রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

গ্যাস সংকট

শিল্পোৎপাদনের জন্য অশনিসংকেত

গ্যাস সংকটে দেশের শিল্পকারখানা ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে হাহাকার চলছে। দীর্ঘদিন লোডশেডিংয়ের উৎপাত দেখা না গেলেও বেড়েছে সে জ্বালাতন। বিশেষ করে শিল্প এলাকা কালিয়াকৈরে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। কালিয়াকৈর শিল্পাঞ্চলে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা। এ এলাকার ওষুধ, জুতা, কোমল পানীয়, জুট, স্পিনিং, সোয়েটার ও গার্মেন্ট কারখানা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। কারখানায় চাহিদামতো তিতাস গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পর্যন্ত এবং সাভারের ইপিজেড এলাকায়ও তিতাস গ্যাসের চাপ কম। কারখানাগুলোয় সকাল ১০টায় গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে। এ অবস্থা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। গ্যাসের চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে কারখানার গ্যাসচালিত জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ মেশিন বন্ধ রেখে কিছু কিছু মেশিন চালু রাখতে হচ্ছে। এতে কারখানার উৎপাদন বিঘিœত হচ্ছে, সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, কালিয়াকৈরে ৩ শতাধিক শিল্পকারখানার মধ্যে পোশাক কারখানা বেশি। ফলে কালিয়াকৈরের পোশাকশিল্পে গ্যাসের জন্য উৎপাদন বিঘিœত হলে পুরো রপ্তানি খাতই ভুগবে। গ্যাস সংকটে দেশের গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনও বিঘিœত হচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। কিন্তু মজুদ গ্যাস শেষ হওয়ার পথে। নতুন কয়েকটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলেও উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে। চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত গ্যাস আমদানি করে ভর্তুকি দামে সরবরাহ করছে সরকার। দেশে গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়লেও চাহিদা বেড়েছে তারও বেশি। শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ না থাকলে গ্যাস জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়। জ্বালানি সংকটের অবসানে সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। কোনো অবস্থায় যাতে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত না হয় সে উদ্যোগও নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর