শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০৮ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

মুজিবের চেতনায় নারী অধিকার

শেখ হাসিনা
প্রিন্ট ভার্সন
মুজিবের চেতনায় নারী অধিকার

যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-সমাজ সংস্কারকগণ এসেছেন, নারী অধিকারের কথা বলে গেছেন, নারী মুক্তির আন্দোলন করেছেন। সমাজের কুসংস্কার থেকে নারীদের রক্ষার প্রচেষ্টা নিয়েছেন। সমাজকে সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছেন।

এ ভূখন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু কথা ও লেখনী  দ্বারা নয়, বাস্তব জীবনে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ তিনি সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীন দেশের সব নাগরিকের সমঅধিকারের কথাও তিনি বলেছেন। ‘এই ঘুণে ধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ আমরা গড়ব’,-এটা ছিল তাঁর আন্তরিক প্রত্যয়। তাই তিনি সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যার সুফল আজ বাংলাদেশের নারী সমাজ পাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে নারীগণ আজ নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছেন।

‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার/কেন নাহি দেবে অধিকার?/হে বিধাতা’... বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ আকুতি করে গেছেন। কারণ, তিনি নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার আধুনিক চিন্তা ও ভাবধারায় সমৃদ্ধ ছিল। সমাজকে এগিয়ে নিতে এই পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। শিক্ষাদীক্ষার প্রসার, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং কুসংস্কার দূর করার ক্ষেত্রেও সে সময় তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন : ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী/অর্ধেক তার নর।’ সমাজে নারীর যে অবদান রয়েছে সে কথাই তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর কবিতায়। নারীকে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন কবি নজরুল ইসলাম এই লেখার মধ্য দিয়ে। এ বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন যে, নারীকে অবহেলার চোখে দেখার সুযোগ নেই। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুষের যে কোনো অর্জনের পিছনে নারীর অবদান রয়েছে। তাঁদের ত্যাগ-প্রেরণা-উৎসাহ পুরুষকে শক্তি ও সাহস জোগায়। সেই অবদান ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। কবি নজরুল আধুনিক চিন্তা-চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক ভাবধারায় বিশ্বাস করতেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মা ছেলেকে, বোন ভাইকে, স্ত্রী স্বামীকে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। প্রেরণা দিয়েছেন। ক্ষেত্রবিশেষে সঙ্গী হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে মা-বোনদের অবদান অপরিসীম।

যুদ্ধে বিজয়ের পর জাতির পিতা শেখ মুজিব প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে নারীর সমঅধিকার বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭, ১৯, ২৮, ২৯ সহ বিভিন্ন ধারায় নারীর শিক্ষা, চাকরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টির বাধ্যবাধকতা সন্নিবেশ করে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন- বইগুলোতে তিনি নারী অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট সমাধানের কথাও তিনি বলেছেন।

১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চীন গিয়েছিলেন শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে। যাওয়ার পথে বার্মা (মিয়ানমার) এবং হংকং হয়ে যেতে হয়েছিল। সেখানে যাত্রাবিরতির সময় তিনি শুধু নতুন জায়গা দেখেননি, সমাজের অবস্থা, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক-সামাজিক বিষয়গুলোও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিশেষ করে নারীদের অর্থনৈতিক দৈন্যের বিষয়গুলো তিনি তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন। সামাজিক বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনার কথা উল্লেখ করে সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন তাঁর বইগুলোতে।

সমাজে নারীর ওপর যে বৈষম্য এবং নির্যাতন চলে সে বিষয়ে নয়াচীন যাওয়ার পথে হংকংয়ে যাত্রাবিরতির সময় সেখানকার সমাজব্যবস্থা বিষয়ে যা দেখেছেন তার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে : ‘এই মেয়েদের দোষ দিয়ে লাভ কী? এই সমাজব্যবস্থায় বাঁচবার জন্য এরা সংগ্রাম করছে, ইজ্জত দিয়ে পেটের ভাত জোগাড় করছে। হায়রে মানুষ! রাস্তায় রাস্তায় বহু মেয়েকে এইভাবে হংকং শহরে ঘুরতে দেখা যায়। ...দেশের মালিক ইংরেজ, জনগণ না।’ (আমার দেখা নয়াচীন, পৃ.-৯৯।)

তাঁর হৃদয় ব্যথিত হয়েছে নারীদের এই দুর্দশা দেখে। হংকং তখন ইংরেজদের কলোনি ছিল। জনগণের হাতে ক্ষমতা ছিল না। সেখানকার জনগণ অবর্ণনীয় শোষণ-বঞ্চনার শিকার ছিল। আর তাই সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে- মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার- সে কথাই তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন। সমাজের দায়বদ্ধতার কথা বলেছেন।

চীনে শান্তি সম্মেলনের সময় তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে তিনি লিখেছেন : ‘আজ নয়াচীনে সমস্ত চাকরিতে মেয়েরা ঢুকে পড়ছে। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছে। প্রমাণ করে দিয়েছে পুরুষ ও মেয়েদের খোদা সমান শক্তি দিয়েই সৃষ্টি করেছে। সুযোগ পেলে তারাও বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, ডাক্তার, যোদ্ধা সকল কিছুই হতে পারে।’ (আমার দেখা নয়াচীন, পৃ. ৯৯।)

ধর্মের নামে মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রাখতে চায় একদল। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উল্লেখ করেছেন : “মুসলিম দেশ তুরস্ক নারীর স্বাধীনতা স্বীকার করেছে। নারীরা সে দেশে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে। তুরস্কে অনেক মেয়ে পাইলট আছেন, যাঁরা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ পাইলটদের মধ্যে অন্যতম। ...আমাদের দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত লোকের মনে এই ধারণা যে পুরুষের পায়ের নিচে মেয়েদের বেহেশত। পুরুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। মেয়েদের নীরবে সব অন্যায় সহ্য করতে হবে বেহেশতের আশায়। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মেয়েদের নির্ভর করতে হয় পুরুষদের অর্থের ওপর।”

ইসলাম ধর্ম নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। মেয়েরা যে শুধু ঘরে আটকে থাকবে, বাইরে যাবে না, পরনির্ভরশীল বা পুরুষদের উপার্জনের ওপরই কেবল নির্ভরশীল থাকবে তা কিন্তু নয়। বরং নবীজির যুগেও মেয়েদের যথেষ্ট স্বাধীনতা ছিল।

পুরুষদের পাশাপাশি থেকে দায়িত্ব পালন করতেন, এমনকি রণাঙ্গনেও তাঁদের ভূমিকা ছিল। এ কথাও তিনি লিখেছেন : “...কিন্তু ইসলামের ইতিহাস পড়লে জানা যায় যে, মুসলমান মেয়েরা পুরুষদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রে যেত, অস্ত্র এগিয়ে দিত। আহতদের সেবা-শুশ্রƒষা করত। হজরত রসুলে করিম (সা.)-এর স্ত্রী হজরত আয়েশা নিজে বক্তৃতা করতেন। দুনিয়ায় ইসলামই নারীর অধিকার দিয়েছে।” (আমার দেখা নয়াচীন, পৃ. ১০০।)

নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে সে জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রাখেন। ১৯৭২ সালে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে এই সংবিধান অর্থাৎ শাসনতন্ত্র তিনি রচনা করেন। নারীর অধিকার নিশ্চিত করার এক বিরল দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর, রাজাকার, আলশামস বাহিনী গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই তারা করেনি। আমাদের দেশের মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাক্যাম্পে তাদের লালসা মেটাতে তুলে দেয়। বিজয়ের পর সেসব নির্যাতিত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। সমাজে এই নারীরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে এ জন্য তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত করেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের এই আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখান। অনেকের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। তাঁদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করেন। যখন বিয়ের ব্যবস্থা হয়, অনেক পিতা সন্তানের পরিচয় দিতে সমাজের ভয়ে পিছিয়ে যায়। তখন তিনি পিতার নামের স্থানে শেখ মুজিবুর রহমান আর বাড়ির ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কের তাঁর বাড়ির ঠিকানা লিখে দিতে বলেন। এই পরিচয়ে মেয়েদের বিয়ে হয়। এই ঘোষণার পর আর কোনো দ্বিধা কারও মনে ছিল না। বঙ্গমাতা নিজে বিয়ের সব ব্যবস্থা করেন।

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০% কোটা সংরক্ষণ করেন যেখানে নির্যাতিত নারীদের অগ্রাধিকার ছিল। এ সবই ছিল যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

পাকিস্তানি শাসনামলে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীদের অংশগ্রহণ আইন করে বন্ধ ছিল। মেয়েরা কখনো জজ হতে পারতেন না। স্বাধীনতার পর সে আইন পরিবর্তন করে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। চাকরির ক্ষেত্রে সর্বত্র মেয়েদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন। পুলিশ বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ দেন। এর কারণ হলো, তিনি বিশ্বাস করতেন অর্থনৈতিকভাবে একজন নারী যদি স্বাবলম্বী হয়, তাহলে সংসার ও সমাজে তাঁর অবস্থান শক্ত হবে। সংসারে তাঁর মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি বলেছেন, ‘একজন নারী যদি নিজে উপার্জন করে ১০টা টাকাও কামাই করে তাঁর আঁচলের খুঁটে বেঁধে আনে, তবে সংসারে তাঁর গুরুত্ব বাড়ে।’

এ কথাটা আমি আমার বাবার মুখে বারবার শুনেছি। এ কথার অর্থ হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া। আমাদের সমাজে একজন পুরুষ মানুষ অর্থ উপার্জন করে আর পুরো পরিবার তাঁর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। মুখাপেক্ষী হতে হয় গোটা পরিবারকে। আর এ কারণেই আর্থিক স্বাবলম্বিতা একান্তভাবে অপরিহার্য। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সে সুযোগ করে দিতে পারে। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য মেয়েদের শিক্ষা তিনি অবৈতনিক করে দেন। পিতা-মাতার কাঁধের বোঝা হালকা করে দেন।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(ক)-এ উল্লেখ করা আছে : “রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।”

এখানে ‘বালিকাদের’ কথাটা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যাতে মেয়েদের শিক্ষাটা নিশ্চিত হয়; গুরুত্ব পায়-সে চিন্তা থেকেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পদ্মরাগ উপন্যাসে তিনি লিখেছেন : ‘তোমাদের কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও, নিজেরাই নিজেদের অন্ন, বস্ত্র উপার্জন করুক।’

একটি সমাজকে গড়ে তুলতে হলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই প্রয়োজন। যে সমাজের অর্ধেকটা নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন করা যায় না। একটা দেশ, একটা সমাজ বা সংসারের সবাই যদি পণ করে, তাঁরা সত্যিকারের উন্নতি করতে চায়, তবে অবশ্যই সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। মেধা, মনন ও শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯(৩)-এ উল্লেখ রয়েছে : ‘জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।’ সংবিধানে সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সরকারি নিয়োগ লাভের সুযোগের সমতার’ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব লিখেছেন : ‘সত্য কথা বলতে গেলে একটা জাতির অর্ধেক জনসাধারণ যদি ঘরের কোণে বসে শুধু বংশবৃদ্ধির কাজ ছাড়া আর কোনো কাজ না করে, তা হলে সেই জাতি দুনিয়ায় কোনো দিন বড় হতে পারে না।’

৬৯ বছর আগে ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ কথা উপলব্ধি করেছিলেন; অথচ তখনকার সমাজব্যবস্থা ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন। এই কুসংস্কারের অচলায়তন ভেঙে সমাজের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনকেই গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। তাই নারী-পুরুষকে একই সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮(২)-এ বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।’

চীন ভ্রমণের সময় কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের সমান অংশগ্রহণ তাঁকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করেছিল। তিনি লিখেছেন : “নয়াচীনের মেয়েরা আজকাল জমিতে, ফ্যাক্টরিতে, কলকারখানাতে, সৈন্যবাহিনীতে দলে দলে যোগদান করছে। ...যে সমস্ত ফ্যাক্টরি, কলকারখানা, সরকারি অফিসে আমি গিয়েছি, সেখানেই দেখতে পেয়েছি মেয়েরা কাজ করছে; তাঁদের সংখ্যা স্থানে স্থানে শতকরা ৪০ জনের ওপরে।

নয়াচীনের উন্নতির প্রধান কারণ পুরুষ ও মহিলা আজ সমানভাবে এগিয়ে এসেছে দেশের কাজে। সমানভাবে সাড়া দিয়েছে জাতিগঠনমূলক কাজে। তাই জাতি আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতির দিকে।” (আমার দেখা নয়াচীন, পৃ. ৯৯।)

কর্মক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশে যাতে নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টি হয় যে বিষয়ে লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে সংবিধান ১৯৭২ সালে জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন, সেখানে সমঅধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(১)-এ বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।’

সমাজের শুধু নারী বা পুরুষ নয় সমাজের সব নাগরিক যেমন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বা অনগ্রসর শ্রেণি-সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার বিধান এই সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ বঞ্চিত না হয়। অনগ্রসর যারা তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩)(ক)-তে উল্লেখ আছে : ‘নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন সেই উদ্দেশে তাহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না।’

৪৯ বছর আগে সংবিধানে যে ক্ষমতা নারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন তা সে সময়ের সমাজব্যবস্থায় একটা সাহসী এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। সমাজে নারীদের সম্মানজনক অবস্থানের ভিত্তি তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথেই নারী ক্ষমতায়নের পদক্ষেপ আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ করে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করে। সন্তানের পরিচয়ে পিতার সঙ্গে মায়ের নাম যুক্ত করা হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস থেকে বৃদ্ধি করে প্রথমে চার মাস এবং পরে ছয় মাস করা হয়।

উচ্চ আদালতে কোনো নারী বিচারক নিয়োগ পেতেন না। প্রথম নারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি আমরাই দিই। জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি)সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে মহিলাদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানের পাইলট, মেরিন একাডেমিতে ভর্তির ব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।

প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি বা উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ বৃত্তি দেওয়ার যে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি সেখানে ৭০% নারী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার বৃত্তি পাচ্ছে। মেয়েদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।

সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্তা, বয়স্ক নারীদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মাতৃত্বকালীন ভাতার প্রচলন করা হয়েছে। মাতৃদুগ্ধদানকারী মায়েরা ভাতা পাচ্ছেন। সংসারে মেয়েদের যাতে কেউ বোঝা না মনে করে, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। চিকিৎসাসেবা, বিনামূল্যে ওষুধ, বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

নারী সুরক্ষার জন্য অনেক আইন পাস করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার জন্য স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানেও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্লট বরাদ্দের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গ্রামের মেয়েরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য যাতে বাজারজাত করতে পারেন তার জন্য ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’ গঠন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০% নারী শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে মেয়েদের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। অভিভাবকগণ মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত হচ্ছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারে নারী উদ্যোক্তারা স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, তথ্য আপা, আমার বাড়ি আমার খামারসহ বিভিন্ন কর্মমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সব ক্ষেত্রে মেয়েদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের অসামান্য অবদান বিস্মৃত হওয়ার নয়। দেশের মোট জনসংখ্যার যেখানে অর্ধেকই নারী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চাইতেন তাঁরা সমাজ ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন। যাতে দেশের উন্নয়ন দ্রুততর হয়; দারিদ্র্যবিমোচন করে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর প্রদর্শিত পথেই  দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশকে শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন পূরণ হবে।

লেখক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৩৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৫১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ