শিরোনাম
সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুমতি

অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক বন্ধ হোক

অবৈধ ও নবায়নহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে দেরিতে হলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙেছে। অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। বেঁধে দেওয়া সে সময় গত রবিবার শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে যেসব অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়নি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশের পর হবিগঞ্জ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইলসহ ১৫ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৮২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে প্রতিষ্ঠান মালিকদের। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় অনিবন্ধিত ও নবায়নহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নাকের ডগায়। বলা হয়ে থাকে অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিদের সন্তুষ্ট করেই চালানো হচ্ছিল অবৈধ ব্যবসা। অধিদফতরের একজন পরিচালকের দাবি সারা দেশে অনিবন্ধিত ও নবায়নহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা কত তা তাদের জানা নেই। তারা শুধু নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবই রাখেন। অবৈধগুলোর নির্দিষ্ট তালিকা না থাকলেও বৈধদের তালিকা জেলা সিভিল সার্জনদের কাছে রয়েছে। এর বাইরে যেগুলো রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনদের বড় ভূমিকা রয়েছে। রোগ নিরাময় এবং রোগ নির্ণয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের বৈধতায় সংকট থাকলে তারা কতটা সততার সঙ্গে পালন করছে তা বড় মাপের এক প্রশ্ন। স্বাস্থ্য অধিদফতর অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সক্রিয় হলে সংশ্লিষ্টদের অস্তিত্ব বজায় রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পাশাপাশি বৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যথাযথভাবে নিয়ম মেনে চলছে কিনা সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর