বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আত্মহত্যার প্রবণতা

গড়ে তুলতে হবে পারিবারিক সচেতনতা

আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তুচ্ছ কারণেও অনেকে বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ১১ হাজার ১০৯টি। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭৯১টিই আত্মহত্যার। পুলিশের পরিসংখ্যানমতে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আত্মহত্যাকৃতের ৫২ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮ শতাংশ নারী। এসব ভিকটিমের ৬০ শতাংশই আত্মহত্যা করেছে গলায় ফাঁস নিয়ে। বিষপানে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। গায়ে আগুন দিয়ে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আত্মহত্যাকারীর ২৫ শতাংশর বয়স ১৮ বছরের নিচে। ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী প্রায় ৩৮ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪৫ বছর বয়সী প্রায় ২২ শতাংশ এবং ১০ শতাংশের বয়স ৪৬ থেকে ৬০ বছর। ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক আছে ৫ শতাংশ। পুলিশ সদর দফতর আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কর্মশালা করার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে মামলাগুলো পর্যালোচনা করে কারণ নির্ণয় ও প্রতিকারের উদ্যোগ নিতে বলেছে। আত্মহত্যার বড় অংশই তুচ্ছ ঘটনায় সংঘটিত হয়েছে। মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়া, মোবাইল-আসক্তি বন্ধে বকাঝকা করা এমন তুচ্ছ কারণেও কেউ কেউ বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। বিশেষজ্ঞদের মতে যান্ত্রিক জীবনযাপনের পরিণতিতে পারিবারিক বন্ধন যত শিথিল হচ্ছে মানুষের মধ্যে ততই দেখা দিচ্ছে একাকিত্বের ক্ষোভ। মোবাইল-আসক্তি তরুণ-তরুণীর একাংশের মনোজগৎকে এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রাখছে

যারা মানসিকভাবে বাস্তবতার মধ্যে থাকছে না। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখগুলো সহজেই অন্যের কাছে প্রকাশ করার সুযোগ তরুণ-তরুণীর অনেককে আবেগতাড়িত করছে; আত্মহত্যায় মদদ জোগাচ্ছে। যা রোধে পারিবারিক ও সামাজিক পরিসরে সচেতনতা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর