শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

জ্ঞানার্জনের মাধ্যম বই

জ্ঞানার্জনের মাধ্যম বই

একবিংশ শতকের ইলেকট্রনিক বিশ্বে দাঁড়িয়ে হতচকিত হতেই হয়। বৈদ্যুতিক মায়াজালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছে নতুন প্রজন্ম। ভাবিত করছে অভিভাবকদেরও। ই-বুকের জমানায় ছেলেমেয়েদের বই পড়া বিশেষত সাহিত্যপাঠের কোনো আবশ্যিকতা আছে কি- মনে জাগে সন্দেহ।

আজকের শিশু জন্মাতে না জন্মাতেই কম্পিউটারে দক্ষ, একেবারে পাকাপোক্ত নেটের জালে আবদ্ধ। আমরা কি ভেবে দেখেছি নবাগত শিশুটির বর্ণপরিচয় ঘটে মজার মজার বইয়ের পাতায়। দাদা-দাদির মুখে গল্প শুনতে শুনতে কখন যে কল্পমায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় একটি শিশু মা-খালাদের মুখে মুখে উচ্চারিত ছোট্ট ছোট্ট ছড়ায়- সাতসমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে স্বপ্নের রাজকুমার খুঁজে পায় রাজকুমারীকে। কল্প-ঘোড়ার পিঠে টগবগ করে ছুটতে ছুটতে কখন যে খুলে যায় মনের দরজা সবকিছুরই অজান্তে। শিশুমন তিল তিল করে বড় মনের অংশীদার হয়ে ওঠে। মনে জাগে বই পড়ার আগ্রহ। এমনি করেই শিশু গাছটি বটবৃক্ষের ছায়ায় লালিত-পালিত হয়। প্রকৃতি-পরিবেশের পাশাপাশি মা-খালাদের হাত ধরে গড়ে ওঠে বই পড়ার অভ্যেস। মাস্টারমশাই-আপামণিরা সে পথ মসৃণ করে থাকেন যত দিন না শিশুটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। তাই জ্ঞানালোকে জ্বলে ওঠার অন্যতম মাধ্যম বই। কবি বলেছিলেন, শত সহস্র বছরের বহমান স্রোতধারার কলধ্বনি যদি কোথাও শুনতে পাওয়া যায় কান পাতলে- তবে সেটা লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার। সেখানে থরে থরে সজ্জিত বইতে লুকানো থাকে কতই না অজানা বিশ্ব। মানুষ নিত্যদিনের খাওয়া-পরা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বইয়ের প্রয়োজন না-ও থাকতে পারে, কিন্তু সে বাঁচা তো বাঁচা হতে পারে না। দেহের খোরাক যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকে, মনের খোরাক জোগান দেয় বই। অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তির অভিমত, বই-ই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। বইকে সঙ্গী করে একাকী মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। বই লেখা হয় কাদের জন্য? এক কথায় বলতে গেলে বই পড়ুয়াদের জন্য অর্থাৎ পাঠকের জন্য।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর