রবিবার, ৩০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা

পর্যায়ক্রমে শ্রেণিকক্ষে ফেরা শুরু করতে হবে

করোনার কারণে সবার আগেই বন্ধ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখন ছাত্রছাত্রীদের কী হবে? তাদের ক্ষতিটা সবচেয়ে বেশি। অনিশ্চয়তার মুখে পড়া শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক করতে সরকারি উদ্যোগ তেমন কাজে আসেনি। গবেষকদের ধারণা, মহামারীতে বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে ভালো ভালো পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু পরে সেসব বাস্তবায়ন হয় না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে। শিক্ষার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেন তা না হয়। এর মাঝে দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনের পাশাপাশি সশরীরেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নিতে পারবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শুক্রবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠানো ইউজিসি সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিরাজমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা জরুরি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও শিক্ষাজীবনের কথা বিবেচনা করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউজিসি ও সরকার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এক বছরের বেশি সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকায় এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা দুটি টার্মের প্রায় সব কোর্স সম্পন্ন করেছে। ক্লাস, সেমিস্টারের কোর্সসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাডেমিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। প্রায় এক বছর শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষে পরবর্তী ধাপের পাঠ নেওয়া কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে আমাদের নীতিনির্ধারকরা সবচেয়ে কম ভাবেন। শিক্ষার্থীরা নিচের শ্রেণিতে ঠিকমতো পাঠ গ্রহণ করতে না পারলে ওপরের শ্রেণিতেও দুর্বল থাকবেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর