শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

মহান ডিসেম্বর ও ভাওয়াল সন্ন্যাসী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
মহান ডিসেম্বর ও ভাওয়াল সন্ন্যাসী

’৭১-এর এই দিনে টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত করে আমরা মৌচাক পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলাম। অন্যদিকে ব্রিগেডিয়ার সানসিংয়ের নেতৃত্বে একটি কলাম সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিল। মজার ঘটনা ময়মনসিংহ-জামালপুর থেকে পিছিয়ে আসা ব্রিগেডিয়ার কাদের খান ৩০-৩৫ জন পাকিস্তান হানাদার অফিসার ও সাধারণ সেনা নিয়ে ঠেঙ্গারবান্দের আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হকের বাড়ির কাছে লুকিয়ে ছিল। আমরা নানা কসরত করে সেখান থেকে ব্রিগেডিয়ার কাদের খানসহ ৩১ জন অফিসার ও সিপাহিকে বন্দি করে টাঙ্গাইল জেলে পাঠিয়েছিলাম। টাঙ্গাইল মহকুমা জেল তখনও বেশ ছোট। ৬১ জনের ধারণক্ষমতায় প্রায় ৩০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল। মার্চ-এপ্রিলে আমাদের সাধারণ মানুষ যেভাবে দৌড়াদৌড়ি করে আশ্রয় নিয়েছে, প্রাণ বাঁচিয়েছে, ডিসেম্বরে হানাদার বাহিনী সেভাবে ছোটাছুটি করেছে। ৬ ডিসেম্বর ভুটান এবং ভারত স্বীকৃতি দেওয়ার পর ঢাকার উত্তরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ এলাকায় পাকিস্তানিদের দাঁড়াবার কোনো পথ ছিল না। ১০ ডিসেম্বর উত্তর দিক থেকে এগিয়ে আসা কলামের শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমাদের সহায়তায় ছত্রীবাহিনী নামানো হয়েছিল। ছত্রীবাহিনী নামায় হানাদাররা প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়। টাঙ্গাইলের উত্তরে পুংলী সেতুর পাশে খুব সামান্য গোলাগুলি হয় যাতে পাকিস্তান হানাদারদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। টাঙ্গাইলের পুংলীর পর একদিকে মৌচাক অন্যদিকে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও কোনো গুলি ছুড়তে হয়নি। কাদেরিয়া বাহিনীর প্রায় ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় বাহিনীর ৫-৬ হাজার ও ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত আরও ৪-৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হানাদারকবলিত ঢাকায় প্রবেশ করেছিল।

স্বাধীনতার ৫১-৫২ বছর পর সেই ডিসেম্বর কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। তেমন আলোচনা নেই, সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। আবার মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো দেড়-দুই মাস আগে থেকে ১০ ডিসেম্বর ১০ ডিসেম্বর করে মানুষের মধ্যে একটা অস্বস্তি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও সেই ১০ ডিসেম্বর আকাশ ভেঙে পড়েনি। বিএনপির নির্বাচিত ছয়জন এবং মনোনীত মহিলা সদস্য একজন পদত্যাগ করেছেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে পদত্যাগ করা কোনো ব্যাপার না। তাই তারা করেছেন। বিএনপিতে যে দলীয় কোন্দল সেটাকে বর্তমান সরকার একেবারেই মিটমাট করে দিয়েছে। বিএনপিতে এখন নিজেরা নিজেরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে মঞ্চ ভাঙা এসব অতীতের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। মোটামুটি সব আওয়ামী লীগবিরোধী একাট্টা। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমনই হয়। এর মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যশোর ও চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বিরাট সভা করেছেন। তবে স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতা নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য নেই। আগামীকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সে নিয়েও আহামরি কিছু হবে না, এটাই আমাদের ব্যর্থতা। টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসে তেমন কোনো উত্তাপ ছিল না টাঙ্গাইলে। কাদেরিয়া বাহিনীর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কৃষিবিদ আবদুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের সভায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তেমন কোনো সাড়া জাগেনি। কেমন যেন সবাই উদাসীন। কারও মধ্যে কোনো উদ্দীপনা নেই। সরকার জাতীয় উদ্দীপনা সৃষ্টিতে দারুণভাবে ব্যর্থ। তারা দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে পারলে সেটাই হতো বিজয় দিবসের, বিজয়ের মাসের সার্থকতা। হঠাৎ দিল্লি থেকে ফোন, রাখীবোন মিলুর মা অরুণা চক্রবর্তী মাসির কাছ থেকে, ‘কাদের, আমি একটা বই লিখেছি। তাতে তোমার লেখা চাই।’ কী বই- জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘ভাওয়ালের ওপর BHAWAL : A TRUE STORY’, বলেই বললেন, ‘লেখাটি পাঠিয়ে দিচ্ছি। বইটা ইংরেজিতে। তুমি বাংলায় লিখলেও চলবে।’ বললাম, ঠিক আছে। আমার পক্ষে যা সম্ভব লিখব। লেখাটা পড়লাম বেশ কয়েকবার। (BHAWAL : A TRUE STORY By ARUNA CHAKRAVARTI) বেশ ভালো লাগল। অনেক পরিশ্রম করেছেন। অরুণা চক্রবর্তী বাঙালি হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোকালেই তাঁর তেমন যোগাযোগ ছিল না। পুরো সময়টাই ভারতে কাটিয়েছেন, যার সিংহভাগ দিল্লিতে।

অরুণা চক্রবর্তী অনেকদিন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত জানকী দেবী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একজন সুপরিচিত একাডেমিক, সৃজনশীল লেখিকা এবং অনুবাদক যার ঝুলিতে ১৫টি প্রকাশিত বই রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উপন্যাস, একটি ছোটগল্প, দুটি একাডেমিক এবং আটটি অনুবাদ। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ইনহেরিটরস’ কমনওয়েলথ লেখক পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল এবং তাঁর তৃতীয় বই ‘জোড়াসাঁকো’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং সেরা বিক্রেতা হয়েছে। তাঁর অনূদিত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতবিতান’, শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই দিনগুলি’, ‘প্রথম আলো এবং আদি নারী’ গল্প, জোড়াসাঁকোর একটি সিক্যুয়েল ‘জোড়াসাঁকোর কন্যা’ ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। তাঁর নতুন কাজ পিকাডোর ছাপাখানার অধীনে প্যান ম্যাকমিলান লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত ‘সুরলক্ষ্মী ভিলা’ নামে উপন্যাসটি যুক্তরাজ্যের দ্য জার্নাল অব কমনওয়েলথ লিটারেচারে ভারতীয় গ্রন্থপঞ্জিতে প্রকাশিত ‘২০২০ সালের উপন্যাস’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি বৈতালিক পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার এবং শরৎ পুরস্কার লাভ করেছেন।

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিপথগামীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হলে প্রতিবাদে এক কাপড়ে ঘর ছেড়েছিলাম। আড়াই-তিন বছর সীমান্তে কাটিয়ে ’৭৭-এর শেষ দিকে ভারতে গিয়েছিলাম। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর যেমন আনন্দের জোয়ারে ভারত ভেসেছিল, ঠিক তেমনি ’৭৭-এ জনতা পার্টির কাছে কংগ্রেস ক্ষমতা হারানোয় প্রায় তেমনটাই হয়েছিল। একটানা ৩০ বছর কংগ্রেস শাসনের পর সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে মোরারজি দেশাইর জনতা পার্টির মিলিঝুলি সরকার গঠিত হলে অনেকেই মনে করছিল ভারত যেন আবার স্বাধীন হলো। সে সময় সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের এক চিঠি নিয়ে গ্রেটার কৈলাসে এসি সেনের বাড়ি গিয়েছিলাম। সেই থেকে ’৯০ সালে দেশে ফেরা পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন পার্কের এসি সেনের বাড়িই ছিল আমার দিল্লির ঠিকানা। ইস্ট পাকিস্তান ডিসপ্লেসড পারসন হিসেবে দিল্লিতে বসবাস করা বাঙালিরা চিত্তরঞ্জন পার্কে ছোট্ট এক ফালি মাটি পান। এসি সেনও প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পাননি। কোনোবারই লটারিতে তাঁর নাম ওঠেনি। আমি যাওয়ার পরপরই আচমকা লটারিতে জমি পেয়ে যান। তাই তারা আমাকে ভীষণ পয়া মনে করতেন। জে ১৮৮১ সি আর পার্কে বাড়ি করেন। এসি সেন ও শীলা সেনের এক ছেলে, এক মেয়ে- শঙ্খ, গার্গী। ওরা পড়ত দিল্লির মডার্ন স্কুলে। মাঝেসাজে ড্রাইভার দয়াল সিংয়ের আসতে দেরি হলে কখনোসখনো আমি পৌঁছে দিয়ে আসতাম। ’৭৭-’৮০-’৮৫ সাল পর্যন্ত দিল্লির পথঘাট খুব ফাঁকা। যেতে ১৫-২০ মিনিটের বেশি লাগত না। তখন মডার্ন স্কুলে শঙ্খ-গার্গীর সঙ্গে রাজীব গান্ধীর ছেলে-মেয়ে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাও পড়ত। সেখানে পড়ত শর্মিলা চক্রবর্তী মিলু। মিলুর সঙ্গে শঙ্খ-গার্গীর খুব ভাব। ওরা মিলুর বাড়ি গেলে কখনোসখনো আমাকেও নিয়ে যেত। বড় সরল সোজা মানুষ। বাবা কমলাপ্রসাদ চক্রবর্তী, মা অরুণা চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান শর্মিলা চক্রবর্তী মিলু। একদিন হঠাৎ বলে বসে, ‘কাকু কাকু, আমার কোনো ভাই নেই, দাদা নেই। তুমিই আমার দাদা। আমি তোমাকে ভাইফোঁটা দেব, রাখী বাঁধব।’ ’৭৮ সালে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ায় থাকতাম। সেখান থেকে ১৫-২০ কেজি নানা ধরনের মিষ্টি, কিছু ফলফলারি, কাপড়-চোপড় নিয়ে ভাইফোঁটা নিতে গিয়েছিলাম। সেই থেকে আমি মিলুর রাখীভাই। মিলুর বাবা-মা বিষয়টা কীভাবে নিয়েছিলেন, তাদের কোনো Reservation ছিল কি না বলতে পারব না। তবে মিলু সারা জীবন মায়ের পেটের বোনের মতোই করেছে, এখনো করে। মিলুদের আদি বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরের ডিঙ্গামানিক। কোনো দিন দেখেনি। মিলুর বাবা কে পি চক্রবর্তী ৫১-৫২ বছর বয়সে হঠাৎই মারা যান। মিলু তার বর অখিল বকশীকে নিয়ে আমার বাড়ি ঘুরে গেছে। গ্রামের বাড়িতেও গেছে। পরে হরিয়ানার গোরগাঁওয়ে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ওদের বাড়িতে গেলে অখিল তার পরিচিত প্রায় সবার কাছে গর্ব করে বলে বেড়িয়েছে, ‘বিয়ের কত বছর পর টাইগারদার বাড়ি গিয়ে মনে হয়েছে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম’ শুনে আমাদের সত্যিই ভালো লেগেছে। মিলুদের বাড়ির পাশে শঙ্খ-গার্গীদের বাড়িতে থাকতাম। প্রায় ১২-১৩ বছর মাঝেসাজেই জে ১৮৮১ সি আর পার্কের বাড়িতে কাটিয়েছি। একসময় বাড়িটি আমার নিজের বলেই মনে হতো। বাংলাদেশের এমন কোনো নেতা ছিলেন না যারা আমাকে চেনেন-জানেন তারা সি আর পার্কে যাননি, থাকেননি, খাননি। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার বোন শেখ হাসিনাও দু-তিন বার তার বাড়ি গেছেন, খেয়েছেন। রক্তের সম্পর্কই যে শেষ কথা নয়- আত্মার সম্পর্কই বড় কথা। এক অর্থে জগৎস্রষ্টা বাবা আদম-মা হাওয়াকে দিয়ে মানবসভ্যতার সূচনা করেন। সেই অর্থে দুনিয়ার সবাই সবার ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন। সেদিক থেকে সব পরীক্ষায় মিলু উতরে গেছে অনেক আগেই। এত বছরে মাসিও উতরে গেছেন। তাই তাঁর কথা ফেলার নয়। মাসি অরুণা চক্রবর্তী স্বামীর এবং বোন শর্মিলা বকশী বাপ-দাদার ভিটে দেখেননি। তাই একবার নারায়ণগঞ্জের পাগলার মেরী আন্ডারসন ঘাট থেকে স্পিডবোটে সুরেশ্বরের ডিঙ্গামানিক গিয়েছিলাম। বাপ-দাদার বাড়ি ডিঙ্গামানিকে শ্রীশ্রীরামঠাকুরের আশ্রম দেখে তারা যেমন খুশি হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি এলাকার লোকেরাও ভীষণ খুশি হয়েছিল। তাই মাসির অনুরোধ পায়ে দলতে পারিনি। ভাওয়াল ষড়যন্ত্র, ভাওয়াল সন্ন্যাসী সত্যিই একটি সত্য ঘটনা। সেটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ভাওয়াল জমিদারি নিয়ে অনেক বাংলা বই পড়েছি। কিন্তু ইংরেজি লেখা এই প্রথম। ভাওয়ালের ওপর ‘BHAWAL : A TRUE STORY’ অধ্যক্ষ অরুণা চক্রবর্তীর এ প্রয়াস অসাধারণ। ছোটবেলায় দেখা ভাওয়াল সন্ন্যাসীর মামলার যাত্রাপালার কথা খুব মনে পড়ে। শীতকালে বার্ষিক প্রদর্শনী ও মেলা উপলক্ষে শহরে অথবা আশপাশে কোনো ধনাঢ্য রসিক ব্যক্তির বাড়িতে এ পালা হলে তার একটা আসর পড়ত আশপাশে। বাড়ি বাড়ি আড্ডায়-আড্ডায় চলত নানারকম আলাপ-আলোচনা। তাতে বর্ষীয়ানদের মুখে শোনা যেত ওই মামলার অনেক ঘটনা। ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলায় ভাওয়াল এস্টেট। আয়তন প্রায় ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার, সেকালে জনসংখ্যা ছিল ৫ লাখের বেশি। মালিক তিন ভাই, তবে মেজো ভাই রমেন্দ্র নারায়ণ রায়কে নিয়ে যত ঘটনা। তিনি ছিলেন ঘোরতর উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। শিকার, ইয়ার নিয়ে আমোদ-ফুর্তি ও নারীসঙ্গ ছিল তাঁর দিনরাতের একমাত্র কর্ম। রক্ষিতা পুষতেন কয়েকজন। তবে ভীষণ প্রজাহিতৈষী ছিলেন।

১৯০৫ সালে সিফিলিসে আক্রান্ত হন রমেন্দ্র, ১৯০৯ সালে দর্জিলিং যান চিকিৎসা ও হাওয়া বদল করতে। ৮ মে মারা যান বলে খবর মেলে সেখান থেকে। জয়দেবপুরে তাঁর শ্রাদ্ধ হয় এক দিন পর ১০ মে। তখন রমেন্দ্রের বয়স ২৫ বছর। কিছুদিন পর খবর রটে, মৃতদেহ সৎকারে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাহ করা হয়নি। চিতায় আগুন দেওয়ার ঠিক পূর্বক্ষণে হঠাৎ প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় শ্মশানযাত্রীরা সবাই দূরে কোথাও আশ্রয় নেন। ফিরে এসে তাঁরা দেহ পাননি। কাজেই দেহ সৎকার নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন। কয়েক বছর পর আরও গুজব রটে, তিনি নাকি বেঁচে আছেন এবং সন্ন্যাসী হিসেবে জীবন কাটাচ্ছেন। রমেন্দ্রের তরুণীবধূ বিভাবতী দেবী ফিরে আসেন ঢাকায়। তাঁর অভিভাবক হন ভাই সত্যেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে মারা যান ভাওয়ালের অন্য দুই কুমার। তখন বিধবাদের পক্ষ থেকে এস্টেটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ রাজের ‘কোর্ট অব ওয়ার্ডস্’।

১৯২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ ঢাকার বাকল্যান্ড বাঁধে আবির্ভাব হয় এক সাধুর। তাঁকে নিয়ে গুজব রটে যায়, সন্ন্যাসী হয়ে ফিরে এসেছেন রমেন্দ্র নারায়ণ। লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সন্ন্যাসী নিজেকে ভাওয়ালের মেজোকুমার বলে পরিচয় দেন, পরিচয়ের পক্ষে বিভিন্ন প্রমাণও দেন। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া, গোপন জীবনযাপন করা, অবশেষে ফিরে আসা প্রভৃতি বিষয়ে বহু কৌতূহলী প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর দেহের বিভিন্ন চিহ্ন, ভাবভঙ্গি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দেখে কুমারদের বড় বোন জ্যোতির্ময়ী দেবী নিশ্চিত হন- সন্ন্যাসীই তাঁর ভাই রমেন্দ্র নারায়ণ। এরপর প্রকাশ্যে হাজার হাজার প্রজাসাধারণের সামনেও রীতিমতো সভা করে (১৫ মে) জানানো হয়। তখন ঢাকার কালেক্টর জে এইচ লিন্ডসে। দুজন উকিল ও স্থানীয় এক জমিদারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সন্ন্যাসী। ৩ জুন ভাওয়াল জমিদারিতে এক ইশতেহার জারি করেন লিন্ডসে- ‘ভাওয়ালের দ্বিতীয় কুমারের মৃতদেহ ১২ বৎসর আগে দার্জিলিং শহরে ভস্মাৎ হইয়াছিল। সুতরাং যে সাধু দ্বিতীয় কুমার বলিয়া পরিচয় দিতেছে সে প্রতারক। যে কেউ তাকে খাজানা অথবা চাঁদা দিবেন তিনি তাহার নিজের দায়িত্বে দিবেন।’ ১০ জুন মির্জাপুর হাটে ঢোলসহরৎ দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রচার করার সময় রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রজারা চড়াও হন এস্টেটের কর্মচারীদের ওপর। পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটলে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন প্রজা ঝুমর আলি। শুরু হয় সরকার ও জনতার মধ্যে বিরোধ। সরকার ও বিভাবতী দেবী যতই বোঝাবার চেষ্টা করেন ইনি তিনি নন, জনতা তত পাগল হয়ে ওঠে তাঁর নামে। একপর্যায়ে ব্রিটিশ কালেক্টরকে খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রজারা। এ আন্দোলনের মূলে সক্রিয় ছিল তখনকার জনমনে প্রজ্বলিত স্বাধীনতা-চেতনা।

শেষে প্রকৃত কুমার পরিচয় নিষ্পন্ন করতে ১৯৩০ সালের ২৪ এপ্রিল মামলা শুরু হয় ঢাকা কোর্টে। বাদীপক্ষের দাবি, সন্ন্যাসীই কুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায়চৌধুরী, ভাওয়াল এস্টেটের সমুদয় সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ তাঁর প্রাপ্য। কুচক্রীদের চাপে এবং সম্পত্তির লোভে একবারও স্বামীকে চাক্ষুষ না দেখেই তাঁর পরিচয় মানতে অস্বীকার করেন বিভাবতী দেবী।

মামলার বিবাদীপক্ষ মেজো রানী বিভাবতী দেবী, তাঁর মুখপাত্র ভাওয়াল এস্টেটের ম্যানেজার, বড় রানী সরযূবালা দেবী, ছোট রানী আনন্দকুমারী দেবী ও ছোট রানীর দত্তক পুত্র রামনারায়ণ রায়চৌধুরী।

ঢাকার ফার্স্ট অ্যাডিশনাল জজ পান্নালাল বসুর কোর্টে পরিচালিত এ মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বিজয়চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আর বিবাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অমিয়নাথ চৌধুরী। মামলার শুনানি শুরু হয় ৩০ নভেম্বর, ১৯৩৩ সালে। রায় ঘোষণা হয় ১৯৩৬ সালের ২৪ আগস্ট। ৫২৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়- ‘বাদী কুমার রমেন্দ্র নারায়ণ রায়, ভাওয়ালের প্রয়াত রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের দ্বিতীয় পুত্র।’

রানী বিভাবতী দেবী ও তাঁর ভাই সত্যেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টে আপিল করেন। সেখানে পুনর্বিচার শুরু হয় ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর, চলে ১৯৩৯ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয় ১৯৪০ সালের ২৯ আগস্ট- ‘ঢাকার ফার্স্ট অ্যাডিশনাল জজ পান্নালাল বসুর রায় যে পাল্টানো দরকার, আপিলকারীরা তথ্য-সহযোগে এমন কথা প্রতিষ্ঠা করতে অসমর্থ হয়েছেন।’ রানী বিভাবতীর আপিল বাতিল হয় ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মে মাসে হাই কোর্টে জয়ী হওয়ার পর ভাওয়ালের এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি আসে রাজা সন্ন্যাসীর দখলে। সে সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে পি কে ঘোষকে ম্যানেজার নিয়োগ করেছিলেন তিনি।

রানী বিভাবতী কিন্তু দমেননি। তিনি আপিল করেন লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলে। তাঁর পক্ষে লড়েন ডবলিউ কে পেজ। সন্ন্যাসীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডি এন প্রিন্ট। ১৯৪৬ সালের ৩০ জুলাই রায় ঘোষণা হয়। এবারও বাতিল হয়ে যায় আপিল।

সম্পত্তির অধিকার ফিরে পেলেও স্ত্রীর অধিকার পাননি সন্ন্যাসী। এ অধিকার যে আর পাওয়ার নয় তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ অবস্থায় ১৯৪২-৪৩ সালে সরযূবালা দেবী দেবরের বিয়ে দেন ধারা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কনে ধারার বয়স তখন তিরিশের কোঠায়। বিয়ে হয় কাশীতে, যথেষ্ট ধুমধামের সঙ্গে।

ওদিকে বিভাবতীর সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল মামলায় তাঁর সহায়তাকারী ও একান্ত অনুগত ডা. আশুতোষ দাশগুপ্তের। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট কানাঘুষা আর হাসাহাসি হতো সে সময়। বিভাবতীর ভাই সত্যেন্দ্র আর ডা. আশুতোষ ছিলেন সব ষড়যন্ত্রের মূলে। অথচ এই আশুতোষকে মেজো কুমার রাস্তা থেকে তুলে এনে লেখাপড়া শিখিয়ে ডাক্তার বানিয়েছিলেন।

প্রিভি কাউন্সিলের রায়ের খবর পরদিন (৩১ জুলাই, ১৯৪৬) কলকাতায় পৌঁছায়। সেদিন সন্ধ্যায় সন্ন্যাসী যাচ্ছিলেন ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে পূজা দিতে। রাস্তায় বেরোনোর সময় হঠাৎ তিনি আক্রান্ত হন হৃদরোগে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে নেওয়া হয় তাঁকে। ১ আগস্ট, ৬৩ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভাওয়ালের রাজা সন্ন্যাসী।

রানী বিভাবতী বেঁচেছিলেন আরও ২০ বছর। সবসময় তিনি বলতেন, ‘পৃথিবীর বিচারকদের বিচারে পরাজিত হলেও ওপরের বিচারকের বিচারে হার হয়নি তাঁর। বহু বছর আগে যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর পরিচয় নিয়ে যে প্রতারক যাচ্ছিল দেবীকে পূজা দিতে, তাঁকে সমুচিত শাস্তি দিয়েছেন দেবী।’

ভাওয়াল সন্ন্যাসীর কাহিনি এ দেশের লোকমানসে সৃষ্টি করেছিল এক বিরাট উপাখ্যান। এ নিয়ে অনেক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটকও লেখা হয়েছে প্রচুর। এখনো হচ্ছে। একসময় ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ ছিল বিপুল জনপ্রিয়তায় ধন্য পালাগান। চলচ্চিত্রেও সাফল্যের সঙ্গে রূপায়িত হয়েছে এ কাহিনি। ঢাকায় ‘রাজা সন্ন্যাসী’ (পরিচালক : খান আতাউর রহমান) ও ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ (পরিচালক : রওনক চৌধুরী) নামে দুটি ছবি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। প্রথমটিতে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেন আজিম ও শবনম, দ্বিতীয়টিতে করেন খলিল ও রেশমা। কলকাতায় একই কাহিনি অবলম্বনে পীযূষ বসুর পরিচালনায় নির্মিত ‘সন্ন্যাসী রাজা’ মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। এতে মেজোকুমার ও বিভাবতীর চরিত্রে রূপ দিয়েছেন উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবী। আমি অধ্যক্ষ অরুণা চক্রবর্তীর ‘ভাওয়াল একটি সত্য ঘটনা’ বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাক- এই কামনা করি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

এই মাত্র | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন

নগর জীবন

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন

ইচ্ছা হলে হাসুন
ইচ্ছা হলে হাসুন

রকমারি রম্য

কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়
কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক
ভিসেরা প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘসূত্রতায় রমেক

নগর জীবন

গরম খাবার
গরম খাবার

রকমারি রম্য

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

মূল্যবৃদ্ধি
মূল্যবৃদ্ধি

রকমারি রম্য

হিতে বিপরীত
হিতে বিপরীত

রকমারি রম্য

৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
৫৩ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

নগর জীবন