শিরোনাম
রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মশার উপদ্রব

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিন

মশার আগ্রাসন এ বছর অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে এমন আলামতই দেখা যাচ্ছে নগরজুড়ে। রাজধানীর যেসব এলাকায় মশার উপদ্রব তুলনামূলক কম থাকে সেখানেও অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০ সাইটে কীটতাত্ত্বিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। জরিপে ২১ জন কীটতত্ত্ববিদের সমন্বয়ে গঠিত দল ১০ দিনে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে ১৪৩টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। বাড়িতে লার্ভা শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার গবেষণা শেষে মশার ঘনত্ব দিয়ে জিআইএস ম্যাপিং করা হবে। এতে ঢাকার কোন কোন এলাকায় মশার ঘনত্ব বেশি তা জানা যাবে। গবেষকদের মতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাক-মৌসুমি এডিস মশার ঘনত্বের জরিপে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ঘনত্ব পাওয়া গেছে। বৃষ্টিপাত শুরু হলে এ ঘনত্ব আরও বাড়বে। এডিস মশার ঘনত্ব বাড়লে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সোজা কথায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে রাজধানীর দুই সিটির বিপুলসংখ্যক মানুষ। দুই সিটি করপোরেশন মশা নিধনের তৎপরতা চালালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের ডোবা-নালাগুলো মশা উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। বর্ষা মৌসুমে ছাদে বা নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমে এডিস মশার প্রজননের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হয়। যা ডেঙ্গুর থাবা বিস্তারে ভূমিকা রাখে। দুটি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশা নিধনের যে ওষুধ ছিটানো হয় তার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মশার উৎপাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় শুধু ওষুধ ছিটানো নয়, মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। ডোবা-নালা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নের পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে নাগরিক সচেতনতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর