শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

লু সাহেবের আসা-যাওয়া

মহিউদ্দিন খান মোহন

লু সাহেবের আসা-যাওয়া

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তার এ সফরকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আশা এবং শঙ্কার বুদ্বুদ উঠেছিল। বিএনপি খুবই আশাবাদী ছিল, মি. লু হয়তো এমন কিছু বলবেন যা তাদের আন্দোলনের পালে নতুন হাওয়া লাগাবে। অন্যদিকে সরকার পক্ষের আশঙ্কা ছিল লু এমন কিছু বলেন কি না যাতে বিরোধীরা নতুন ইস্যু পেয়ে যায়। ফলে মাঘের এ প্রচণ্ড শীতে ডোনাল্ড লুর এ সফর দেশের রাজনীতির হাওয়ায় নতুন উত্তাপ ছড়াবে কি না তা নিয়ে জনমনে ঔৎসুক্যের কমতি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের এ মধ্যসারির কর্মকর্তার সফর শেষে এটা বোঝা যাচ্ছে, সরকারপক্ষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, অন্যদিকে ‘বিদেশিদের চাপকে’ কাজে লাগিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে কাক্সিক্ষত ফল লাভের যে আশা বিএনপি করেছিল সে আশার বেলুন চুপসে গেছে। কেননা, ডোনাল্ড লু তার সফরকালে গণমাধ্যমে যেসব কথা বলেছেন, তাতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কোনো প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়নি। বরং আলোচিত এলিট বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের যে প্রশংসা তিনি করে গেছেন তাতে সরকার অনেকটাই চাপমুক্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে বিএনপিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। কিন্তু ডোনাল্ড লু কেন বিএনপিকে এড়িয়ে গেলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা কিছুটা বিস্মিত। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করছে

১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার পর ১৫ জানুয়ারি ডোনাল্ড লু সিরিজ বৈঠক করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে প্রাতরাশ সেরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে। পরে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। এরপর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডোনাল্ড লু। মার্কিন এ কর্মকর্তার এসব বৈঠক ও সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ সন্দেহ নেই। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভালো বন্ধু ও উন্নয়ন পার্টনার এবং এ দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তারা বরাবরই সজাগ, তাই লুর এ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষক মহল। সফর শেষে উড়াল দেওয়ার আগে তিনি যেসব কথা বলে গেছেন তাকে ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন অনেকেই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কোনো সমস্যা দেখি, তখন আমরা বিষয়টি উত্থাপন করি এবং পরামর্শ দিতে পারি।’ র‌্যাব প্রসঙ্গে লু বলেছেন, ‘র‌্যাবের বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি লক্ষ্য করলে দেখবেন বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে র‌্যাবের অসাধারণ অগ্রগতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, মানবাধিকার সমুন্নত রেখে র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভালো কাজ করছে।’ অন্যদিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ডোনাল্ড লু জানতে চান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র ও সর্বজনীন মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলমান সংস্কার অব্যাহত থাকলে র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন মি. লু। (সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩)। লক্ষণীয় যে, ডোনাল্ড লু এ সফরে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো বৈঠক করেননি। এমনকি তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন সেখানেও বিএনপি ঘরানার কেউ উপস্থিত ছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার সফরে বিএনপির এ মাইনাস অবস্থান বাংলাদেশের রাজনীতি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী কি না বা এ দেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। স্মরণযোগ্য যে, মার্কিন সরকার র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিএনপি প্রকাশ্যে না বললেও আকারে ইঙ্গিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল এবং এরকম আরও নিষেধাজ্ঞার কবলে বাংলাদেশ পড়তে যাচ্ছে বলে দলটির বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। কেন হয়নি তা বাইরে থেকে বলা মুশকিল। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে সরকারের পররাষ্ট্র দফতর এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। যে জন্য নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ডোনাল্ড লুর এ সফর বিএনপিকে কিছুটা হতাশ করেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৮ জানুয়ারি সংবাদ ব্রিফিংয়ে যেসব কথা বলেছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে, ঢাকায় ডোনাল্ড লুর কথাবার্তা তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তিনি বলেছেন, ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে। সরকার মিডিয়াকে ব্যবহার করে জোর করে বলতে চেয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। তারা এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। মির্জা আলমগীর আরও বলেছেন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) যে বিবৃতি দিয়েছে, ‘দ্যাটস ইজ এনাফ টু এক্সপ্লেইন দিস। দূতাবাসের সেই স্টেটমেন্টে সেটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে।’ (১৯ জানুয়ারির পত্রিকা)। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হোক সেটা তারা চান না। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের এমন মনোভাব দুঃখজনক সন্দেহ নেই। অন্যদিকে এ বিষয়ে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ১৮ জানুয়ারির পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ডোনাল্ড লু ঢাকায় বাংলাদেশ সরকারের তিনজন মন্ত্রীসহ ছয়জন দায়িত্বশীল নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকের কোনোটিতেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়নি। লুর সঙ্গে বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে’- সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সংবাদমাধ্যমে এ বক্তব্য দিলেন।

বিষয়টি নিয়ে যে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রকৃতপক্ষে ডোনাল্ড লু কী বলেছেন তা বাইরে থেকে বলা সম্ভব নয়। দুই পক্ষ যদি তা পরিষ্কার না করে তাহলে একটি রহস্যের কুয়াশা থেকেই যাবে। তবে মন্ত্রীদের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে তাতে তারাও বলেননি মি. লু র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেছেন। এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৮ জানুয়ারি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে মানবাধিকারের ব্যাপক উন্নতির কথা স্বীকার করেছেন। তাই দেশটি নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। র‌্যাব নিয়ে লুর সঙ্গে তার কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, আমি এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলিনি। তার কারণ, র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তোলার ক্ষেত্রে একটি আইনি পদ্ধতি আছে। আমরা সে পদ্ধতি অনুসারে এগোচ্ছি। সে অনুসারে র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। এখানে লক্ষণীয় হলো- সরকারের মন্ত্রীদের কেউই বলেননি ডোনাল্ড লু র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলে গেছেন। তারা যেটা বলেছেন সেটাকে আশাবাদ হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়। আর এ ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করা অসঙ্গত নয়, মিথ্যাচারও নয়। ফলে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বিএনপি মহাসচিব যা বলেছেন তা কতটা গ্রহণযোগ্য ভেবে দেখার অবকাশ আছে। তা ছাড়া ডোনাল্ড লু সরকারের মন্ত্রী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কে যেসব ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন সেসব সম্পর্কে মির্জা সাহেব কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। অথচ দেশ সম্পর্কে বিদেশি একটি রাষ্ট্রের ইতিবাচক মন্তব্যকে স্বাগত জানানোটাই ছিল স্বাভাবিক ও শোভনীয়। কিন্তু সেটা না করে যে-ই দূতাবাসের পক্ষ থেকে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হলো, অমনি তারা সেটা লুফে নিলেন। এ থেকে ডোনাল্ড লুর সফরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিএনপির মনোবেদনার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। তারা হয়তো আশা করেছিলেন ডোনাল্ড লু ঢাকায় এসে সরকারকে এক হাত নেবেন আর তা দেখে তারা হাততালি দেবেন। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে একেবারে উল্টো। লু এমন কোনো মন্তব্য করেননি যাতে সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে কিংবা নতুন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া মি. লু তার এ সফরে বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দলের সঙ্গেই সৌজন্য সাক্ষাৎ বা বৈঠক করেননি। তার কর্মসূচি সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যেই সীমিত ছিল। লু যদি বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করতেন তাহলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ করতে পারতেন। সে সুযোগ না পাওয়ায় তারা যে হতাশ তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। ডোনাল্ড লুর সফরসূচিতে কেন বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অন্তর্র্ভুক্তি ছিল না তা নিয়ে জনমনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা নিতান্তই একটি সরকারি সফর ছিল বিধায় লু তার কর্মসূচি সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মধ্যেই সীমিত রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি তো সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাহলে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে অসুবিধা ছিল কোথায়? শোনা যায়, ওই রকম একটি বৈঠকের চেষ্টা করেও বিএনপি নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে সরকারের বাইরে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে বিএনপিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। কিন্তু ডোনাল্ড লু কেন বিএনপিকে এড়িয়ে গেলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা কিছুটা বিস্মিত। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করছে? তারা কি সরকারের প্রতি নমনীয় হতে শুরু করেছে? যদি তাই হয়, তাহলে বিএনপি এতদিন যে আশা নিয়ে বসেছিল সে আশার গুড়ে বালি পড়ল কি না।

অন্যদিকে ডোনাল্ড লুর সফরের পর সরকারি শিবিরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার লক্ষণ স্পষ্ট। তারাও এতদিন মানসিক চাপে ছিলেন লু এসে কী বলেন তা নিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা কিংবা আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে মি. লু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কী বার্তা নিয়ে আসছেন- এটা ছিল ভাবনার বিষয়। কিন্তু ডোনাল্ড লু তার সফরকালে প্রকাশ্যে এমন কিছু বলেননি যা সরকারকে নতুন কোনো চাপের মধ্যে ফেলতে পারে। বরং র‌্যাবসহ অন্যান্য বিষয়ে তার মন্তব্যকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এক ধরনের সবুজ সংকেত বলেই মনে করছেন।

তবে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল বলছেন, এখনই সবকিছু নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। কেননা ডোনাল্ড লুর বক্তব্য মার্কিন সরকারের শেষ বক্তব্য বলে ধরে নেওয়ার উপায় নেই। যে কোনো ইস্যুতে যে কোনো সময় তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। তাই এখনই বলা যাবে না লু সাহেবের এ সংক্ষিপ্ত সফর বাংলাদেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহাওয়াকে শীতল করবে নাকি লু-হাওয়া প্রবাহিত করবে।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর