মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধভাবে সিগারেট আমদানি

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

দুনিয়ার সিংহভাগ দেশের মতো বাংলাদেশও যখন ডলার সংকটে ভুগছে তখন মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় পণ্য। খাদ্যপণ্য ও ওষুধের কাঁচামালের নামে দেশে আসছে কোটি কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট। এনবিআরের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে সিগারেটসহ নানা অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত সিগারেট দেশের সব অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের নজরেও এসেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের অলিগলি থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেদার বিক্রি হচ্ছে এসব সিগারেট। কম মূল্য, আকর্ষণীয় মোড়ক, ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভার ও সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্মের ধূমপায়ীরা ঝুঁকছে এসব সিগারেটে। এতে একদিকে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিপুল অর্থ। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। অবৈধ বিদেশি সিগারেটের দৌরাত্ম্যে চলতি অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় তামাক খাত থেকে রাজস্ব আদায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে উচ্চ স্তরের সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় কমেছে ৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির ধারা অনুযায়ী, বছরের বাকি ছয় মাসে এটা আরও কমবে। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে সিগারেট আমদানিতে সরকার শুধু চলতি অর্থবছরে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের এক চিঠিতে জানানো হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় দেশের অর্থনীতি যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন শত শত কোটি টাকা অপচয় করে সিগারেটের মতো তামাকজাত পণ্য আমদানি নিঃসন্দেহে একটি বড় অপরাধ। চলমান অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধকে সরকার যখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে তখন শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশবাসীকে তামাকে আসক্ত করার অপকর্মে যারা লিপ্ত তাদের খুঁজে বের করা এবং আইনের আওতায় আনা সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর