শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ড্রাগস

নেশাযুক্ত দ্রব্য রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি, যা সেবনে দেহের গঠন ও ইন্দ্রিয়ের ওপর ক্রিয়া করে। বিড়ি, সিগারেট থেকে আরম্ভ করে মদ, আফিম, ভাং, গাঁজা, চরস, হেরোইন ইত্যাদি মানুষের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে মাদকদ্রব্য সমাজের বা রাষ্ট্রের কোনো ধরনের কল্যাণসাধন করে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত, নেশাযুক্ত দ্রব্য সেবনের ফলে সেবনকারীর জ্ঞান ও বিবেচনা শক্তি লোপ পায়। মদপান গরিব পরিবারকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। অল্প বয়সে নেশাযুক্ত দ্রব্য অথবা মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে পড়াশোনার প্রবণতা ধ্বংস হয়। এক কথায় মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজেদের পরিবারকে ধ্বংস এবং দেশের প্রভূত ক্ষতি করে। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষামতে মাদকদ্রব্য সেবনে কুষ্ঠরোগ, স্বরভঙ্গ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কর্কট রোগ এবং অপরিশোধিত সিরিঞ্জ ব্যবহারে এইডসের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে অপমৃত্যুর শিকার হতে হয়। এসব কারণে বর্তমানে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। একটি জাতির পক্ষে সবচেয়ে মারাত্মক হলো ছাত্র বা যুব সমাজে ধূমপান, মাদকদ্রব্য ও ড্রাগস সেবনের আসক্তি। আজ যারা ছাত্রছাত্রী কাল তারা দেশের শাসনভার হাতে নেবে। এরা যদি অসতর্কতার কারণে চরিত্রহীন ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে কীভাবে দেশ ও জাতির উন্নতি হবে। বরং এদের অজ্ঞতা-অসতর্কতার কারণে দেশ ও জাতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে। বিবাহবিচ্ছেদ, খুন, ধর্ষণ, সড়ক দুর্ঘটনা এর বেশির ভাগই মাদকদ্রব্য ও ড্রাগস সেবনের ফলেই ঘটছে। দেশ গঠনের সর্বমুখী গুরুত্বপূর্ণ কাজ সাধারণত যুবসমাজ সংগঠিত করে। এরা যদি মাদকাসক্ত ও ড্রাগসসেবী হয় তাহলে দেশ গঠন না হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আমরা জানি ঘরেই প্রথম সুশিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে মা-বাবাকে সজাগ হতে হবে। ধূমপান বা মাদকদ্রব্য সেবনের কুঅভ্যাস প্রথমে তাদের ছাড়তে হবে।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর