শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

রানীরা জেলে, রাজারা আড়ালে

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রানীরা জেলে, রাজারা আড়ালে

বিশ্বে যখন করোনার প্রকোপ শুরু হলো তখন আমার মনে হয়েছিল মানুষের আত্মোপলব্ধি হবে। রুদ্ধশ্বাস ছুটে চলা, অন্তহীন লোভ আর বেপরোয়া জীবনের লাগাম টেনে ধরবে। মানুষ ফিরে তাকাবে। প্রকৃতি, সমাজ এবং নিজের প্রতি মানুষ যে অন্যায়, অবিচার করেছে তা কিছুটা হলেও কমবে। আমার মতো অনেকেই আশা করেছিল পৃথিবীর অস্থিরতা, অসুস্থ মানসিকতা, স্বেচ্ছাচারিতা কমবে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। করোনার দেড় বছরে মানুষ যেন আরও স্বার্থপর হয়ে উঠছে। আরও পচন ধরছে সমাজে। বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা উন্মোচন করছে তাতে মনে হচ্ছে, মানুষ যেন আরও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠছে। এখন বাংলাদেশে করোনায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে দুই শর ওপর। আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশের আশপাশে। কিন্তু এসবকে পাত্তাই দিচ্ছেন না হেলেনা, পিয়াসা, মৌ, পরীমণিরা। এ নামগুলো শুনে মনে হতেই পারে নারীরাই বোধহয় এখন সব অপকর্মের হোতা। পুরুষরা যেন ঘরে ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলে তাই? বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘নারী’ কবিতায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। কবি নজরুল কেবল ভালো কাজে নারী ও পুরুষের সমান অবদানের কথা বলেননি, খারাপ কাজেও বলেছেন- ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণ কর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর/বিশ্বে যা কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রু বারি/অর্ধেক তার আনিয়াছে নর অর্ধেক তার নারী।’ অর্থাৎ পৃথিবীতে কল্যাণ যেমন নারী ও পুরুষের যৌথ অবদান তেমনি পাপেরও সমান ভাগিদার নারী ও পুরুষ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হেলেনা, পিয়াসা, মৌ, পরীমণিকে নিয়ে যে তোলপাড় তা অনেক ক্ষেত্রেই শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এক ধরনের আদিম বিকৃতির উল্লাসও দেখা যাচ্ছে। অপরাধ করলে তো আইনের আওতায় আসতেই হবে। তথাকথিত রানীরাও আইনের আওতায় আসছেন। তাদের সম্পর্কে যেসব তথ্য বেরোচ্ছে তা পিলে চমকানোর মতো। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এসব নারী একাই কি এ ধরনের অপরাধ করেছেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী ‘রাজা’রা। আমরা দৃশ্যপটে রানীদের দেখছি। রাজারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলিতে রাজনীতি, অপরাধ এবং যৌনতার এক ককটেল হয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যায়-অনিয়ম করেছেন। তার যেসব অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেরিয়েছে তা ঔদ্ধত্যপূর্ণ। হেলেনা জাহাঙ্গীর রাজনীতির মাঠে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু কীভাবে? আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলে তিনি কারও মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই উপকমিটিতে ঢুকে পড়বেন তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিও এ নিয়ে লুকোচুরি করেননি। তিনি বলেছেন তার জেলার নেতা, সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীর অনুরোধে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে মহিলাবিষয়ক উপকমিটিতে নেওয়া হয়েছে। কান পাতলেই শোনা যায়, ওই মন্ত্রী নাকি হেলেনার ভুয়া টেলিভিশন জয়যাত্রার অংশীদারও। সরকারের অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী জাতির কাছে এখন এক কৌতুকের নাম। তাকে আমরা ‘থুক্কু মন্ত্রী’ও বলতে পারি। মানুষ যেমন ভুল করে থুক্কু বলে, এই মন্ত্রীও তেমনি। একবার রাজাকারের তালিকা করলেন। তারপর নিজেই বললেন, ‘আমি বেআক্কেলের মতো কাজ করেছি’। এই সেদিন সারা দেশে আতঙ্ক এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে দিলেন শব্দবোমা ফাটিয়ে। টেলিভিশনে মন্ত্রীর লাইভ হুমকি শুনে দেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গেল- ‘১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ টিকা ছাড়া ঘর থেকে বেরোলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’ কি সাংঘাতিক! যেন বাংলাদেশে কোটি কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। লোকজনের টিকার আগ্রহ নেই। এজন্যই এ হুমকি। পরদিন মন্ত্রী বললেন ‘থুক্কু’। সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্লান হাসি হেসে বললেন, ‘ওই অংশটুক প্রত্যাহার করা হলো’। অবশ্য আগের দিন রাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’ ভালো কথা। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো বসেই ছিলেন। কেন তিনি ওই বক্তব্য থামিয়ে দিলেন না। কেন বললেন না এটা কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জানালেন এ রকম (টিকা ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোতে পারবে না) সিদ্ধান্তই হয়নি। আমরা আমজনতা। কোনটা সত্য আমরা কী করে বুঝব। যাক সে প্রসঙ্গ। কিন্তু হেলেনাকে আওয়ামী লীগে উপহার দেওয়া সেই মন্ত্রী (রাজা) ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তাকে কেউ আনুষ্ঠানিক প্রশ্ন করেনি। অথচ এবার আওয়ামী লীগের উপকমিটি গঠনের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের হুঁশিয়ার, সাবধান বহু শুনেছি। কোনো বিতর্কিত কাউকে উপকমিটিতে নেওয়া হলেই শাস্তি। তাহলে হেলেনাকে উপকমিটিতে নেওয়ার অভিযোগে কারও শাস্তি না হোক, শোকজ হয়েছে কি? রাজনীতির মাঠে বসে হেলেনা বহুমাত্রিক ঠগবাজির ফাঁদ পাতেন। নিশ্চয়ই তার গডফাদার ছিল। নেপথ্যের কারও শক্তিতেই হেলেনা যা খুশি তা-ই শুরু করেছিলেন। প্রভাবশালী কারও খুঁটি ছাড়া হেলেনা এভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠেন কীভাবে? হেলেনার ছবিগুলো খতিয়ে দেখলাম। হেলেনার সঙ্গে কে নেই? অনেক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর ছবি। তিনি নাকি বিজিএমইএর নেতাও ছিলেন। এখন শুধু রানী হেলেনাই আসামি। বাকিরা সব যেন সাধু!

এক রাতে মোহাম্মদপুর ও বারিধারায় রোমাঞ্চকর অপারেশনে আটক হলেন পিয়াসা এবং মৌ। গণমাধ্যমে বলা হলো মডেল মৌ। চমকে উঠলাম। মডেল মৌ মানেই আমরা বুঝি সাদিয়া ইসলাম মৌকে। পত্রিকায় ছবি দেখে আশ্বস্ত হলাম। এ মৌ সেই মৌ নয়। এটা দেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পীর জন্য কত বড় অপমানজনক ভাবা যায়! বাংলাদেশে এখন লুঙ্গির স্টিকারে ছবি ছাপা হলেই সে মডেল। একটা নাটকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই অভিনয়শিল্পী। সেই সূত্রে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌও মডেল। ভালো কথা। দুই রাতের রানীর বাসায় দেখলাম মদ, ইয়াবা, সিসার ভান্ডার। গণমাধ্যমে বলা হলো, এদের বাড়িতে রাতে আসর হতো, তাতে অনেক বড়লোক আসতেন। কারা আসতেন? কবি নীরব। অর্থনীতিতে মূল কথা হলো চাহিদা ও জোগানের সম্পর্ক। চাহিদা থাকলেই একটা ব্যবসা তৈরি হয়। কিছু লম্পট, বিকৃত পুরুষ যায়, এজন্যই তো পিয়াসারা এভাবে হেরেম করেছেন। একটি গণমাধ্যমে পড়লাম পিয়াসা, মৌদের টার্গেট নাকি উঠতি বড়লোকের সন্তানরা। ফুসলিয়ে তাদের এসব বাড়িতে নিয়ে আসা হতো, এরপর হাতে তুলে দেওয়া হতো মাদক, ইয়াবা ইত্যাদি নেশাজাতীয় দ্রব্য। খবরটা পড়ে মনে হলো, আমাদের বড়লোকের উঠতি বাচ্চারা যেন ফিডারে এখনো দুধ খায়। তারা বেজায় ভোলা। লেবনচুষ মুখে দিয়ে তারা ঘোরে। বড়লোকদের উঠতি বয়সের বাচ্চাদের ছেলেধরারা ধরে নিয়ে পিয়াসা, মৌদের হাতে তুলে দেয়। পিয়াসা, মৌরা তাদের ছেলে ভোলানো ছড়া শুনিয়ে ফিডারের বোতলে মদ দিয়ে দেয়। এরপর তারা মাথা ব্যথা বলে কান্নাকাটি করলে তাদের ওষুধ বলে ইয়াবা খাইয়ে দেয়। এরপর তাদের পরনের ডাইপার খুলে ফেলার মতো, তাদের বস্ত্র হরণ করে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে। পিয়াসা, মৌ বড়লোকের সন্তানদের নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু বড়লোকের বাচ্চারা পিয়াসাকে চেনে কীভাবে? কীভাবে তারা মক্ষীরানীদের ঘর চেনে? পিয়াসাদের রাতের অতিথি কারা? এদের নামের তালিকাটা যদি প্রকাশ হতো তাহলে জাতি উপকৃত হতো। আজ পিয়াসা মৌকে ধরা হয়েছে। ক্ষুধার্ত বড়লোকদের সন্তানরা কাল নতুন পিয়াসা, মৌ বানাবে। তা ছাড়া পিয়াসা, মৌদের কারা সৃষ্টি করল? কাদের অর্থে এরা এ রকম বিলাসবহুল জীবন যাপন করছিল। সেই গডফাদারা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। পিয়াসা ফেসবুকে অস্ত্রসহ ছবি দিয়েছে। অভিযোগ আছে, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়েছিলেন পিয়াসা। পিয়াসার সূত্র ধরে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও জিসানকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু পিয়াসা-মৌকে নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যত উন্মাদনা, ঠিক ততটাই অনাগ্রহ মিশু আর জিসানকে নিয়ে। কেন? অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ছবি দেওয়া অপরাধ অবশ্যই। কিন্তু একই অপরাধে তো সবার একই ধরনের পরিণতি হওয়ার কথা। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের এক হুইপপুুত্রের অস্ত্রসহ ছবি দেখে আমরা আঁতকে উঠলাম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখলাম না। চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যায় বাধ্য হলেন মানসিক অত্যাচারে। প্রয়াত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইলেন। আকুল কান্নায় তিনি হুইপপুত্রের নিপীড়নের বিবরণ দিলেন। কিন্তু কোথায় কি? এ ‘রাজা’রা যেন স্পর্শের বাইরে। এখন দেখলাম, সেই হুইপ টিকা নিয়ে এক মহাকেলেঙ্কারি করলেন। নিবন্ধন, নিয়মনীতি নির্বাসনে পাঠিয়ে ওই হুইপ যেন এক আলাদা রাজত্ব কায়েম করলেন তার নির্বাচনী এলাকায়। কে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু মিনমিন করে বলেছে, ‘জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল হতে হবে’। তাহলে কি একটি নির্বাচনী এলাকায় একজন এমপি ‘রাজা’? তার যা খুশি তা-ই করার লাইসেন্স আছে?

‘রানী আটক’ ধারাবাহিক নাটকের শেষ নাম পরীমণি। বুধবার (৪ আগস্ট) ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া খেলা। টি-টোয়েন্টি খেলা মানেই শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা। কিন্তু সে উত্তেজনার আগুন নিভিয়ে দিলেন পরীমণি। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলল লাইভ সিনেমা। এর মধ্যে চুলোয় গেল মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং, আর করোনায় আক্রান্তের হার কমার স্বস্তিকর খবর। পুরো দেশের চোখ যেন বনানীতে। পরীমণির বাসায়। কেউ কেউ টিভিতে দেখে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ছুটে গেলেন পরীমণির বাসায়। কঠোর লকডাউনে পরীমণির বাসার সামনে হাজারখানেক লোক। আমরা প্রতিদিন বিকালে শুনি লকডাউন অমান্য করায় কতজনকে জরিমানা করা হয়েছে, কতজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পরিসংখ্যান। কিন্তু পরীমণির বাসার সামনে এ গণজমায়েতের জন্য কি কাউকে জরিমানা করা হয়েছে? পরীমণি ইস্যু অবশ্য নতুন নয়। পরীমণি যে ফেঁসে যাচ্ছেন তা ছিল নির্ধারিত। ৮ জুন বোট ক্লাবের নাটকের পর পরীমণির আটকের দিন গোনা হচ্ছিল। বুধবারও পরীমণি একই নাটক করতে চেয়েছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি গণমাধ্যম আর সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। অভিনয়টাও ছিল আবেগঘন। কিন্তু পরীমণির ঘটনা আর ‘বাঘ এসেছে’ বলে রাখাল বালকের ঘটনা যেন একই রকম। বোট ক্লাবের ঘটনার পর তিনি যে নাটক করে জনগণ ও গণমাধ্যমকে বেকুব বানিয়েছেন, সেই নাটক এবার ফ্লপ হলো। কিন্তু আমার সেই একই প্রশ্ন, পরীমণির পেছনে কে? তাকে কে এত বিত্তবৈভব দিল? কে দিল বেপরোয়া, ড্যাম কেয়ার জীবনের লাইসেন্স। পরীমণিকে আটকের পরপরই অভিযান চালানো হয় পরীমণির প্রথম প্রযোজকের বাসায়। কিন্তু সেই অভিযান মিডিয়ার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়নি। মানুষও এ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। কেন, রাজ পুরুষ বলে? তিনি যে পরীমণির গডফাদার নয় তা পরিষ্কার। রানীর রাজারা কি আসবেন পাদপ্রদীপে?

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক, অনৈতিক কর্মকান্ড এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এ রকম অভিযান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এসব ঘটনা কেবল একটি অপরাধ নয়, এসব সমাজকে পচন ধরায়। সমাজে যে পচন ধরেছে এ ঘটনাগুলো তার প্রমাণপত্রও বটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব অপরাধ এবং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমরা আশা করি সংঘবদ্ধ চক্রের সবাইকে, নেপথ্যের হোতাদেরও সামনে আনা হবে। না হলে এসব অভিযান শেষ পর্যন্ত বিকৃতির উৎসবে পরিণত হবে। আড়ালে থাকা রাজাদের যদি সামনে আনা না যায় তাহলে গডফাদার রাজারা নতুন হেলেনা বানাবে। পিয়াসা, মৌর মতো নতুন মক্ষীরানী তৈরি হতেও সময় লাগবে না।

আমার উদ্বেগের দ্বিতীয় কারণটি গভীর এবং গুরুতর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগে নারীর ক্ষমতায়নে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্লেন থেকে সচিবালয়ে, করপোরেট থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়- সবখানে নারীরা উদ্ভাসিত হয়েছেন, আলো ছড়াচ্ছেন। তার পরও নারীমুক্তির অভিযাত্রায় সাফল্যের জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। এখনো নারীরা নিগৃহীত হয় সর্বত্র। যৌন নিপীড়ন, পাশবিকতা, বৈষম্য নারীর ওপরই হয় বেশি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই একই চিত্র। এখনো নারীকে ঘরবন্দী রাখার ষড়যন্ত্র চলে।

ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী এখনো নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র কিংবা সম্ভোগের বস্তুই মনে করে। পশ্চিমা সংস্কৃতি নারীকে বানায় পণ্য। নারীদের অর্গলমুক্তির সংগ্রামটা এখনো শেষ হয়নি। হেলেনা, পরীমণির ঘটনা যেন মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, নারী নিপীড়নকারীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে না দেয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু নারী নিপীড়নের ঘটনার পর বিকৃত রুচির কতিপয় মানুষ ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছে ঘরের বাইরে যাওয়ার কারণে কিংবা পোশাকের জন্যই নাকি নারী নির্যাতনের শিকার। এ ধরনের ঘৃণিত বক্তব্য কেবল অগ্রহণযোগ্য নয়, রীতিমতো অপরাধ। পিয়াসা, মৌর ঘটনার পর কান পাতলেই কিছু নোংরা অশ্লীল কথা শুনি। ব্যক্তি নারীর অপরাধের দায় যেন গোটা নারী জাতির ওপর না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কয়েকজন বিচ্ছিন্ন বিপথগামী এবং পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারীর অপকর্মের দায় কেন সব নারীকে নিতে হবে? এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে একটি মহল কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণকে বাধা সৃষ্টির যুক্তি হিসেবে যেন ব্যবহার না করতে পারে সে ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের সচেতন এবং দায়িত্বশীল থাকতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, নারী প্রধানমন্ত্রী হলেও দেশটা এখনো পুরুষতান্ত্রিক। পরীমণি, পিয়াসাকে উপলক্ষ করে কেউ কেউ নারীর অমর্যাদার খেলায় যেন না মাতে, বিকৃতির পাশবিক উৎসব না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে হেলেনা, পরীমণি, পিয়াসা কিংবা মৌ পুরুষদের বানানো উপভোগের বস্তু। এদের গ্রেফতার করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না। এরা হলেন পুতুলনাচের পুতুল। সুতো যে পুরুষের হাতে, সেই পুরুষদের নিবৃত্ত না করতে পারলে তারা নতুন পুতুলে মঞ্চ সাজাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
এখনো মামলাবাণিজ্য
এখনো মামলাবাণিজ্য
ফিরেছেন দেশনেত্রী
ফিরেছেন দেশনেত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা : যাচাই না ছাঁটাই?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা : যাচাই না ছাঁটাই?
হজ এক প্রেমময় ইবাদতের নাম
হজ এক প্রেমময় ইবাদতের নাম
আলোকিত সমাবর্তনের অপেক্ষায়
আলোকিত সমাবর্তনের অপেক্ষায়
কাশ্মীর : জিন্নাহ ও নেহরু কানেকশন
কাশ্মীর : জিন্নাহ ও নেহরু কানেকশন
সর্বশেষ খবর
ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দিল পুলিশ
হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে ফেরত দিল পুলিশ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অধিকার আদায়ে তরুণদের আর যেন জীবন দিতে না হয়’
‘অধিকার আদায়ে তরুণদের আর যেন জীবন দিতে না হয়’

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা পরিহারের আহ্বান চীনা রাষ্ট্রদূতের
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা পরিহারের আহ্বান চীনা রাষ্ট্রদূতের

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভিসি ভবনে তালা, ৪ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ভিসি ভবনে তালা, ৪ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৩২২ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৩২২ মামলা

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

টেবিলের শীর্ষে চোখ পাঞ্জাবের, টিকে থাকার লড়াইয়ে দিল্লি
টেবিলের শীর্ষে চোখ পাঞ্জাবের, টিকে থাকার লড়াইয়ে দিল্লি

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল
ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাপাসিয়ায় শিশুদের অংশগ্রহণে বসুন্ধরার ব্যতিক্রমধর্মী ক্রীড়া উৎসব
কাপাসিয়ায় শিশুদের অংশগ্রহণে বসুন্ধরার ব্যতিক্রমধর্মী ক্রীড়া উৎসব

৪৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মুন্সীগঞ্জের তিন খুন: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
মুন্সীগঞ্জের তিন খুন: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

এখনো ভোটের দাবি জানাতে হচ্ছে, এটি লজ্জাকর : দুদু
এখনো ভোটের দাবি জানাতে হচ্ছে, এটি লজ্জাকর : দুদু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেষ মুহূর্তের গোলে আল নাসরকে হারাল ইতিহাদ
শেষ মুহূর্তের গোলে আল নাসরকে হারাল ইতিহাদ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য সমিত সোমের ভিডিও বার্তা
বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য সমিত সোমের ভিডিও বার্তা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিঙ্গাপুরের শীর্ষ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে চমক নীড়ের
সিঙ্গাপুরের শীর্ষ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে চমক নীড়ের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুরে র‌্যালি
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুরে র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনা নিরাপত্তায় পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা
সেনা নিরাপত্তায় পিএসএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন সাজে ফিরছে কুমিল্লা নগরী
নতুন সাজে ফিরছে কুমিল্লা নগরী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন
আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

নিজের দোষ ঢাকতেই অপবাদ দিচ্ছে শামীম? প্রশ্ন অহনার
নিজের দোষ ঢাকতেই অপবাদ দিচ্ছে শামীম? প্রশ্ন অহনার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আমাদের মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি : বিডা চেয়ারম্যান
আমাদের মূল লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি : বিডা চেয়ারম্যান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা মারা গেছেন
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা মারা গেছেন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমা মুক্তিতে যে বাধায় পড়েন প্রযোজক
‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমা মুক্তিতে যে বাধায় পড়েন প্রযোজক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ২৭ মে
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ২৭ মে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা দেশে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা
সারা দেশে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরে হঠাৎ বিস্ফোরণ, যা জানা গেলো?
লাহোরে হঠাৎ বিস্ফোরণ, যা জানা গেলো?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের মতো বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করব না: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ভারতের মতো বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করব না: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আকাশযুদ্ধে ধরাশায়ী রাফাল, আর্থিক ক্ষতির মুখে ফ্রান্স!
আকাশযুদ্ধে ধরাশায়ী রাফাল, আর্থিক ক্ষতির মুখে ফ্রান্স!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হামলায় ভারতে হতাহত বেড়ে ৫৮: ভারতীয় সেনাবাহিনী
পাকিস্তানের হামলায় ভারতে হতাহত বেড়ে ৫৮: ভারতীয় সেনাবাহিনী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলায় অংশ নিয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, দাবি পাকিস্তানের
হামলায় অংশ নিয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, দাবি পাকিস্তানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাবাহিনীকে ভারতে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তান
সেনাবাহিনীকে ভারতে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধের ঘোষণা মোদির
আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধের ঘোষণা মোদির

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার লুকোচুরি
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার লুকোচুরি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান
১২৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হামলার ভয়ে ফের ব্ল্যাকআউট অমৃতসার, মধ্যরাতে বিস্ফোরণের শব্দ
পাকিস্তানের হামলার ভয়ে ফের ব্ল্যাকআউট অমৃতসার, মধ্যরাতে বিস্ফোরণের শব্দ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের হামলায় মাসুদ আজহার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত: বিবিসি
ভারতের হামলায় মাসুদ আজহার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত: বিবিসি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রণতরী থেকে সাগরে পড়ে ডুবল আরও একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান
রণতরী থেকে সাগরে পড়ে ডুবল আরও একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে এ হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে, হুঁশিয়ারি হিনা রব্বানীর
ভারতকে এ হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে, হুঁশিয়ারি হিনা রব্বানীর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ভারতকে ‘নিরাপদ বিনিয়োগ গন্তব্য’ ভাবার পথে বাধা হবে: রয়টার্স
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত ভারতকে ‘নিরাপদ বিনিয়োগ গন্তব্য’ ভাবার পথে বাধা হবে: রয়টার্স

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‍্যাব অফিস থেকে সিনিয়র এএসপি পলাশের মরদেহ উদ্ধার
র‍্যাব অফিস থেকে সিনিয়র এএসপি পলাশের মরদেহ উদ্ধার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খোদ ভারতেই যুদ্ধবিরোধী কণ্ঠ: কবীর সুমনের তীব্র প্রতিক্রিয়া
খোদ ভারতেই যুদ্ধবিরোধী কণ্ঠ: কবীর সুমনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনার হুঁশিয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনার হুঁশিয়ারি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের হামলায় ‘শান্তির আহ্বান’ বিশ্বনেতাদের, ইসরায়েল জানাল সমর্থন
ভারতের হামলায় ‘শান্তির আহ্বান’ বিশ্বনেতাদের, ইসরায়েল জানাল সমর্থন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের রাফাল ধ্বংস করে নজির গড়ল পাকিস্তান!
ভারতের রাফাল ধ্বংস করে নজির গড়ল পাকিস্তান!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপারহিট সিনেমা করেও বলিউড অভিনেতা এখন সিকিউরিটি গার্ড!
সুপারহিট সিনেমা করেও বলিউড অভিনেতা এখন সিকিউরিটি গার্ড!

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতের হামলায় পাকিস্তান এয়ারফোর্সের কোনও ক্ষতি হয়নি: আইএসপিআর
ভারতের হামলায় পাকিস্তান এয়ারফোর্সের কোনও ক্ষতি হয়নি: আইএসপিআর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়ন্ত্রণ রেখার আশপাশের গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
নিয়ন্ত্রণ রেখার আশপাশের গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত বনাম পাকিস্তান : কার কত সামরিক শক্তি?
ভারত বনাম পাকিস্তান : কার কত সামরিক শক্তি?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদের আগের দুই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
ঈদের আগের দুই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তান-ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু
সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তান-ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায়, বাকি যা আছে মায়ের’
‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায়, বাকি যা আছে মায়ের’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যতবার যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও ভারত
যতবার যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় লাভে চীন, লোকসানে রাফাল নির্মাতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কোনো যুদ্ধবিমান সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি’ দাবি পাক আইএসপিআরের
‘কোনো যুদ্ধবিমান সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি’ দাবি পাক আইএসপিআরের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'দাঁতভাঙা জবাব' দিয়েছে পাকিস্তান, শেহবাজের দাবি
'দাঁতভাঙা জবাব' দিয়েছে পাকিস্তান, শেহবাজের দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডা. জুবাইদা সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন
ডা. জুবাইদা সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ব্যাংকের তথ্য যাচাই সেবা বন্ধ
দুই ব্যাংকের তথ্য যাচাই সেবা বন্ধ

পেছনের পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি

সম্পাদকীয়

রাতের আঁধারে ভরাট হচ্ছে রামপুরা খাল
রাতের আঁধারে ভরাট হচ্ছে রামপুরা খাল

নগর জীবন

যুদ্ধের ফাঁদে অর্থনীতি
যুদ্ধের ফাঁদে অর্থনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শেয়ারবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
শেয়ারবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে খালেদা জিয়া
চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

অনুমতি ছাড়াই কাটা হলো আড়াই শতাধিক গাছ
অনুমতি ছাড়াই কাটা হলো আড়াই শতাধিক গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

রয়েই গেল মৃত্যুকূপ
রয়েই গেল মৃত্যুকূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু!
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু!

প্রথম পৃষ্ঠা

লাশ উত্তোলনের হিড়িক আপত্তি স্বজনদের
লাশ উত্তোলনের হিড়িক আপত্তি স্বজনদের

পেছনের পৃষ্ঠা

অশান্ত উপমহাদেশ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
অশান্ত উপমহাদেশ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

কোরবানি ঈদে বেসরকারি অফিসেও ১০ দিন ছুটি
কোরবানি ঈদে বেসরকারি অফিসেও ১০ দিন ছুটি

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষার্থীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিলেন ছিনতাইকারীরা
শিক্ষার্থীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিলেন ছিনতাইকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

৬৫৭১ কোটি টাকার হিসাব না দিয়েই লাপাত্তা পিডি!
৬৫৭১ কোটি টাকার হিসাব না দিয়েই লাপাত্তা পিডি!

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে পুশ ৬৬ ভারতীয়কে
বাংলাদেশে পুশ ৬৬ ভারতীয়কে

প্রথম পৃষ্ঠা

র‌্যাব অফিসে সিনিয়র এএসপির গুলিবিদ্ধ লাশ
র‌্যাব অফিসে সিনিয়র এএসপির গুলিবিদ্ধ লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে জরিমানা
মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে জরিমানা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফাঁস নিল স্কুলছাত্রী
ফাঁস নিল স্কুলছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত যুদ্ধের ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে
ভারত যুদ্ধের ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে

নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশনে জোরালো হচ্ছে নির্বাচনের দাবি
ঐকমত্য কমিশনে জোরালো হচ্ছে নির্বাচনের দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

এটা কোনো সমাধান নয়
এটা কোনো সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

হঠাৎ অনিরাপদ আকাশপথ
হঠাৎ অনিরাপদ আকাশপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

খানাখন্দে বেহাল লেকপাড় সড়ক
খানাখন্দে বেহাল লেকপাড় সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু

সম্পাদকীয়

চোখের বালি ঐশ্বরিয়ার গর্ব
চোখের বালি ঐশ্বরিয়ার গর্ব

শোবিজ

যুদ্ধের ধকল বিশ্ব সইতে পারবে না
যুদ্ধের ধকল বিশ্ব সইতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে কার্যকর ‘ভালো মশা’
ডেঙ্গু ঠেকাতে কার্যকর ‘ভালো মশা’

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় দরপতন শেয়ারবাজারে
বড় দরপতন শেয়ারবাজারে

প্রথম পৃষ্ঠা