বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন

বাংলাদেশের সামর্থ্যরে প্রতিফলন

করোনাকালেও চলছে দেশের সব মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন। সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশেও মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের থাবা অনুভূত হচ্ছে। তবে সে প্রতিকূলতার মোকাবিলায় নতিস্বীকারের বদলে নিজেদের সামর্থ্য তুলে ধরাকে কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে সরকার। শুধু মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন নয়, এই সময়ে দাতা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগও কাজে লাগানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়ের বদৌলতে বাংলাদেশের অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতা চলছে অন্তত এক দশক ধরে। বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা সম্পর্কে দাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে এখন অটুট আস্থা। মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদের সক্ষমতারও জানান দেওয়া হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বে-টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে করোনা মহামারীজনিত অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে পাত্তা না দিয়েই। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করছেন। রিজার্ভ থেকে অর্থ দিয়ে বৈদেশিক ঋণদানের ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে সরকারের গৃহীত প্রণোদনা নীতি অন্তত ৫০ লাখ শিল্পশ্রমিকের জীবন-জীবিকা নির্বিঘ্ন করেছে। দেশের ১৪ কোটি মানুষকে সরকারি খরচে টিকা দেওয়ার ব্যয়বহুল পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে মানবিক দায়বোধের পাশাপাশি অর্থনীতি সুরক্ষার কথা ভেবে। এটি সম্ভব হলে মহামারীজনিত দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হবে। করোনাকালেও মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অর্থনীতি সচল রাখার নানামুখী প্রয়াস অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে সবকিছু যাতে স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় সেদিকেও সরকারকে তীক্ষè নজর রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর