শিরোনাম
শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হোক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ যাবৎ বেশ কয়েকবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আনার চেষ্টা করলেও চীন ও রাশিয়ার কারণে তা পাস হতে পারেনি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের কেউ কোনো প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তা অকার্যকর হয়ে যায়। সর্বশেষ প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত থাকায় প্রকারান্তরে বাংলাদেশের প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের অবস্থান গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিন্ন বন্ধু ভারত নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে প্রস্তাবটি পাস হলো। মিয়ানমারে বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জরুরি অবস্থা, বন্দি মুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্য কর্তৃক উত্থাপিত ‘মিয়ানমার পরিস্থিতি’ বিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ বাংলাদেশ থেকে তাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ভোটাভুটি পর্বে মিয়ানমার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রস্তাবনার বিপক্ষে কোনো সদস্য ভোট অথবা ভেটো দেয়নি। তিন মাস ধরে প্রস্তাবটি নিয়ে সমঝোতা প্রয়াসের পর তা নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মিত কার্যকলাপের অংশ হয়ে গেল। একই সঙ্গে এটি রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে। বলা যায়, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে বাংলাদেশ।

মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তাদের সংখ্যা অন্তত ১২ লাখ।  বাংলাদেশ চায় মিয়ানমার তার নাগরিকদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাক। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্যও তা জরুরি।

সর্বশেষ খবর