শিরোনাম
শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রমজানের নিত্যপণ্য

আমদানি নিশ্চিত করুন

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের এক বড় অংশ আমদানিনির্ভর। চাল, গম, ডাল, তেল, চিনি, আদা, রসুন, পিঁয়াজের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আসে বিদেশ থেকে। রমজান উপলক্ষে তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় বিপুলভাবে। রমজান ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেললেও সেভাবে নিত্যপণ্য আমদানি হচ্ছে না। এ জন্য দায়ী ডলার সংকট। ব্যবসায়ীদের অনেকে বেশি দামে পণ্য বিদেশ থেকে কিনে এনে ‘মুনাফাখোর’ এমন সস্তা সমালোচনায় বিদ্ধ হতে চাচ্ছেন না। ফলে রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের আমদানি গতি পাচ্ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহজনিত সংকট রয়েছে। পণ্যের দামের পাশাপাশি বেড়েছে জাহাজ ভাড়া। গ্যাস সংকটের কারণে বিঘিœত হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনও। এ পরিস্থিতিতে ডলারের সংকট বড় বেশি চাপ সৃষ্টি করেছে বাজার পরিস্থিতির ওপর। নিত্যপণ্য আমদানিতে ডলারের কোটা রাখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। রোজায় পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠিও পাঠিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে সামগ্রিক পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এফবিসিসিআইয়ের সভাতেও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, তাদের ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাংকে ডলারের অভাবে আমদানি করতে পারছেন না। ডলারের সংকট নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এক বৈঠকে বলা হয়েছে, দেশীয় বাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে আসছে রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। ডলার সংকট নিত্যপণ্যের আমদানিও কমিয়ে দিয়েছে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এলসি খোলার হার কমেছে ১৪ শতাংশ। গত জুলাই ডিসেম্বর সময়ে চিনি আমদানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৪৫ টন, পাম অয়েল আমদানি কমেছে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন, ছোলা আমদানি কমেছে ১৪ হাজার ১৬৪ টন। ফলে রমজানে বাজারে অসহনীয় সংকট না চাইলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর