সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রবাসী আয়ে অস্থিরতা

হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর এ পর্যন্ত ১১ লাখ অর্থাৎ রেকর্ড পরিমাণ কর্মী গেছে বিদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বিদেশে কর্মরত। এদের একাংশ পশ্চিমা দুনিয়ায় অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও তারা স্বজনদের জন্য নিয়মিত অর্থ পাঠান। বিদেশে বিপুল পরিমাণ কর্মী পাঠানোর ঘটনা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করলেও হুন্ডিবাজদের কারণে তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করে সৌদি আরবে। দীর্ঘকাল ধরে রেমিট্যান্স আয়ের প্রধান উৎস ওই দেশটি। কিন্তু এ বছর সৌদি আরবকে পেছনে ফেলে সে স্থান দখলে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে- ৯৯ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদির চেয়ে ৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে হুন্ডিবাজদের থাবা না থাকায় প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের প্রায় সবটুকুই দেশে এসেছে বৈধ পথে। তারা আগেও যা পাঠাতেন এবারও সে পরিমাণ অর্থই পাঠিয়েছেন। কিন্তু সৌদি আরবের প্রবাসীরা হঠাৎ বৈধ পথে টাকা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। আর এতেই শীর্ষ স্থান হারিয়েছে সৌদি আরব। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি আরও কমতে থাকবে।  জ্বালানি তেলসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সুবিধাভোগী হলো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।  বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও এসব দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। কিন্তু হুন্ডিবাজ এবং রাজনৈতিক মতলববাজদের কারণে বৈধ পথে অর্থ আসা বন্ধ হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র রুখতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল প্রতিটি পরিবারের ওপর নজর রাখতে হবে। অবৈধ পথে যারা অর্থ পাঠায় তাদের দুষ্কর্ম ঠেকাতে প্রশাসনকে শক্ত হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর