শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীতে পানি সংকট

সমাধানে হেলাফেলা কাম্য নয়

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় পানির সংকটে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে দেখা দিয়েছে এ সংকট। মহাখালীর মধ্যপাড়া, দক্ষিণখান, হাজারীবাড়ী, কুড়িল, নুরের চালা, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডায় তীব্র পানি সংকটে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। কোথাও ১৫ দিন, কোথাও ১৯ দিনেও মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। পানির জন্য রাস্তায় নেমেছে মানুষ। আন্দোলন করে, ওয়াসা অফিসে ধরনা দিয়েও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ঢাকা ওয়াসার কর্তাব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি, লোডশেডিংয়ের কারণে পানি উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসায় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার লিটার পানি উৎপাদন হয়। কিন্তু লোডশেডিং হলে উৎপাদনে ঘাটতি হয়। ৪-৫ ঘণ্টা পাম্প চলার পর লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে পাম্প চালাতে পারছেন না ওয়াসা কর্মীরা। এ কারণে বেশ কিছু এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জেনারেটর দিয়ে পাম্প চালিয়ে সংকট সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোরবানির ঈদের পর এ সমস্যা শুরু হলেও সম্প্রতি এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে পরিস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। পানি কিনে চলছে রান্না, খাওয়া। পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে অন্য এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায়। রাজধানীর যেসব এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে সেসব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শেষ শ্রাবণের ভ্যাপসা গরমে পানির অভাবে তাদের জীবন অতিষ্ঠ। ওয়াসার পাইপলাইনে যে পানি আসছে তা দৈনন্দিন কাজ দূরের কথা, টয়লেটে ব্যবহারের জন্যও যথেষ্ট নয়। ভোগান্তির শিকার এলাকাগুলোয় পানি কিনতে গিয়ে গরিব মানুষের জীবন আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি খাতের খরচ সাশ্রয় করতে লোডশেডিং দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জ্বালানি তেলের দাম বিপুলভাবে বেড়ে গেলেও বৈশ্বিক বাস্তবতার কথা ভেবে মানুষ মেনে নিচ্ছে। কিন্তু পানির অপর নাম যেহেতু জীবন সেহেতু পানি সংকট ভুক্তভোগীদের অসহিষ্ণু করে তুলছে। এ সমস্যার সমাধানে ওয়াসাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো হেলাফেলা উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর