বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্ষমতার চিরস্থায়ী ব্যবস্থা

মেজর আখতার (অব.)

ক্ষমতার চিরস্থায়ী ব্যবস্থা

সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে ১২৩-এর (৩) উপ-ধারায় সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে বর্তমানে যা বলা হয়েছে, তা হুবুহু নিম্নে তুলে ধরা হলো :

“নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময় ১২৩। ২[(৩) সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে : তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।]”।

সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বর্তমান সংবিধানে দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে যা সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীর পূর্বে ছিল না।  শাসক দল ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের স্বার্থে সংসদ নির্বাচনের ধরন পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে জনগণের প্রত্যাশার কোনো মিল নেই এবং জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্যও হয়নি। এই অদ্ভুত সংশোধনে জনগণের কোনো অভিপ্রায় ছিল বা আছে বলে অদ্যাবধি কোনো আলামতও দেখা যায়নি বা জনগণও তা গ্রহণ করে নিয়েছে এমন কোনো দালিলিক প্রমাণও নেই। সবাই অবগত আছেন তবুও ত্বরিত অবগতির জন্য সংবিধানের প্রথম ভাগ- প্রজাতন্ত্রে বর্ণিত ৭ অনুচ্ছেদটি হুবুহু তুলে ধরলাম :

“সংবিধানের প্রাধান্য ৭। (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।

(২) জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।” সংবিধান তার প্রাধান্য স্পষ্ট করতে গিয়ে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছে, “জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন...”। কাজেই সংবিধানের প্রতিটি শব্দ অবশ্যই জনগণের চরম অভিপ্রায় হতে হবে। নিছক খামখেয়ালি দলীয় বা ব্যক্তি স্বার্থে সংবিধানে কোনো কিছুই অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। বর্তমান সরকার যারা সংবিধানে এই বিতর্কিত সংশোধন আনয়ন করেছে তারাও কখনই দাবি করেনি, জনগণের অভিপ্রায়ের কারণে তারা সেটি করেছে। ক্ষমতাসীন সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছে উচ্চ আদালতের নির্দেশের কারণে তারা এই বিতর্কিত সংশোধন আনতে নাকি বাধ্য হয়েছিল। কাজেই সরকারের কথা স্পষ্ট যে, বর্তমান সরকার সংবিধানে যে পরিবর্তনগুলো এনেছে তার কোনোটিতেই জনগণের কোনো অভিপ্রায় ছিল না- চরম অভিপ্রায়ের তো প্রশ্নই ওঠে না।

তাই বলা যায়, সরকার তাদের স্বীয় স্বার্থে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা হিসেবে ১২৩ এর (৩) উপ-ধারাগুলো সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনীগুলো প্রথমত সরকার তার একান্ত স্বার্থে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখানে ক্ষমতাসীন সরকারের স্বার্থ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক অন্য কোনো পক্ষের ন্যূনতম স্বার্থ তো নেই, উল্টো তাদের বিরূপ পরিস্থিতিতে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সংবিধানের ১২৩। ২(৩) এর (ক) উপ-অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। তার পরিষ্কার মানে হলো সংসদ সদস্যরা ক্ষমতায় বিদ্যমান থেকে তারা নির্বাচন করবে যেখানে নির্বাচনকালে শতভাগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করবে। প্রধানমন্ত্রীসহ সব মন্ত্রী শতভাগ ক্ষমতা প্রয়োগ করার শতভাগ সাংবিধানিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করার ক্ষমতা রয়ে যাবে। নির্বাচন পরিচালনা ও সমুদয় ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে সরকারি কর্মকর্তারাই করে থাকে। বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা, আধা সামরিক বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম এমনকি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সেই সঙ্গে বিদেশি দূতাবাসগুলোও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনে প্রভাব রাখে। এমতাবস্থায় কারও বিশ্বাস করার সুযোগ নেই যে, ক্ষমতাসীন সরকারকে অবজ্ঞা বা পাশ কাটিয়ে উল্লিখিত কেউ নির্বাচনে তাদের স্বাধীন অবস্থান দৃশ্যমান করতে পারবে। খোদ জাতিসংঘও ক্ষমতাসীন সরকারের অনুকূলের বাইরে কোনো অবস্থান নিতে পারবে বলে বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীও বিশ্বাস করে না। সেখানে পুলিশ বা প্রশাসনের কারও সরকারের অনুকূলের বাইরে যাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। যথেষ্ট যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে বলা যায়, সংবিধানের ১২৩। ২(৩) (ক) উপ-ধারাটি ক্ষমতাসীন দলের একান্ত নিজস্ব স্বার্থেই করা হয়েছে। কাজেই এই ধারার অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই। সংবিধানের এই ধারার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানেই সরকারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং সরকারকে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী করিয়ে দেওয়া। সংবিধানের এই ধারার অধীনে নির্বাচনে যদি জাতিসংঘ নিজেও নির্বাচন তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করে তাহলেও শেষমেশ জাতিসংঘও সরকারের পক্ষেই থাকবে! কারণ ক্ষমতাসীন সরকার বলে কথা!

দ্বিতীয়ত, জনগণ মনে করে, সংসদ নির্বাচনের এই ধারাটি অত্যন্ত উদ্দেশ্যমূলক। নির্বাচন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নির্বাচনের সব কার্যক্রমে সরকার তার গোপন হাতের সব অপকর্ম করার অভূত সুযোগ পেতে দারুণভাবে সহায়তা করবে। সব সংবাদ মাধ্যমকে সরকারের অতি আপনজন হিসেবে অনায়াসে ধরে রাখতে পারবে। শুধু তাই নয়, খোদ নির্বাচন কমিশনকেও নির্বাচনে সহায়তা দেওয়ার নামে বিশেষ করে অর্থ বরাদ্দ, গোপন চাপে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের খেলা খেলে এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার চালে আটকিয়ে সরকারের গোপন স্বার্থ অনায়াসে হাসিল করে নিতে পারবে। এমন কি বিরোধী যে কোনো প্রার্থী সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হলে সরকার সেই প্রার্থীকে অনায়াসে নির্বাচনের বাইরে ছুড়ে ফেলে দিতে পারবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার যে কোনো চ্যালেঞ্জিং প্রার্থীর চরিত্রহরণ বা মিথ্যা ও বানোয়াট দোষে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে। তখন খোদ জাতিসংঘও সরকারের সিদ্ধান্তের অনুকূলের বাইরে কোনো অবস্থান নিতে পারবে না। তাই সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের বিদ্যমান ধারার আওতায় নির্বাচনে যাওয়া মানেই হলো সরকারের চাপে নতি স্বীকার করা; অথবা সরকারের কাছে তা প্রার্থী পর্যায়েই হোক বা শীর্ষ নেতৃত্বে পর্যায়ে হোক, বিক্রি হয়ে যাওয়া!

তৃতীয়ত, জনগণ মনে করে সংসদ ও সরকার বহাল ও চলমান রেখে আবার সংসদ নির্বাচনের ধারা সংবিধানে নিয়ে আসা মানেই হলো এতে সরকারের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। না হলে কী কারণে বা কোন যুক্তিতে সংসদ থাকতেই আরেকটি সংসদ গঠনের দরকার পড়বে। সংসদ তো রাষ্ট্র চালায় না। সংসদ না থাকলে রাষ্ট্র অচল হয় না। রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে রাষ্ট্রের স্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে যার কোনো শূন্যতা নেই। কিন্তু সংসদ রেখে আরেকটি সংসদ প্রতিষ্ঠা যে সাংঘর্ষিক তা স্পষ্ট করে ১২৩। ২(৩)(খ) উপধারার পরে যেখানে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, “তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না”। তাতে খুবই স্পষ্ট। এই শর্তটি মেনে নির্বাচনে যাওয়া মানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া। সংসদ ও সরকারকে বহাল তবিয়তে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মানেই হলো ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে থেকে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা। পৃথিবীতে এমন কোনো মহান ব্যক্তি আছেন যিনি বিশ্বাস করতে পারেন, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এ কথা জনগণও বিশ্বাস করবে না। তার ওপর রয়েছে বাংলাদেশ নিয়ে নিকট-প্রতিবেশীসহ বিদেশি শক্তির স্বার্থ ও ভূ-রাজনীতি। বিশ্বের প্রায় সব মহাশক্তিই মনে করে, বাংলাদেশ তার আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে ভবিষ্যতে সন্ত্রাস তথা চরমপন্থিদের বিশেষ করে উগ্র ধর্মীয় ও মৌলবাদের একটি উর্বর ভূমিতে পরিণত হতে পারে। বর্তমান সরকার গত এক দশকে তাদের রাজনীতি ও শাসন ব্যবস্থায় ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান প্রশ্নাতীতভাবে পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। এখন যদি কোনো কারণে বা বাস্তবতার আলোকে আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাস বা ধর্মীয় মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক বা আদর্শে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটে তাহলে পশ্চিমা গোষ্ঠীসহ অনেক বিশ্বশক্তি সেই নির্বাচনের ফলাফলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিলে ক্ষমতাসীন সরকার সে সুযোগ নেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে সংবিধানের এই ধারাটিকে শক্তিশালীভাবে প্রয়োগ করতে পারে। যা তখন জনগণ কোনোভাবেই তা প্রতিহত করতে পারবে না। সরকার তখন তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে তার বিরুদ্ধে নির্বাচিত শক্তির ফলাফল তথাকথিত সন্ত্রাস ও ধর্মীয় মৌলবাদের ধুয়া তুলে বাতিল করে দিয়ে পুনরায় নতুন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সময় নিতে সংবিধান নিজেদের ইচ্ছামতো আবারও সংশোধন করার সুযোগ সাংবিধানিকভাবেই থেকে যাবে। এখন যদি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের বিধান সংবিধানে সংশোধন আকারে এই সংসদ নিয়ে আসতে পারে তাহলে বহাল তবিয়তে থাকা সংসদ তাদের পরাজয়ের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে আরও দুই বা পাঁচ বছরের সময় নিয়ে নতুন আরেকটি নির্বাচনের সাংবিধানিক সংশোধনী অতি সহজেই নিয়ে আসতে পারবে। এতে বাধা দেওয়ার কোনো শক্তি কারও থাকবে না। সরকারও ক্ষমতায় থাকবে তাই তখন সরকার তার সব রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক যন্ত্র দিয়ে নির্বাচিত সরকারবিরোধী পক্ষকে স্তব্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ বিদ্যমান সংবিধানেই বলা আছে ১২৩। ২ (ক) এর অধীনে সংসদ সদস্যরূপে নির্বাচিত ব্যক্তিরা চলমান সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না। কাজেই সংবিধানের এই সংশোধনীগুলো খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কাজেই জনগণের কাছে এটি খুবই পরিষ্কার যে, সংবিধানের ১২৩। ২(৩)(ক) উপধারার অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হওয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই। সরকারের বাইরে এই উপধারার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অভিলাষ মানেই সরকারের সঙ্গে আঁতাত করা এবং হালুয়া রুটির রাজনীতি করা।

 

পরিশেষে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমান সংবিধানের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম সুযোগ নেই। দেশি-বিদেশি যারাই ইনিয়ে বিনিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছেন তারা সবাই তলে তলে সরকারের পক্ষেই কথা বলছেন, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং বিরোধী দলগুলোকে বিভ্রান্ত করে চাপে রেখে জালে আটকাতে চাচ্ছেন।  এই সরকার নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি নিজে তো নেবেই না, তার স্বার্থান্বেষী দেশি-বিদেশি মহলও নিতে দেবে না।  তাই আমি মনে করি, ক্ষমতার চিরস্থায়ী ব্যবস্থাই হবে সর্বোত্তম উদ্যোগ। আমি এই রাজনীতির পক্ষে। তবে বিরোধিতাও থাকবে।

 

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

সর্বশেষ খবর