মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাতালরেল প্রকল্প

যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত

আর পাঁচ বছরের মধ্যে পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে মার্চে শুরু হবে প্রথম পাতালরেলের মূল পর্বের কাজ। এ রেলের মূল ডিজাইন বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে। ডিটেইল ডিজাইন ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজও চলছে জোরেশোরে। বিমানবন্দর, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে পাতালরেল। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। সুড়ঙ্গপথে এটি সরাসরি যুক্ত হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে। নির্মাণাধীন এ টার্মিনাল মেট্রোরেল লাইন-১-এর একটি অংশ। মেট্রোরেল লাইন-১-এর আরেকটি অংশ বিমানবন্দর থেকে জোয়ারসাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। উড়াল অংশ থেকে নেমে এটিও যুক্ত থাকবে তৃতীয় টার্মিনালের সুড়ঙ্গপথের সঙ্গে। এতে বিদেশগামী বা বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা স্বচ্ছন্দেই পাতালরেল ধরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন। এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। পাতাল ও মেট্রো রেল নির্মিত হলে রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমবে। মানসম্মত যানবাহনে যাত্রীরা বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। পাতালরেলের জন্য কেনা হবে ২৫টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। পুরো লাইন দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন প্রতিদিন ৮ লাখ মানুষ। ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার এ উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের বেশির ভাগ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাদবাকি অর্থ জোগাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল। পাতাল ও মেট্রো রেল প্রকল্প নিঃসন্দেহে একটি আশাজাগানিয়া খবর। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সেবার মান রক্ষায়ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যত্নবান হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর