রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া

সামাল দিতে প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জনমনে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। সরকারের কাছে দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। স্বীকার করতেই হবে, এ বিষয়ে কোনো সরকারের সদিচ্ছার অভাব থাকার কথা নয়। কারণ যে কোনো সরকারের জনপ্রিয়তা অনেকাংশে নির্ভর করে নিত্যপণ্যের দাম সরকার কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে তার ওপর। কিন্তু করোনাভাইরাসের পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ দুনিয়াজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করেছে তাতে আমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের দাম সামাল দেওয়া সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমদানিনির্ভর নিত্যপণ্য শুধু নয়, দেশে উৎপাদিত সব পণ্যের দামও বাড়ছে হু হু করে। বাড়ছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম। সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে উঠছে মূল্যবৃদ্ধির দাপটে। জানুয়ারি মাসে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তা এখন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফার্মের মালিকরা খাবারের দাম ও সরবরাহের খরচ বৃদ্ধির কথা বলে মুরগির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ নিম্নআয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা। তারা বলছেন, দামের কারণে গরু কিংবা খাসির মাংস অনেক আগে থেকেই নাগালের বাইরে। এখন ব্রয়লার মুরগির দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সপ্তাহে অন্তত এক দিনও মাংস খাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী ২৮০-৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল।  এ ছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকায়। মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার দাপটে স্বল্প আয়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি এবং  ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারীদের মুনাফাখোরি মনোভাব জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার চোখ-কান খোলা রাখবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর