শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্রিটিশ বিনিয়োগ

অবকাঠামোর সঙ্গে দরকার অনুকূল পরিবেশ

বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ (এফডিআই) বেড়েছে। উন্নয়নযাত্রায় অংশীদার হতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্‌বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্‌বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ সেন্টারের চার্চিল হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট  ২০২১ : বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ অ্যান্ড রোড শোর উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্‌বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, লাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, ব্লু-ইকোনমি, টুরিজম, হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় সেক্টরে সুবিধা নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য এসব সেক্টর বা এর বাইরে যে কোনো সেক্টর বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বিশেষ কোনো একটি দেশের কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা তাদের জন্য সে রকম কোনো একটি অঞ্চল বেছে নিতে পারেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রস্তুত করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত নগরায়ণ, মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এ মুহুর্তে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজের দেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ বেড়েছে। বাংলাদেশে নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রি হলে দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠলে তাজা শাকসবজি, মাছ, ফল-মূল রপ্তানি করা সম্ভব। যে কোনো দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থা থাকা দরকার। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ ও অবকাঠামোয় বিপুল পরিবর্তন আসছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর