সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রংপুর সিটি নির্বাচন

সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হোক গণতন্ত্র

রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামীকাল। জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুরের এ নির্বাচনই সম্ভবত সবচেয়ে বড় স্থানীয় নির্বাচন। এ নির্বাচন উপলক্ষে গত মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়েছে নির্বাচন প্রার্থীদের সব প্রচার-প্রচারণা। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নয়জন মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মূল লড়াই হবে নৌকা-লাঙ্গলের মধ্যে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ৩৬টি বেড়ে কেন্দ্রের সংখ্যা হয়েছে ২২৯টি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশ ৮৬ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনের তুলনায় ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন। এবার ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এ ছাড়াও এবার স্থায়ী ভোটকক্ষ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ আছে ১৯৩টি। এদিকে ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করা যাবে না- দেওয়া হয়েছে এমন বিধিনিষেধ। রংপুর সিটি করপোরেশনের আগের দুটি নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।  নির্বাচন কমিশনের ওপর ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা সৃষ্টিতে সুষ্ঠুভাবে সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে তারা সবকিছুই করবেন এমনটিই প্রত্যাশিত। রংপুর ঐতিহ্যগতভাবে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে কি না তা এই সিটি নির্বাচনের ফলাফলে বোঝা যাবে।  বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের সমর্থকদের ভোট যে ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে তা সহজেই বোধগম্য। রংপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যক্তি বা দল নয়, গণতন্ত্র জয়ী হোক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর