শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

রানীরা জেলে, রাজারা আড়ালে

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রানীরা জেলে, রাজারা আড়ালে

বিশ্বে যখন করোনার প্রকোপ শুরু হলো তখন আমার মনে হয়েছিল মানুষের আত্মোপলব্ধি হবে। রুদ্ধশ্বাস ছুটে চলা, অন্তহীন লোভ আর বেপরোয়া জীবনের লাগাম টেনে ধরবে। মানুষ ফিরে তাকাবে। প্রকৃতি, সমাজ এবং নিজের প্রতি মানুষ যে অন্যায়, অবিচার করেছে তা কিছুটা হলেও কমবে। আমার মতো অনেকেই আশা করেছিল পৃথিবীর অস্থিরতা, অসুস্থ মানসিকতা, স্বেচ্ছাচারিতা কমবে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। করোনার দেড় বছরে মানুষ যেন আরও স্বার্থপর হয়ে উঠছে। আরও পচন ধরছে সমাজে। বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা উন্মোচন করছে তাতে মনে হচ্ছে, মানুষ যেন আরও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠছে। এখন বাংলাদেশে করোনায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে দুই শর ওপর। আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশের আশপাশে। কিন্তু এসবকে পাত্তাই দিচ্ছেন না হেলেনা, পিয়াসা, মৌ, পরীমণিরা। এ নামগুলো শুনে মনে হতেই পারে নারীরাই বোধহয় এখন সব অপকর্মের হোতা। পুরুষরা যেন ঘরে ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলে তাই? বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘নারী’ কবিতায় নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। কবি নজরুল কেবল ভালো কাজে নারী ও পুরুষের সমান অবদানের কথা বলেননি, খারাপ কাজেও বলেছেন- ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণ কর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর/বিশ্বে যা কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রু বারি/অর্ধেক তার আনিয়াছে নর অর্ধেক তার নারী।’ অর্থাৎ পৃথিবীতে কল্যাণ যেমন নারী ও পুরুষের যৌথ অবদান তেমনি পাপেরও সমান ভাগিদার নারী ও পুরুষ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হেলেনা, পিয়াসা, মৌ, পরীমণিকে নিয়ে যে তোলপাড় তা অনেক ক্ষেত্রেই শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এক ধরনের আদিম বিকৃতির উল্লাসও দেখা যাচ্ছে। অপরাধ করলে তো আইনের আওতায় আসতেই হবে। তথাকথিত রানীরাও আইনের আওতায় আসছেন। তাদের সম্পর্কে যেসব তথ্য বেরোচ্ছে তা পিলে চমকানোর মতো। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এসব নারী একাই কি এ ধরনের অপরাধ করেছেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী ‘রাজা’রা। আমরা দৃশ্যপটে রানীদের দেখছি। রাজারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলিতে রাজনীতি, অপরাধ এবং যৌনতার এক ককটেল হয়েছে। হেলেনা জাহাঙ্গীর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় অন্যায়-অনিয়ম করেছেন। তার যেসব অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেরিয়েছে তা ঔদ্ধত্যপূর্ণ। হেলেনা জাহাঙ্গীর রাজনীতির মাঠে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু কীভাবে? আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলে তিনি কারও মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই উপকমিটিতে ঢুকে পড়বেন তা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিও এ নিয়ে লুকোচুরি করেননি। তিনি বলেছেন তার জেলার নেতা, সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীর অনুরোধে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে মহিলাবিষয়ক উপকমিটিতে নেওয়া হয়েছে। কান পাতলেই শোনা যায়, ওই মন্ত্রী নাকি হেলেনার ভুয়া টেলিভিশন জয়যাত্রার অংশীদারও। সরকারের অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী জাতির কাছে এখন এক কৌতুকের নাম। তাকে আমরা ‘থুক্কু মন্ত্রী’ও বলতে পারি। মানুষ যেমন ভুল করে থুক্কু বলে, এই মন্ত্রীও তেমনি। একবার রাজাকারের তালিকা করলেন। তারপর নিজেই বললেন, ‘আমি বেআক্কেলের মতো কাজ করেছি’। এই সেদিন সারা দেশে আতঙ্ক এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে দিলেন শব্দবোমা ফাটিয়ে। টেলিভিশনে মন্ত্রীর লাইভ হুমকি শুনে দেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গেল- ‘১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ টিকা ছাড়া ঘর থেকে বেরোলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’ কি সাংঘাতিক! যেন বাংলাদেশে কোটি কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। লোকজনের টিকার আগ্রহ নেই। এজন্যই এ হুমকি। পরদিন মন্ত্রী বললেন ‘থুক্কু’। সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্লান হাসি হেসে বললেন, ‘ওই অংশটুক প্রত্যাহার করা হলো’। অবশ্য আগের দিন রাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’ ভালো কথা। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো বসেই ছিলেন। কেন তিনি ওই বক্তব্য থামিয়ে দিলেন না। কেন বললেন না এটা কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জানালেন এ রকম (টিকা ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরোতে পারবে না) সিদ্ধান্তই হয়নি। আমরা আমজনতা। কোনটা সত্য আমরা কী করে বুঝব। যাক সে প্রসঙ্গ। কিন্তু হেলেনাকে আওয়ামী লীগে উপহার দেওয়া সেই মন্ত্রী (রাজা) ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তাকে কেউ আনুষ্ঠানিক প্রশ্ন করেনি। অথচ এবার আওয়ামী লীগের উপকমিটি গঠনের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের হুঁশিয়ার, সাবধান বহু শুনেছি। কোনো বিতর্কিত কাউকে উপকমিটিতে নেওয়া হলেই শাস্তি। তাহলে হেলেনাকে উপকমিটিতে নেওয়ার অভিযোগে কারও শাস্তি না হোক, শোকজ হয়েছে কি? রাজনীতির মাঠে বসে হেলেনা বহুমাত্রিক ঠগবাজির ফাঁদ পাতেন। নিশ্চয়ই তার গডফাদার ছিল। নেপথ্যের কারও শক্তিতেই হেলেনা যা খুশি তা-ই শুরু করেছিলেন। প্রভাবশালী কারও খুঁটি ছাড়া হেলেনা এভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠেন কীভাবে? হেলেনার ছবিগুলো খতিয়ে দেখলাম। হেলেনার সঙ্গে কে নেই? অনেক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর ছবি। তিনি নাকি বিজিএমইএর নেতাও ছিলেন। এখন শুধু রানী হেলেনাই আসামি। বাকিরা সব যেন সাধু!

এক রাতে মোহাম্মদপুর ও বারিধারায় রোমাঞ্চকর অপারেশনে আটক হলেন পিয়াসা এবং মৌ। গণমাধ্যমে বলা হলো মডেল মৌ। চমকে উঠলাম। মডেল মৌ মানেই আমরা বুঝি সাদিয়া ইসলাম মৌকে। পত্রিকায় ছবি দেখে আশ্বস্ত হলাম। এ মৌ সেই মৌ নয়। এটা দেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পীর জন্য কত বড় অপমানজনক ভাবা যায়! বাংলাদেশে এখন লুঙ্গির স্টিকারে ছবি ছাপা হলেই সে মডেল। একটা নাটকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই অভিনয়শিল্পী। সেই সূত্রে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌও মডেল। ভালো কথা। দুই রাতের রানীর বাসায় দেখলাম মদ, ইয়াবা, সিসার ভান্ডার। গণমাধ্যমে বলা হলো, এদের বাড়িতে রাতে আসর হতো, তাতে অনেক বড়লোক আসতেন। কারা আসতেন? কবি নীরব। অর্থনীতিতে মূল কথা হলো চাহিদা ও জোগানের সম্পর্ক। চাহিদা থাকলেই একটা ব্যবসা তৈরি হয়। কিছু লম্পট, বিকৃত পুরুষ যায়, এজন্যই তো পিয়াসারা এভাবে হেরেম করেছেন। একটি গণমাধ্যমে পড়লাম পিয়াসা, মৌদের টার্গেট নাকি উঠতি বড়লোকের সন্তানরা। ফুসলিয়ে তাদের এসব বাড়িতে নিয়ে আসা হতো, এরপর হাতে তুলে দেওয়া হতো মাদক, ইয়াবা ইত্যাদি নেশাজাতীয় দ্রব্য। খবরটা পড়ে মনে হলো, আমাদের বড়লোকের উঠতি বাচ্চারা যেন ফিডারে এখনো দুধ খায়। তারা বেজায় ভোলা। লেবনচুষ মুখে দিয়ে তারা ঘোরে। বড়লোকদের উঠতি বয়সের বাচ্চাদের ছেলেধরারা ধরে নিয়ে পিয়াসা, মৌদের হাতে তুলে দেয়। পিয়াসা, মৌরা তাদের ছেলে ভোলানো ছড়া শুনিয়ে ফিডারের বোতলে মদ দিয়ে দেয়। এরপর তারা মাথা ব্যথা বলে কান্নাকাটি করলে তাদের ওষুধ বলে ইয়াবা খাইয়ে দেয়। এরপর তাদের পরনের ডাইপার খুলে ফেলার মতো, তাদের বস্ত্র হরণ করে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে। পিয়াসা, মৌ বড়লোকের সন্তানদের নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু বড়লোকের বাচ্চারা পিয়াসাকে চেনে কীভাবে? কীভাবে তারা মক্ষীরানীদের ঘর চেনে? পিয়াসাদের রাতের অতিথি কারা? এদের নামের তালিকাটা যদি প্রকাশ হতো তাহলে জাতি উপকৃত হতো। আজ পিয়াসা মৌকে ধরা হয়েছে। ক্ষুধার্ত বড়লোকদের সন্তানরা কাল নতুন পিয়াসা, মৌ বানাবে। তা ছাড়া পিয়াসা, মৌদের কারা সৃষ্টি করল? কাদের অর্থে এরা এ রকম বিলাসবহুল জীবন যাপন করছিল। সেই গডফাদারা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। পিয়াসা ফেসবুকে অস্ত্রসহ ছবি দিয়েছে। অভিযোগ আছে, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়েছিলেন পিয়াসা। পিয়াসার সূত্র ধরে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও জিসানকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু পিয়াসা-মৌকে নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যত উন্মাদনা, ঠিক ততটাই অনাগ্রহ মিশু আর জিসানকে নিয়ে। কেন? অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ছবি দেওয়া অপরাধ অবশ্যই। কিন্তু একই অপরাধে তো সবার একই ধরনের পরিণতি হওয়ার কথা। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের এক হুইপপুুত্রের অস্ত্রসহ ছবি দেখে আমরা আঁতকে উঠলাম। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখলাম না। চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যায় বাধ্য হলেন মানসিক অত্যাচারে। প্রয়াত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চাইলেন। আকুল কান্নায় তিনি হুইপপুত্রের নিপীড়নের বিবরণ দিলেন। কিন্তু কোথায় কি? এ ‘রাজা’রা যেন স্পর্শের বাইরে। এখন দেখলাম, সেই হুইপ টিকা নিয়ে এক মহাকেলেঙ্কারি করলেন। নিবন্ধন, নিয়মনীতি নির্বাসনে পাঠিয়ে ওই হুইপ যেন এক আলাদা রাজত্ব কায়েম করলেন তার নির্বাচনী এলাকায়। কে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুধু মিনমিন করে বলেছে, ‘জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল হতে হবে’। তাহলে কি একটি নির্বাচনী এলাকায় একজন এমপি ‘রাজা’? তার যা খুশি তা-ই করার লাইসেন্স আছে?

‘রানী আটক’ ধারাবাহিক নাটকের শেষ নাম পরীমণি। বুধবার (৪ আগস্ট) ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া খেলা। টি-টোয়েন্টি খেলা মানেই শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা। কিন্তু সে উত্তেজনার আগুন নিভিয়ে দিলেন পরীমণি। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলল লাইভ সিনেমা। এর মধ্যে চুলোয় গেল মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং, আর করোনায় আক্রান্তের হার কমার স্বস্তিকর খবর। পুরো দেশের চোখ যেন বনানীতে। পরীমণির বাসায়। কেউ কেউ টিভিতে দেখে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। ছুটে গেলেন পরীমণির বাসায়। কঠোর লকডাউনে পরীমণির বাসার সামনে হাজারখানেক লোক। আমরা প্রতিদিন বিকালে শুনি লকডাউন অমান্য করায় কতজনকে জরিমানা করা হয়েছে, কতজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পরিসংখ্যান। কিন্তু পরীমণির বাসার সামনে এ গণজমায়েতের জন্য কি কাউকে জরিমানা করা হয়েছে? পরীমণি ইস্যু অবশ্য নতুন নয়। পরীমণি যে ফেঁসে যাচ্ছেন তা ছিল নির্ধারিত। ৮ জুন বোট ক্লাবের নাটকের পর পরীমণির আটকের দিন গোনা হচ্ছিল। বুধবারও পরীমণি একই নাটক করতে চেয়েছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি গণমাধ্যম আর সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। অভিনয়টাও ছিল আবেগঘন। কিন্তু পরীমণির ঘটনা আর ‘বাঘ এসেছে’ বলে রাখাল বালকের ঘটনা যেন একই রকম। বোট ক্লাবের ঘটনার পর তিনি যে নাটক করে জনগণ ও গণমাধ্যমকে বেকুব বানিয়েছেন, সেই নাটক এবার ফ্লপ হলো। কিন্তু আমার সেই একই প্রশ্ন, পরীমণির পেছনে কে? তাকে কে এত বিত্তবৈভব দিল? কে দিল বেপরোয়া, ড্যাম কেয়ার জীবনের লাইসেন্স। পরীমণিকে আটকের পরপরই অভিযান চালানো হয় পরীমণির প্রথম প্রযোজকের বাসায়। কিন্তু সেই অভিযান মিডিয়ার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়নি। মানুষও এ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। কেন, রাজ পুরুষ বলে? তিনি যে পরীমণির গডফাদার নয় তা পরিষ্কার। রানীর রাজারা কি আসবেন পাদপ্রদীপে?

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক, অনৈতিক কর্মকান্ড এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এ রকম অভিযান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এসব ঘটনা কেবল একটি অপরাধ নয়, এসব সমাজকে পচন ধরায়। সমাজে যে পচন ধরেছে এ ঘটনাগুলো তার প্রমাণপত্রও বটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব অপরাধ এবং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমরা আশা করি সংঘবদ্ধ চক্রের সবাইকে, নেপথ্যের হোতাদেরও সামনে আনা হবে। না হলে এসব অভিযান শেষ পর্যন্ত বিকৃতির উৎসবে পরিণত হবে। আড়ালে থাকা রাজাদের যদি সামনে আনা না যায় তাহলে গডফাদার রাজারা নতুন হেলেনা বানাবে। পিয়াসা, মৌর মতো নতুন মক্ষীরানী তৈরি হতেও সময় লাগবে না।

আমার উদ্বেগের দ্বিতীয় কারণটি গভীর এবং গুরুতর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগে নারীর ক্ষমতায়নে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্লেন থেকে সচিবালয়ে, করপোরেট থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়- সবখানে নারীরা উদ্ভাসিত হয়েছেন, আলো ছড়াচ্ছেন। তার পরও নারীমুক্তির অভিযাত্রায় সাফল্যের জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। এখনো নারীরা নিগৃহীত হয় সর্বত্র। যৌন নিপীড়ন, পাশবিকতা, বৈষম্য নারীর ওপরই হয় বেশি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই একই চিত্র। এখনো নারীকে ঘরবন্দী রাখার ষড়যন্ত্র চলে।

ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী এখনো নারীকে শুধু সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র কিংবা সম্ভোগের বস্তুই মনে করে। পশ্চিমা সংস্কৃতি নারীকে বানায় পণ্য। নারীদের অর্গলমুক্তির সংগ্রামটা এখনো শেষ হয়নি। হেলেনা, পরীমণির ঘটনা যেন মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, নারী নিপীড়নকারীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে না দেয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু নারী নিপীড়নের ঘটনার পর বিকৃত রুচির কতিপয় মানুষ ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছে ঘরের বাইরে যাওয়ার কারণে কিংবা পোশাকের জন্যই নাকি নারী নির্যাতনের শিকার। এ ধরনের ঘৃণিত বক্তব্য কেবল অগ্রহণযোগ্য নয়, রীতিমতো অপরাধ। পিয়াসা, মৌর ঘটনার পর কান পাতলেই কিছু নোংরা অশ্লীল কথা শুনি। ব্যক্তি নারীর অপরাধের দায় যেন গোটা নারী জাতির ওপর না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কয়েকজন বিচ্ছিন্ন বিপথগামী এবং পুরুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারীর অপকর্মের দায় কেন সব নারীকে নিতে হবে? এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে একটি মহল কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণকে বাধা সৃষ্টির যুক্তি হিসেবে যেন ব্যবহার না করতে পারে সে ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের সচেতন এবং দায়িত্বশীল থাকতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, নারী প্রধানমন্ত্রী হলেও দেশটা এখনো পুরুষতান্ত্রিক। পরীমণি, পিয়াসাকে উপলক্ষ করে কেউ কেউ নারীর অমর্যাদার খেলায় যেন না মাতে, বিকৃতির পাশবিক উৎসব না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে হেলেনা, পরীমণি, পিয়াসা কিংবা মৌ পুরুষদের বানানো উপভোগের বস্তু। এদের গ্রেফতার করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে না। এরা হলেন পুতুলনাচের পুতুল। সুতো যে পুরুষের হাতে, সেই পুরুষদের নিবৃত্ত না করতে পারলে তারা নতুন পুতুলে মঞ্চ সাজাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
সর্বশেষ খবর
তিতাসে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
তিতাসে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফ্রান্সে ইলন মাস্কের এক্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
ফ্রান্সে ইলন মাস্কের এক্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

১০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঝিনাইদহে বিদেশি পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ঘেনা গ্রেফতার
ঝিনাইদহে বিদেশি পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ঘেনা গ্রেফতার

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জে নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল
সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

আমাদের আচরণ যেন আওয়ামী লীগের মতো না হয়: ড. মঈন খান
আমাদের আচরণ যেন আওয়ামী লীগের মতো না হয়: ড. মঈন খান

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
ভুক্তভোগীর পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাস্টার্স ভর্তির আবেদনে সময় বাড়াল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মাস্টার্স ভর্তির আবেদনে সময় বাড়াল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

৪১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন
ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে জেলা পরিষদের ডেঙ্গু কিট প্রদান
নারায়ণগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে জেলা পরিষদের ডেঙ্গু কিট প্রদান

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

বেনাপোল কাস্টমসে সার্ভারের জটিলতা, ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য
বেনাপোল কাস্টমসে সার্ভারের জটিলতা, ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি’
‘জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
পরিবারের ইচ্ছায় ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো আইএমও সম্মাননা পেলো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড
প্রথমবারের মতো আইএমও সম্মাননা পেলো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও এক আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অগণতান্ত্রিক শক্তির বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান যুবদল সভাপতির
অগণতান্ত্রিক শক্তির বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান যুবদল সভাপতির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে সুরমার পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই কুশিয়ারা
সিলেটে সুরমার পানি বাড়ছে, বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই কুশিয়ারা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা
গরম মোকাবিলায় হাতে তৈরি এয়ার কুলার ব্যবহার করছেন আফগান ট্যাক্সি চালকরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন
চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের
মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং
জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান
সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে আবুল বারকাত
কারাগারে আবুল বারকাত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!
জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট
বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে
চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব
এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে
ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত
সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন
প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না
ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!
দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়
এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অবসরে যাচ্ছেন মোদি
অবসরে যাচ্ছেন মোদি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজপথ যেন মরণফাঁদ
রাজপথ যেন মরণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপরাধীরাই খানের টাকার খনি
অপরাধীরাই খানের টাকার খনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প

পেছনের পৃষ্ঠা

খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার
খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল
পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল

নগর জীবন

ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে
ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে

শনিবারের সকাল

নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক
নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার
আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের
বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের

শোবিজ

আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা
আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা

শোবিজ

উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান
উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী
আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী

পেছনের পৃষ্ঠা

বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত
বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!
জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!

পরিবেশ ও জীবন

পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট
পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট

মাঠে ময়দানে

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী
বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী

শোবিজ

পড়াশোনায় ছিল অনাগ্রহ চেষ্টা ছিল অটোপাসের
পড়াশোনায় ছিল অনাগ্রহ চেষ্টা ছিল অটোপাসের

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা

মাঠে ময়দানে

জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের
জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে
ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস

শোবিজ