প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় এবং ইন্ধন না জোগাতে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ করেছেন। বলেছেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তি ও শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন করবে। যদি বিজয়ী না করে তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। একই সঙ্গে কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের এবং জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে সেদিকেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের যে অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। গণরায় মেনে নিয়ে ১৯৭০ সালে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্যদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। তারা বাঙালি জাতির ওপর গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। স্বাধীন বাংলাদেশেও গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে বঙ্গবন্ধুর গড়ে তোলা দলটি। আমাদের বিশ্বাস, এ ঐতিহ্য রক্ষায় ক্ষমতাসীন দল তাদের বিঘোষিত নীতিতে অটল থাকবে। সব দলকে নির্বাচনে এনে গণতন্ত্রকে অর্থবহ করে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।