সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকায় বায়ুদূষণ

নীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে

দেশের বাতাসে দূষণ প্রতিদিনই বাড়ছে। আর রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত বায়ুর শহর। এই দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধুলা। নগরের বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এই ধুলা হয়ে উঠেছে নিত্যসঙ্গী। বায়ুদূষণ নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা থাকলে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা এতটা খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাত না। ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এসব ইটভাটা বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ফসলি জমি ও আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে এসব ইটভাটা। ইটভাটাগুলোতে বেআইনিভাবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফলে দূষিত হচ্ছে বায়ু। ঢাকার পাঁচ এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। অভিজাত আবাসিক এলাকায় আশঙ্কাজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বাতাসে গড় ধূলিকণার পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৭.১ মাইক্রোগ্রাম। যা পরিবেশ অধিদফতরের আদর্শ মানের সাড়ে ৫ গুণ বেশি। এর মধ্যে ঢাকার ৭০টি স্থানের দূষণ গবেষণা করে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুদূষণের মাত্রা আদর্শ মানের চেয়ে বাতাস ৫.২ গুণ বেশি দূষিত। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানের বায়ুদূষণ সমীক্ষা-২০২০’ শীর্ষক ক্যাপস-এর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এসব তথ্য জানানো হয়। দূষণের একটি বড় কারণ অনিয়ন্ত্রিত শিল্প কারখানা। এ ছাড়া পানি ছিটানো, ইটভাটা বন্ধ করা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি অপসারণ করার পাশাপাশি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কোনো উদ্যোগ নিতে না পারলে পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যেসব সুনির্দিষ্ট কারণে বায়ুর দূষণ হচ্ছে সরকারকে সেসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে। নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার, প্রতিদিন পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ সরকারি নীতি বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর