বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিরাপস হতে হবে

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প এখন বাস্তবায়নাধীন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক যুগে পা দিতে যাচ্ছে। সরকারের ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এ প্রকল্প সবচেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভবিষ্যতে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ উৎপাদন করবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এজন্য দরকার আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলেই তারপর নেওয়া হবে তেমন সিদ্ধান্ত। ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ৬৬তম অধিবেশনে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। তাঁর মতে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বাইরে কাজ করে এসেছেন এমন অভিজ্ঞ জনবল আমাদের নেই বললেই চলে। আমরা আমাদের ছেলেদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমাদের সক্ষমতা বুঝতে পারব। এটি শেষ হওয়ার আগে আরেকটি প্রকল্প নির্মাণ করা আমাদের জন্য খুব একটা লজিক্যাল হবে না। তিনি বলেন, আমাদের এনার্জির ১০ শতাংশ আসবে নিউক্লিয়ার থেকে। সেজন্য আরও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। দেশের দক্ষিণের দিকে জায়গা ঠিক করা হয়েছে। আর পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে আরও দুটি কেন্দ্র করার সুযোগ আছে। সব ঠিক থাকলে মন্ত্রীর আশা, ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসছে রূপপুরের প্রথম ইউনিট। আর পরের বছর দ্বিতীয় ইউনিট। বাংলাদেশে জ্বালানির অভাব প্রকট। এতকাল বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো দেশে উৎপাদিত গ্যাস দিয়ে। তার মজুদ শেষ হওয়ার পথে। কয়লা উত্তোলনের সুযোগ থাকলেও তা কতটা জনস্বার্থের পক্ষে এ নিয়ে সংশয় আছে। এ ক্ষেত্রে পারমাণবিক বিদ্যুৎ এক বড় ভরসা। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও নিরাপস হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর