শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

স্বাস্থ্যবিধি ভুলে স্বস্তিভাব কাম্য নয়

করোনার মধ্যে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানছে না। যারা দোকানপাট খুলেছেন, তাদের মধ্যেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। কারণ সরকারের কঠোর নির্দেশনা চলা অবস্থায়ই সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। উন্মুক্ত পরিবেশে লোকজন সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে যথেচ্ছ চলাফেরা করলে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় সামনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে এবং আমরাও সে ধাক্কাটা দেখতে পাচ্ছি। আমরা তৎক্ষণাৎ কিছু ব্যবস্থা নিলেও ভবিষ্যতে হয়তো মানুষকে বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তা আমরা নেব। বৃহস্পতিবার বিসিএস কর্মকর্তাদের ছয় মাসব্যাপী ৭১তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা চলতে হবে, মানুষকে আমরা কষ্ট দিতে পারি না। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একান্তভাবে অপরিহার্য। করোনা সংকটের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। করোনাকালে শিশু-কিশোররা যাতে ঘরের বাইরে না যায় এবং তারা যাতে কোনো ধরনের আতঙ্কের মধ্যে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে অভিভাবকদেরই। শিশু-কিশোরদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হলে তা মনোজগতের ওপর যে প্রভাব ফেলে তা তার বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং প্রত্যেকে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এ বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যদিকে জনগণ কথা শুনছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এটা বলে কিন্তু দায়িত্ব শেষ করার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দায়িত্বটা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের। এ ক্ষেত্রে সরকারের কঠোরতা ও আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ একান্তই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর