেও জানেন না আপা বিশ্বাস করবেন না। বিপ্লবকে বললাম পরামর্শ দাও কী করা যায়। বিপ্লব বলল, আমু ভাই, তোফায়েল ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে সিরাজুল আলম খানের লেখার জবাব দিয়ে দিন। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপা আপনাদের কাছে তো পজিটিভটাই আশা করেন।

শেখ হাসিনাকে সারা জীবন মিডিয়াবান্ধব হিসেবে দেখেছি। সরকারি দলে অভিজ্ঞতা কম আমার। বিরোধী দলে বেশি। তারপরও মিডিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে তাঁর তুলনা তিনি নিজে। আমাদের রাজনীতিবিদদের তাঁর মতো এত সহনশীলতা নেই। ’৯১ থেকে ৯৬ সালে সারা দেশ ঘুরেছি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে। আমরা যখন ঢাকার বাইরে যেতাম তিনি খেতে বসে প্রথম খোঁজ নিতেন সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা খেয়েছেন কি না। ব্যতিক্রম এক দিনও হয়নি। তিনি জুনিয়র-সিনিয়র সবাইকে বুঝতেন। মিডিয়াবান্ধব হিসেবেই তাঁকে পেয়েছি। শুরুটা করেছিলেন কঠিন বিরোধী মিডিয়া নিয়ে। ধীরে ধীরে তিনি মিডিয়াকে কাছে টেনেছেন। ভোরের কাগজে থাকতে নিউজ মিডিয়া নামে একটি নিউজ এজেন্সি করতে তিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে মৃণাল কান্তি দা নিয়মিত আসতেন। চা খেতেন আড্ডা দিতেন। আমি তখন আওয়ামী লীগ বিটের রিপোর্টার। মৃণালদা একাই মিডিয়া জমিয়ে রাখতেন। বিরোধীদলীয় নেতার জনসংযোগে ছিলেন কাজী আখতার আহমেদ, পরে আবু তৈয়ব। সেই সময়ে একবার বোরহান কবীর ও আমি ১৭ মন্ত্রীর দুর্নীতির খবর লিখে বিপদে পড়ি। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। সংসদে এ নিয়ে ঝড় তোলেন তোফায়েল আহমেদ। পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট ছিল না। দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমাদের কাছে ডকুমেন্ট চায়। বিষয়টি জানালাম বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে। তিনি বললেন, ‘কেউ কিছু জানতে চাইলে বলে দিও ডকুমেন্ট আমার কাছে রেখেছ।’ এভাবে তিনি আমাদের পাশে থাকতেন পেশাগত কাজে।

শেখ হাসিনার সঙ্গেই প্রথম বাসন্তীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই আলোচিত বাসন্তীকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করেছেন। কেউ পাশে দাঁড়াননি। শেখ হাসিনাই প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তীর। আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাড়ি করে দিয়েছিলেন। বাসন্তীর বাড়িতে আমাদের নিয়ে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে এই অঞ্চলের মঙ্গা দূর করব। তা-ই করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন খান, বাহাউদ্দিন নাছিম ও আলাউদ্দিন নাসিম। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতেন। তখন কেবিনেটও ছিল শক্তিশালী। আবদুস সামাদ আজাদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন কেবিনেটে। ডা. এস এ মালেকও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সবাই কথা বলতেন। প্রধানমন্ত্রী সবার কথা শুনতেন। তিনি নিজেও আলাদা করে সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমাদের লেবেলেও সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেতাম। ডেকেও নিয়েছিলেন একাধিকবার। জানি সময় বদলে গেছে। সেসব দিন আর নেই। সেসব মানুষও আর নেই। রাজনৈতিক নেতাদের বলিষ্ঠতা নেই। তারপরও শেখ হাসিনা জাতির জনকের মেয়ে। বাংলাদেশের গণমানুষের জন্য লড়াই শুরু করেছেন সেই ’৮১ সালে। সেই লড়াই এখনো করছেন। তিনি বোঝেন কোনটা চাটুকারিতা, আর কোনটা বাস্তবতা। আর বোঝেন বলেই দীর্ঘসময় ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা হিসেবে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাবও তাঁর সঙ্গে। স্পষ্ট করে বলছি, সংবাদপত্রের জন্য আর আইনকানুন দরকার নেই। আর যে আইনকানুন জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে ঝামেলা তৈরি করে তাও সংশোধন দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন।  এ সংশোধনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না। বাড়বে। গুটিকয়েক চাটুকারের কথা শোনার দরকার নেই।  চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না। টেবিলের নিচ দিয়ে পালিয়ে যায়।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
মূল্যস্ফীতি কমেছে
মূল্যস্ফীতি কমেছে
তারুণ্যের ভাবনা
তারুণ্যের ভাবনা
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
বেওয়ারিশ হাসপাতাল!
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসার মানদন্ড
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
মব সন্ত্রাস থামান
মব সন্ত্রাস থামান
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
সন্তানের সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখুন
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
মব জাস্টিস অবিচার, মারাত্মক অন্যায়
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর লাশ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : উপদেষ্টা আসিফ

১২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রুশ ন্যাশনাল গার্ডের সদসসহ নিহত ৩

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিমানবন্দরে যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না!

১০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল
দুর্ঘটনার কবলে ওয়েলস নারী ফুটবল দল

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা
নয়নতারার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা

৫৪ মিনিট আগে | শোবিজ

আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা, অডিও বিশ্লেষণ করে জানাল বিবিসি

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ
ক্র্যাব ও অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?
সূর্য একদিন নিভে যাবে, কী হবে পৃথিবীর ভাগ্য?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা
ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাডার গবেষণা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প
খনিজে গড়া অর্থনীতি, তেজস্ক্রিয়তায় বিধ্বস্ত জনপদ—চীনের ভয়ংকর এক শহরের গল্প

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন
ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে ইয়েমেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির
আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল
সামরিক স্থাপনায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা স্বীকার করল ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!
এত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি
ইসরায়েল যুদ্ধ চায়, ইরানও তৈরি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ
শিবলী রুবাইয়াতের ১০তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে
গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ যাত্রী মেট্রোতে, সবচেয়ে বেশি যে স্টেশনে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর
৪ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আসাদুজ্জামান নূর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান
পরমাণু কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান : ফরাসি গোয়েন্দা প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে আবু ওবায়দার হুঁশিয়ারি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সরানোর বিষয়ে আলাপ করেছেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৩১ কোটি টাকায় আসবে এক কার্গো এলএনজি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি
৬৪০ দিনের যুদ্ধেও সফল হয়নি ইসরায়েল, হামাসের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল
যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’
‘যারা পিআর চায়, তারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির
তৃতীয় বিয়ের ইঙ্গিত, গৌরীকে নিয়ে যা বললেন আমির

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লেবুর খোসার যত গুণ
লেবুর খোসার যত গুণ

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব
ফের ট্রাম্পের ট্যারিফ তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম
জুলাই অভ্যুত্থান : কী পেলাম! কী হারালাম

সম্পাদকীয়

কই গেল দুই লাখ তাল গাছ
কই গেল দুই লাখ তাল গাছ

নগর জীবন

সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা
সন্তান খাঁচায় ভরে ভিক্ষা করছেন মা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে
সিনেমা হল এখন কার নিয়ন্ত্রণে

শোবিজ

ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি
ঘরে পৌঁছাবে পদ্মার বিশুদ্ধ পানি

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি
শাবনূর কেন অনীকের স্ত্রী হতে চাননি

শোবিজ

তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি
তাজুলের টাকার খনি ওয়াসা আর এলজিইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা
ভারতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি
মিডিয়াকে হুমকি গণতন্ত্রের পরিপন্থি

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন
থামছে না দাবি আদায়ের আন্দোলন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি

শোবিজ

ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি
ছুটিই যেন কাবরেরার চাকরি

মাঠে ময়দানে

দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে
দেশ গঠনে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন রয়েছে

নগর জীবন

হতাশায় বিশ্বাস করি না
হতাশায় বিশ্বাস করি না

শোবিজ

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বিকাশে সহায়তা দেবে তুরস্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিব্রত শ্রদ্ধা...
বিব্রত শ্রদ্ধা...

শোবিজ

ফাইনালের আগে ফাইনাল!
ফাইনালের আগে ফাইনাল!

মাঠে ময়দানে

জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা
জয়ার পুতুল নাচের ইতিকথা

শোবিজ

এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই
এবার কিংস অ্যারিনায় আফঈদাদের লড়াই

মাঠে ময়দানে

জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়
জোকোভিচ ১৬ সুয়াটেকের দ্বিতীয়

মাঠে ময়দানে

বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু
বিকালে শ্লীলতাহানি রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়
তারা আ.লীগকে ফেরাতে চায়

নগর জীবন

ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি আদিল চৌধুরী

নগর জীবন

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ বহিষ্কৃতদের

প্রথম পৃষ্ঠা

তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি
তেহরান থেকে ফিরলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা