মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সোনা চোরাচালান

বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করুন

ভারতে পাচারকালে গত এক বছরে ১৬০ কেজি সোনাসহ ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক সোনা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সীমান্তে এক বছরে এই বিপুল সোনা আটক তারই ইঙ্গিত। অনুমান করা যায়, এই সময়ে আটক সোনার বহুগুণ পাচার হয়েছে। বলা বাহুল্য, এসব সোনা চোরাইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিমান, স্থল ও নৌ পথে বাংলাদেশে এসেছিল পাচারের উদ্দেশ্যেই। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সদস্যরা। জব্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ ব্যাটালিয়নের অধিভুক্ত সীমান্ত দিয়ে আটক সোনার পরিমাণ ৭৯ কেজি ৪৭৩ গ্রাম; যার বাজারমূল্য ৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা। এসব সোনা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজিবি ১৬ জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে ২১ বিজিবি খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিভুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় জব্দ করা হয় ৪৬ কেজি ৭৩৭ গ্রাম সোনা; যার মূল্য প্রায় ৩২ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ১৭৮ টাকা। এসব সোনা পাচারে জড়িত অভিযোগে বিজিবি ১৮ পাচারকারীকে আটক করে। অন্যদিকে যশোরের শার্শা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ভারতে পাচারকালে অভিযান চালিয়ে ১৭ কেজি ৮ গ্রাম সোনাসহ চারজনকে আটক করেছে। ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে শার্শার সাতমাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করা হয়। সোনা পাচার বন্ধে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ভূমিকা পালন করলেও এ ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জিত হচ্ছে না বিস্তীর্ণ সীমান্তের জন্য।  এ ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জনে ভারত সীমান্তে প্রহরা জোরদারের পাশাপাশি যেসব পথে বাংলাদেশে সোনা চোরাচালান হয়ে আসছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর প্রহরা জোরদার করার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর