শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পিএসসি আইন

দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ নিশ্চিত করুন

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধানসংবলিত আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ১৯৭৭ সালে জারি হয় এ-সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স। হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রুল বেইজড আইন হিসেবে তা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খসড়ায় কমপক্ষে ছয় সদস্য নিয়ে পিএসসি গঠনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কোনো অবস্থায় এর সদস্য সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে না। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের জন্য খসড়া আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদন্ড বা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। উত্তরপত্রের জালিয়াতিতে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হতে পারে। কোনো পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে অসদুপায়ে সহযোগিতা করলে তিনিও সর্বোচ্চ দুই বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। পরীক্ষা-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে বাধা দিলেও শাস্তি পেতে হবে। পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে জড়িতরা অপরাধ করলেও শাস্তি পেতে হবে। দুনিয়ার সব দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে। কিন্তু সরকারি অফিসগুলোয় সেই ট্যাক্সদাতারাই সিংহভাগ ক্ষেত্রে উৎকোচ ছাড়া কোনো সেবা পান না। এজন্য দায়ী উৎকোচের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ঘটনা। ১০ লাখের নিচে এ দেশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় না- এ বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে যে কোনো স্তরের কর্মী নিয়োগ হলে সে মহাদুর্নীতিতে লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। আমরা এ কলামে বারবার এ প্রস্তাবই দিয়ে আসছি। সাধারণ মানুষের ভালো চাইলে সরকার এ বিষয়ে নজর দেবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর