শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ইন্দিরা থেকে শেখ হাসিনা

কুলদীপ নায়ারের সঙ্গে একটা দারুণ সম্পর্ক ছিল। আমার আমন্ত্রণে ঢাকায়ও এসেছিলেন। ভীষণ স্নেহ করতেন। আবার কুলদীপ নায়ারের বিপরীত চিন্তার এম জে আকবরের সঙ্গে সম্পর্কটা ভাই-বন্ধুর মতো। দিল্লির আকবরের চলাফেরাতেও একটা ভাব আছে। দারুণ মানুষ। আড্ডার টেবিলে তাঁর তুলনা হয় না। পেশাগত জীবনে দেখা হয়েছিল দ্য হিন্দুর এডিটর রবিসহ অনেক স্বনামখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে।  দিল্লিতে আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু। কিন্তু খুশবন্ত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি কখনো। খুশবন্ত সিংয়ের লেখার দারুণ ভক্ত আমি। তাঁর লেখা দেখলেই পড়ি। বইগুলো সংগ্রহ করি। সত্য বলতে তিনি পিছপা হতেন না। সব কাঠিন্য মোকাবিলা করে সাংবাদিকতা করেছেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। ভারতীয় রাজনীতিকে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। স্পষ্ট কথা বলতে ছাড়তেন না কাউকে। তোয়াক্কা করতেন না কোনো কিছুর। সেই মানুষটি সমর্থন দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর বিতর্কিত জরুরি অবস্থাকে। সঞ্জয় গান্ধীর অনেক কাজেও সমর্থন ছিল। কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন অনেক দিন ছিল আমার মাঝে। ভাবতাম লেখনীতে সব সময় খুশবন্ত আলাদা। চিন্তা-চেতনাতেও। তারপরও ইন্দিরার জরুরি অবস্থাকে সমর্থন কেন দিতে হবে? আমার মতো অনেক মানুষের এ প্রশ্নের জবাব খুশবন্ত নিজেই দিয়ে গেছেন। জীবিতকালে তিনি লিখে গেছেন, ‘হোয়াই আই সাপোর্টেড ইমার্জেন্সি’। জরুরি অবস্থা কেন সমর্থন করলেন তা স্পষ্ট করলেন তিনি। অকপটে এমন সত্য লেখা একমাত্র খুশবন্তের পক্ষেই সম্ভব। অন্য কারও পক্ষে নয়।

পুরো লেখাটিতে সাদামাটা বয়ান। কোনো রাখডাক নেই। বুদ্ধিজীবী মার্কা কথা নেই। খুশবন্ত সিং লিখেছেন, ‘আমি তখন দিল্লিতে বসে আছি। লন্ডন থেকে চলে এসেছি। আমার কোনো চাকরি নেই। আমার কোনো কাজ নেই বলে, ইন্দিরা গান্ধী হিন্দুস্তান টাইমসের মালিক কে কে বিড়লাকে ডেকে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এমন একজন যোগ্য লোক বসে আছে, ওকে হিন্দুস্তান টাইমসের এডিটর করে দাও। তোমাদের পত্রিকার চেহারা বদলে যাবে। ভালো করবে।’ ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধ রেখেছিলেন কে কে বিড়লা। খুশবন্ত সিংকে এডিটর করেছিলেন হিন্দুস্তান টাইমসের। পরে সম্পাদক পদ ছাড়ার পর সঞ্জয় গান্ধী ডেকে নিয়ে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। খুশবন্ত লিখেছেন, ‘এই কারণে আমি জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করেছিলাম।’ এভাবে সবাই সবকিছু লিখতে পারেন না। বলতে পারেন না। লিখতে হলে সাহস লাগে। মনোবল লাগে। সবার সবকিছু থাকে না। খুশবন্ত সিং অন্য ১০ জনের মতো ছিলেন না। ছিলেন না বলেই হয়তো সাংবাদিকতা জীবনের আড়ালের কথা লিখে গেছেন।

জয়ন্ত ঘোষালের একটি লেখা পড়েছিলাম মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে। মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তিনি লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা ছেড়ে ঘোষাল আজতক ও ইন্ডিয়া টুডেতে কাজ করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করছেন দেশ-বিদেশে। কলকাতাতেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে দায়িত্ব পেয়ে ৩৩ বছর আগে যান দিল্লিতে। দিল্লিতে গিয়ে কোথায় উঠবেন বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে? মমতা বললেন, তাঁর ফ্ল্যাটে উঠতে। জয়ন্ত ঘোষাল দিল্লিতে ভাড়া বাড়িতে ওঠার আগে মমতার ফ্ল্যাটেই ওঠেন। নতুন সংসার জীবনে মমতা নিয়মিত খোঁজ নিতেন। শুধু তাই নয়, আরেকবার জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কলকাতা যেতে হবে জরুরি। ঘোষাল যেতে পারছিলেন না কাজের ব্যস্ততার কারণে। বিমানের টিকিট কাটার মুহূর্তে মমতার সঙ্গে কথা হয়। মমতা বললেন, এ অবস্থায় একা পাঠানো ঠিক হবে না। তিনি বললেন, কলকাতায় যাচ্ছি ট্রেনে। আমার সঙ্গে যাবে। এসি টু টাওয়ার ট্রেনে রাতে ওপরে নিচে থাকার ব্যবস্থা। রেল ভ্রমণের স্মৃতি নিয়ে জয়ন্ত লেখেন, মমতা তখন সংসদে রেলের পাস পেতেন। আমার স্ত্রীকে অ্যাটেনডেন্ট করে তিনি কলকাতা গেলেন। সাধারণত অ্যাটেনডেন্ট ওপরে শোয় এবং সংসদ সদস্য নিচে। রাতে খাওয়ার পর আমার স্ত্রী যখন ওপরে শুতে যাচ্ছেন, উনি আমার স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, ‘তুমি এ অবস্থায় ওপরে উঠবে! একদম নয়! তুমি নিচে শোবে, আমি ওপরে যাচ্ছি।’ ট্রেনে একই সঙ্গে থাকা বিপরীতে বসা মমতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গীতা মুখার্জি বিস্ময় নিয়ে সব দেখলেন। পরে তিনি জয়ন্তর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, উনি কি আপনার আত্মীয় হন?

রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাংবাদিকের সম্পর্ক থাকবেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক কি লেখালেখিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়? খুশবন্ত সিং জরুরি অবস্থাকে সমর্থন জানালেও তিনি কংগ্রেসের সবকিছুকে ইতিবাচক বলেননি। অনেক খারাপের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে এম জে আকবরেরও সম্পর্ক ছিল। রাজীব গান্ধী তাঁকে এমপি করেছিলেন। কিন্তু সোনিয়ার সঙ্গে মেলেনি। রাজীবের চলে যাওয়ার পর সোনিয়াকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, তুমি বিদেশিনী। রাজীবের স্ত্রী হিসেবে ভারত তোমাকে স্বাগত জানাবে। রাজনীতি করতে পারবে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখ না। আকবরের এ বক্তব্য ভালোভাবে নেননি সোনিয়া ও তাঁর সমর্থকরা। কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল আকবরকে। ইতিহাস এমনই হয়। অনেক সময় অপ্রিয় সত্য বলা যায় না। আবার অনেক সময় বলেও বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জয়ন্ত ঘোষাল। এক শনিবারে দিল্লিতে মমতার ফ্ল্যাটে মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত ছিল ঘোষালের। কথা ছিল খিচুড়ি রান্না হবে। খিচুড়ি খাবেন একসঙ্গে। তারপর কথা বলবেন। প্রতি শনিবারের বর্তমান পত্রিকায় দিল্লির রাজনীতি নামে জয়ন্ত তখন নিয়মিত কলাম লিখতেন। সেই শনিবারও নিজের কলামে তিনি কিছু অপ্রিয় সত্য লিখে বসেন। ব্যস আর যায় কোথায়? সকাল থেকে মমতার মন-মেজাজের আকাশে মেঘ দেখা দেয়। দুপুরে খেতে রওনা হওয়ার মুহূর্তে ঘোষাল ফোন করেন মমতার সহকারী সোনালীকে। ফোনটা ধরেই সোনালী বললেন, ‘আপনার বোধহয় আজকের মধ্যাহ্নভোজটা আর হলো না। জয়ন্ত ঘোষাল বললেন, কেন? সমস্যা কী? জবাবে সোনালী বললেন, দিদি রেগে গেলে মুডটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’ তারপরও দিদির সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করলেন জয়ন্ত। সোনালী জিজ্ঞেস করলেন মমতাকে ঘোষাল আসবে কিনা? মমতা গম্ভীরভাবে বললেন, আসতে বল। জয়ন্ত ঘোষাল গেলেন। গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন মমতা। মুখ ভারী করে আলাপ শুরু করলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর সব ঠিক হয়ে গেল। তারপর বললেন, যা ভালো বুঝেছেন লিখেছেন, ঠিক আছে। জয়ন্ত ঘোষালও লিখেছেন, ‘ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যাবে না, এই ধারণা বোধহয় ঠিক নয়।’

ভালো সম্পর্কে সত্য লেখা যাবে না এ মতের সঙ্গে আমিও একমত নই। আপনজনকে সত্যটা জানাতে হয়। সত্য বড় কঠিন। সেই কঠিন সত্যটা সব সময় ক্ষমতায় থেকে সবাই শুনতে চায় না। আর চায় না বলেই সমস্যাটা তৈরি হয়। জটিলতাগুলো বাড়তে থাকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে হিসাব-নিকাশ এক রকম থাকে না। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা অনেক কিছু আড়াল করে দেয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হচ্ছে কিছু দিন থেকে। আইনটি প্রণয়নের সময় আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, আইসিটি মন্ত্রীসহ সিনিয়র মন্ত্রীরা বসেছিলেন সম্পাদকদের সঙ্গে। সেদিন আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম, এই আইন এভাবে পাস হলে দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। আপনারা বাস্তবতায় থাকুন। পরে ঝামেলা সংশোধনের চেয়ে আগে দেখে নেওয়া ভালো। আইন করুন সমস্যা নেই। নারী-শিশু হয়রানি হয় ডিজিটাল মিডিয়াতে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে অপব্যবহার করে। ব্যক্তিগত কুৎসা রটায় হিংসা ও ঈর্ষা থেকে। সেসব নিয়ন্ত্রণে আইন করতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতাকে জড়াবেন না। সবকিছু জামিনযোগ্য ধারায় আনতে হবে। আটকের সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশে স্থানান্তর করতে হবে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার একটা দায়িত্ববোধ আছে। সংবাদ প্রকাশ, প্রচারে তারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করে। মন্ত্রী সাহেবরা শুনলেন। বললেন, অবশ্যই আপনাদের কথা গুরুত্ব নিয়ে দেখা হবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। সিদ্ধান্ত চাপিয়ে আইন হলো। ডাল-চাল মিলিয়ে ফেলা হলো। জামিনযোগ্য কোনো ধারাই রাখা হয়নি। এতে সমস্যা বাড়ল। এ আইন আরও কঠোরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলো কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কেউ যদি মনে করেন ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হলে কী যায় আসে, তাহলে বলার কিছু নেই।

আমাদের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এখন আর কথা বলেন না। বাস্তবতা তুলে ধরতে চান না প্রধানমন্ত্রীর সামনে। ভুলে গেলে হবে না তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। তাঁর সামনে কথা বলা যায় না এ কথা মানতে রাজি নই। শেখ হাসিনাকে আমরাও কাছ থেকে দেখেছি। যুক্তিসংগত কিছু বললে তিনি মন দিয়ে শোনেন। বাস্তবতাকে মেনে সিদ্ধান্ত দেন ও নেন। একটি ঘটনা না বলেই পারছি না। ২০১৮ সালের প্রথম দিকের ঘটনা। হাসানুল হক ইনু তখন তথ্যমন্ত্রী। এক কেবিনেট বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধভাবেই তথ্যমন্ত্রীকে বললেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন কী সব লিখছে দেখেন না কিছু? বৈঠক শেষ হতেই দুজন মন্ত্রী ফোন দিলেন আমাকে। বললেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জবাবে বললাম, বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছি। ক্ষুব্ধ হলে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা না। কাউকে কিছু বললাম না। বিকালে সংবাদ সম্মেলনে গেলাম। বসলাম প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি সামনের সারিতে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসার পর সালাম দিলাম। তিনি হাসিমুখে সালাম নিলেন। বুঝলাম, কেবিনেট বৈঠকে প্রবেশের সময় হয়তো কেউ কিছু লাগিয়েছিল। তাই ইনু ভাইকে একটু নিলেন। আবার হয়তো চেয়েছেন বার্তাটা আমার কাছে আসুক। স্বস্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করলাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে কবি নির্মলেন্দু গুণ ও আমি দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। তিনি আমাদের দুজনের সঙ্গে এসে কথা বলে গেলেন হাসিমুখে। শেখ হাসিনা এমনই। আরেকবার সিরাজুল আলম খানের বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পীর হাবিবের একটি লেখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি ছিলাম আমেরিকায়। ঢাকায় ফিরে আসামাত্রই ফোন পেলাম বিপ্লব বড়ুয়ার। বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্ক ও যখন ছাত্রলীগ করত তখন থেকেই। আমার কাছে আসত। সব সময় বিনয়ী, চমৎকার। বিপ্লব বলল, আপা পত্রিকা পড়ে মন খারাপ করেছেন। বললাম, ছিলাম না দেশে। কী হয়েছে? বিপ্লব আবার বলল, পীর ভাই লিখেছেন। আপনি না থাকলেও জানেন না আপা বিশ্বাস করবেন না। বিপ্লবকে বললাম পরামর্শ দাও কী করা যায়। বিপ্লব বলল, আমু ভাই, তোফায়েল ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে সিরাজুল আলম খানের লেখার জবাব দিয়ে দিন। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপা আপনাদের কাছে তো পজিটিভটাই আশা করেন।

শেখ হাসিনাকে সারা জীবন মিডিয়াবান্ধব হিসেবে দেখেছি। সরকারি দলে অভিজ্ঞতা কম আমার। বিরোধী দলে বেশি। তারপরও মিডিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে তাঁর তুলনা তিনি নিজে। আমাদের রাজনীতিবিদদের তাঁর মতো এত সহনশীলতা নেই। ’৯১ থেকে ৯৬ সালে সারা দেশ ঘুরেছি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে। আমরা যখন ঢাকার বাইরে যেতাম তিনি খেতে বসে প্রথম খোঁজ নিতেন সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা খেয়েছেন কি না। ব্যতিক্রম এক দিনও হয়নি। তিনি জুনিয়র-সিনিয়র সবাইকে বুঝতেন। মিডিয়াবান্ধব হিসেবেই তাঁকে পেয়েছি। শুরুটা করেছিলেন কঠিন বিরোধী মিডিয়া নিয়ে। ধীরে ধীরে তিনি মিডিয়াকে কাছে টেনেছেন। ভোরের কাগজে থাকতে নিউজ মিডিয়া নামে একটি নিউজ এজেন্সি করতে তিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজে মৃণাল কান্তি দা নিয়মিত আসতেন। চা খেতেন আড্ডা দিতেন। আমি তখন আওয়ামী লীগ বিটের রিপোর্টার। মৃণালদা একাই মিডিয়া জমিয়ে রাখতেন। বিরোধীদলীয় নেতার জনসংযোগে ছিলেন কাজী আখতার আহমেদ, পরে আবু তৈয়ব। সেই সময়ে একবার বোরহান কবীর ও আমি ১৭ মন্ত্রীর দুর্নীতির খবর লিখে বিপদে পড়ি। বিএনপি তখন ক্ষমতায়। সংসদে এ নিয়ে ঝড় তোলেন তোফায়েল আহমেদ। পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট ছিল না। দুর্নীতি দমন ব্যুরো আমাদের কাছে ডকুমেন্ট চায়। বিষয়টি জানালাম বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে। তিনি বললেন, ‘কেউ কিছু জানতে চাইলে বলে দিও ডকুমেন্ট আমার কাছে রেখেছ।’ এভাবে তিনি আমাদের পাশে থাকতেন পেশাগত কাজে।

শেখ হাসিনার সঙ্গেই প্রথম বাসন্তীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই আলোচিত বাসন্তীকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করেছেন। কেউ পাশে দাঁড়াননি। শেখ হাসিনাই প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তীর। আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাড়ি করে দিয়েছিলেন। বাসন্তীর বাড়িতে আমাদের নিয়ে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে এই অঞ্চলের মঙ্গা দূর করব। তা-ই করেছিলেন। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন খান, বাহাউদ্দিন নাছিম ও আলাউদ্দিন নাসিম। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা বলতেন। তখন কেবিনেটও ছিল শক্তিশালী। আবদুস সামাদ আজাদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন কেবিনেটে। ডা. এস এ মালেকও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সবাই কথা বলতেন। প্রধানমন্ত্রী সবার কথা শুনতেন। তিনি নিজেও আলাদা করে সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমাদের লেবেলেও সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেতাম। ডেকেও নিয়েছিলেন একাধিকবার। জানি সময় বদলে গেছে। সেসব দিন আর নেই। সেসব মানুষও আর নেই। রাজনৈতিক নেতাদের বলিষ্ঠতা নেই। তারপরও শেখ হাসিনা জাতির জনকের মেয়ে। বাংলাদেশের গণমানুষের জন্য লড়াই শুরু করেছেন সেই ’৮১ সালে। সেই লড়াই এখনো করছেন। তিনি বোঝেন কোনটা চাটুকারিতা, আর কোনটা বাস্তবতা। আর বোঝেন বলেই দীর্ঘসময় ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা হিসেবে মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাবও তাঁর সঙ্গে। স্পষ্ট করে বলছি, সংবাদপত্রের জন্য আর আইনকানুন দরকার নেই। আর যে আইনকানুন জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে ঝামেলা তৈরি করে তাও সংশোধন দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন।  এ সংশোধনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না। বাড়বে। গুটিকয়েক চাটুকারের কথা শোনার দরকার নেই।  চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না। টেবিলের নিচ দিয়ে পালিয়ে যায়।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের
ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া
পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ
বগুড়ায় শুরু হচ্ছে এনসিএলের চার দিনের ম্যাচ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১০ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির
১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাদের
সেই কাদের

শোবিজ

আমন খেতে ইঁদুরের হানা
আমন খেতে ইঁদুরের হানা

দেশগ্রাম

মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ

পেছনের পৃষ্ঠা

জেনেভা ক্যাম্পে ককটেলের গোপন কারখানার সন্ধান
জেনেভা ক্যাম্পে ককটেলের গোপন কারখানার সন্ধান

নগর জীবন

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা